এক# মুঠো-স্বপ্ন
কবিতা বড্ড বে-খেয়ালি হয়
হিসেব জানেনা সাজে অজস্র উপমায়
আসলে কবিরা তাদের পাতলা ঠোঁটের উচ্চারণে স্বপ্নভাঁজ করে বিতরণ করে
সুখের অসুখে বোকা হৃদয় এটুকু বোঝেনা
কবিরা গল্পফেরি করা সাধারণ মানুষ,
মাকড়সার মতো যাদের ঘর-বসতি।
দুই# ক্ষরণ
আজ হয়তো ঝুম বৃষ্টি হতে পারতো
নারীর বুকের ভেতর যেমন রক্তক্ষরণ হয়,
ঠিক তেমন বৃষ্টির প্রয়োজন ছিলো।
তিন# মুক্তি
ওই নারীকে কেউ দেখেনি, কেউ টের পায়নি তার স্পন্দন
সে যে এসে চলে গিয়েছিলো গহীনের পথে
ফিরিয়ে দিয়ে কবিতার বৈধ সময়।
চার# অহঙ্কারী -না
বেঁচে থাকার গল্প শুনে কবিতাও ফিরে গেছে ওখানে
ফিসফিসিয়ে বলে গেছে বৃষ্টির জল আর চাইনা
বাংলা অক্ষরের ‘ন’ আর ‘আ-কার’ সংযোগে,
তারপর অহঙ্কারী গ্রীবা তুলে হেঁটে চলে গেছে দৃঢ়তার সাথে ফুলেল অন্ধকারে।
পাঁচ# কাব্য-জীবন
ইটের খাঁজে খাঁজে পেরেক ঠুসে ঝুলিয়ে দেয়া পেইন্টিং
মোনালিসার ঠোঁটের তীর্যক হাসি কামড়ে ধরে শরীর-দেয়াল।
পলেস্তারা খসে পড়ে ঝুরঝুর করে
এ যাত্রায় বেঁচে গেলে কাব্য-জীবন
এবার হাতের ভাঁজ থেকে শরীর খোলো।
ছয়# বদল
আপোষের সাথে সম্পর্কযুক্ত নিঃশ্বাস
চরিত্রের রঙ নীল থেকে লাল, লাল থেকে হলুদ-সবুজ
নির্ভেজালভাবে সাদা-কালো দেখে অস্থিরতা স্থিরবিন্দুতে
অন্যের হাতের কলকাঠি নাড়ানো আদর,
এ নাকি প্রেম!
নারী এক মানুষ, হরেক মুখোশ(কম্প্রোমাইজ)।
হ্যামিল্টন, কানাডা
২৭ অক্টোবর, ২০১৫ ইং।
**ছবির জন্য কৃতজ্ঞ – সঙ্গীতা দত্ত ঊর্মী (ক্ষরণ এবং ফুলেল অন্ধকার)
শিল্পী সিদ্দিকা (মুক্তি)
আর অন্য তিনটি আমার তোলা।
৪৬টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
নারী এক মানুষ, হরেক মুখোশ
হরেক মুখোশে, নারী অন্য এক মানুষ ,
আপোষের ভাব নিয়ে গড়ে তোলে
সম্পর্কহীনতার নূতন সম্পর্ক।
এবারের লেখাগুলো বেশ গরমাগরম হাকুমুকুহীন।
চলুক।
নীলাঞ্জনা নীলা
হুম নারী কম্প্রোমাইজ করতে জানে। সে যতোই কষ্ট হোকনা কেন!
