কাব্য-জীবন

নীলাঞ্জনা নীলা ২৮ অক্টোবর ২০১৫, বুধবার, ১০:১৭:২৫পূর্বাহ্ন একান্ত অনুভূতি, কবিতা ৪৬ মন্তব্য
মুঠো-স্বপ্ন...
মুঠো-স্বপ্ন…

এক# মুঠো-স্বপ্ন    

কবিতা বড্ড বে-খেয়ালি হয়
হিসেব জানেনা সাজে অজস্র উপমায়
আসলে কবিরা তাদের পাতলা ঠোঁটের উচ্চারণে স্বপ্নভাঁজ করে বিতরণ করে
সুখের অসুখে বোকা হৃদয় এটুকু বোঝেনা
কবিরা গল্পফেরি করা সাধারণ মানুষ,
মাকড়সার মতো যাদের ঘর-বসতি।

ক্ষরণ...
ক্ষরণ…

দুই# ক্ষরণ

আজ হয়তো ঝুম বৃষ্টি হতে পারতো
নারীর বুকের ভেতর যেমন রক্তক্ষরণ হয়,
ঠিক তেমন বৃষ্টির প্রয়োজন ছিলো।

মুক্তি...
মুক্তি…

তিন# মুক্তি

ওই নারীকে কেউ দেখেনি, কেউ টের পায়নি তার স্পন্দন
সে যে এসে চলে গিয়েছিলো গহীনের পথে
ফিরিয়ে দিয়ে কবিতার বৈধ সময়।

ফুলেল অন্ধকার...
ফুলেল অন্ধকার…

চার# অহঙ্কারী -না  

বেঁচে থাকার গল্প শুনে কবিতাও ফিরে গেছে ওখানে
ফিসফিসিয়ে বলে গেছে বৃষ্টির জল আর চাইনা
বাংলা অক্ষরের ‘ন’ আর ‘আ-কার’ সংযোগে,
তারপর অহঙ্কারী গ্রীবা তুলে হেঁটে চলে গেছে দৃঢ়তার সাথে ফুলেল অন্ধকারে।

কাব্য-জীবন...
কাব্য-জীবন…

পাঁচ# কাব্য-জীবন

ইটের খাঁজে খাঁজে পেরেক ঠুসে ঝুলিয়ে দেয়া পেইন্টিং
মোনালিসার ঠোঁটের তীর্যক হাসি কামড়ে ধরে শরীর-দেয়াল।
পলেস্তারা খসে পড়ে ঝুরঝুর করে
এ যাত্রায় বেঁচে গেলে কাব্য-জীবন
এবার হাতের ভাঁজ থেকে শরীর খোলো।

বদল...
বদল…

ছয়# বদল

আপোষের সাথে সম্পর্কযুক্ত নিঃশ্বাস
চরিত্রের রঙ নীল থেকে লাল, লাল থেকে হলুদ-সবুজ
নির্ভেজালভাবে সাদা-কালো দেখে অস্থিরতা স্থিরবিন্দুতে
অন্যের হাতের কলকাঠি নাড়ানো আদর,
এ নাকি প্রেম!
নারী এক মানুষ, হরেক মুখোশ(কম্প্রোমাইজ)।

 

হ্যামিল্টন, কানাডা
২৭ অক্টোবর, ২০১৫ ইং।

**ছবির জন্য কৃতজ্ঞ – সঙ্গীতা দত্ত ঊর্মী (ক্ষরণ এবং ফুলেল অন্ধকার)
                             শিল্পী সিদ্দিকা (মুক্তি)
আর অন্য তিনটি আমার তোলা।

 

১৩৪৯জন ১৩৪৯জন
0 Shares

৪৬টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