মাসব্যপী আলোকোজ্জ্বল সাজে সজ্জিত নগরীর সমস্ত মানুষ যখন বড়দিনের উৎসব পালন করছিলো, ঠিক সেই সময়ে আমার বড় ছেলে রিয়াসাতের সহপাঠী মায়া’র পরিবারে ভয়াল এক অন্ধকার নেমে আসে। পাঁচ বছর আগের সেইদিনটি ছিল পঁচিশে ডিসেম্বর। দেশ থেকে খবর এলো মায়া’র বাবার অবস্থা ভীষণ খারাপ। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ওদের দেশে যেতে হবে। সাত বছরের মায়া, এক বছর বয়সী ছোটভাই মাহিন সহ ওর মা’কে প্রতিবেশী বাঙালিরা টিকেট কেটে প্লেনে তুলে দিল। দীর্ঘতম এক যাত্রা ! পৃথিবীর দীর্ঘতম এক পথ, যে পথের দূরত্ব শেষ হতে চায় না কোনভাবেই। প্রিয়জনের কাছে পৌঁছাবার অপেক্ষা’র পথ…
তিনমাস পর দেশ থেকে ফিরে মায়া স্কুলে আসতে শুরু করে। মায়া’র মা’কে দেখে আমরা অন্যসব মায়েরা যারপরনাই বিস্মিত হলাম। স্বামী’র মৃত্যু একজন নারীকে এতোটাই টুকরো টুকরো করে দিল যে, তাঁর দেহে শুধু নিভুনিভু প্রাণটুকুই অবশিষ্ট ছিল। হয়তো ছোট্ট দু’টি সন্তানের জন্যে এটুকুই ছিল কেবল !
অনেকগুলো দিন মাস পেরিয়ে গেলো। তিনি আসা-যাওয়ার পথে কারো সঙ্গেই কথা বললেন না। নিরবে একাকি ঘুমন্ত ছেলেটিকে স্ট্রলারে ঠেলে সকালে স্কুলে আসেন মায়া’কে নিয়ে। ঠাণ্ডা আর তুষারপাতের এই দেশে সে এক অবর্ণনীয় দৃশ্য।
সব আঁধারই একসময় আলোর দিকে এগিয়ে যায়। তিনিও একটু একটু করে স্বাভাবিক হলেন। জানালেন, বাচ্চাদের জন্মের পর মা হিসেবে তাঁকে তেমন কিছুই করতে হয়নি। ওদের বাবা’ই সব যত্ন-আত্তি নিতো। এমন কি মধ্যরাতে উঠে ফিডার খাওয়ানো, ডায়পার বদলানো সবই করতেন নিজ থেকে। তাই সেই মানুষটার মৃত্যুর পরের সময়টা মায়া’র মা’য়ের জন্য অথৈ সমুদ্রে ডুবে যেতে যেতে খড়কুটো ধরে কোন মতে ভেসে থাকবার মতন।
স্বামী কষ্টার্জিত অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন। বাড়ি বানিয়েছেন। বাড়ির কাজের চূড়ান্ত সমাপ্তির আগে দেশে গিয়েছেন বাকি কাজ নিজে সামনে থেকে তদারকি করবেন বলে। খুব ভোরে ফজরের ওয়াক্তে জায়নামাজে সেজদারত অবস্থায় বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন। সে-ই যাওয়া না ফেরার দেশে। সে-ই যাওয়া মায়ার এই জগত ছেড়ে।
পুত্রহারা বাবা পুত্রবধূকে থেকে যেতে বললেন সেখানে। তেমনটি হলে হয়তো সুন্দর হতো। কিন্তু বাস্তবতা কি আসলেই এতোটা সহজ, সুন্দর ? স্বামীর মৃত্যুর পর স্বামীর পরিবারে একজন নারী কি আসলেই সন্তানদের নিয়ে ভাল থাকবার কথা ? যেখানে স্বামী জীবিত থাকতেই সেই পরিবারে ভাল থাকা হয়না বেশীরভাগ নারীর। তাছাড়া বিদেশে জন্মানো শিশু দু’টি নিয়ে মায়া’র মা দেশে থাকতে ভরসা পেলেন