দুপুর কে ডেকে বললাম
‘চলো, আকাশ দেখি,
এই দুপুর সন্ধ্যা, সকালের দুপুর, রাতের আকাশ বা বিকেল রংয়ের আকাশ’।
দুপুর বলে, ‘আকাশকে দেখার কী আছে? তার থেকে চলো অন্য কিছু দেখি। সস্তা স্মৃতির বিষণ্ণতা দেখেছি ঢেঁড়, জেনেছি এর ওর ভীষণ অচেনা একাকীত্বের প্লাবন। একাত্ম হইনি হবও না, এই এর ওর সাথে।
দেখলাম ছোট্ট সাঁকোর নীচে তীরতীর করছে একগুচ্ছ জল, সে কী এক আলো ছড়াচ্ছে ছলছলিয়ে, উষ্ণ শরীর বিছিয়ে। জলের আয়নায় মুখ ফেলে রাখি বন্ধ চোখে তাকিয়ে থেকে। সময়ের বিশাল অরণ্যে কে যে কোথায় লুকিয়ে যায় কে জানে! গভীর নির্জনতায় বিকেলসন্ধ্যার চোরাবালিতে। আমাকে ছোঁবে আমাকে নেবে না ঐ ঝর্ণার জলে তাও হয়? হয় না’।
অবশেষ জানা গেল, আমরা একাত্ম নই কোন কিছুর সাথে, ছিলাম ও না। পাখি শিকারের চোখ নিয়ে যতই খুঁজি না কেন।
৩৬টি মন্তব্য
ইমন
” দুপুর সন্ধ্যা, সকাল দুপুর।, বিকেল রং এর আকাশ “। প্রথম লাইনটা বুঝতে না জানি পাঠকের চুল পরে যায় 😛
ছাইরাছ হেলাল
কিছু কিছু স্কিপ করে যেতে হয়, চুলরক্ষা প্রকল্পের আওতায়।
লেখা দিচ্ছেন না অনেকদিন।
ইমন
অসুস্থ 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আহা, তাই নাকি?
আপনার মুক্তি কামনা করছি।
ঈদ মুবারক।
অরুনি মায়া
কত কিছু দেখে গেল এই দু’নয়ন
কখনো চোখ মেলে কখনোবা চোখ বন্ধ করে
তবু জানা হলনা আকাশ কেন নীল অশ্রু ঝরায়
ভোরের আলোয় উত্তাপ কেন কম রয়
কেন জলের ছায়ায় মুখচ্ছবি কালের গহবরে বিলীন হয়ে যায়
দেখে দেখেও যেন দেখার অলক্ষে সব কিছু লুকিয়ে রয়,,,,,,,
ছাইরাছ হেলাল
কত কিছুই মনে রাখে এ দু’চোখ
আয়নায় বেঁধে ফেলে ডাক্তারের ট্যারা চোখ,
দেখেও না দেখার ভান করে রোগীর শীতল নোখ।
লুকিয়ে কাঁদে যন্ত্রণার ভান ধরে
আকুল অপেক্ষা ডাক্তারের পরে।
অরুনি মায়া
উফফ ভাইয়া কেন ডাক্তার আর রোগীর কথায় গেলেন মেতে
ভাল লাগেনা হসপিটালের গন্ধ কবিতার সাথে,,,,,
ছাইরাছ হেলাল
হাসপাতাল
সে তো
রোমিওর আবাস স্থল,
তবুও
গন্ধ বাসা বাঁধে আকুল হৃদয়ে।
অরুনি মায়া
সেই রোমিও পায়নি কভু মায়ার মনে ঠাই
আসল রোমিওর খোঁজে মায়া নিরবে কেঁদে যায়,,, ;(
ছাইরাছ হেলাল
রোমিও আসে রোমিও যায়
হঠাৎ জুলিয়েট রোমিওর দেখা পায়।
অরুনি মায়া
রুপকথার গল্পরা শুধু রুপকথায় ই বেঁচে রয়
সত্যিকারের রোমিও খুঁজে পাওয়া এত সহজ কথা নয়
চালাক কবি কেন বারে বারে করে পুরনো বাক্য ব্যয়
:p
ছাইরাছ হেলাল
আকালের দেশে জুলিয়েট।
অরুনি মায়া
প্রেমের ইতিহাস আর গড়া হলনা জুলিয়েটের (-3
নুসরাত মৌরিন
“আমরা একাত্ম নই কোন কিছুর সাথে, ছিলাম ও না। পাখি শিকারের চোখ নিয়ে যতই খুঁজি না কেন।”
খুব বড় একটা সত্যি। মাথায় ঢুকে গেল কথাটা।
ভাল লাগলো অনেক…।
ছাইরাছ হেলাল
কি বলব!!
