প্রসাধিত-সাজ-আকাশ-দিগন্তে
দল বেঁধে উরে যাওয়া/একাকী পাখির ডানা থেকে
একটি রঙিন পালক আচানক খসে যেতে দেখছি,
বিস্ময়-আবেগে, তন্ময় হয়ে; ভেসে যেতে যেতে
বিচ্ছিন্ন নগণ্য অপাংক্তেয় আঙ্গিকে ফেলে গেল
এইমাত্র এক পশলা তরতাজা অবহেলা।
সৈকত বালিয়াড়ির ছুঁই-ছুঁই পানিতে
পা-ভিজিয়ে হেঁটেছি বহুকাল অ-ক্লান্তিতে,
প্রগাঢ় পানি-ছোঁয়া-শীতলতায় উষ্ণ হয়েছি;
ভাটির টানে সৈকত ক্রম-বিস্তৃত হয়েছে
পায়ের গভীর ক্লান্তি মেলে হেঁটে যাওয়া হয়নি।
৩৩টি মন্তব্য
নীলাঞ্জনা নীলা
ক্লান্ত, তবুও তো বেঁচে আছি।
জীবন বোধের খেয়া বেয়ে আজোও খুঁজে ফিরতে পারছি পথ।
অস্থির গতিময়তার বেড়াজাল ছিন্ন করে
অবহেলিত নিজেকে ভরপুর করে তুলেছি নিবিড় ভালোবাসায়।
জেনেছি পাতা ঝরে যাবার পরে তার কোনো পরিচয় থাকেনা,
অথচ পাখীর পালকেরও নাম থাকে।
পরিভ্রমণ করে আমি ক্লান্ত, বড়ো ক্লান্ত
তবুও থেমে থাকা জানিনা—
পথ শেষ হয়ে যায়, আমি চলি অন্য আরেক নতুন পথে;
ছাইরাছ হেলাল
এত্তো এত্তো ভালো-ভালো-ভালোবাসা কৈ পান!
দীর্ঘ-পথ ক্লান্ত-পা শিথিল-দেহ নূতন পথের ডাক শুনতে চায়
শুনতে পায়, হাতছানিটুকু দেখতে পায়, যেতেও চায়।
নীল-উপত্যকার বিষ-যন্ত্রণা এড়িয়ে/মেনে ফেরা হয় না,
না-ফেরার ঠিকানাই শেষ-মেষ থিতু হয়,
যদিও স্বপ্ন-চোখ নিভে যায় না।
নীলাঞ্জনা নীলা
স্বপ্নটুকু তো আছে!
ভিত্তি নাড়িয়ে দিলেও ভেঙ্গে দিতে পারেনি মনোবল।
ফিরে যাবোনা তাই, এসেছি, আরোও দূরে যেতে;
কে আছে আটকে রাখে?
স্থির হবোনা এ জীবনে কোনোদিন।
সাবিনা ইয়াসমিন
চমৎকার লিখেছেন নীলা আপু।❤❤
ছাইরাছ হেলাল
স্থির সবাই হতে পারে না বলেই
অস্থিরতার গান তোলে!!
ছাইরাছ হেলাল
হুম, নীলাপুরটি তো চমৎকার লাগার-ই কথা!!
আমাদের-ও লাগে!! (মোটেই না)
সাবিনা ইয়াসমিন
অ-লাগবে !? মোটেই না।😂
ছাইরাছ হেলাল
মনে থাকলেই হয়!!
নীলাঞ্জনা নীলা
সাবিনা আপু বুঝতে পারছি আপনিও আমাকে ভালোবাসার মায়ায় বাঁধার চেষ্টা করছেন। 🙂
অনেক ভালো থাকুন।
নীলাঞ্জনা নীলা
কুবিরাজ ভাই আপনার জন্য ক্যুইজ। কইন সাইন দেহি অখন মুই স্থির না অস্থির? 😃
ছাইরাছ হেলাল
পুরাই অস্থির-স্থির!!
