
৴ঐ কৈ যাও?
৴কেন?
৴চল একটু দলিল লেখকের কাছে যাই…
৴কেন?
৴আরে কিছু জমি কিনমু৴একটু আলাপ কইরা আহি।
৴কী কইলি জমি কিনবি?
৴হ কেন? কোন সমস্যা?
৴না মানে আমি বলছিলাম কী৴ এই দুনিয়ায় জমি না কিন্না চাদে জমি কিন৴তোর ভবিষৎ ছেলে মেয়েদের স্থায়ী একটা উপায় হবে।
৴কছ কী সত্যিই নাকি? আরে দূর বেটা চাদে জমি কেনার এতো টাকা পামু কই?
৴আরে টাকা বেশী লাগে না৴নামে মাত্র, তোমার সাধ্যের মধ্যেই কিনতে পারবা।
৴আমিও শুনেছি অনেকে চাদে জমি কিনেছে….
কথা বলতে বলতে ওরা দুজন চায়ের একটি টং দোকানের সামনে গেলেন।
৴চাচা আজকের পত্রিকাটা দাওতো দেহি আজকে আবার চাদে জমি কিনলো কেডায় কেডায় দেহি।পত্রিকার পাতা উল্টাছেন আর পাশের জন অবাক হয়ে দেখছেন।
৴এইতো পাইছি,,,
৴কী! কী!!পাইছো? একটু পড়ে শুনাওতো?
লোকটি তাকে পড়ে শুনাচ্ছেন৴
এ দেশের একজন চাদে জমি কিনেছেন,লোকের ছবি নাম ঠিকানা সব দেখালেন।লোকটি তার প্রতি বিশ্বাসে গদগদ হয়ে চাদে জমি কেনার জন্য মনস্থির করলেন।
ঠিক আছে তুমি কিনে দিতে পারবা?
তুমি চাদে জমি সত্যিই কিনবা?
সত্যি বলছি৴ সাধ্যের মধ্যে হলে কিনবো না কেন?
ঠিক আছে চলো….
কই যাইবা?
চলোই না…..।
চাদে জমি ক্রয়দাতাকে আরো বেশী বিশ্বাসী করতে তাকে নিয়ে গেলেন বাজারে একটি কম্পিউটার দোকানের কম্পিউটারের ডেক্সের সামনে বসা তার এক বন্ধুর কাছে।মুল দোকানদার তাকে দেখে কম্পিউটার ডেক্সের চেয়ার হতে উঠে বেরিয়ে গেলেন।তখন চাদে জমি বিক্রেতা সেই চেয়ারে গিয়ে বসলেন।ক্রয়দাতা একটি চেয়ারে তার মুখোমুখি বসলেন।
চাদে জমি দাতাকে ক্রয়দাতা বললেন..
৴কীরে তুই আবার এ দোকান দিলি কবে? ।
কবেইতো৴ এই দোকান দিয়াইতো মাশাল্লাহ্ তোমাগো দোয়ায় আমার দিনকাল ভালই যাচ্ছে।যাই হোক তুমি চাদে জমি কিনবাতো?
তাইলে কী তোর লগে ইতরামি করতাছি!!
না না তা নয় হাজার হলেও তুমি আমার বয়সে অনেক বড়।তবে কথা কী জানো চাদে জমি কিনতে হবে অনলাইনে।অনলাইন বুঝতো?ঐ যে চলে গেলো ভদ্রলোকটি সেই তোমার জমি রেজিষ্ট্রি করবেন।এদেশে অনলাইনে সে একজন চাদে জমি বিক্রয় কর্মকর্তা।আমরা সিন্ধান্ত দিলে সে শুরু করবে
৴হ ইন্টারনেট
৴হ্যা এইতো দেখছি ভালই বুঝ।তয় শোন৴চাদের জমি বেচতাছে আমেরিকার একজন বড় ব্যাবসায়ী নাম তার ডেনিস হোপ। আমেরিকার এই নাগরিক লুনার অ্যাম্বেসী ডট কম নামে একটি সাইট খুলে। হের কাছতন লন্ডন আমেরিকা হলিউড বলিউড
এর নামী দামী লোকেরা চাদে বসবাসে জমি কিনেছে বাদ যায়নি আমাদের দেশও।এ পর্যন্ত আমাদের দেশের
দুজন কিনে ফেলেছেন।কেউ কেউ চাদের কেনা জমি তার বউয়ের নামে দলিল রেজিষ্ট্রি করেছেন।এই এইতো দেহো তাদের ছবি নাম ঠিকানা জমির পরিমান ম্যাপ আরো কতকিছু।
ক্রয়দাতাকে এবার আর চাদে জমি কেনা হতে কে থামায়!সে অস্থির হয়ে বলল।
৴আমি কিনবো৴ কিনতে কী করতে হবে?
