আজ আট বছর জেলে আছেন আনিস। পাঁচ বছর আগে তার মুক্তি হয়েছিল। কিন্তু অপর এক মামলায় জড়িয়ে আবার তাকে জেলগেট থেকেই এ্যারেষ্ট করা হয়। অনেক আশা করে রিসিভ করতে এসেছিল জোর করে তার স্ত্রী হয়ে-যাওয়া সঞ্চিতা। অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকা ছাড়া যার কিছুই করার ছিলনা। হাত উঠিয়ে বিদায়ই জানিয়েছেন শুধু ওরা একে অন্যকে।
কয়েকদিন থেকে প্রিন্ট মিডিয়ায় একটি লেখা খুব আলোড়ন তুলেছে। এধরনের লেখা কোন মিডিয়াতেই প্রকাশ না করতে বলা আছে, বিশেষ করে আনিসের লেখা হাতে পেলেও প্রকাশ করার উপর অদৃশ্য এক বিধিনিষেধ রয়েছে। সেটা অবশ্য প্রকাশ্য নয়, কারন তাতে হেরে যাওয়ার একটা ব্যাপার থাকে। আর হেরে গেলে নিবির্ঘ্নে আয়েশ করায় আসবে একটা চাপের অনূভুতি, আসবে বাধা। স্বাচ্ছন্দে বাধা কে চায়?
সন্মিলিতভাবে পূরো এ-জাতি জোটবদ্ধ হয়ে সেরকম কিছু করা যায় কি-না, কীভাবে যায়, জেলখানায় বসে এসমস্তই আনিস ভাবেন সারাক্ষন। কারন তার রক্তে মিশে আছে যে রাজনীতি। বাবার উদ্বেলিত রক্তই যে বইছে তার শিরা-উপশিরায়। লিখেছেন আনিস-
”আমার বাবা ছিলেন একাত্তরের রনাঙ্গনের একজন অসম সাহসী মুক্তিযোদ্ধা। একাত্তরের জুনে পাক হানাদারদের একটি ক্যাম্প ওরা দখলে নেন, বাবা ছিলেন কমান্ডার। ক্যাম্পটি দখলে নেয়ার পর এর অভ্যন্তরে দু’তিনটি বাংকার দেখতে পান ওঁরা। এরই একটার মধ্যে এক বিবস্ত্র নারীকে দেখেন বাবা। নিজের জামা এবং গামছা এগিয়ে দেন তিনি। দু’একদিন পর তার সন্মতিতে বাবা বিয়ে করেন ওনাকে, আমার মা-কে।
আমার মা নার্সিংয়ের কিছু কাজ জানতেন, তা দিয়ে সেবা করে যেতে থাকেন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের। আর বাবা বিভিন্ন জায়গায় যুদ্ধ করে যান। পরে মা আমাকে আমার বাবার শহীদ হওয়ার গল্পটা বলেন।
ডিসেম্বরের দশ তারিখ ছিল সেদিন। পাক বাহিনীর শেষ সময় তখন। একটা একটা করে ক্যাম্প হাতছাড়া হচ্ছিল তাদের। পেছন পেছন মুক্তিযোদ্ধারা তাদের তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছিল। এরকম একটি ক্যাম্প দখলের পর তারা দেখেন পেছনে কোত্থেকে যেন আরো পাকসেনা এসে ওনাদেরকে প্রায় ঘেরাওয়ের মত করে ফেলছে। ওনারা দেখেন, সম্মুখযুদ্ধ করেই পথ বের করতে হবে। যেদিক থেকে কম বাধা আসছে, সেদিকেরই পথ পরিষ্কার করা শুরু করলেন ওনারা। প্রচন্ড যুদ্ধ শুরু হল। বাবারা পথ বের করবেনই আর পাকিরা কোনমতেই তা করতে দেবেনা। হঠাৎ বাবার কাঁধের একটু নীচে একটা গুলি লাগে। বসে পড়েন উনি, কিন্তু তা ক্ষনিকের জন্য। উঠে দাঁড়ান আবার এবং এগোতে থাকেন গোলা ছুঁড়তে ছুঁড়তে। এবার কোমরে গুলি লাগে উনার আরেকটা পেছন থেকে। পড়ে গিয়েও আবার উঠে দাঁড়ান আর তখনই লাগে বুকে আরেকটা। ঐ অবস্থাতেও বুক চিতিয়ে বাবা দৌড়ানোর চেষ্টা করতে থাকেন সামনে, আরো সামনে। সবুজ পতাকা টাঙ্গিয়ে ওড়াতে হবে যে ওনাকে।