না। বাচ্চাদের সামনে অনেক দীর্ঘ পথ। ওদের এটা লাগবে, ওটা লাগবে, নানান রকম আবদার থাকবে। শ্বশুরের কাছে কতক্ষণ, কতবার চাওয়া যায় ? এদিকে নিউইয়র্ক থেকে প্রতিবেশীরা নিয়মিত ফোন করেন, সাহস দিলেন ফিরে আসবার জন্যে। শেষে ফিরে এলেন। শ্বশুরবাড়ির মানুষজন অসন্তুষ্ট হলেন। কেউ বললেন, নিজের খেয়াল খুশি মত চলার জন্যে বিদেশ বিভূঁইয়ে ফিরে যাচ্ছে। কেউ বললেন, আবার বিয়ে করার ইচ্ছে হয়তো, তাই ফিরে যাচ্ছে…
প্রতি ভোরে আমরা অন্যসব মায়েরা যখন হাত ধরে পরম মমতায় সন্তানকে স্কুলে পৌঁছে দিচ্ছি, কপালে চুমু দিয়ে বিদায় দিচ্ছি, ঠিক সেই সময়ে মায়া একাকি স্কুলে আসে। কোনদিকে না তাকিয়ে মাথা নুইয়ে স্কুল গেটের দিকে এগিয়ে যায়। আবার ছুটির সময়টাতে আমরা যখন স্কুল গেটে অধীর অপেক্ষায় সন্তানের জন্যে, তখন মায়া নামের ছোট্ট মেয়েটির জন্যে কোন অপেক্ষার দৃষ্টি নেই। নেই অপেক্ষা শেষে জড়িয়ে ধরার কোন হাত, কোন বাহু। রোজ দুপুরে স্কুল শেষে ধীর, স্থির, শান্ত মেয়েটি চুপচাপ হেঁটে যায় একাকি বাড়ির উদ্দেশ্যে রুজভেল্ট এভিনিউ ধরে। কেননা, সেই সময় মায়া’র মা স্কুলের অন্য গেটে অন্যের সন্তানের জন্যে অপেক্ষায়। অন্যের সন্তানকে স্কুলে আনা-নেয়া করা, বেবিসিটিং করা সহ টুকটাক কিছু কাজ করে জীবনের কঠিনতম আরেক অধ্যায়ের শুরু সংগ্রামী সেই মায়ের।
আমরা সন্তানের পিছনে প্রচুর সময় এবং অর্থ ব্যয় করছি। কোচিং করাচ্ছি। আমাদের কারো কারো সন্তান স্কুলে অনারেবল এ্যাওয়ার্ড পাচ্ছে প্রতি বচ্ছর। আমন্ত্রিত অবিভাবক হিসেবে সেইসব এ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানগুলোতে যাচ্ছি। সন্তানের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত হয়ে হাততালি দিয়ে তাঁদের উৎসাহিত করছি। কিন্তু আশ্চর্য হলেও সত্য যে, বাবাহীন, মায়ের সান্নিধ্যহীন ছোট্ট মায়া একাকীই ভাল রেজাল্ট করছে। সে প্রিন্সিপ্যালের হাত হতে এ্যাওয়ার্ড নেয়। ঘুরে দাঁড়িয়ে সব অবিভাবকের দিকে দৃষ্টি বুলায়। অতঃপর মাথা নুইয়ে নিজ আসনে গিয়ে বসে। সেই সময় এইটুকুন মানুষটি কেমন বোধ করতো জানিনা। তবে আমার ভেতরে তীব্র এক সুনামি বয়ে যেতো। নিজের সন্তানকে সেই অবস্থানে ভেবে গা শিউরে উঠতো। কষ্টে বুক চিরে কান্না পেতো।