অনেক ভালো লাগলো বহুদিন পর আপনি প্রথম মন্তব্য করলেন আমার লেখায়।
ধন্যবাদ দিলাম না, অফুরান ভালোবাসা জানালাম। -{@
হার্টুকে দেবো না, শেষে না জ্ঞানের ভারে হার্টফেল করে। 😀 :D)
হুম চলিবেক। \|/
ছাইরাছ হেলাল
সত্যি সত্যি কম্প্রোমাইজ করে কি না জানি না, জানলে আপনাকে অবশ্যই জানাব।
ধন্যবাদ না দেয়াই ভাল, উচিৎ ও, আর হার্টু!! ভুলেও এ্যায়ছা কাজ করা যাবে না,
কমে যাবে ভাণ্ডারের অরূপ রতন।
জমিয়ে রাখুন যক্ষের জন্য, তার কাজে দেবে।
চলুক, চলতেই থাকুক।
প্রথম মন্তব্য করতে পেরে ধন্য ভাবতে ইচ্ছে করছে নিজেকে।
নীলাঞ্জনা নীলা
সেই জমিয়েই রেখেছি যক্ষরাজের জন্য।
আর আপনি নদীর জলে সাঁতার কাটুন, এতো নদীর সমারোহ। সাবধান ডুব দিন কিন্তু ডুবে যাবেন না। আচ্ছা শুকনো নদী যদি জলে ভরে ওঠে তখন কি করবেন শুনি? 😀
এই সেরেছে আমি আপনাকে জ্ঞান দিচ্ছি! তওবা তওবা। :p গুস্তাকি মাফ সম্রাট।
অরুনি মায়া
একই নারী কে কত রূপে সাজালে আপু। অনেক সুন্দর করে বোঝালে নারীর খুব গভীরের অংশ টা, যেটা রয়ে যায় লোকচক্ষুরর অন্তরালে।
তোমার আরো একটি সুন্দর উপস্থপনার জন্য একরাশ ভালবাসা (3 (3
নীলাঞ্জনা নীলা
লেখাটা হেঁটে হেঁটে লিখেছি আপু। মনের ভেতর থেকে নারীর অন্তর ছুঁতে চেয়েছি। পারি আর কই? বাইরের কাঠামো দেখে নারীকে অনুভব করা যায়না। আর ক’জন পারে তার মন বুঝতে কিংবা পড়তে?
ভালো থেকো ভালোবাসায়। -{@ (3
অরুনি মায়া
একদম ঠিক বলেছ আপুর,একজন নারীর মন কে কেউ বুঝতে পারেনা , কেউ ই না,!
আফসোস ,,,
নীলাঞ্জনা নীলা
নারীর তুলনা নারী-ই।
ভালো থেকো। -{@ (3
জিসান শা ইকরাম
কবিরা স্বপ্ন বিলাসী
স্বপ্ন দেখায় মানুষকে
নিজে স্বপ্নের মাজে থাকেনা………
কবিতা গুচ্ছ ভালো হৈসে।
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা সে আর কইতে। কতো রঙ ছড়ায় কিন্তু সব কৃত্রিম। সাময়িক মোহের জালে জড়ায়, বাঁধে। তারপর মাকড়সা হয়ে গিলে ফেলে। সাবধান নানা। 😀
তানজির খান
রক্ত ক্ষরণ সার্বজনিন। নারী, পুরুষে ভেদ নেই। যার হৃদয় আছে তার ক্ষরণ আছে।
অন্যের হাতের কলকাঠি নাড়ানো আদর,
এ নাকি প্রেম!
দারুণ ছিল লাইন দুটি আপি ।
নীলাঞ্জনা নীলা
তা ঠিক ভাইয়া। কিন্তু নারীরা যখন প্রেম করে আর সে কথা কাউকে বলে বদনাম হয় নারীরই। আর বিয়ের পর স্বামীকে বললে তো সংসারই শেষ। হৃদয়ের কথা কেউ বোঝেনা আর যারা বোঝে তারা খেলা দেখে।
অনেক লেকচার দিয়ে ফেললাম। 😀
তানজির খান
হা হা, আমি লেকচার পছন্দ করি আপি। অনেক সময় ইউটিউভ থেকে অপরিচিত কারো লেকচারও শুনি মন দিয়ে। লেকচার না শুনলে যে জীবন দেখি নাই সেই জীবন জানব কিভাবে? জানতে হলে শুনতে হয়।
নীলাঞ্জনা নীলা
হাহাহাহাহাহাহাহাহা। শুনে সত্যি খুব মজা পেয়েছি। :D)
মোঃ মজিবর রহমান
নারির জীবন এক
জিবনে বহুরুপী
কর্ম হরেক
দায়িত্ব হরেক।
রক্ত ক্ষরণ সবার সমান অন্তর আত্বায় জার ধারনের উপর নির্ভরশীল।
নীলাঞ্জনা নীলা
হুম নারী জীবন। উপড়ে এনে গেঁথে দেয়া। সেই গেঁথে থাকা জায়গাটাও একদিন নিজের থাকেনা।
ধন্যবাদ মজিবর ভাই।
লীলাবতী