না, আর পারেননা তিনি। কতই আর পারবেন অফুরন্ত সাহস এবং প্রানের অধিকারী আমার বাবা! ঢলে পড়েন মাটিতে। এর সাত্ মাস পর জন্ম হয় আমার। এভাবে মারা গিয়ে বাবা আমার মধ্যে আসলে বিবেক জাগ্রত করে গেছেন। আমার বাবা শিখিয়ে গেছেন সাহস কী জিনিস এবং কীভাবে করতে হয় তা ব্যবহার। নিজেকে আজ আমি চিনেছি, বুঝেছি, আর জেনেছি কী করতে হবে আমাকে।
খুব বেশী সুন্দর ছিলেন আমার মা। দুঃখের জীবন তার, তবে এ-বিষয়ে কিছুই বলেননি উনি আমাকে। তবে বেশ উচ্ছ্বল যে ছিলেন ছোটকালে, তা বুঝেছিলাম আমার সাথে তার কিছু কথাবার্তায় আর বাল্যকালের উনার লুকিয়ে-রাখা সামান্য কিছু ছবি দেখে।
বাবার মৃত্যুর পর নানাবাড়ীতে চলে যান আমার মা। সেখানেই জন্ম হয় আমার। আমার দুই মামা থাকতেন ওখানে, যারা চাইতেননা আমরা থাকি ওখানে। কেমন যেন বাকা চোখে দেখতে থাকেন মাকে সবাই, কারন আমার মা যে বীরাঙ্গনা। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে বাবার সাহসিকতার কারনে আর নানার ভয়ে কিছু বলতে পারতেননা কেউ। ইতিমধ্যে জ্বালাতন শুরু করে দিয়েছে মাকে আরেক লম্পট, হাঁ, তাকে আমি লম্পটই বলব। অন্য এক জেলা থেকে এখানে কিছুদিনের জন্য তার এক আত্মীয়র বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল লোকটা।
মামাদের সহায়তায় আমার সরল মাকে বিয়ে করে ফেলে ও, আর নিয়ে চলে যায় ওর নিজ বাড়ীতে। কয়েকবছর পর যেদিন ও মায়ের একাত্তরের করুন ঘটনাগুলো জানতে পারে, আর দেরী করেনি মাকে পরিত্যাগ করতে। ফেলে রেখে গেছে মার কোলে তার দুই সন্তান। আমার বয়স তখন মাত্র সাত।
ঐ বয়সেই শিশুশ্রমের সাথে যুক্ত হয়ে পড়ি আমি। ক্ষুধার বিষময় জ্বালা আর ভাইবোন দু’টোকে বাঁচাতে ইট ভাঙ্গার কাজ শুরু করি আমি, রেলষ্টেশনে কুলিগিরি করি, যখন যে কাজ পাই, তা-ই করি। সন্ধায় কিছু নিয়ে আসি, মা রান্না করে আমরা তিন ভাইবোনসহ চারজনে মিলে ভাগাভাগি করে খাই। দ্বিতীয় বাবার সন্তান আমার ছোট ভাইবোনদের আমি ভালই বাসতাম, ওরা যে আমারই মায়ের সন্তানও। ওরাও আমাকে পর ভাবতনা। মনেই হতনা যে আমরা দুই বাবার সন্তান।
কেন যেন পড়াশোনার উপর ছিল আমার অগাধ আকর্ষণ। বাবা ওরকম শিক্ষানুরাগী ছিলেন কী-না, মাকে একদিন জিজ্ঞাসা করি। কিছু বলতে পারেননি তিনি। বলবেনই বা কীভাবে, যুদ্ধের সময় কতটুকুই আর জানাজানি হয়েছিল ওনাদের।
আমার কষ্টে মা নীরবে চোখের পানি ফেলতেন। দেখে ফেলি একদিন কাঁদতে তাকে। না, কিছু বলতে চাননি উনি। বুঝতে পারি, শ্রমের ফলে আমার শারিরীক ক্ষতির আশংকা উনার। আমাদের পাশে থাকতেন উদয় কাকা, পেশায় মুচি। উনার সাথে কাজে লেগে যাই পরদিন থেকেই, যেটা চলে আমার এসএসসি পাশ করা পর্যন্ত।
এসএসসি পাশ করার পর আমার আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়, বুঝে ফেলি এই কষ্টের সাথে জড়িত যারা, তাদের জন্য আমাকে কিছু করতেই হবে।
একাত্তর আর একানব্বই, এই দুই অধ্যায়ের পর আমাদের ভাল হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। আমাদের সেই অধ্যায়ে প্রবেশ করার কথা ছিল, যে-অধ্যায়ে প্রবেশ করে বিশ্বের অনেক দেশ দ্রুত নিজেদের নিয়ে গেছে ঈর্ষনীয় উচ্চতায়, তাদের উন্নয়ন হয়েছে।