পাঁচ বছর বাদে এখন মায়া এবং আমার ছেলে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ে। দূরের মিডল স্কুলে বাসে একাকি যাতায়াত করে। আমাদের মায়েদের আর দেখা হয় না। গত গ্রীষ্মে বাঙালি পাড়া নামে পরিচিত জ্যাকসন হাইট্সে মেলায় অন্য অনেকের সাথে ষ্টেজের সামনে দাঁড়িয়ে গান শুনছিলাম। অনেক কোলাহলের মাঝে কেউ একজন পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলেন। অনেক আপন কারো জড়িয়ে ধরা। পিছনে ফিরি। মায়া, তাঁর মা, এবং ভাই মাহিন হো হো করে হেসে উঠলো আমায় চম্কে দিলো বলে। অতঃপর ওরা দু’ভাই বোন বাবল গান নিয়ে খেলায় মেতে উঠলো। একজন বাবল ছুঁড়ে দিচ্ছিলো গান থেকে। অন্যজন বাতাসে উড়ে যাওয়া বাবল ধরার চেষ্টা করছিল। ভাইবোনের এই খেলা, ক্ষণে ক্ষণে হেসে উঠা__ অদ্ভুত সুন্দর দৃশ্য। মায়া’র মা কথা বলেই যাচ্ছিলো খল্বলিয়ে। অনেকদিনের জমানো কথা। বাতাসে চুলগুলো মৃদু উড়ছিল। শেষ বিকেলের সোনালি আলোয় মাখামাখি সংগ্রামী এক হাস্যোজ্বল নারী আমার সামনে দাঁড়িয়ে। আমার অসম্ভব ভালো লাগছিলো। অদ্ভুত মায়াময় হাসি। এই হাসিটুকু হারিয়ে গিয়েছিলো তাঁর জীবন থেকে অনেকগুলো দিনের জন্যে।
তবুও মানুষ দুঃখ, কষ্ট, হতাশা শেষে অসীম মনোবলে ঘুরে দাঁড়ায়। ডুবে যেতে যেতে স্রোতের বিপরীতে যুদ্ধ করে করে কিনারে উঠে আসে। কষ্টগুলো নোনা জলে ভাসিয়ে দিয়ে মুক্ত বাতাসে শ্বাস নেয়। এটাই জীবন। পৃথিবীতে কারো জন্যেই কিছু থেমে থাকে না। শুধু একান্ত নিভৃত সময়টাতে গহীনের ক্ষতগুলো জেগে উঠে। থাকুক না কিছু কষ্ট নিভৃতে, একান্ত আপন হয়ে।
রিমি রুম্মান
৮ই ডিসেম্বর, ২০১৫
নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র
৩৫টি মন্তব্য
ভোরের শিশির
ঘুরে দাঁড়ানো সেই সকল মানুষ ও মা এবং সন্তানদের জন্য শুভেচ্ছা রিমিপু -{@
রিমি রুম্মান
শুভকামনা আপনাকেও। -{@
ভোরের শিশির
😀
ছাইরাছ হেলাল
দুঃখ যন্ত্রণার নদী বেয়েই সুখ ধরা দেয়, আপনি তার সাক্ষী হয়েই রইলেন।
রিমি রুম্মান
চলার পথে কত কি দেখি আমরা। মানুষের সুখে নিজের ভেতরেও ভালোলাগা কাজ করে। আবার তাঁদের দুঃখে ব্যথিত হই। ভাল থাকুন সবসময়।
মোঃ মজিবর রহমান
জীবন ঘিরে আপনার হৃদয় স্পর্শী লেখা মনে আড়লন তলে।
শুভেচ্ছা ঐ মা বোন-ছট্ট ভাইটিকে ঐ অবস্থার মাঝেই জিবনের পথে অগ্রসভাবে পেয়েছে জিবনে বেঁচে থাআকার আস্থা।
শুভেছা আপনাকে।
রিমি রুম্মান
শুভকামনা জানবেন। -{@
মোঃ মজিবর রহমান
ভাল থাকুন আপু।
অরুনি মায়া
তিনি একজন আদর্শ মা। উনার প্রতি জানাই আন্তরিক শ্রদ্ধা। উনার কাছ হতে জীবন যুদ্ধের অনেক কিছুই শেখার আছে। ভাল থাকুক মায়া, ভাল থাকুক তার মা, ভাল থাকুক মায়ার পরিবার -{@
রিমি রুম্মান
জীবনকে আমরা অনেকেই সুন্দরভাবে এগিয়ে নিতে জানিনা বলেই জীবন কখনো কখনো জটিল হয়ে উঠে। ভাল থাকুন সবসময়। অনেক শুভকামনা। -{@
অপার্থিব
