
প্রত্যেক সম্পর্কের শুরুতেই অনুভূতিগুলো থাকে একদম অন্যরকম। ভালো লাগা, ভালোবাসা সব এমনভাবে জঁড়ায় থাকে মনে হয়, এ যেন সুখের সাগরে ভাসা যায় একসাথে। মনে হয় এ যেন বিনিসুতার মালা একটা সুতার সাথে আরেকটা সুতা লাগানো। আবার অনেকসময় একে মনে হয় এটা অনেকটা গীটারের মত, যখন গীটারের তারে বাঁজাবেন তখন সুর বাঁজবে, ছন্দ হবে, গান ও থাকবে। প্রেমের প্রথমদিকের খুনশুটি ভালোবাসাগুলো অনেকসময় রিমিক্স মিউজিক ও বলা যায়, যেখানে চিন্তা ভাবনা ছাড়া আজাইরা হিপ হপ করে বাঁজতে থাকে,এলোমেলোভাবে বাঁজলেও মনে হয় সুর আছেতো। তাই সম্পর্কের প্রথমদিকে যেভাবেই হোক সারাজীবন একজন আরেকজনের হাত ধরে থাকতে চায়, আর দুজনকে আবিস্কারের নেশায়, উন্মাদনায় মেতে থাকে। তখন সবকিছুই তাদের কাছে রঙ্গীন মনে হয়। মনে হয় আমি আছি, থাকব তোমার পাশে সবসময়। মনে হয় সুর, ছন্দ, তাল, লয় মিলেই রচিত হয় একটি বাক্য”ভালোবাসা”❤️❤️❤️
ঠিক এরকম একটা সম্পর্ক যেখানে সুর, তাল ছন্দ লয় মিলিয়েই শুরু হয়েছিল তাদের ভালোবাসা। আনন্দ,ভালোবাসা,হাসি, খুনশুটি আর জানার আগ্রহ থেকে শুরু হয়েছিল ছায়া আর সঙ্গীর যত্নে গড়া সম্পর্ক। রাগ, অভিমান, ভালোলাগা, ভালোবাসা, অভিযোগ আর খুনশুটি দিয়ে ভালোই চলছিল ছায়া আর সঙ্গীর সম্পর্ক। দুজন দুজনকে তারা প্রতিশ্রুতি ও দেয় একজন আরেকজনের ছায়াসঙ্গী হয়ে থাকবে বাকিটা পথ। তারা তাই তাদের সম্পর্কের নাম ও দিয়েছিল “ছায়াসঙ্গী”। যেন ছায়ার মত দুজন দুজনকে অনুসরন করে বাকিটা পথ একসাথে থাকতে পারে।
কিন্তু যত দুজন দুজনকে বেশি আবিস্কার করছিল তত বেশি সম্পর্কের ধরন চেঞ্জ হচ্ছিল। প্রথম দিকে আর পরের দিকে সম্পর্কের পরিবর্তন ছিল অন্যরকম,,,,,,,,,,,, এভাবে চলছিল,,,,,,তাদের যোগাযোগ,,,,,,,,,,,,,,
প্রথম দিন####
ছায়াঃ কি করো?
সঙ্গীঃ কিছু না
ছায়াঃ কথা বলতে ইচ্ছে করছে!
সঙ্গীঃ সময় নাই, ব্যস্ত আছি।
ছায়াঃ ও আচ্ছা ঠিকআছে, ভালো থেক, নিজের যত্ন নিও।
সঙ্গীঃ ওকে বাই।।।।
ছায়াঃ হ্যালো,শোন!!!😭😭😭
দ্বিতীয় দিন####
ছায়াঃ হ্যালো!
সঙ্গীঃ হুম
ছায়াঃ কোথায় জানু?
সঙ্গীঃ বাসায়
ছায়াঃ বের হবা না?
সঙ্গীঃ না
ছায়াঃ কাল কথা হয় নি, তাই ভাবলাম আজ যদি বের হতে!!!