তোমাকে কিচ্ছু করতে হবে না কোথাও দৌড়াদৌড়িও করতে হবে না।শুধু কিছু ফি দিবে মানে টাকা। আমি আমার ঐ বন্ধুকে দিয়ে ওর সাথে ঢাকায় গিয়া সেই টাকা ডলার বানাইয়া চাদের জমির মালিকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢুকাইয়া দিমু।
তারপর?
তারপর জমির মালিক আমাদের একটি সাব কবলা রেজিঃকরা দলিল দিবে৴ সাথে দিবে দলিলের নকশা৴ দাগ নম্বর এবং তোমাকে চাদে যেতে পাসপোর্টও বানিয়ে পাঠাবে।
৴অ তাই!!আচ্ছা বুঝলাম আমি তাইলে কালই তোমারে টাকা দিবো৴কত টাকা লাগবে?একটু কমসম কইয়ো।।
৴কম নাই৴ওখানে যারা জমি কিনছেন সবাই এক দামে কিনেছে।এক পয়সা কম হলে রেজিষ্ট্রেসন হবে না।এটাতো আর আমাগো কথায় চলেনা চলে ইন্টারনেটের নিয়মে চলে৴ বুঝলে?
৴হ বুঝছি তবে কত টাকা লাগবো?
৴এই যে এই দেহো এখানে সব লেখা আছে শুধু রেজিষ্ট্রিসন করতে লাগবে $1000 ঔখানকার জমি কেনা আর মিট্যুয়েসনে,পাশপোর্ট ইস্যু এবং যাওয়ার খরচ হিসাবে লাগবে আরো $4000 বুঝলে?
৴আমিতো আর ডলার ফলার বুঝি না ভাই.. বাংলা টাকায় কও কত লাগবে তাই কও ?
বিক্রয়দাতা একবার কম্পিউটারে দেখে আবার ক্যালকুলাটারে টিপে হিসাব করেন বাংলা টাকা।
৴এই ধরো সর্বোমোট ৫,০০,০০০ পাচ লক্ষ লাগবে।
৴এতো কম! জমি কতটুক দিবে?
৴ধরো ছয় সাত কাঠা,
৴তাহলেতো ভালই হবে।
৴হ,
৴ঠিক আছে আমি টাকার ব্যবস্থা করছি।কাল পরশুই কিনবো।
৴ঠিক আছে।যাই দেহি উত্তর পাড়ার ঐ জমিটা বেইচ্চা লাই…।।
আচ্ছা…শোন শোন।আমরা মানুষতো ভালা না বুঝলে?কারো ভালা কেউ দেখতে পারিনা।তাই বলছিলাম এ বিষয়ে আর কারো সাথে আলাপ কইরো না-আকাশে চাদ উঠলেতো হগলতে দেখবে তাই না।
৴দূর আমি কমু কেন? আচ্ছা ঠিক আছে।
চাদে জমি কিনতে যাওয়া লোকটি হলেন আমাদের দেশের একদম সহজ সরল লোক নাম তার বাতেন।জমিজমা তেমন কিছুই নেই তবুও যা আছে তা দিয়ে বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে ভালো আছেন।কিছু লোক এমন আছে যারা সহজেই অন্যের কথায় বিশ্বাস এনে ফেলে।চাদে জমি বিক্রয়দাতার রসালো কথার ফাদে পড়েন বাতেন।নিজের জন্য নয় সন্তানের অনাগত ভবিষৎ গড়তে বাতেন চাদে জমি কিনতে বেশ আগ্রহ।আজ বাতেন মিয়া বাসায় গেলেন অত্যান্ত ফুরফুরে আনন্দঘন মেজাজে।বাড়ীর উঠোনে ঢুকেই বউকে ডাক দিলেন।
৴কইগো- কই গেলা?
৴এইতো গরুর গামলায় খাবার দিছি…আইতাছি।
বাবাকে দেখে তার দুই মেয়ে এক ছেলে এগিয়ে এলো।
৴বাজান তোমারে আইজ খুশি খুশি লাগতাছে?