ঠিক বলে দিলাম, দেখলেন।
নীলাঞ্জনা নীলা
ডিপ্লোম্যাসি কি এইটারেই বলে???
ছাইরাছ হেলাল
সে আমি ক্যাম্নে জানুম!!
আপনি-ই ভালু বলতে পারবেন।
মায়াবতী
🙂 আহা কি আনন্দ! কবিরা সব এক সাথে! কবিতায় কবিতায় সোনেলা কাব্যময় হয়ে উঠুক। -{@
ছাইরাছ হেলাল
আমাদের শুধু একজন ফেলে গেছে
দারুণ অবহেলে, কে সে!!
আবার-ও যাবে তাও জানিয়েছে!!
নীলাঞ্জনা নীলা
মায়াবতী আপু সোনেলার কাব্যরাজ হলেন কুবিরাজ ভাই, মানে আমাদের ছাইরাছ হেলাল ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
একদম ঠিক/বেঠিক কথা বলেছেন!!
ক্যামনে পারেন!!
মায়াবতী
ইশ কুবি রাজ কুবি আপনাদের কে ফেলে গেলো ? বলেন জলদি কান ধরে তাকে নিয়ে আসবক্ষণ
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকে তো আর কিছু একটা (কান) ধরে-টরে আনতে বলতে পারি না!!
ফেলা-যাওয়া ফেলে দেওয়া প্রকৃতির ধর্ম!!
দেবতা নিগ্রহকারীরা (নারী জাতি) কয়েক কাঠি সরেস!!
জিসান শা ইকরাম
পাখির পা ক্লান্ত হয়না,
ক্রম-বিস্তৃত সৈকতে হেটে ইচ্ছে পুরন করুন।
ছাইরাছ হেলাল
ইচ্ছা পুরন বটিকা খেতে হবে প্রেরণার হাত থেকে।
পাখি-পুখি সব পালিয়ে বেঁচেছে।
রিতু জাহান
‘ বড় ক্লান্ত এ পা আজ সত্যিই বড় ক্লান্ত এ পথে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা। অপেক্ষায় অপেক্ষায়। মিথ্যে এক প্রতিশ্রুতি যেখানে চরম এক অবহেলা লুকানো। মিথ্যে সব মিষ্টি কথার আড়ালে লুকানো মিথ্যে ভালবাসা। যে মনের কোনো কোনায় এ মন নেই। নেই মনের ছায়া।
শিশির বিন্দুর মতো অবহেলাগুলো টুপটুপ করে খসে পড়ে অথচ সেখানে আমি ভালবাসা খুঁজি।
এক সসুদ্র খুঁজে নিব যেখানে নরম বালিয়াড়িতে শীতের পরিযায়ী পাখি ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে। আবারো এ ক্লান্ত পায়ে জোর করে প্রাণ ফিরাব, আবারো এক মিথ্যে অপেক্ষার দিন গুনব।’
শব্দের পরে অযথা কিছু শব্দ জুড়ে দিলাম। কি করব! তবে গুরু বকা টকা দিয়েন না।
ভালো থাকুন সব সময়।
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকে এক্ষণ বকা দেয় কার এমন সাধ্য (বকা দিলাম)!!
সব-ই তো বলে দিলেন, বলার তো জায়গা পাচ্ছি না।
পুরোন লেখা মনে পড়ে গেল………
শীত-সকালে ঘাসের ডগায় শিশিরের হীরক-রূপ দেখা লেখক জিজ্ঞেস করে……
হাসছো যে বড়!!
জানোনা বুঝি!!
ঐ যে গা-ঘেসে
জড়িয়ে/দাঁড়িয়ে আছে
সকাল-সূর্য!!