পৃথিবীর সব প্রান্তেই বেঁচে থাকার জন্য নারীদের প্রানান্তর পরিশ্রম করে যেতে হয় । হোক না সেটা বাংলাদেশ কিংবা আমেরিকা। কিন্ত এই কাজের যথাযথ মুল্য কিংবা সামাজিক সম্মান কোনটাই সে ঠিক মত পায় না। পশ্চিমা সমাজ ও সাংস্কৃতিক কাঠামোয় নারীদের অবস্থান কিছুটা উচুতে হওয়ায় সেখানে নারীদের বেঁচে থাকার সংগ্রাম কিছুটা সহজ। চমৎকার লেখা, দারুণ ভাল লাগলো।
রিমি রুম্মান
ঠিক বলেছেন।এখানে একজন নারী চাইলেই স্বনির্ভর ভাবে , স্বাধীন ভাবে বেঁচে থাকতে পারে। যেটা আমাদের দেশের সামাজিক ও ধর্মীয় গোঁড়ামির জন্যে হয়ে উঠে না।
তানজির খান
এক নিশ্বাসে লেখাটি পড়ে শেষ করলাম। বিশেষ কোনো মন্তব্য নেই, আমি নিথর হয়ে যাচ্ছি মনে হয়। সবার ”জীবন সংগ্রাম” বেঁচে থাকুক জীবন যুদ্ধে জয়ী হবার জন্য। ওদের সবার জন্য অনেক দোয়া রইল।
ভাল থাকবেন লেখিকা, শুভ কামনা রইল এমন আগামী লেখার জন্য।
রিমি রুম্মান
জীবন যুদ্ধে আমরা সবাই যোদ্ধা। কারো জন্যে পরিস্থিতি কিংবা নিয়তি যুদ্ধটাকে কঠিন করে তোলে। তবে ঘুরে দাঁড়ানোটাই জরুরী । এমন মনোবল সবার থাকে না। অসীম মনোবলে সামনে এগিয়ে যাওয়াটাই উচিত সবার।
তানজির খান
ঠিক বলেছেন। সবাইকে মনোবল ধরে রাখতে হবে।
জিসান শা ইকরাম
সংগ্রামী মায়ার মা এর প্রতি জানাই আন্তরিক শ্রদ্ধা
তিনি একজন সংগ্রামী মায়ের প্রতীক হতে পারেন
সমস্ত প্রতিকূলতা অতিক্রম করে তিনি পৌছে যাক তার অভিষ্ট গন্তব্যে
এই কামনা করছি।
সহজ সরল ভাবে আবেগ প্রকাশে আপনার বিকল্প নেই
শুভ কামনা।
রিমি রুম্মান
ভাল থাকবেন। শুভকামনা রইলো। -{@
মারজানা ফেরদৌস রুবা
মায়া’র মায়ের আমেরিকা ফিরে আসাটা খুব যৌক্তিক ছিলো। সামাজিক কারনে হয়তো শ্বশুরবাড়ির লোকজন থেকে যেতে বলেছিলো কিন্তু সে থেকে যাওয়াটা তাঁর জীবনে চরম ভুল হতো।
একটা ব্যাপার প্রতিটা মেয়েরই মনে রাখা উচিৎ ‘Self help is the best help’ মেয়েদের জন্য স্পেশালি বললাম এজন্য, যে মন-মানসিকতায় যদি পরনির্ভরশীলতা কাজ করে তবে কোন দিন সে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে না। আর বেশিরভাগ মেয়ের মধ্যেই তা বিরাজ করে।
যুদ্ধে নামলেই যুদ্ধ জেতা সহজ হয়, আত্মবিশ্বাস বাড়ে। কাজেই হাল ছেড়ে দিয়ে মাথা নিচু করে নয়, বরং হাল ধরে মাথা উঁচু করেই বাঁচতে হয়।
মায়া’র মাকে আমার স্যালুট (y)
রিমি রুম্মান
ভাল বলেছেন। ফিরে আসায় তাঁর নিজের জন্যে, সন্তানদের জন্যে ভাল হয়েছে। তিনি স্বনির্ভর এবং স্বাধীনভাবে জীবন যাপন করছেন। প্রতিটি নারীর এমন শক্তিশালী মনোবল জরুরি মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকবার তাগিদে।
ফ্রাঙ্কেনেস্টাইন
অসাধারণ 🙂
রিমি রুম্মান
শুভেচ্ছা আপনাকে। -{@
দীপংকর চন্দ
হৃদয়স্পর্শী!!!