৴হ খুব খুশি এতো দিনে আল্লায় আমাগো উপরে মুখ তুইল্লা তাকাইছে।
এর মধ্যে বউ আসে কোমরে খড়ের একটা পাতি নিয়ে।
৴কী হইছে! কিয়ের খুশির খবর ?
৴কওয়ন যাইবো না৴ যহন অইবো তহন দেখবা৴ তোমার জামাই কী কাজটাই না করছে।। আচ্ছা ভালো কথা৴ মন্ডল গায়ের রহিম মিয়া আইছোলেনি?
৴হ আইছিলো৴ আমি না কইরা দিছি।
৴আরে করছো কী!!
৴কেন? আপনেইনা কইলেন এতো কম দামে জমি বেচবেন না!
৴তাতো কইছিলাম,এহনতো টাকা লাগবো!কী করি??? ওহ্যা যাই বাজারে গিয়ে ফোন কইরা আহি।কালই সব জমি বেইচ্চা দিমু অ্যালা যা দাম পাই।
৴আচ্ছা কনতো আপনি এতোগুলো জমি বেইচ্চা কী করবেন?
৴তুমি কী জানো না আমাদের বংশে জামাইগো মুখের উপর স্ত্রীগো কতা কওয়া যায় না?তাছাড়া আমিতো আর অন্ধ বোকা না।
পরদিন বাতেন মিয়া জমি কাষ্টমার রহিম মিয়ার কাছে আগের দামেই জমিগুলো বিক্রয় করে দিলেন।টাকাগুলো ঘরের সিন্দুকে রেখে বাজারে চলে গেলেন চাদে জমি বিক্রেতার সাথে দেখা করতে।
৴আরে বাতেন মিয়া তোমারেইতো খুজতাছি৴ বসো ।
বাতেন মিয়ার মনেও আজ খুশির জোয়ার।চেয়ারে বসলেন।
৴কী খবর কন?
৴খবর ভালো,টাকা পয়সা রেডি আছে।
৴তাহলে আর দেরী কেন?নিয়ে আহো
৴না মানে আজকে সন্ধ্যা হয়ে গেছে কাল সকালে দেই।
কী যে কওনা সকাল আর সন্ধ্যা কী ৴আল্লাহর দিনরাত সবিই ভালো।তাছাড়া কখন আবার রেজিষ্ট্রসন করা বন্ধ হইয়া যায় বলা যায়না।অনেক লোক দরখাস্ত করছে।তুমিতো জানো না এক সেকেন্ডে পুরো পৃথিবীর প্রায় এক লক্ষ লোক চাদের জমি রেজিঃ করছেন।কখন আবার জমি শেষ হইয়া যায় বলা যায়না।আরো একটি বিষয় হলো তোমার এই বাংলা টাকা চলবে না ডলার করে দিতে হইবোতো।তুমি এহন টাকা দিলে কম্পিউটারে প্রাথমিক ভাবে তোমার নামে জমি বরাদ্দ চাইবো তারপর খুব ভোরে উঠে তোমার টাকা ঐবন্ধু লোকটিকে দিয়ে তাকে নিয়া ঢাকায় যামু ৴ওখানে গিয়ে টাকাগুলোরে ডলার বানামু তারপর ব্যাংকে চাদের এ্যাকাউন্টে জমা দিমু।মেলা কাজ।
৴তাইলে কী এহন টাকাগুলা নিয়া আইমু?
