গাঢ় নীল পাখিটি ডেকে যায়, ডেকে ডেকে থেমেও যায়, ক্লান্ত-দুপুর সতেজ রৌদ্রস্নানে তন্দ্রা-ছন্ন হয়,
ক্ষয়ে যাওয়া চারাগাছটি ঝিমোয়, এক সুটকেস ক্লান্তি হেলায় পড়ে রয়,
বিস্তৃতের পথ ধরে ঝাপসা চোখে কত কী ই না দেখি! সমাপ্ত সংলাপের বেশে দৃষ্টিহীনের দৃষ্টি নিয়ে থমকে দাঁড়াই ক্ষণকাল,
দু’চোখের বিপ্লবী ঝিলে চুপিসারে মাছরাঙ্গার ব্যস্ততা।
অপেক্ষা চাঁদের সঙ্কেতের, অপেক্ষা ঘাস-শিশিরের নগ্ন মিতালীর, ঝাঁক ঝাঁক অন্তহীনের পথ চেয়ে তুমুল নৈবদ্যের,
ঘুমের মসলিনেও অনিঃশেষ শুভেচ্ছা জানান দেয় স্বাতী অরুন্ধতী; অথচ কোকিল ডাকে-না ডাকে-নি বহুকাল!
আলাদার একাকীত্বে থমকে দাঁড়ানো একটি ঝুড়ি-হীন বটগাছ,
১৪টি মন্তব্য
মিষ্টি জিন
যার কাছে নানা রকম পাখিরা এসে আশ্রয় নেয় , ক্লান্ত পথিকেরা যার ছায়ায় বসে একটু জিরিয়ে নেয় সেই বটগাছের কোকিলের ডাক শোনার দরকার আছে বলে মনে হয় না।
এত কুঠিন কবিতা ভালু পাই। 😀
ছাইরাছ হেলাল
কুহু ডাক, সে-তো প্রাণের ডাক,
কোকিল থাকুক বা না থাকুক সে ডাক হৃদয় থেকেই বেজে ওঠে;
এমুন কঠিন পাঠক-ই আমার চাই।
লেখারা কৈ!!
নীলাঞ্জনা নীলা
শব্দেরা যেমন প্রেমী হতে পারে, তেমনি পারে সন্ত্রাসী হতে। পিনপতন স্তব্ধতার ভেতর দ্বীপান্তরের শাস্তি দিতে পারে।
আবার পারে হেসে এলিয়ে পড়া আনন্দের বানে ভাসতে।
একাকী চুপচাপ,
ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা বৃক্ষদের মতো অনুচ্চারিত হাওয়ার শব্দে ঝড়ও তুলতে পারে।
ময়ূরাক্ষ্মী তোমাকে বলি শোনো, শব্দেরা কি পারেনা জানো?
—আমার আমি’কে বুঝতে এবং বোঝাতে।—-আপনার কবিতার বিষয়ের সাথে এই লাইনগুলোর কোনো মিল নেই। তা-ও কেন দিলাম ভাবছেন তো? উত্তর পেলেন? নাকি পাননি?
ও কুবিরাজ ভাই বেশি ভাবার দরকার নেই। নিশ্চিন্তে লিখে যান।
( 😀 আপনার লেখা পড়ে এই লাইনগুলো এলো, লিখে রাখলাম। আর কিছু না! 😀 )
ছাইরাছ হেলাল
এমন শব্দ-প্রেমি আমিও খুঁজি,
উত্তর ভাল করেই পেয়েছি, কিন্তু এখানে দিলাম না,
আপনি তো ফাটিয়ে দিয়েছেন!!
বাপরে!!
নীলাঞ্জনা নীলা
ক্যান এখানে উত্তর দিলে কি সমস্যা?
ফাটিয়েছি? বলেন কি! কি ফাটালাম আমি? ;?
মাগো রে!! ^:^
ছাইরাছ হেলাল
পুরো একটা পোষ্ট-ই-তো লিখে দিলাম,
হইছে এবার!!
মৌনতা রিতু
শব্দরা আড়ি দিয়েছে ক’দিন যাবত। মন যেন ঝিমোচ্ছে এই শুকনো চারাগাছটির মতো।
রাতচোরা পাখি রাতের নির্জনে ডেকে যায়, দিনের আলোয় বসে থাকে ঘাপটি মেরে।
ভাল লাগলো।
ছাইরাছ হেলাল
গাছে জল-থেরাপি দিন, জেগে উঠবে সটান হয়ে,
রাতের পাখি রাতেই গায়, রাতেই জাগে,
আপনি জেগে উঠুন লেখা নিয়ে।
মৌনতা রিতু
সেই চেস্টা অব্যাহত আছে। তবে মনে কয়েকদিন কি যেন ভেসে বেড়াচ্ছে। ওটাকে না ভাসানোর চেষ্টা চলছে।
ছাইরাছ হেলাল
চুবিয়ে মারা ঠিক হবে না, ভাসুক, একটু সামলে-সুমলে।
বাবু
বটবৃক্ষ বেঁচে থাকুক, ছায়া দিক পাখি এসে গান গেয়ে যাক। পথিক আসুক বটবৃক্ষতলে, বিশ্রাম নিক আপন মনে। বেঁচে থাকুক বৃক্ষ তরুলতা, চির সবুজ হয়ে থাকুক আমার এই পৃথিবী ।
ছাইরাছ হেলাল
গাছ আমাদের চির আশ্রয় দাতা,
গাছেই বাঁচি, গাছ নিয়েই বাঁচি।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
মেহেরী তাজ
ভাইয়া ঝাপসা চোখে এতো কিছু কেমনে দেখেন? শব তো ঝাপসা ই দেখার কথা। ;?
আর কোকিল দেরই বা কি হইলো ডাকাডাকি বন্ধ করছে কেন??
ছাইরাছ হেলাল
কত কী দেখার আছে, কিছুই-তো দেখি-না, ঝাপসা লাগে।
ফাঁকফোকর দিয়ে ধার-ধোর করে ইট্টু যা দেখি তাই-ই বলি।
মনে হয় কোকিলদের দিন-কাল ভাল যাচ্ছে না,
তাই ডাকে-ডুকে না!!