হোঁচট খেতে খেতে অনেকটা পথ হেঁটে-হেঁটে এসেছি,
অনেকেই সাথে ছিল, আছে এখনও অনেকেই;
ছুঁয়ে এসেছি মনোলোভা কালচক্র,
ফেলে এসেছি হেলাফেলায় শঙ্খচূড় সাপের মনি,
মসৃণ অ-মসৃণ ছোট/বৃহৎ ঢিবি, অপুষ্ট/সুপুষ্ট জলধি,
হাতে ধরা নাটাইয়ের সুতোর দূর প্রান্তে
আকাশ-ঘুড়িটি সাথে নিয়েই চলছি;
শুধু ফেলে এসেছি আয়না-জলে লেখা খাতাটি।
পলক-অপলক চোখে ঘুরে-ঘুরে ফিরেছি
আনন্দ-বিহারে, চেনা-অচেনা বদ্বীপে,
আলতো পায়ে সন্তর্পণে পিছু নিয়ে পেখম-ময়ূর ছুঁয়েছি,
তন্ময়-ধ্যান-বৃষ্টিকে হাঁপাতে হাঁপাতে হাসতে দেখেছি,
উল্লাসে-সোল্লাসে;
ধ্যান-মগ্ন-সিঁদুর-বক দেখছি বিষম-চোখে,
রঙয়ের-তুলিতে-বিভোর শিল্পীর রাত-জাগা-উষ্ণ-চোখ দেখেছি;
শুধু ঘুমের অ-ঘুমকে একটু ঘুমুতে বলেছি,
ঘুমুতে দেখিনি;
১৪টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
স্মৃতির ডাল খুলে বসেছেন মনে হচ্ছে,
ছাইরাছ হেলাল
অতীত একমাত্র জলজ্যান্ত সত্য, যে এড়ানোর উপায় নেই।
রিতু জাহান
অতীতস্মৃতি বড় মধুর। কতো কতো মুখ সেখানে। ককো কতো রঙ্গীন ঘুড়ি। ফেলে আসা মাটির গর্তে লুকানে কাঁচা খেজুর।
আয়না জলে লেখা খাতাটি ছিনিয়ে নিয়ে গেছে বাস্তবিক বেড়াজাল। কিছু গোড়া ধ্যান ধারনা।
যাইহোক, এখন জীবন চলে জীবনের নিয়মে। এইতো জীবন। বেশ আছি নির্ঘুম সব রাত নিয়ে।
বেশ সুন্দর একটা কবিতা পড়লাম গুরুজী।
ছাইরাছ হেলাল
এ লেখা নিয়ে কিচ্ছু বলার নেই।
শুধু বলি এটি আমার অনেক প্রিয় একটি লেখা!
মায়াবতী
ও মা গো!! এতো কিছু কবে দেখে ফেলেছেন কবি সাহেব? আমাকে ও একটু দেখাবেন? কত কিছু এখনো দেখা হলো যে!
শুধু ঘুমের অঘুম কে একটু ঘুমুতে বলেছি…. ঘুমুতে দেখিনি…. ইন্সেপশন নাকি!
ছাইরাছ হেলাল
ঐ যে আপনি যখন পালিয়ে গেলেন আমাদের ফেলে,
আপনাকে দেখানোর সাধ্য আমদের নেই, হবেও না,
নিজের সাধ্যে, নিজেচ্ছায় আপনি ঠিকই দেখে নেবেন,
শুধু ন্যায্য হিসসা টুকু শেয়ার করে দিলেই হবে।
সাবিনা ইয়াসমিন
ঘুমের অ-ঘুমের সাথে এতো কথা বললে তাকে ঘুমাতে দেখবেন কি করে।আর এতো এতো দেখার বর্ননায় অ-ঘুমের চোখতো বড়ার ছানা হয়ে যাবে।ঘুমাবে কখন!!??
ছাইরাছ হেলাল
আপনি বড়ার ছানা এর-ই মধ্যে দেখে-টেখে ফেলেছেন!!
এত্ত এত্ত ঘুমের দরকার-ই-বা কী!!
সাবিনা ইয়াসমিন
কত্ত কত্ত ভৎসনায় এত্ত এত্ত ঘুমই ঘুমাতে হয়।নয়তো অ-ঘুমের চোখ একবার বড়ার ছানা অন্যবার ছানাবড়া হয়ে যাবেই 😂😂
ছাইরাছ হেলাল
আহারে, ভর্ৎসনায় তো ঘুমের ঘুম হয়ে যাওয়ার কথা
ছানার বড়া খেতে খেতে।
নীলাঞ্জনা নীলা
এমন আবেগমাখা কবিতা এই রাতদুপুরে পড়লাম। এখন যেনো আমাকেও স্মৃতিতে পেয়ে বসেছে। আমার একটা বাউন্ডারি মলাট বাঁধা খাতা ছিলো, পুড়িয়ে ফেলেছিলাম অভিমানে। একটা বড়ো আদুরে লাল ডায়েরি ছিলো, হারিয়ে ফেলেছি। “অভিমান” নামক অনুভূতি কোথায় যে হারিয়ে গেছে!
কুবিরাজ ভাই কবিতাটা প্রিয়তে নিলাম।
ছাইরাছ হেলাল
এইইইইইইইইইইইইইইইইইইইই
এত্তদিন কোথায় ছিলেন!!
প্রিয়তে নিতে এত্ত দেরি কেন করেন!!
এটি আমার-ও খুব প্রিয়।
নীলাঞ্জনা নীলা
প্রিয়-তে কবিতা নিয়েছি। আপনাকে না। 😀
ছাইরাছ হেলাল
ঠাকুর বাঁচিয়েছে!!
শাঁকচুন্নির হাত থেকে।
যাক লেখাটির একটি গতি হলো!!