রিতু জাহান
এ সকাল সূর্য বড় লাজুক, নব বধূর মতো। মিষ্টি কোনো কিশোরী বধূ।
হাসবেই তো, চোখে যে এখন নব প্রেম। নব নব উষ্ণতা।
ছাইরাছ হেলাল
এত্ত কেমনে জানলেন!! কে জানে!!
আমরাও তো শিখতে চাই।
সাবিনা ইয়াসমিন
পাখির খসে যাওয়া পালক আর তরতাজা অবহেলা টা অবহেলায় রেখে ,ভাটির টানে বিস্তৃত সৈকতে বসে একটু জিড়িয়ে নিলে ভালো হতো।ততক্ষনে নব জোয়ার এসে ক্লান্ত পা গুলোকে ফের উষ্ণ করে দিয়ে যেত।পা গুলো কেন যে অল্প ক্লান্তিতেই হতাশ হয়ে পড়ে !!
ছাইরাছ হেলাল
চাইলেই যদি জোয়ার আনা যেত
জোয়ারে পা-জড়িয়ে-জড়ানো যেত!
ক্লান্ত-পা সোনা-পা হয়ে
সোনেলায় নিরন্তর হেঁটে বেড়াত।
পাকা লিখিয়েই না শুধু!!
পাক্কা মন্তব্য পেয়ে আনন্দ/ভয়ে আছি।
সাবিনা ইয়াসমিন
জোয়ার চাওয়া পাওয়ায় আসে না।সে আসে নিজের নিয়মে।অপেক্ষা করতে হয় অ-ক্লান্ত হয়ে।সৈকত পর্যন্ত যেতে পারলে,জোয়ারের অপেক্ষায় থাকা কোনো ব্যাপারই না।
আমি হলাম হবু লেখক ।আমি কি ভয় দেখাতে পারি !!এমন অপবাদ কি আমার হাতের আঙুল গুলো সইতে পারে !? এখন যদি উল্টা পাল্টা লেখা শুরু করে দেয় তাহলে কিন্তু আমার কোনো দোষ নেই।বলে রাখলাম 😂😂
ছাইরাছ হেলাল
জোয়ারের অপেক্ষা বা অপেক্ষার জোয়ার সবার সয় না,
সবাই সইতে পারেও না, যে পারে সে পারে!!
হবু মানে!! আপনি তো অলরেডি লেখক/কবি হয়েই গেছেন (না কিন্তু)!!
মায়াবতী
এক পশলা তরতাজা অবহেলা! এতো অদ্ভুত সুন্দর লাইন আপনি কেনো লিখেন কবি! এ তো আমার লাইন হবার কথা ছিল যে! অভিমানে মাথার চুল গুলো এলো মেলো হয়ে গেলো।
ছাইরাছ হেলাল
মিথ্যে করে বা মিথ্যে-মিথ্যি করে বললে বলতেই পারি
এতো আপনার জন্য-ই লেখা!!
এলোচুলকে তুলে দিন নিবিড় যত্ন-আত্তি দ্রুততায়!!
মায়াবতী
মিথ্যে বলতে হয় না যে কুবি 🙁 আমার জন্য না হয় লেখা নাই বা হলো তা তে কি…..
ছাইরাছ হেলাল
আপনার জন্য নেই কে বলল!!
নিজের চোখে (–) চোখ রেখে বলুন তো আপনার জন্য লেখা নেই!!
ঠিক আছে আপনার জন্য কুড়ি-খানেক লেখা লিখতে শুরু করে দিচ্ছি!!
কিন্তু এখন যেটি লিখব ভাবছি সেটি আপনার সাথে প্রকাশ্যে জুড়ে দিলে ফালাফালি শুরু হয়ে যাবে।
আচ্ছা, পরে হবে অবশ্যই!!
সব জায়গায় সবার সাথে মিথ্যে বললেও কুইনের!! সাথে মিথ্যে-মিথ্যি করা ঠিক না!! সমীচীন ও না!!