সঙ্গীঃ ওকে বাই।
ছায়াঃ আচ্ছা ভালো থাক,খুব ভালোবাসি
পরদিনঃ
ছায়াঃ কেমন আছো?
সঙ্গীঃ ভালো।
ছায়াঃ জানু জানো,তোমাকে খুব মিস করছি
সঙ্গীঃ হুম।
ছায়াঃ হুম কি! শোন না তোমাকে আজ খুব দেখতে ইচ্ছে করছে!
সঙ্গীঃ ওহ! জরুরী কিছু হলে বল, আমার কাজ আছে।
ছায়াঃ সবসময় কেন এমন করো???
সঙ্গীঃ সবসময় এই ঘ্যানঘ্যান আমার আর ভালো লাগে না।
ছায়াঃ আমি ঘ্যানঘ্যান করি?
সঙ্গীঃ হুম, রাখলাম বাসা যাবো বাই।
ছায়াঃ শোন জানু, হ্যালো,হ্যালো!!!!!!
পরদিন####
ছায়াঃ জানু কি করো?
সঙ্গীঃ কিছু না।
ছায়াঃ খাইছো?
সঙ্গীঃ না, বাসায় যেয়ে খাবো।
ছায়াঃ কতদিন তোমায় দেখি না, একবার ভিডিও কল দেবে প্লিজ!!!!
সঙ্গীঃ না আমি বাজারে, সম্ভব না আজ
ছায়াঃ না, সবসময় তুমি এমন করো? আমার একটা কথাও তুমি শোন না দাও ভিডিও কল, আমার আর এইসব ভালো লাগে না
সঙ্গীঃ আচ্ছা দাও তবে কথা বলতে পারব না দেখেই কেটে দাও ফোন। এত শখ তোমার!
ছায়াঃ ওকে, ধন্যবাদ জানু
সঙ্গীঃ ওকে এখন শখ মিটছে রাখলাম বাই।
ছায়াঃ দীর্ঘশ্বাস! বাই
পরদিন####
ছায়াঃ জানু পরশুতো ঈদ তোমার পাঞ্জাবি পরা একটা পিক দিবা??
সঙ্গীঃ দেখি চেষ্টা করব।
ছায়াঃ জানু, সারাদিনতো তুমি বিজি থাকবা, সময় করে একটা কল দিও প্লিজ।
সঙ্গীঃ আচ্ছা বাই ।
ছায়া ঃ লাভ ইউ বাই।
পরদিন####
ছায়াঃ কি করো?
সঙ্গীঃ বসে আছি
ছায়াঃ চলো দেখা করি!!
সঙ্গীঃ দেখি সময় বের করি আগে।
ছায়াঃ না অতকিছু জানি না প্লিজ দেখা করো।
সঙ্গীঃ দূর! দেখি সবসময় তোমার মত আমি ২৪ ঘন্টা তোমাকে নিয়ে ভাবতে পারব না। আমি অনেক ব্যস্ত থাকি৷
ছায়াঃ আমিতো তোমাকে ২৪ ঘন্টা ভালোবাসতে বলিনি।।।
সঙ্গীঃ জরুরী কিছু থাকলে বলো।
ছায়া ঃ কিছু না
সঙ্গীঃ রাখলাম, বাই
ছায়াঃ হ্যালো,হ্যালো।।।।
পরদিন####
ছায়াঃ কেমন আছো?
সঙ্গীঃ ভালো।
ছায়াঃ তোমার কখনো ইচ্ছে করে না আমি কেমন আছি জানতে?
