জোর দুই টানে চা শেষ করে রঞ্জু বড় বড় চার কদমে স্টেজের একটু কাছাকাছি গিয়ে দাঁড়ায়। রাগান্বিত জনতার দুই চারজন তখনো মাটিতে পড়ে থাকা থেতলানো শরীরটায় জুতোর ছোঁয়া দেওয়ার চেষ্টা করছে।
পুলিশের পোষাক পরা জন এতোক্ষন রঞ্জুর উল্টো দিকে ফিরে ছিল । কার একটা অশ্রাব্য গালিতে মাথা ঘুরিয়ে পেছনে তাকাতেই রঞ্জু থতমত খায়, ‘উরিব্বাশ! নাটক সিনেমার শুটিং হচ্ছিল নাকি এতোক্ষন?!’
ভাবনাটা মাথায় আসতেই রঞ্জু ইতি উতি দেখে কোনো ক্যামেরা ট্যামেরা আছে নাকি আশে পাশে কোথাও।
নেই কনফার্ম হতেই রঞ্জু মুগ্ধ হয়ে যায় ।
‘যাশশালা! এই ছেলে এইখানে কি করে?! এর তো সিনেমায় থাকা উচিৎ ছিল। ফাটাফাটি হ্যান্ডসাম এই ছেলে সিনেমায় নামা মাত্রই সাকিব জলিলের ভাত বাসি হয়ে যাবে কনফার্ম ’
এস আই এর রোমান্টিক মার্কা চেহারার কারনেই রঞ্জু এবার বেশ খানিকটা সাহস পেয়ে সকলকে ঠেলে ধাক্কিয়ে স্টেজের একদম কোল ঘেঁসে গিয়ে দাঁড়ায়। যাকে বলে এক্কেবারে সামনের সারিতে । উদ্দেশ্য, নিয়ে এতো কান্ড তাকে একটু দেখা । কিন্তু মাটির দিকে চোখ ফেলেই রঞ্জুর ঠোঁট পুরোটাই বিকৃত হয়ে ওঠে ।
‘ইশ্শ্শশিরেহ !! খুন করে পালানোর সময় ধরা পড়া ডাকাতকেও তো লোকে এইভাবে মারে না!’ রঞ্জুর চোখ টলমল করে ওঠে হঠাৎ।
পঞ্চাশ জন মারমুখি ক্রাধান্মত্ত লোকের একশো চোখের মধ্যে আক্রান্ত লোকটা কি করে যে রঞ্জুর চোখটাকেই দেখে ! কথা বার্তা ছাড়াই হঠাৎ লোকটা বাইম মাছের মতন একটা মোচড় দিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ে রঞ্জুর পায়ের উপরে।
-ভাইজান আমারে বাচান ।
জনতার পঞ্চাশ জোড়া ছানাবড়া চোখ নিমিশেই রঞ্জুর দিকে।
রোমান্টিক চেহারার পুলিশের ড্রেস পরা এস আই ছোকরাটা কিছু বুঝবার আগেই বিষ্ফোড়িত চোখে দেখে লোকজন আরেকটা ছেলেকে মাটিয়ে শুইয়ে ফেলেছে!!
১৬টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
কাহিনী কি ? খালি মারামারি কইর্যা মাটিতে ফালাইয়া দেয় কেন ?
কিছুই তো বুঝলাম না
আর একটু সহজ কইর্যা লেখা যায় ? মস্তিস্কে মন হয় জং ধরেছে ।
বন্দনা কবীর
কিছুই বুঝলেনা?!! এক্কেবারেই না !!!
তুমি কখনো কোন চোরকে মার খেতে দেখেছো?
কাউকে কখনো হাটুরে মার খাওয়া থেকে উদ্ধার করতে গেছো?
না গিয়ে থাকলে, এর পরের বার কোন হাটুরে মার খাওয়া কাউকে উদ্ধার করতে যেও।
তাআআআরপর অটোমেটিক বুঝে যাবে আমি কি লিখেছি বা কেন লিখেছি…
তোমার জন্য আগাম অভিবাদন
এবং
শুভকামনা 🙂
খসড়া
আপনার লেখা ঠিক কি বোঝাতে চায় রে ভাই। মাথার উপর দিয়েও যায় না নিচ দিয়েও নয়।
বন্দনা কবীর
হা হা… তাই???!
এক কাজ করুন
মাথাটাকে উপর নীচ করে ক’বার খুব জোওরে ঝাকি দিন
তারপরে…
আর একবার পড়ুন প্লিজ (ছোট্ট লেখা তো। বেশি কষ্ট কবেনা পড়তে)
এবার দেখুন তো … বুঝলেন কিনা কিছু 😛 -{@
মিসু
শুধু শুধু মরলো রঞ্জু । -{@
বন্দনা কবীর
এই ক্ষমাহীন পৃথিবীতে অধমের জন্য মায়া দেখানোও ভয়ংকর ভুল । বিশাল মাশুল গুনতে হয় তাতে।
তারপরেও, মানবিক মন এই ভুল করবেই…
-{@
আদিব আদ্নান
শেষের টুইষ্টটি মোক্ষম হয়েছে ।
কিন্তু ভয়াবহতায় ভ্যাবল (যুতসই শব্দ) হতে ইচ্ছে করছে ।
বন্দনা কবীর
ইচ্ছে করলে হয়েই যান…
কোনো ইচ্ছেই ফ্যালনা নয় 🙂
ছাইরাছ হেলাল
এ লেখাটি না বোঝার কী আছে বুঝলাম না ।
এমন এখন হর -হামেশাই ঘটছে পথ ঘাটে ।
যা অবশ্যই ক্ষমাহীন ।
বন্দনা কবীর
বোঝার জন্য ধন্যবাদ -{@
ব্লগার সজীব
আমি হলে রঞ্জু হতাম না । জীবনের মায়া আছে রে ভাই (y) (y)
বন্দনা কবীর
🙁
প্রজন্ম ৭১
এসব দেখলে মাথায় রক্ত উঠে যায়। ইচ্ছে করে হুজুগে বাঙ্গালীদের মেরে ফেলি। (y) (y)
ফাহিমা কানিজ লাভা
মানবতা যে কোথায়, আমি খুঁজেই পাচ্ছিনা। 🙁
লীলাবতী
পশুর পাশবিকতায় পেয়ে বসেছে মানুষদের । ভালো লিখেছেন আপু।
বনলতা সেন
রঞ্জুরা এমন করেই অনেক অনেক বার শিকারে পরিণত হয় , হবে আরও অনেক কাল ।
আমি আপনার লেখা পছন্দ করি ।