১. লাগাতার সাফল্য একই সঙ্গে অহঙ্কারী ও বেপরোয়া করে তোলে মানুষকে,
ভুল ধারণা চেপে বসে মনে-ভাবে; সবকিছুই উতরে যাবে কোন না কোন উপায়ে।
একসময় ক্লান্ত হয়ে পড়ে তারা শেষ একটা ভুল করে সেটা হয় ইচ্ছাকৃত!
প্রতিপত্তি ক্ষমতার দম্ভে এধরণের পরোয়াহীন মানুষ প্রায় কফিনের কাছাকাছি বাস করে।
২. মানুষই নিজের পথে নিজেকে চালিত করে, কর্মফলেই মানুষের নিয়তি।
কিন্তু সৃষ্টিকর্তাই সবকিছুর নিয়ন্ত্রক, মানুষ হচ্ছে একেকটা পুতুল;
যে পরিবেশে যাকে রেখেছেন তিনি সেখানেই থাকতে হয় তাকে!
৩. শুধু স্কুল-কলেজেই নয় সমাজেও শিক্ষকের ভূমিকা হোক গাইডের মত,
কোন পথে কিভাবে এগিয়ে যেতে হবে ছাত্রদের মত সাধারণ মানুষকেও সেইটা দেখিয়ে দেয়া।
স্কুল-কলেজ তা যত উচুমানের হোক না কেন, সমাজের কুসংস্কার; দুর্নীতি ও রাজনৈতিক অরাজকতা সমর্থন করে শিক্ষার্থীদের সঠিক শিক্ষা দেওয়া যায় না।
৪. মানুষের জীবনটাই নির্ভর করে সিদ্ধান্তের উপর।
এখনই সিদ্ধান্ত নাও কি হতে চাও তুমি এবং কি করবে ভবিষ্যতে; দুটো জিনিসকে যে একই হতে হবে তার কোন মানে নেই, তবে কখনও কখনও এক হতেও পারে।
৫. নিজের সম্পর্কে বলে বেড়ায় না কেউ, সুতরাং তার আচরণ আর দৃষ্টিভঙ্গি দিয়েই লোকটিকে চিনে নিতে হয়;
আগাম ধারণা করে নিতে হয়, লোকটি আপনার দুর্বলতা জেনে বিপদের সময় কতটা বন্ধু কিংবা বিপজ্জনক হতে পারে।
৬. সারাজীবন অন্যের মত অনুযায়ী চলতে গেলে, মানুষের আর নিজস্ব সত্তা বলে কিছু থাকে না।
তার মানে হচ্ছে: মুখ বুজে চুপ করে না থেকে যাদের চিন্তা করার ক্ষমতা আছে, তারা সবাই মুখ ফুটে তা জানালে সম্ভবত পৃথিবীর অর্ধেক ঝামেলাই মিটে যেত।
৭. জীবনের ভ্রমণ অনেক লম্বা,
দীর্ঘ এই পথচলায় ‘ভালবাসার ছলে’ একজন দুঃখ দিলেই যে জীবনের গতি শিথিল করতে হবে তা কিন্তু নয়; যদি হঠাৎ থেমেই যাও।
বসে থাকবা না, ধরে নাও গাড়ীর টায়ার খারাপ হয়েছে সম্ভব হলে মেরামত কর সম্ভব না হলে পরিবর্তন করে আবার যাত্রা শুরু কর।
পথে নতুন কেউ জুটে যাবে।
৮. ছাপার অক্ষর পড়তে না জানলেও কেউ-কেউ মুখের দিকে তাকিয়ে একজনের মনের নাড়িনক্ষত্র বলে দিতে পারে!
৯. শয়তানও বিস্তর কাজে লাগে; শয়তান যদি কোথাও নাও থাকতো, আমরা তবু তাকে উদ্ভাবন করে নিতাম, ব্যাখ্যাতীতকে ব্যাখ্যা করবার একটা অস্ত্র তুলে দিতাম লোকের হাতে।
১০. কবরে তো প্রেম নেই, উষ্ণতা নেই, নেই ঠোঁটের ছোঁয়া।
কাল কি হবে কে বলতে পারে?
আজকের রাতটাই আমাদের, কালকের জন্য বসে থেকে কেন সেটা আমরা নষ্ট করবো?
৪টি মন্তব্য
আরজু মুক্তা
আসলেই বর্তমানটা সঠিক।
প্রত্যেক পয়েন্টেই শেখার মতো।
শুভ কামনা
মনির হোসেন মমি
সময়ের কাজ সময়েই করা ভাল নতুবা আর হয়ে উঠতে নাও পারে।চমৎকার অনুভুতি প্রতিটি বাক্যেই আছে শিখার অনেক কিছু।ধন্যবাদ।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
১০ নাম্বার টা সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে ভাইয়া। কেমন আছেন? আপনার লেখা সব সময়ই মিস করি। আপনার প্রতিটি লেখায় মানুষের অন্তর্জালা, আত্মকথা, জীবনের কথা খুঁজে পাই। এতো চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেন যে মনে দাগ কেটে যায়। অবিরত শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো। আশা করি নিয়মিত পাবো আপনাকে
হালিমা আক্তার
প্রতিটি পয়েন্টে গুরুত্বপূর্ণ। কাল কি হবে আমরা কেউ জানিনা শুধু কাল কেন? এই মুহূর্তে কিছুক্ষণ পরে কি হবে সেটা আমাদের জানা নেই। বর্তমান কে কাজে লাগিয়ে আমাদের আগামীর পথ চলতে হবে। খুব সুন্দর ভাবে জীবনের কথা গুলো উপস্থাপন করেছেন। শুভ কামনা অবিরাম।