সঙ্গীঃ জানি ভালো আছো তাই। সবসময় ঝগড়া করো,তোমার আচরন আমার একদম ভালো লাগে না।
ছায়াঃ কি!!!!আমিতো যতযাই করি শুধু তোমার সাথে একটু কথা বলতে আরতো কিছু চাইনি।
সঙ্গীঃ আমি আসলেই পারছি না তোমার কোনকিছুই আর ভালো লাগে না, রাখো বাই।
পরদিন#####
ছায়াঃ চলো না জানু, আমরা আবার আগের মত হই!!! আমার সব দোষ আমি ঠিক করে নিব,তোমার যা যা অপছন্দ সব চেঞ্জ করব, আর জিদ করব না, তবুও চলো প্লিজ আবার আগের মত হই।
সঙ্গীঃ তুমি পারবে না, আর তুমিতো আমাকে বিশ্বাস করো না।
ছায়াঃ পারব আমি দেখ চেষ্টা করে, আর আমি তোমাকে বিশ্বাস করি,, তুমি কথা বলতে চাও না তাই এমন করি,
সঙ্গীঃ আচ্ছা এখন থেকে চেষ্টা করব, ভালো থাকো বাই
ছায়াঃ ধন্যবাদ সোনা লাভ ইউ বাই।
পরদিন####
ছায়াঃ আমার কাঁচের চুড়ি খুব পছন্দ কিনে দেবে?
সঙ্গীঃ ঠিকআছে।
ছায়াঃ আমি সারাজীবন তোমার পাশে থাকতে চাই।
সঙ্গীঃ তুমি এত বেহায়া কেন?এত বকা দেই, অপমান করি, তোমার কি কোন পারসোনালিটি নাই?
ছায়াঃ ভালোবাসি খুব বেশি তাই তোমার সবকিছু আমি মেনে নেই।
সঙ্গীঃ হুম ভালো, রাখলাম।
পরদিন####
ছায়াঃ কি করো?
সঙ্গীঃ মাইগ্রেইন, কথা হবে না
ছায়াঃ আচ্ছা ঔষুধ খেয়ে ঘুমায় যাও, নিজের যত্ন নিও।
পরদিন#####
ছায়াঃ কেমন আছো?
সঙ্গীঃ ভালো
ছায়াঃ জানু আমি খুব অসুস্থ, তোমাকে খুব,,,,,
সঙ্গীঃ অসুস্থ হলে এত কথা বলার ইচ্ছা কেন?
ছায়াঃ আমার অসুস্থ হলে বেশি তোমার কথা মনে হয়।
সঙ্গীঃ আচ্ছা বাই।।।।
পরদিন#####
ছায়াঃ আজ তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছিল।
সঙ্গীঃ ও
ছায়াঃ জানু একটু ভালো করে কথা বল না কেন?আমার খুব কষ্ট হয়।
সঙ্গীঃ এত টাইম আমার নেই।
ছায়াঃ মন খারাপ করে ফোন কেটে দেয়।
এভাবে ছায়া বেশকিছুদিন আর সঙ্গীকে ফোন দেয় না নিজেই অনেক কষ্ট পায়, অভিমান করে থাকে। অপরদিকে সঙ্গী ও কোন যোগাযোগ করে না। তারপর কিছুদিনপর ছায়া আর থাকতে না পেরে সঙ্গীকে আবার নক দেয়, তারপর আবার শুরু হয় তাদের অগোছালো সম্পর্ক। ছায়া তার ভিতর সব দীর্ঘশ্বাস নিজে দমন করেও হাসিমুখে সব মেনে নিয়ে ভালোবেসে যায় সঙ্গীকে। ছায়া জানে বোঝে তবুও এভাবেই সঙ্গীকে আঁকড়ে থাকতে চায় এভাবেই সম্পর্কটাকে ধরে রাখতে চায়। ধীরে ধীরে সম্পর্কে অনেক ঘুন ধরে, চির ধরে আবার সচল হয় তবুও যোগাযোগ চলতে থাকে তাদের সেটা ছায়ার জন্যই কিনা তা কেবল ছায়াই ভালো বলতে