উন্নয়ন কী শুধু দেশের বাহ্যিক চিত্র পরিবর্তন! শুধু অবকাঠামো নির্মানেরই নাম উন্নয়ন? মানুষের মধ্যে সহনশীলতা বিরাজমানতা এবং যেকোন অন্যায়কারীর সঠিক শাস্তি নিশ্চিত করাই হচ্ছে আসল উন্নয়ন। বিশ্বে উন্নয়নের ঈর্ষনীয় উচ্চতায় পৌছানো ঐসমস্ত দেশের মতো আমরাও ঐ উচ্চতায় পৌঁছব, পৌঁছতে আমাদের হবেই। এজন্য দরকার দেশের তরুন সমাজ, কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষ এবং সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের এ-বিষয়ক অটুট ও অবিচ্ছিন্ন এক বন্ধন। হতেই হবে এটা।
আমি স্বপ্ন দেখি, একাত্তর আর একানব্বইয়ের চেয়েও বড় একটা অধ্যায় দেশে শুরু হয়ে গেছে, আর তাতে দুঃশাসনের অধ্যায়গুলি উড্ডয়মান মেঘের মতো উড়ে উড়ে চলে যেতে শুরু করেছে কোথায়, কোন নীলিমায় যেন।”
সঞ্চিতার কাছে ছিল লেখাটা। আনিসকে ছাড়ানোর ব্যাপারে সঞ্চিতার চেষ্টা অব্যহত ছিল। অতি মানবিক একজন ডাক্তার সঞ্চিতা, তাই কিছুটা সফলতাও আসছিল। কিন্তু চুড়ান্তভাবে ব্যর্থ হয়ে একদিন সকল প্রিন্ট মিডিয়ায় ফ্যাক্স করে পাঠিয়ে দেয় ও লেখাটা। কিছু মিডিয়ায় এটা ছাপা হয়ে বের হয়। কর্তৃপক্ষ নিজের দুবর্লতা প্রকাশ যাতে হয়ে না পড়ে, এজন্যই আপাতত: মুক্তি দিয়ে দিল আনিসকে।
জেলগেটে দাঁড়িয়ে আছে সঞ্চিতা। সাধারন একটা ব্যাগ এবং সুতলী দিয়ে বাঁধা কাগজের ছোটখাটো একটা গাট্টি নিয়ে ধীর পদে বেরিয়ে এলেন তিনি। করবেন কী, ঠিক নেই তার। জানেন সঞ্চিতা আসবে। কী বলবেন তাকে, ভাবছেন এসবই।
কোমল একটা হাত স্পর্শ করে একসময় তার হাত। ভেজা চোখ দু’জনেরই।
পরিস্থিতিটাকে হালকা করতেই হঠাৎ বলে ওঠেন সঞ্চিতা, সাতটা বছর ঠেকিয়ে রেখেছ আমাদের বাসর, চলো।
পেছন ফিরে দেখে নেন আনিস একবার জেলখানাটাকে, কবে যে এখানে আবার আসতে হয়!(চলবে)
১৫টি মন্তব্য
মশাই
রাজনীতি করাই কি তার জেলে যাওয়ার কারণ? এর আগের পর্বটিও পড়েছি আমি। জেলে না বাহিরেই এই দেশে শত শত আনিস আছে যারাও একাত্তর অথবা একানব্বই এর মত স্বপ্ন দেখে কিন্তু বাস্তবায়িত হয় না , স্বপ্ন পূরণ হয় না তার উপর আরো নূতন নূতন কলংকিত অধ্যায় যোগ দেয় যেমন ৫ই মে ২০১৩।
গল্প ভাল হয়েছে, মুগ্ধতা রাখলাম।
আজিম
গল্পটা চালানোর আশা রাখি। থাক্ না উহ্য প্রশ্নটার, জনাব মশাই।
আপনার মুগ্ধতায় নবীন লেখক, আমি ধন্য।
আজিম
দু:খিত, প্রশ্নটার পরে হবে ‘উত্তর’ কথাটা। অর্থাৎ প্রশ্নটার উত্তর উহ্য থাক, এটা বলতে চেয়েছি।
ওয়ালিনা চৌধুরী অভি
‘ এভাবে মারা গিয়ে বাবা আমার মধ্যে আসলে বিবেক জাগ্রত করে গেছেন। আমার বাবা শিখিয়ে গেছেন সাহস কী জিনিস এবং কীভাবে করতে হয় তা ব্যবহার। ‘ (y)
আজিম
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
ছাইরাছ হেলাল
ঠিক আছে লেখক । নবীন ! এ শব্দ মাথার উপরে দিয়ে যাচ্ছে । তবে এমন হতে পারে পাঠক