যে কোন কিছুর সাথে সত্যি সম্পৃক্ত হওয়া আসলেই কঠিন।
ধন্যবাদ
মেহেরী তাজ
এতো দিন পরে এসে জানা গেলো একাত্মা নয়??এটা কিছু হইলো?? 🙁
ছাইরাছ হেলাল
এতো দিন পর আরও অনেক কিছু জানতে পারবেন।
এইটা হতেই পারে না।
মেহেরী তাজ
থাক আস্তে আস্তেই জানা জানি হোক।
ছাইরাছ হেলাল
ধীরে ধীরে হোক।
লীলাবতী
আপনি ভালো পাখি শিকারি নন বুঝতে পেরেছি।আপনার নিশানা ব্যার্থ হবে এটি ভাবতে পারিনা। অসাধ্য বলে কিছুই নেই।
গুড লাক 🙂
কিভাবে এত আবেগ দিয়ে লেখেন ভাইয়া?
ছাইরাছ হেলাল
আজকের দিনে পাখিরা খুবই চালাক, এরা শিকার হয় না, শিকার করে।
দেখ শতবার সিস্টেমে আসতে হবে।
ধুর, সব ভুয়া আবেগ।
জিসান শা ইকরাম
আমারো একটা জলের আয়না দরকার
আজ সেভ করতে গিয়ে গাল কেটে ফেলেছি অস্বচ্ছ কৃত্রিম আয়নায়।
ভালো লেখেন আপনি সব সময়।
ছাইরাছ হেলাল
আয়নায় অনেক সুবিধা, তবে আয়নার মুখোমুখি দাঁড়ানো সহজ কাজ নয়।
লিখি এটা ঠিক, ভালো কিনা তা জানি না।
নীলাঞ্জনা নীলা
“একাত্ম হইনি হবও না, এই এর ওর সাথে।” একেবারে আমার মনের কথা। সবার সাথে কি একাত্ম হওয়া যায়? পারে কেউ? তবে দুপুরের ওই কথাটি ভালো লাগেনি, আকাশকে দেখার কি নেই? আমার ঝুল-বারান্দায় দাঁড়িয়ে সন্ধ্যের আকাশ দেখি, ভোরও দেখি। কতো রঙ! আমায় সমুদ্র কোনোদিন টানেনা, ডাকে দূরের ওই সবুজ অরণ্য “দূরে কোথায় দূরে দূরে…” আর খোলা ওই নীল আকাশ—-
“আকাশভরা সূর্য-তারা, বিশ্বভরা প্রাণ,
তাহারি মাঝখানে আমি পেয়েছি মোর স্থান
বিস্ময়ে তাই জাগে আমার গান।”
আপনার জলের আয়নায় মুখ দেখবো না। নিস্তরঙ্গ জল নয় মোটেই। -:-
তা আজ হলোটা কি? এমন লেখা…কেমন যেনো! ;?
ছাইরাছ হেলাল
আমিও তাই বলি, সবার সাথে একাত্ম হওয়া যায় না, ঠিক ও না।
দরকারটি কী এত একাত্মতার!!
জলে তরঙ্গ না থাকলে জলকে মানাবেই না। আপনি জলের আয়নায় মুখ না দেখলেও আয়না ঠকি দেখে নেবে।
সব লেখা তো এক রকম হয় না, সম্ভব ও না, তা জেনেই লিখি।
নীলাঞ্জনা নীলা
জলের বুকে জল, নিঃস্তব্ধ কোলাহল
চোখের ভেতর জল, নাকি সমুদ্র!
মেলেনা, মেশেনা অন্ধকারের ভীড়ে
কাঁচপোকাদের ভালোবাসার ঘরে
ওই আয়নায় কার মুখ দেখি হে রুদ্র!
