ঝিনুক নীরবে সহো
ঝিনুক নীরবে সহো, ঝিনুক নীরবে সহে যাও
ভিতরে বিষের বালি, মুখ বুজে মুক্তা ফলাও!
আবুল হাসান।
শিশিরভেজা গোলাপি গোলাপ আলো ছড়ায় গন্ধ ঢেলে
স্বপ্নআকাশ চোখে গেঁথে রাত জাগে অন্ধকারের অপলকে।
তাকাও, দ্যাখো তো চিনতে পারো কিনা, নিষ্পলকে;
এক তুমুল দুপুরের রোদজ্যোৎস্নায় ভিজে ভিজে কাতর ভীষণ,
সম্মতির চক্ষু ঝঙ্কার তুলেছিল সূক্ষসুখের গহীন মোহনায়।
একাকীর দু’জন দু’জনের মুগ্ধতায়
কথা রহিতের নিবির নিষ্ঠতায় খুনসুটির মেলায়;
৪২টি মন্তব্য
নাসির সারওয়ার
হুম, শিশিরভেজা গোলাপ। নিশ্চয়ই ভিন্ন মাত্রার গন্ধ হবে!
থাক, ওটা চিনতে বা জানতে হবেনা। বেশী চেনা জানা ভালোনা।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার ঠায়-ঠিকানা দিয়েন, পাঠামুনে,
বেশি জানা বা চেনা ঠিক না, আমি কিছুই চেন্তে জান্তে পারলাম্না।
নাসির সারওয়ার
না ইয়ে মানে বলছিলাম কি, গোলাপ আর শিশির ভেজা গোলাপ কি একই ফুল? শিশির ভেজা গোলাপ দেখতে পারলে মন্দ হোতোনা। কবে যে দেখেছি, ঠিক মনে করতে পারছিনা। আপনার তো রাজ কপাল। আপনার ওখানে ঐসব পাওয়া যায়।
আমি আমাকেই চিনিনা আবার অন্য কিছু চিনবো কি করে!
ছাইরাছ হেলাল
কপালের রাজত্ব তো আপনি দেখতেই পাচ্ছেন!!
এ সব ফুল-টুল সহজ বিষয় নয়।
বেশি বেশি চেনা ঠিক না।
নাজমুল আহসান
ভিতরে বিষের বালি, মুখ বুজে মুক্তা ফলাও! (y)
ছাইরাছ হেলাল
আবুল হাসানের বিখ্যাত লাইন।
অরুনি মায়া
কি অদ্ভূত আল্লাহ্র সৃষ্টি , বালি থেকে মুক্ত |
গোলাপের রূপে মুগ্ধ তোমার দুনয়ন
নিষ্পলক চেয়ে থাক আঁধারে সাথে নিদ্রাহীন শয়ন
দুজনের মিলন মেলায় কথা যেথায় যায় হারিয়ে
মৌনতার চাদর উড়ে জেগে থাকা ভালবাসা ছড়িয়ে,,,
ছাইরাছ হেলাল
গোলাপে মুগ্ধ সবাই, তাই সে গোলাপ।
মিলন মেলায় মৌনতার চাদর ই শ্রেষ্ঠ উপহার।
এত্তো কঠিন মন্তব্যের উত্তর হয় না,
অরুনি মায়া
কিছু না বলেও হাজার কথার মালা বোনা যায় , মৌনতার ভাষায় | শুধু চোখ রয় সরবে,,,
ছাইরাছ হেলাল
ওরে বাব্বা, কিছু না বলেও কথা বলা যায় নাকি!!
চোখের কি মুখ থাকে নাকি!! কি না কী বলেন, বুঝিও না।
অরুনি মায়া
ও আপনি বুঝি বোঝেন না , তাহলে আমি তো কিছুই জানিনা ,,,
ছাইরাছ হেলাল
আপনি যদি কিঞ্চিত বুঝিয়ে দিতেন তাহলে এ যাত্রায় কত আনন্দ ই না হত।
লীলাবতী
হুম,বুঝলাম 🙂 গোলাপ ছোঁয়ার নির্দোষ ইচ্ছেকে এভাবেই প্রকাশ করতে হয়। ভাবতেও ভালো লাগে -{@
ছাইরাছ হেলাল
গোলাপ কে আমাদের ছুঁতেই হয়, আমরা ছুঁই ও তা, নির্দোষ আনন্দেই।
অবশ্যই ভাবতে ভাল লাগে,
রিমি রুম্মান
শিশির ভেজা গোলাপ __ এমন করে তো ভাবিনি !