৴হ তাড়াতাড়ি যাও৴ আমি কম্পিউটারে তোমার নাম ঠিকানা সব এন্ট্রি করতে থাকি।
আচ্ছ…
বাতেন মিয়া ঘরে ঢুকার সাথে সাথে মাগরিবের আযান দেয়।সে সিন্দুক হতে টাকাগুলো একটা কাপড়ের ব্যাগে ভরে বের হবেন ঠিক সেই সময় পিছন থেকে স্ত্রীর ডাক।
৴শুনেন এই তিন হাইঞ্জাইল্লায় যাইয়েন না।আযানডা শেষ হউক।
বাতেনের রাগ মাথায় উঠে যায় কিছু কইতে গিয়াও কিছুই কইলেন না বাতেন মিয়া শুধু রাগান্বিত চেহারায় বাড়ী হতে বের হয়ে গেলেন।অনেক সতর্কতায় যাতে কেউ কিছু বুঝতে না পারেন তাই অতি গোপনে চাদে জমি বিক্রেতার দোকানে ঢুকে তার হাতে টাকাগুলো দিয়ে বললেন ৴
৴এই নাও পুরো পাচ লাখ।চাদে জমি বিক্রেতা টাকাগুলো একটি হ্যান্ড ব্যাগে রেখে জমি রেজিঃ জন্য কম্পিউটারে বাতেন মিয়ার নাম ঠিকানা সব বসাচ্ছেন আর বাতেন মিয়াকে বলছেন৴
৴আল্লা আল্লা করো যদি জমি থাকে তাহলে তোমার নাম রেজিষ্ট্রি হয়ে যাবে৴ নতুবা টাকা ফেরত নিয়া যাইবা।
কম্পিউটারে এন্টার বাটনে টিপ দিয়া হঠাৎ চিৎকার দিয়া উঠলেন চাদে জমি বিক্রেতা।উৎসুক বাতেন মিয়া জিজ্ঞাসা করল।
৴কী হলো!!
৴তুমি লাকি বাতেন মিয়া তুমি লাকি।।তোমার রেজিঃ হয়ে গেছে।এবার টাকাগুলো জমা দিলে তোমাকে জমির ম্যাপ কাগজপত্র সব দিয়া দিবে। যাও বাড়ীতে নাকে তেল দিয়া ঘুমাও।
কালকে পামু?
৴কালকে অবশ্যই পাইবা।
৴আচ্ছা যাই তাইলে,,,
বাতেন মিয়া মনে আনন্দ নিয়া বাসায় গেলেন।এ দিকে তার বউ দুশ্চিন্তায় উঠানে বসে আছেন।বাতেন মিয়াকে আসতে দেখে নিজেই তার সামনে গেলেন।
৴খুশি খুশি লাগতাছে?
৴খুশিতো লাগবোই বউ।তোমার নামেও জমি রেজিষ্ট্রি করেছি।
৴আচ্ছা।। আশ্চর্য হয়ে বললেন।
৴আজ বেচলেন জমি৴আবার কিনলেন কবে জমি?
৴তুমি বুঝবা না।পৃথিবীর সময় শেষ হয়ে আইতাছে তাই অন্য কোথাও বসতি গড়বো।
৴মানে৴ তুমি কী কও৴ পাগল হইছো নাকি৴পৃথিবী ছাইড়া আবার কই যামু!!৴হেইডাতো মরনের পরে।।
৴তুমি মাইয়া মানুষ তুমি এসব বুঝবা না!!যাও যাও কয়ডা ভাত দাও খাইয়া শান্তি মত ঘুমাই।
বাতেন ঘুমের ঘরে নাক ডাকছেন।বিকট শব্দ।তার নাক ডাকায় পাশে থাকা তার স্ত্রী ছেলে মেয়ে কেউ ঘুমাতে পারছেন না।বদ মেজাজি বাতেন মিয়াকে কেউ কিছু বলারও সাহস পাচ্ছেন না।তাই তারা প্রায় রাত অনেকটা বসে বসে ঝুমতে ঝুমতে রাত পার করে থাকেন।