পারবে। সম্পর্ক স্বাভাবিক কিনা কে জানে? তবে কথা হয় প্রতিনিয়ত। তবে এই সম্পর্কে থাকে না কোন পাওয়া, থাকে না কোন ইচ্ছের প্রকাশ, হয় না অনেক ভালোলাগার কথা বলা বা শোনা আবার হয় না নিজের সব ইচ্ছে অনুযায়ী ভালোবাসার মানুষকটাকে ধরে রাখা। শুধু গ্লানি, অপমান, আর মাঝে মাঝে যত্ন নিও, ভালো থাকো এই কথাটুকুতেই আনন্দে নিজের সুখ খুঁজে নেয়া ছাড়া আর কিছু পাওয়া যায় না এই সম্পর্কে। তবুও ছায়া ভালোবাসে কিছু না পেয়েই বেসে যেতে চায়, পাশে থাকতে চায় সারাজীবন। ছায়া সবসময় নিজের দোষগুলো চেঞ্জ করার চেষ্টা করে শুধু সঙ্গীকে ভালো রাখার জন্য। নিজের সবকিছু বিসর্জন দিয়ে সবসময় আশা করে সঙ্গীর একটু ভালোবাসা। যেদিন সঙ্গী একটু ভালো করে কথা বলে সেদিন ছায়ার মত খুশি আর কেউ হয় না হয়ত, আনন্দে সে চিৎকার করে। তবে ছায়া আদৌ কিভাবে সুখ, বা ভালোবাসা খুঁজে পায় তা ছায়াই বলতে পারে।।।।
এভাবে চলে আসে দেশের করোনার আরেক ঢেউ লকডাউন,,,,,,,,,
লকডাউনের আগের দিন####
ছায়াঃ জান কাল থেকে তো আর কথা হবে না, তোমার সাথে তো কথা হবে না, ভালো থেক,সাবধানে থেক, আমায় কিন্তু ভুল না।ভালোবআসি খুব বেশি।
সঙ্গীঃ হুম ঠিকআছে।।।।
ছায়া প্রতিনিয়ত আশা করে সঙ্গী তাকে বলবে তুমিও ভালো থাকো,নিজের যত্ন নিও এই সেই আরও কত কি!!!! কিন্তু সেইসব আর শোনা হয় না সঙ্গীর মুখ থেকে, এভাবেই অব্যক্ত কষ্ট নিয়েই ভালোবেসে যায়।
কোন মানুষই পুরোপুরি অন্যের মত হয় না, ছায়াও তাই, সে তার সঙ্গীর মনমত হওয়ার চেষ্টা করে তার নিজের ভালোলাগাগুলোকে বাদ দিয়ে দেয় শুধুমাত্র সেই মানুষটার কাছে ভালো হওয়ার জন্য। কিন্তু আসলে অন্যের জন্য নিজেকে পুরোপুরি পরিবর্তন করা চাইলেও যায় না। ছায়া তার সঙ্গীর সব দোষগুলো নিয়েই সম্পূর্ন মানুষটাকে ভালোবেসে যায়। অপরদিকে সঙ্গীর ক্ষেত্রে তার বিপরীত। সঙ্গীর কাছে তালিকার খাতায় ছায়ার শুধু দোষের লিস্ট গাদায় গাদায় ভরপুর।
লকডাউনের প্রথম দিন####
ছায়া আর সঙ্গীর আগের মত এস এম এস এ কথা হয়।
লকডাউনের দ্বিতীয়, তৃয়, চতুর্থ, পঞ্চম, দিন পর্যন্ত এস এম এসেই একইভাবে কথা হয় তাদের। ষস্ঠ দিন আর কোন এস এম এস আসে না সঙ্গীর কাছে। সঙ্গী ভাবে হয়ত ব্যস্ত কিন্তু এভাবে আরও ৫/৬ দিন কোন এস এম এস আসে না সঙ্গীর কাছে। সঙ্গী ভাবে ছায়া মাঝে মাঝেই অভিমান নিয়েই কিছুদিনের জন্য উধাও হয় তারপর আবার নিজেই এসে ভালোবাসি খুব বেশি বলে হাজির হয়। এবার ও হয়ত তাই,,,,,,