নীরবে পান করছে হলাহল।।
আজকাল লিখতে পারিনা। তাই যা মনে আসে লিখে ফেলি। আর লেখা তো আপনার অনেক ভালো হয়, এটাও ভালো লেগেছে। আর শুনুন কবি ভাই একই মায়ের সব সন্তান কি একই চরিত্রের হয়! -{@
ছাইরাছ হেলাল
নীরবের পান তা হলাহল না অমৃত তা কেউ খোঁজ রাখে না।
আয়নামুখি মুখ সে আর হয় না দেখা।
আপনি ই লিখতে পারেন না!! আমরা তো তাহলে নাই ই।
ভেদ অভেদ নিয়েই লেখা।
নীলাঞ্জনা নীলা
তাও ঠিক। আমরা নীরবে যে কে কি পান করি, কেউ জানেনা।
এমনকি আমরা নিজেরও বুঝিনা।
অনেক বছর আগে লিখেছিলাম ডায়েরীটা নেই আর। কিন্তু কথাটা ঠিকই মনে আছে।আয়নায় মুখ সে-ই দেখে যাকে দেখার জন্যে কোনো চোখ থাকেনা।
লিখতে যদি পারতাম, তাহলে তো দেখতেই পারতেন, লিখে তো এখানেই দেই। নয় কি?
ছাইরাছ হেলাল
আমরা জেনে না জেনেই পান করি, বুঝে বা না বুঝেই।
এটাই হয়, সবার জন্য হয়ত নয়।
আপনি যখন বলছেন লিখলে সব এখানে দেন, ঠিক আছে।
তবে সব কিনা আমাদের তা জানার উপায় নেই।
লেখা দিতে শুরু করুণ।
নীলাঞ্জনা নীলা
সব কি জানা যায় কারো? আমি কি জানি আপনাকে?
কিনা অজানা থাকা ভালো, আপনাকে পুরোপুরি জানলে যেমন সমস্যা, তেমনি আমাকেও। তাই না?
নিন শুনুন।
https://www.youtube.com/watch?v=GAP1oMX02xk
শুন্য শুন্যালয়
ভাউ ভাব ধরে যতই বলি না কেন, আপনি কেমন অচেনা হয়ে যাচ্ছেন, লেখা বুঝেও যেন কেন আবার তাল হারিয়ে ফেলি 🙁 নাহ ধুর, কষ্টের লেখা ভাল্লাগেনা। কষ্ট আবার কি? ও কিছুনা।
ছাইরাছ হেলাল
আসলে চেনারাই কিন্তু অচেনা হয়, এটাই হয়ত লিখিত নিয়ম, আবার অচেনা আসবে চেনা হতে।
আর এটি কোন কষ্টের লেখা না। এখানে মেয়েটি তার উপলব্ধি বর্ণনা করছে। অন্য কিছু না।
আমিই হয়ত বুঝিয়ে লিখতে পারিনি। এ এমন কিছু না। এটা হয়।
শুন্য শুন্যালয়
জলের আয়নায় মুখ ফেলে রাখি বন্ধ চোখে তাকিয়ে থেকে। এই লাইনটা চমৎকার হয়েছে।
একটা জিনিস মনে পড়ে গেলো, রোদে শুয়ে থাকলে চোখ বন্ধ করার পর পিউপিল টা কালো স্পট হয়ে কেমন ঘুরতে থাকে। বন্ধ চোখেও দেখা যায়। আপনার লেখা বুঝবো না ভাউ, তা হয়? কম কম ভালো লিখুন।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি আমার লেখা বুঝবেন না তা বলার ধৃষ্টতা দেখাতে পারবোনা।
ভালো লেখা লিখতেই পারলাম না,ক্ম আর বেশি।
ব্লগার সজীব
আমার মাথায় গোবর ব্যাতিত কিছু নেই,কিছুই বুঝতে পারিনা।জলের মাঝে কিছু গোবর থাকলে বুঝতাম মনে হয় 🙂
ছাইরাছ হেলাল
গোবর খুব মুল্যবান বস্তু, এটি ছাড়া অন্রক কাজ ই অসম্পূর্ণ থকে যায়।
অতএব আপনি ভাগ্যবান।