অর্ধেক পৃথিবী পুড়ে গেলে ছাই পড়ে থাকে –
অনাগত প্রজন্মের তরে,
দাউদাউ আগুনের লেলিহান শিখা –
মৌহারী মৌরীর নির্যাসটুকু পানকৌড়ির ঠোঁটের ডগায়
শেষ চুম্বনের অপেক্ষায় যেমন উদগ্রীব ব্রজাঙ্গনা,
বিমিশ্র ললনার গোপন প্রকোষ্ঠে দিনান্তে বেড়ে উঠা ভ্রূণ
সেও সিংহাসন চায় এবং চায় সুশোভিত মখমল।
পৃথিবীর দ্বিতীয় প্রান্তে বিগলিত ক্ষমতার কেন্দ্র ঘিরে
অজস্র কাকতাড়ুয়ার শিরোত্থান –
আঁজলা ভরে তুলে নিতে চায় মুরুনতাউ হিল –
মানুষের মুখোশে মানুষ-দানব, অতঃপর সে হয়ে যায় হেমলক,
এবং পৃথিবীর পুনঃদহন দেখে অশরীরী ভিন্ন জগৎ ।
কেবল পার্থিব অহমিকা আর অভিন্ন চাহিদার ভেদে
বেদ বাইবেল কোরানকে ও উপেক্ষা করে
বাহুবলে অর্থ অতঃপর সর্বগ্রাসী ফ্যাসিসমো –
মানুষ বিলুপ্ত হয় এবং হয়ে উঠে একজন কিন শি হুয়ান ।
সাম্রাজ্যের যাপিত চৌহাল পরম্পরা শিরদাঁড়া ধরি
বিনিদ্র সম্পদ রচনা করেছে যে কালপুরুষ তথা
অপশক্তির প্রয়োগ, অভিমিশ্র ধ্বংস তার প্রাপ্তির ফল
কেন সহস্র শতাব্দী ধরে তবুও মানুষ –
মানুষের প্রাণ গিলে চলেছে অনর্গল ।
ছবি : ইন্টারনেট থেকে নেয়া 🌋
১৩টি মন্তব্য
আলমগীর সরকার লিটন
চমৎকার ভাবনায় প্রকাশ করেছেন কবি——–
অনন্য অর্ণব
ধন্যবাদ প্রিয় কবি। লেখার মুলভাবের উপর যথাযত প্রাসঙ্গিক মন্তব্য একান্ত কাম্য। শুভ কামনা রইলো।
মোঃ মজিবর রহমান
কেবল পার্থিব অহমিকা আর অভিন্ন চাহিদার ভেদে
বেদ বাইবেল কোরানও মিথ্যে প্রমাণিত হয়, – কোরান মিথ্যে হয় না, মিথ্য বলে আমরা আমাদের চাহিদায়, সাধারন জনতাকে বুঝাতে চায় কোরান এইরকম কিন্তু কোরান সেই রকম না। কোরান পরিপুর্ণ জীবন ব্যবস্থা যেখানে, জিবনের প্রয়োজনে সব আছে, আদব, সৎ চরিত্রে চলার মত আদর্শ, সুষ্ঠ রাজনিতির কলাকৌশল, সমাজ ব্যবস্থা, রাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থা, সুন্দর অর্থনৈতিক নীতি। কিন্তু আমরা মানব সন্তান তাহার ভুল ব্যখ্যা করে ভুল প্রমাণিত করি নিজ স্বার্থকে কলঙ্কিত করার জন্য।
বিমিশ্র ললনার গোপন প্রকোষ্ঠে দিনান্তে বেড়ে উঠা ভ্রূণ
সেও সিংহাসন চায় এবং চায় সুশোভিত মখমল।
সবাই যখন চাওয়া মাঝেই সুখ খুজে পাই তখন চেতেই পারে কবি ভাই। আমার অবস্থান বুঝে চাওয়া শিখি নাই, সেখানে অনাকাংক্ষিত ঘটনা ঘটবেই ভাইসাব। সুন্দর একটি কবিতা দেওয়ার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ ভাই।
অনন্য অর্ণব
একদম ঠিক। আমি সেটাই বোঝাতে চেয়েছি, কোরান হচ্ছে সেই গ্রন্থ যার প্রণেতা সর্বময় ক্ষমতার মালিক। পবিত্র কোরআন কে বলা হয় “The complete code of Life”।
মহাকালের গহ্বরে পৃথিবীর এই অল্প কিছু সময়ের জন্য আমরা যে জীবন পেয়েছি সেই নগন্য সময়টাকে আয়েশী করে তুলতে আমরা সর্বময় ক্ষমতার মালিক মহান রাব্বুল আলামীনের বিধি নিষেধকে উপেক্ষা(এখানে আমি উপেক্ষা বা অগ্রাহ্য বা জেনে বুঝে অমান্য করাকে মিথ্যে স্মারক প্রত্যায়নের সাথে তুলনা করাকে বোঝাতে চেয়েছি) করতে দ্বিধাবোধ করিনা।
মোঃ মজিবর রহমান
সহমত ভাই আমার। আমরা কত স্বার্থপর। সব ভুলে যায়, ব্যক্তির স্বার্থে। ধিক! আমাদের।
ছাইরাছ হেলাল
সংহারি এই রাজ্যপাটে স্থান কাল পাত্র ভেদে শুধুই গিলে খাওয়ার প্রবণতা
অনাদি কাল থেকে আজ অবধি, যা চালু আছে থাকবে ও।
অনন্য অর্ণব
এবং পৃথিবীর শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত যা বলবৎ থাকবে। ভাইয়া❤️
রোকসানা খন্দকার রুকু
এমনি করেই আমরা নিজেরাই নিজেদের ধংস্বযজ্ঞে মেতে উঠেছি যেন। বাস্তব লেখা। শুভ কামনা।।
অনন্য অর্ণব
শুভ কামনা আপু❤️
মনির হোসেন মমি
মানুষের মনুষত্ব যা হচ্ছে দিন দিন দুঃখজনক।
হৃদয়গ্রাহি কবি।
অনন্য অর্ণব
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া ❤️
হালিমা আক্তার
শব্দের উপমায় ভরপুর কবিতা। পার্থিব অহমিকা, স্বার্থপরতা, লোভ লালসা, আমাদের ভুলিয়ে দিয়েছে মানুষ হিসেবে আমরা শ্রেষ্ঠ। ভুলে গিয়েছি নিজেদের কর্মযজ্ঞের কথা। স্বার্থ হাসিলের জন্য নিয়েছি ধ্বংসের পথ বেছে। আল্লাহ আমাদের ভালো কিছু বুঝার তৌফিক দান করুন। শুভ কামনা রইলো
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
“কেন সহস্র শতাব্দী ধরে তবুও মানুষ –
মানুষের প্রাণ গিলে চলেছে অনর্গল’ । — এভাবেই আমরা আমাদের বিবেক নৈতিকতা মানবিকতা এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ গিলে খাচ্ছি। তাই আমাদের জীবনে এতো অশান্তি আর যন্ত্রণা।