প্রার্থণা করি, শেষঅবধি হাসি আনন্দ ঘিরে থাকুক জীবন সংগ্রামীদের।
শুভকামনা অনিঃশেষ।
ভালো থাকুক সবাই। সবসময়।
রিমি রুম্মান
ভাল থাকুন আপনিও। শুভকামনা নিরন্তর। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
রিমি আপু তুমি এমন এমন ঘটনা তুলে আনো, বুকের ভেতরে বড়ো বাজে। কেমন যে এক অসহায়তা টের পাই। ঈশ্বর যেনো কখনো কাউকে এমন জীবন না দেই।
তবু মায়ার মা দেশের বাইরে থেকে ওভাবে জীবনের মোড় ঘুরিয়ে নিতে চেষ্টা করে গেছেন। আমারই মাসী বিয়ের তিন বছরের মাথায় বিধবা হন। ছোট্ট একটা বাচ্চা যে কিনা বাবা কেমন এখনও জানেনা। শ্বশুরবাড়ী অনেক বড়োলোক, কিন্তু মাসীর থাকার জায়গা হলোনা। তার জীবন সংগ্রাম কিছুটা দেখেছি। আজ ওই ভাইটা আমার ইঞ্জিনিয়ার, অনেক ভালো অবস্থানেই আছে। মাসীর মুখে হাসি দেখি। মাকে নিয়ে ছেলে বেড়াতে যায়। ছেলের বৌও শুনেছি খুবই ভালো।
মায়েরা অনেক কষ্ট পায় জীবনে, পৃথিবীর সকল মায়েরা ভালো থাকুক। -{@
রিমি রুম্মান
নীলা’পু এই বিদেশ বিভূঁইয়ে চলার পথে আমরা কত কি দেখি, তাই না ? খুব কাছ থেকে মানুষের জীবন সংগ্রাম দেখি। কিছু ঘটনা আমাদের মনোবল বাড়ায়। অনুপ্রেরনা যোগায়। ঘুরে দাঁড়াবার গল্পগুলো থেকে অনেক কিছুই শেখার আছে আমাদের।
তোমার মাসী’র জন্যে শুভকামনা। -{@
আবু খায়ের আনিছ
সংগ্রামী এই মানুষগুলো বিনম্র শ্রদ্ধা।
কিছু করতে গেলে কিছু কথা শুনতে হবে এটা যেন আমাদের সমাজের একটা নিয়ম হয়ে গেছে। কবে যে বদলাবে মানুষের এই সব চিন্তা ভাবনা।
রিমি রুম্মান
ঠিক বলেছেন। কোন এগিয়ে যাওয়াই নিষ্কণ্টক নয়। তবুও মানুষ এগিয়ে যায় অসীম মনোবলে।
শুভেচ্ছা জানবেন। -{@
স্বপ্ন
তিনি আমেরিকায় ফিরে গিয়ে সঠিক কাজটিই করেছেন।এই দেশে উনি সন্মান নিয়ে বেঁচে থাকতে পারতেন কিনা সন্দেহ আছে।বিধবা বা তালাকপ্রাপ্ত নারীদের দেখেছি আমি সমাজে।তাদের দিনগুলো কষ্টের।আপনার এই লেখা পড়ে প্রেরণা পেলাম আপু।
রিমি রুম্মান
একজন নারীর সব বাধা পেরিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প আমাদের সকলের অনুপ্রেরনা হয়ে থাকুক।
ভাল থাকুন নিরন্তর।
লেখাটি সোনেলা’র পর প্রথমআলো’তে প্রকাশিত হয়েছে।
http://www.prothom-alo.com/durporobash/article/707545/%E0%A6%97%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%A4%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%8B-%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%95-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A6%AA%E0%A6%A8-%E0%A6%B9%E0%A7%9F%E0%A7%87
শুন্য শুন্যালয়
রিমি আপু খুব ভালো লাগে, প্রথম আলোতে আপনার আর্টিকেল দেখতে। পাশেই মিষ্টি হাসির আপুটিকে দেখতে।
(3
স্বপ্ন
আমাদের সোনেলার মিষ্টি আপুর লেখা প্রথম আলোতে প্রকাশ হয়,ভাবতেই ভালো লাগে আপু 🙂
ব্লগার সজীব
মায়ার মা কে জানাচ্ছি স্যাল্যুট।উনি আমাদের দেশের মেয়েদেরকে পথ দেখাতে পারেন।
রিমি রুম্মান
শুভেচ্ছা জানবেন। -{@
শুন্য শুন্যালয়
মায়া আর মাহিনের জন্য আমার অনেক আদর। তারা যোগ্য মানুষ হয়ে বেড়ে উঠুক, তাদের মায়ের এই আত্মত্যাগ আর সংগ্রাম কে শ্রদ্ধার সাথে সম্মান দিক এই কামনা করছি। এমন লেখা অনুপ্রেরনা দেয় অনেক, ভাবতে শেখায়। অনেক ভালো থাকুন রিমি আপু। -{@
রিমি রুম্মান
ভাল থাকুন শুন্য আপু। শুভকামনা রইল। -{@