ঘুমের ঘরে স্বপ্নে বিভোর হলেন বাতেন মিয়া।চাদে গিয়ে দেখলেন একদল লোক সেখানে ঘর তুলায় ব্যাস্ত।আরেক দল সীমানা বাধছেন।আরেক দল ঘর তুলায় ঋণ সহযোগীতা করেন সেখানকার মাতবর সেজে সুন্দর একটি চেয়ারে বসে পা দুলাচ্ছেন।এ সব দেখে বাতেন মিয়া অবাক হলেন আর মনে মনে বললেন এখানে তাকে আরো আগেই আসা উচিত তাহলে ঐ লোকটির পদটিও সে হয়তো নিতেও পারতেন।যাই হোক তার সীমানা নির্ধারন করার জন্য প্রস্ততি নিলেন।কে বা কারা যেন আগেই চাদে দেশীও বাশ এনে রেখে দিয়েছেন।আশে পাশে তাকিয়ে এসব বাশের কোন মালিক খুজে না পাওয়াতে তা তার নিজের মনে করে সীমানা গাড়া শুরু করে দিলেন।যখন সে একদিকের সীমানায় বাশ গাড়া শেষ করে অন্য সীমানায় যাবেন ঠিক সেই সময় সম্ভবত আফ্রিকান হবেন।ইয়া লম্বা ইয়া মোটা আর কুচকুচে কালো একজন লোক তার সামনে এসে হাজির।বাতেন মিয়া তাকে পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখলেন এবং প্রথমে ধরে নিয়েছিলেন সে চাদের কোন রাক্ষস টাক্ষস হবে কিন্তু যখন সে তার দবদবে সাদা ফর্সা দাত বের করে মানুষের মতই কথা বলা শুরু করলেন তখন সে বুঝতে পারল এটা মানুষ তবে জংলী আফ্রিকান।জংলী লোকটি বাতেনকে কিছু না বলে তাকে চাদের জমিদারের কাছে নিয়ে গেলেন।
চাদের জমিদার তার জমিদারীর স্টাইলে একটি রাজ সিংহাসনে বসা ছিলেন তা সভাসদদের নিয়ে।জমিদারের রাজকার্যে আফ্রিকান লোকটি বিচারপ্রার্থী হিসাবে সব নিয়ম মেনে রাজাকে বললেন৴
৴হুজুর আমার সাথে আসা লোকটি আমার পূর্ব অনুমতি ছাড়া আমার সীমানায় সীমানা গাড়ছিলেন।তাকে আমি বাধা দিলে সে বলে,এই জমি নাকি তার।এখন হুজুর আমি কী করব আপনিই বলুন?
৴ঠিক আছে ৴তোমার জমির ম্যাপ কিংবা দলিল পত্র আছে?
৴জ্বী হুজুর আছে।
আফ্রিকান লোকটি তার ব্যাক পকেট হতে দলিলগুলো বের করে রাজার কাছে পাঠালেন।রাজা দলিগুলো নেরেচেরে দেখলেন তারপর বাতেন মিয়াকে রাজা জিজ্ঞাসা করলেন৴
৴তোমার দলিলপত্রগুলো দাও?
বাতেন মিয়া চাদে এসেছেন শুধু মাত্র লুঙ্গি আর সেন্টু গেঞ্জি পড়ে।কাধে রাখা ছিলো একটি লাল নীল ডোরাকাটা গামছা।সে লুঙ্গির গিট্টুমিট্টু খুলে দলিলপত্র খুজে খুজে হয়রান।না দলিল পত্র কোন কিছুই সে রাজাকে দেখাতে পারলেন না।রাজা রেগে গিয়ে বললেন৴
৴এই কে আচিস ওর হাতপা বেধে ফেলে পাছায় বাশ দিয়ে থাক্কা দিয়া পৃথিবীতে ফেলে দেও…আর সে যে দেশ থেকে এসেছে সেই দেশ বরাবর ফেলিস নতুবা সে বৌ পুলামাইয়া খুজে পাবে না।
রাজার আদেশ ভৃত্যের শিরধার্য।বাতেনকে ভালো করে বেধে চাদের শেষ সীমানায় নিয়ে গিয়ে গোয়ায় বাশ দিয়ে ধাক্কা দিয়া পৃথিবীতে পাঠিয়ে দিলেন।
——————————————————
আসছে শেষ পর্ব তিনদিন পর।
সবগুলো চরিত্রই সমসাময়িক ঘটনা মিশ্রিত কাল্পনিক চরিত্র।বিশ্বাস করার কিছুই নেই।
ছবিঃ কালেক্টেড
২৬টি মন্তব্য
অনন্য অর্ণব
আপনি কিন্তু বাংলাদেশের অবমাননা করেছেন ভাইয়া, এই শেষ লাইনটা এডিট করা যায় না ?