এভাবে প্রায় ১৫ দিন ছায়ার কোন এস এম এস পায় না সঙ্গী,তাই সে খানিক টেনশন নিয়েই হাই লিখে এস এম এস করে, কিন্তু সেই এস এম এস আর সিন ও হয় না। এরকম অনেক হয়েছে সঙ্গী ইচ্ছে করেও ছায়ার এস এম এস সিন করেনি বা দেখেও কোন উত্তর দেয় নি অনেকসময়। কিন্তু ছায়ার ক্ষেত্রে কখনো এমন হয়নি। আজ দুই দিন হল ছায়া তার এস এম এস সিন করেনি?এও সম্ভব???তা আগে ভাবেনি সঙ্গী। ছায়ার এস এম এস এ কত বিরক্ত হত আগে।।।।
আজ সঙ্গী ছায়ার সাথে কাটানো সময়গুলো নিয়ে চিন্তা করে, ভাবে সেইসব দিনগুলোর কথা যখন ছায়া তাকে বার বার বলত,তুমি আমায় এমন অবহেলা করছো,একটা সময় আসবে, তুমি আমাকে ডাকবে,আমি আর ফিরব না, আমাকে এস এম এস করবে সিন হবে না, ভালোবাসি বলবে শুনবো না এর একটাই কারন হবে তখন আর পৃথিবীতে থাকব না আমি তাই চাইলেও আর কল দিতে পারব না। ইচ্ছে থাকলেও উপায় থাকবে না । মৃত্যু ছাড়া কেউ আলাদা করতে পারবে না আমাকে তোমার কাছ থেকে,সে তুমি যতই অবহেলা করো❤️❤️❤️তখন শুধু সেইসব শুনে সঙ্গী একটা হাসি দিত। সেই হাসির আঁড়ালে কি লুকিয়ে থাকত তা সঙ্গী ছাড়া কেউ জানত না। এভাবে অনেক স্মৃতির পাতায় পাতায় সঙ্গী খুঁজতে থাকে ছায়াকে,অপেক্ষায় থাকে কখন আবার ছায়া দুম করে এসে বলবে,জানু অভিমান করে আবার চলে গিয়েছিলাম, দেখি তুমি আমায় খোঁজো কিনা? এবার অবশ্য সঙ্গী ভাবে ছায়া এবার আসলে সঙ্গী বলবে,,,,আমি আর তোমায় কষ্ট দেব না, তোমার সবকথা শুনবো, আর এভাবে যেও না, আমারও কষ্ট হয়, প্রকাশ করতে পারি না আমি এমনি😭😭😭এভাবেই এই প্রত্যাশায় ছায়ার আশায় থাকে সঙ্গী।।।।।
১৬ তম দিন চলে যাওয়ার পর সঙ্গী বুঝতে পারল, ছায়ার কাছ থেকে আর কখনো সে আগের মত ঘ্যানঘ্যানানি শুনতে পারবে না, আর তার ভালোবাসার অত্যাচারে বিরক্ত হবে না, আর কারো জন্য অবচেতনভাবে অপেক্ষা করলেও প্রকাশ করতে পারবে না, আর কোনভাবেই “ছায়াসঙ্গী” সম্পর্কটার বাঁধনে থাকতে পারবে না চাইলেও ।।।।।।। ছায়াসঙ্গী আজ সব ধরাছোয়ার বাইরে। বুকের ভিতরের জমানো কথাগুলো আর বলা হলো না তার ছায়াকে, আর বলা হলো না, পাগলী!!!” ভালোবাসিতো”””””আছিতো আমি!!!!
কিন্তু তুমিতো আজ নেই,,, কে এখন আমার সাথে চিল্লাচিল্লি করবে? কে অভিযোগ করবে? কে আমার অভ্যাসগুলো চেঞ্জ করাবে?কে এভাবে বিরক্ত করবে?????