হিসাবে বেশি জুইতের না । তাই বুঝতে পারছি না । আবার লেখা পড়লে মনে হয় যা লেখার ,
আপনি যা লিখতে পারেন তা আপনি লিখছেন না । হতে পারে ভুল করেই ভুল ভাবছি ।
পুরো মন দিয়ে লেখেন নি এখানে তা কিন্তু দেখা যাচ্ছে । কোথায় এবং কী কী দেখা যাচ্ছে সে প্রশ্নের
উত্তর এড়িয়ে যাচ্ছি । (যদিও কেঊ প্রশ্ন রাখেনি)
আজিম
জনাব মর্তুজা হাসান সৈকতের কিছু লেখা থেকে জানতে পারি সোনেলা ব্লগ সম্পর্কে। তখনই দিন সাতেক আগের এই লেখাটা পোষ্ট করে দেই। দেরী করার কারন লেখাটার সাহিত্যিক মান নিয়ে আমার নিজেরই সন্দিহান হয়ে থাকা। সেটাই হলো হয়তো। এ ব্যাপারে আসলেই আপনি ‘ভুল করেই ভুল ভাবছেন’। আমি চেষ্টা করে গেছি, কিন্তু এর বেশী পারিনি।
আমার মধ্যে আপনি কোন কপটতা পাবেননা, পাবেননা কোন রহস্যময়তা। যতটুকু বলতে পারি, যতটুকু বলা আমার দ্বারা সম্ভব, ততটুকুই বলছি।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, ব্লগের কর্নধারদের একজন হয়েও আমার মতো নগন্য একজনের লেখায় এত সুন্দর মন্তব্য করলেন। আমার এক লেখায় একজন মন্তব্য করেছিলেন, পোষ্টের চেয়ে মন্তব্যই জোরালো। এক্ষেত্রেও হয়েছে তা-ই।
ছাইরাছ হেলাল
লেখার মান বা মনোবিশ্লেষণ আমার সামর্থ্যের বাইরে। আর এটি আমি করি না বা করিনি।এখানে অন্তত এমন লক্ষণ এখনও দেখা যায়নি। কর্ণধার-ফার বাদ। এখানে সামান্য ব্লগার যে লিখতে পারে না কিন্তু পড়ার চেষ্টা করে মাত্র। কপটতা বলিনি বলতে চাইও নি , হতে পারে বুঝিয়ে বলতে পারিনি।
তবে রহস্যময়তা বলেছি ,এখনও বলি । কিছু ভুল , ভুল করে হলেও আমি করতে পছন্দ করি। এমনই থাকুক না হয়। নগণ্যতার নির্ণয়ক নির্ধারন বেশ কঠিন বলেই জানি।
মন্তব্যও লেখারই অংশ ,তা ছোট বা বড় হলে মন্দ কী ?
ধন্যবাদ দিচ্ছি ।
আজিম
ঠিকই ধরেছেন জনাব ছাইরাছ হেলাল আপনি। এমনই থাকুক। দু’টি জীবন বাঁচবে তাতে।
পাঠকের মন নিয়ে আমি রহস্যময়তা করিনা, জানবেন।
এটা রহস্যময়তা-ও নয়। এটা নিজেকে আপাতত: আড়াল করার প্রয়াস।
বেঁচে থাকলে দেখা হবে আগামীতে এটা বলতে পারি। কারন প্রতিটা মানুষেরই দেশের প্রতি ঋণ রয়েছে। সেই ঋণের দায়বদ্ধতায়-ই দেখা হবে আবার ইনশাল্লাহ্।
জিসান শা ইকরাম
লেখাটি পড়ে কাহিনীর মাঝে নিজে চলে গিয়েছিলাম
৭১ এর যুদ্ধ দেখেছি , তাই একজন মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর ঘটনা যে চাক্ষুষ করলাম।
সব কিছু মিলিয়ে লেখা পড়ে কিছুটা বিষণ্ণ হলো মন ।
আজিম
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জিসান ভাই কাহিনীর মাঝে চলে যাওয়ার জন্য। সবার দ্বারা তো এটা হয়না।
খসড়া
কষ্টের দিনলিপি। চমতকার।
আজিম
চমতকার, মন্তব্যটাও।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকেও।
ব্লগার সজীব
আনিসদের বার বার ফিরে যেতে হবে জেলখানায় । (y) প্রথম পর্বের লিংকটি দিয়ে দিবেন নাকি এই পোষ্টে ?
আজিম
আমি লিংক দিতে পারিনা জনাব সজীব, দুঃখিত। মনে কিছু নিবেননা।
পড়েছেন এবং কিছু বলে আমাকে ধন্য করলেন, এজন্য ধন্যবাদ।