মনির হোসেন মমি
অবমাননা হবে কেন কবি ? সহজ ভাবে শুধুমাত্র তার পরিচয় জন্মস্থান ভাবলেই হয়।যেহেতু লেখক বাংলাদেশী বাঙ্গালী ঘটনার রেসও বাংলাদেশে পড়েছে এবং আমরা যে বড় আহম্মক কোন বাছ বিচার করি না একটা কিছু পাইলেই হুরমুর করে পড়ি আমাদের এ স্বভাবগুলোতো আর মিথ্যে নয়।তাহলে এখানে দেশের অবমাননা কই দেখলেন কবি? তারপরও বলা আছে মনে হয় …বাংলাদেশী।তারপরও পাঠকের অভিযোগ বলে কথা-বাক্য চেঞ্জের দায়ীত্বটা আপনাকেই দিলাম।কি ভাবে কি চেঞ্জ করবো?বলেন।
ধন্যবাদ।
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ।ওকে করেছি মনে হয়।
অনন্য অর্ণব
হা হা হা দাদাভাই যে কি করেন? আমি খেয়ালই করিনি। আমি তো ফান করার জন্যে বলেছি, আপনি সিরিয়াসলি নিয়ে নিছেন😃
অবশ্য আমার বলাটা হয়নি, যদি একটা হাসির ইমোজি দিয়ে দিতাম তাহলে ইজিলি নিতেন বিষয়টা। সরি ভাইয়া।
মনির হোসেন মমি
আরে দূর! সরি কিসের আবার! আসলে আপনি বলার পর আমিও ভাবলাম এভাবে দেশের নামটা আনাটা ঠিক হয়নি।নিজেকে নিজেই অপরাধী মনে হলো হাজার হলেও রক্তস্রোতে পাওয়া স্বদেশ।এখানে সবায় বেকুব বোকা হতে পারে না তাহলে আর দেশ চলতো না।যাই হোক এখন মনে হয় ঠিক আছে আর এটাই লেখা উচিত ছিলো।
অনন্য অর্ণব
🌷🌷❤️🌷🌷
আলমগীর সরকার লিটন
মজাই লেখেছেন মমি দা
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ প্রিয় কবি।
ছাইরাছ হেলাল
কী যে দিন আইলো, বুঝছি সবই, তয় বাকিতে জমি কেনার কোন ব্যবস্থা থাকলে তাও কইয়েন!!
মনির হোসেন মমি
হাহাহা বাকীত! নগদই বলে জমি নাই নাই বাকী বলে জমি কৈ পাই।
শেষে চমক আছে।
ধন্যবাদ প্রিয়।
জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব
সুন্দর ভাবনার প্রকাশ।
মনির হোসেন মমি
এখানেই শেষ নয় সাথেই থাকুন।ধন্যবাদ।
মোঃ মজিবর রহমান
আমারে একখন্ড আঝুড়া বাঁশ দিইয়েন কোথায় যাওয়া যায় কি না দেহি। লোভ লোভ লোভ ধ্বংস্ব ধ্বংস্ব ধ্বংস্ব ।
মনির হোসেন মমি
হাহাহা একসঙ্গে যামু। ধন্যবাদ।
মোঃ মজিবর রহমান
যামু, একই লগে যামু।
বোরহানুল ইসলাম লিটন
সহজ সরল বাতেন রা এভাবেই ঠকে
আবার ছুঁড়ে ফেলে দিলে চাঁদ থেকে বাড়িতেই পড়ে।
কারণ ওদের সম্বল অর্ধঙ্গীনি স্ত্রী আর গর্বের ধন সন্তান।
আন্তরিক শুভ কামনা জানবেন সতত।
মনির হোসেন মমি
বিশ্নেষণমুলক মন্তব্যে লেখক উপকৃত হয় হউক সেটা পজিটিভ বা নেগেটিভ।
অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় কবি।
রোকসানা খন্দকার রুকু
আগেও পড়েছিলাম।। হাসির বটে তবে সত্যিও। শুভকামনা ভাই।
মনির হোসেন মমি
অসংখ্য ধন্যবাদ।
হালিমা আক্তার
গল্পটি পড়ে টলস্তয়ের ” সাড়ে তিন হাত জমি” গল্পটির কথা মনে পড়ে গেল। অতি লোভ মানুষকে সর্বশান্ত করে দেয়। চমৎকার গল্প। শুভ কামনা রইলো।
মনির হোসেন মমি
চমৎকার মন্তব্য।অসংখ্য ধন্যবাদ।গল্পটা অনেকটা এমনি হবে।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
সাধারণ মানুষ এভাবেই লোভে পড়ে সর্বস্ব হারায়। চাঁদে জমি কেনা নিয়ে অনেক কিছুই শোনা যাচ্ছে অনেক বছর আগে থেকেই। কাল্পনিক বা সত্যি যা-ই হোক ঘটনা কিন্তু কিছু ঘটছে। আগামী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। শুভ বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা
মনির হোসেন মমি
জ্বি আপু শুভেচ্ছা আপনাকেও।ধন্যবাদ।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
মজার লেখা পড়লাম। ধন্যবাদ ভাই।
মনির হোসেন মমি
অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয়।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
শুভ কামনা অফুরান ভাই।