বাইরে প্রচন্ড বৃষ্টিতে নিজের ভিতর ভিতর চুরমার হয়ে যাচ্ছে সঙ্গী, নিজেকেই অনেক প্রশ্ন করছে?উত্তর নেই ধীর,স্থির সবকিছু,সে আছে কিন্তু সময়টা আর নেই, বেঁধে রাখতে পারল না সময়কে😭😭😭😭ধরে রাখতে পারল না ছায়াকে, যাকে বলা হলো না অনেক না বলা কথা।।।।
এ যেন এক অজানা নতুন ছায়াসঙ্গীর রাজ্য, যেখানে সঙ্গী একা, নিঃসঙ্গ,ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত।
জীবন চলছে জীবনের গতিতে তবে যোগ হয়েছে নতুন শব্দ “আফসোস”😭😭😭😭
বিঃ দ্রঃ আসুন আমরা সময় থাকতে আরেকজনের ভালোবাসা বুঝি, সত্যিকারের ভালোবাসাকে ধরে রাখার চেষ্টা করি, ভালোবাসি সেই মানুষটাকে কেননা সময় আজ আছে কাল নাও থাকতে পারে। তাই যতটুকু সময় পাই থাকি না প্রিয়জনের পাশে ছায়াসঙ্গী হিসাবে! সময় গেলে সাধন হবে না,,,, চলুন ভালোবাসি আপন মানুষটাকে। সবার জন্য শুভকামনা, শুভরাত্রী।।।।
১৩টি মন্তব্য
রোকসানা খন্দকার রুকু
হুম, মুনমুন মূখার্জীর কবিতা মনে পড়ে গেলো। যে মানুষটা মধ্যরাতের ফোনে বিরক্ত হবে না, প্রচন্ড জ্বরের ঘোরে কপালে চুমু দিয়ে বলবে পাশে আছি, ভালোবাসি সেটাই প্রেম।
বাস্ততার যে দোহাই সেটা অজুহাত কারন প্রেম ২৪ ঘন্টারই হয়। শত ব্যস্ততায়, কষ্টে, ব্যথায়, যন্ত্রনায় কিংবা সুখেও মানুষটার পাশে অনুভূতি হয়ে থাকা যায়। আর এটা যে করে না সে ভালোবাসে না।
তবুও মন না বুঝেই এমন মানুষকে চায়, বেহায়া হয় বারবার। তবে একটা সময় তারা বুঝতে পারে তখন থাকে শুধু দীর্ঘশ্বাস ও খুঁজে ফেরা।
নিয়মিত কলম চালাও। শুভ কামনা ও ভালোবাসা অনেক।।।
রেজওয়ানা কবির
ধন্যবাদ আপু তোমার প্রথম এবং এত সুন্দরভাবে গল্প খুঁটিয়ে মন্তব্য করার জন্য। সত্যিকারের ভালোবাসা এমনই হয় তাই যখন ছেড়ে চলে যায় তখন অপরপক্ষের মানুষটি বুঝতে পারে কিন্তু সেই সময়ের ব্যাবধানে ঘটে যায় অনেক ঘটনা। কষ্ট জেনেও অবুঝ মন এভাবেই বেহায়ার মত ভালোবাসে। ভালো থেক, শুভকামনা আপু।
ছাইরাছ হেলাল
লেখায় প্রেমিকার দীর্ঘ এক পাক্ষিক ভালোবাসা দেখা যাচ্ছে।
প্রকৃত প্রস্তাবে যদিও ভালোবাসা বলে কিচ্ছু নেই, তবুও অনুভুতি গুলো পড়তে মন্দ লাগে-নি।
রেজওয়ানা কবির
হুম ভাইয়া ধন্যবাদ। শেষের দিকে একপাক্ষিক ভালোবাসা দেখা গেলেও প্রথমদিকের ভালোবাসা উহ্য ছিল। আসলেই ভালোবাসা ছিল কিনা ছায়ার মত আমি নিজেও বুঝিনি। ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগল। শুভকামনা ভাইয়া।