এরপর খুব সকালে এমন গোলাপ খুঁজবো, ছুঁয়ে দিবো, খুনসুটিতে মেতে উঠবো।
চমৎকার এক আইডিয়া পেলাম। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
একবার ভেবে দেখুন, ট্রাই ও করুন, মন্দ না কিন্তু।
ভাল থাকুন, অবিরত।
দীপংকর চন্দ
অনেক ভালো লাগলো। অনেক।
অনিঃশেষ শুভকামনা কবি।
ভালো থাকবেন। সবসময়।
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ।
জিসান শা ইকরাম
স্নিগ্ধ সুন্দর ইচ্ছে
গোলাপকে এভাবেই ছুঁয়ে দেখতে হয়।
গোলাপ মোম হয়ে গলে না যায় 🙂
শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা এ ভাবেই ছোঁয়া-ছুঁই চলবে।
এ গোপাল গলে পড়া গোলাপ নয়, কাটা-কুটাও আছে।
শুন্য শুন্যালয়
গোলাপ তো ঝরে যায় জানতাম, গলে যায় আবার কেমন করে? আচ্ছা থাক, আমার এত বুঝে কাজ নেই, কবিরা সম্ভবত এভাবেই কথা বলে।
ছাইরাছ হেলাল
ঝড়ে যায় গোলাপ তা আমরা দেখি, গলে গলে পড়া সবাই দেখতে পায় না।
অবশ্য সব জায়গায় গলে ও পরে না।
সব যেহেতু বুঝিনি, তাই না বোঝার কাছেই রেখে দিচ্ছি।
জিসান শা ইকরাম
শুন্য,ধরা যাক এই গোলাপ একজন ব্যক্তি,
এই লেখা পড়ে সেই ব্যক্তির মোম হয়ে গলে যাওয়া ব্যতীত অন্য কোন বিকল্প নেই
কত নামেই কত ভাবেই না আমরা সম্মোধন করি মানুষকে
যেমন নিশুত……
শুন্য শুন্যালয়
ইশ রে দিয়ে দিলো একটা খোঁচা। লেখার খাতিরে আউলাঝাউলা কতকিছুই আসে। কবিরা সব মাথা উল্টা পাব্লিক, আপনিও। @জিসান ভাই
নীলাঞ্জনা নীলা
যে সম্পর্কে খুনসুটি নেই, সেটি দীর্ঘস্থায়ী হয়না।
আপনি কখনো খারাপ লেখেন? কখনোই না।
ছাইরাছ হেলাল
সম্পর্কের ক্ষণস্থায়ীয়তা ও দীর্ঘস্থায়ীয়তা বুঝতে পারি না, ভাবনায় ও নেই,
ভাল বা খারাপ বুঝে বুঝে লিখতে পারি না,
ধন্যবাদ।
নীলাঞ্জনা নীলা
ভালো বা খারাপ বুঝে লিখতে তাদেরকেই হয়, যাদের নিজেদের লেখার উপর আত্মবিশ্বাস নেই।
ছাইরাছ হেলাল
লিখতে আর পারলাম কই!!
নীলাঞ্জনা নীলা
কি যে বলেন না! লেখা তো শিখছি আপনার থেকে।
শুন্য শুন্যালয়
নাতো চিনতে পারলাম না। তবে বুঝতে পারলাম, ৭ টি লাইন, সাত অথবা শতাব্দীর কথা বলে।
কবিতায় যে অনুভূতি ফুঁটিয়েছেন তা কিন্তু মোটেও নির্দোষ মনে হচ্ছেনা, এখন আপনিই বলুন, লেখা ঠিক নাকি শিরোনাম?
দুস্টুমি মাফ করে দেবেন জাহাপনা। দুপুরের রোদ জ্যোৎস্নায় ভিজে ভিজে সুন্দর কোন মন্তব্য আনতেই পারছিনা, লেখার সময় একটু অযত্ন করলে আমাদের এত কষ্ট হতোনা।
আমি চললুম শিশির ভেজা গোলাপের সাথে খুনসুটি করতে। এত কঠিন লেখা ঠিক না বলে দিলাম।
ছাইরাছ হেলাল
সবাই সবাইকে চেনে না, হয়ত চিনতে চায় ও না।
সাকুল্যে সাতটি মাত্র লাইন তাতে সাত সেকেন্ড ধরাই কঠিন, আপনি জনম জনম ধরে কী এমন দেখলেন!!
আমাকে দুষ দেবেন্না, আমি কিছু জানি না।
দেখুন আপনাদের সাথে থেকে যত্ন-আত্তি করা শিখেছি, কেড়ে নেবেন্না যেন।
শুধু খুনসুটি না, আপনি চাইলে অন্য কোন সুটিও চালু রাখতে পারেন, ব্যাপার না।
এত্ত কঠিন মন্তব্য করাও ঠিক না।
শুন্য শুন্যালয়
সেকেন্ড দেখি আর জনম জনম ধরে দেখি, এক তুমুল দুপুরকে এমন আবেগে ফুঁটিয়ে তুলতে পারতাম না কখনই। আপনি যখন লেখেন, তখন কিছু একটা ভর করে, আমার মনে হয়। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
ইস, আবার ও ধরা,
আমি যখন লিখি তখন লিখি ই।
আমার অনুভবকে আমি ছুঁয়ে যাই গভীর মায়ায়।
সে এক তুমুল মায়াবী দুপুর, না ভোলা দুপুর।
নীতেশ বড়ুয়া
আহা!!
যে মনে প্রেম আছে
সে মন সবই কবিতায় সাজে…
ওহো!!!…
ছাইরাছ হেলাল
ওহ্, এখানেও অন্তমিল!!!
নীতেশ বড়ুয়া
সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে
অন্ত্যমিলে নীতেশও লিখে :p
ছাইরাছ হেলাল
সঙ্গ দোষে নিতেশ হাসে
অন্তমিল!!
সে ও এখন ভালোবাসে
মিথুন
শিশির ভেজা গোলাপ মানেই এক নিষ্পাপ অনুভূতি। কিছু সময় কথা ফুরিয়েই যায়, দরকারও হয়না। কিভাবে যে এমন করে কেউ লেখে!
ছাইরাছ হেলাল
বহুদিন পর আপনাকে দেখলাম,
আপনি এত বোঝেন কী করে তাই ভাবছি!!
আমিও ভাবি কী করে সবাই সব কিছু বুঝে ফেলে।
কিছু লিখে ফেলুন, অনেকদিন তো হলো।
ব্লগার সজীব
গোলাপকে এভাবেই ছুঁতে হয়।চলুক এভাবেই।
ছাইরাছ হেলাল
গলাপ-গুলাপ কি সংগ্রহে এলো নাকি!!
ছোঁয়া-ছুঁয়ি চালু থাকেবে।
ব্লগার সজীব
উক্কে 🙂 -{@