চোরের রবীন্দ্র ভক্তি।

উর্বশী ৩ অক্টোবর ২০২১, রবিবার, ০২:১৪:৫৬পূর্বাহ্ন রম্য ১৮ মন্তব্য
  1.       

    পথ চলতে চলতে হঠাৎ  থমকে যেতে হয় কোনো  কারণ  ছাড়া- ই।আবার এক  সময় পথ চলাও শুরু হয়।থেমে থাকেনা কিছুই। স্রষ্টার  নিয়মের বেড়াজাল। এর মাঝে সুখ- দুঃ খ, হাসি- কান্না, সব কিছুই বিদ্যমান। এসব নিয়েই জীবন তরী সাজিয়ে  নিয়েই পথ চলা । তবে কিছু শূন্যতা কখনোই পূরন হবার   নয়।
    ,সকলের ঠোঁটের  কোণে কিছুটা হাসির রেখা  ফুটে উঠুক ।
    হয়তো কম- বেশী সকলের ই এই লেখাটি সম্পর্কে  ধারণা  আছে।
        
              চোরের রবীন্দ্র ভক্তি  ”

    রবীন্দ্র অনুরাগী এক চোর আদালতে।
    বিচারকঃ তুমি চুরি করেছো?
    চোরঃ না হুজুর। আমি কবিগুরুর নির্দেশ পালন করেছি শুধু।
    বিচারকঃ তার মানে?
    চোরঃ গতকাল মাঝরাতে একটা গান ভেসে এলো- “আজ জ্যোৎস্না রাতে সবাই গেছে বনে” তাই ভাবলাম আমিই বা বসে থাকি কেন? আমিও যাই, তাই বেরিয়ে পড়লাম।
    বিচারক: তারপর?
    চোর: একটি খালি বাড়ি হতে আওয়াজ এলো-
    “এসো এসো আমার ঘরে এসো আমার ঘরে”। সাথে সাথে ঢুকে পড়লাম।
    বিচারক: বটে, তারপর?
    চোর: ঘরে ঢুকে শুনছিলাম- “ঘরেতে ভ্রমর এলো গুনগুনিয়ে”। খানিকটা আনন্দ পেলাম।
    তারপর ভেসে এলো- “এবার উজাড় করে লও হে আমার যা কিছু সম্বল”।
    কবিগুরুর নির্দেশ তো আর অমান্য করা যায় না। সব মালপত্র বেঁধেছি সঙ্গে সঙ্গে কানে ভেসে এলো-
    “আজি দখিণা দুয়ার খোলা”।
    পেছনের দরজা দিয়ে যখন বেরিয়ে পড়লাম তখন এই পুলিশটা এসে আমায় ধরলো। ওকে কত বোঝাবার চেস্টা করলাম আমি চুরি করিনি, শুধু রবীন্দ্রনাথের নির্দেশ পালন করেছি। তো ব্যাটা বোধহয় রবীন্দ্রনাথের নামই শোনেনি, সোজা আপনার কাছে নিয়ে এসেছে।
    বিচারকঃ ঠিক আছে, তোমাকে ছয় মাসের সাজা দিলাম। এই বিষয়ে তোমার রবীন্দ্রনাথ কিছু বলেছেন?
    চোরঃ “এ পথে আমি যে গেছি বার বার, ভুলিনিতো একদিন ও….”।
    বিচারকঃ জেলে যখন থাকবে, তখন তোমার রবীন্দ্রনাথ কি বলবেন?
    চোরঃ “ভেঙ্গে মোর ঘরের চাবি নিয়ে যাবি কে আমারে?

    ” (কিছুটা সংগ্রহ করা হয়েছে—- আজি দখিণা দুয়ার খোলা) 

৮৫৫জন ৬৩৭জন
0 Shares

১৮টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