জিসান শা ইকরাম
প্রথম দিকের সম্পর্কের মাঝে জোয়ার থাকে, ধীরে ধীরে বিভিন্ন কারণে তা ফিকে হয়ে আসতে থাকে।
এর কারণ অনুসন্ধান করে ভালোবাসার সম্পর্ককে প্রথম দিকের মতই রাখা যায়।
তবে খুব কম প্রেমিক প্রেমিকারা ভালোবাসা কমে যাওয়ার কারণ অনুসন্ধান করে সমস্যার সমাধান করে।
বিশ্বাসহীনতা অনেক সময় সম্পর্ককে শেষ করে দেয়।
ছায়াকে সঙ্গীর বুঝতে পারার অক্ষমতা তাঁকে মৃত্যু পর্যন্ত তাড়িয়ে বেড়াবে।
ভালো লেগেছে গল্প।
শুভ কামনা।
রেজওয়ানা কবির
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। একদম ঠিক বলেছেন প্রথমদিকের যেকোনো অনুভূতিই অসাধারণ থাকে সেগুলো যদি ধরে রাখার চেষ্টা করি, নিজেদের গ্যাপগুলো পুরনের চেষ্টা করি তবে সম্পর্ক ফিকে হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। সঙ্গী আদৌ বাকিজীবন ভালো থাকবে তো?পারবে না।।।। ভালো থাকবেন ভাইয়া, শুভকামনা।
আরজু মুক্তা
সময়ের দোলাচলে, আকুণ্ঠ অবসরে, ব্যস্ততার কাঠগড়ায়…. ক্ষণিকের ক্ষণে তাকে মনে রাখি। ভালোবাসা ভালোবেসেই জাগিয়ে রাখতে হয়।
সময়ের হল্পে মুগ্ধতা রেখে গেলাম।
আরজু মুক্তা
★ গল্পে
রেজওয়ানা কবির
অসাধারণ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।ভালোবাসা ভালোবাসে শুধুই তাকে, ভালোবেসে ভালোবাসায় বেঁধে যে রাখে। শুভকামনা।
মনির হোসেন মমি
হুম যতটুকু সময় পাই ভালবেসে যেতে চাই-এখানেই জীবনকে আটকে রাখতে হবে নতুবা জীবন এক অনন্তকাল আফসোসের যন্ত্রণায় পুড়বে। গল্প অনুপ্রেরণামুলক। ভাল লাগল।
রেজওয়ানা কবির
ধন্যবাদ ভাইয়া, সুন্দর মন্তব্যের জন্য,ভালো থাকবেন, শুভকামনা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ইস বাস্তবেও যদি সঙ্গীরা এভাবে তাদের ভুলের অনুশোচনায় ভুগতো, বুঝতো তাহলে আর এ পৃথিবীতে ভালোবাসা শূণ্যের কোঠায় পৌঁছাতো না। একজন শুধু ভালোবেসেই যাবে অন্যজন অবজ্ঞা করে যাবে সে ভালোবাসার কি মূল্য আছে? বেঁচে থাকতে যদি নাই পেলাম মরনে এমন আক্ষেপ শুধু বেড়েই যাবে। খুব ভালো লাগলো আপু। ভালোবাসা ভরে উঠুক দুজনার মধুর খুনসুটিতে , আবেগে, স্বর্গীয় সুখে। অবিরাম শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো
রেজওয়ানা কবির
অনেক অনেক ধন্যবাদ দিভাই এত সুন্দর মন্তব্য পেয়ে মনটা ভরে গেল। ভালোবাসা এরকমই সময় থাকতে অনেকে বোঝে না। ভালো থাকবেন, শুভকামনা।