কিছুটা রাগ,কিছুটা হতাশা,বাস্তবতা,চলে যাওয়া(ভুল হতে পারে আমার)- সব কিছু মিলিয়ে দারুণ কিছু অনু-কাব্য।
আপু আজ বৃষ্টি নেই,তারপরেও সকাল হতে-‘যদি মন কাঁদে চলে এসো ……চলে এসো…… ‘ গানটি বারবার শুনছি।আপনার পাশে বসে কেন জানি গানটি শুনতে ইচ্ছে করছে।কাছে এসে বসি নীলাপু ? -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
ওরে দিদি অবশ্যই বসুন। হাত ধরুন। চলুন গান করি, “আজি ঝরোঝরো মুখর বাদর দিনে।” আজ প্রচন্ড বৃষ্টি এখানে। আর ঠান্ডাও। উফ 🙁
বিকেলে আবার ডিউটি। ^:^
রিমি রুম্মান
আজ কিন্তু এই শহরে বৃষ্টি হবে
আঁধার কালো আকাশ ফুঁড়ে
শহর ধোয়া বৃষ্টি হবে একটু পরে
কষ্ট ছোঁয়া ক্ষরণ হবে
নীলাপু, লীলাপু চলনা
একটু বসি এই সকালে
দিনটি কাটুক গানে গানে। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
রিমি আপুইউউউউ কি সুন্দর কাব্যকথা! মন-প্রাণ জুড়িয়ে গেলো।
ভালোবাসা নেবেন আপুমনি। -{@ (3
আবু খায়ের আনিছ
কবির ঠোটের নাড়াতে জীবন হয় ছান্দ্যিক
বাস্তবতার বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে আসে
স্বপ্নীল এক নতুন জগৎ
নীলাঞ্জনা নীলা
কবির ঠোঁট কতো কথা যে বলে।
আমার এক বান্ধবী আছে ও বলে “কখনো কবি-দেবী-নেভি এদেরকে বিশ্বাস করিস না। কোনোদিন না।” শুনে সে যে কি হাসতাম। কারণ ও এতো মজা করে বলে যে না হেসে পারা যায়না। 😀 :D)
আবু খায়ের আনিছ
কবি-দেবী-নেভি এদের কথাই শুধু বলল, লেখকদের কিছু বলে না।
নীলাঞ্জনা নীলা
তা তো বলেনি ভাইয়া। জিজ্ঞাসা করবো, দেখি কি বলে! :D) 😀
আবু খায়ের আনিছ
জানাবেন কিন্তু। 😀 😀 😀
নীলাঞ্জনা নীলা
উত্তর তো পাইনি এখনও 😀
নাসির সারওয়ার
আসলে কবিরা তাদের পাতলা ঠোঁটের উচ্চারণে স্বপ্নভাঁজ করে বিতরণ করে।
ইসসস। একটু যদি পারিতাম 🙁
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাইয়ু আপনি তো কবি-ই। -{@
আমার একজনই নানা আছে উনি বলেন যারা জীবনের গল্প বলে জীবনের ছন্দে, তারাই কবি। 🙂
আমার নানাকে আপনি হয়তো চিনবেন জিসান শা ইকরাম। 😀
নীতেশ বড়ুয়া
৫ আর ৬ :c
বিশেষ করে বলবো ছয়ের কথা। নারীকে বা নারীকে বহুরূপী বলেও কতোতা মহান করেছেন খুবই অল্প কথাতে। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
ও নীতেশদা নারী হয়ে নারীদের কতো কথাই বললাম। অথচ আমার কোনো দুঃখ নেই। এ যে কি যন্ত্রণার গো। ;( ;(
নীতেশ বড়ুয়া
দুঃখ; দুঃখ; দুঃখ; দুঃখ চায় মন,
নীলা’দি বড় দুঃখ
দুঃখটা লাগে কেমন :p
নীলাঞ্জনা নীলা
আসলেই দুঃখুটা কেমুন? ;?
সুখ/আনন্দটা কেমন সেটা তো গোপাল ভাঁড়ের গল্পে পেয়েছি। :D)
নীতেশ বড়ুয়া
দুই অক্ষর ‘দ’সহযোগে ‘উ-কার’ আর ‘খ’ এর মাঝে ভালবাসায় পেয়ার ম্যেয় হাড্ডি হয়ে আছে যে ‘বিসর্গ’ সেটাকে দেখতে পেলেই হয়ে যাবে দুঃখ। দেখতে ও পেতে কেমন তখনই বুঝা হয়ে যাবে :D)
নীলাঞ্জনা নীলা
ও মাই গড :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D)
নীতেশ বড়ুয়া
:p
নীলাঞ্জনা নীলা
মশা কামড়ে দেবে জিহবা। :D)
নীতেশ বড়ুয়া
মশা আমার পা আর বাহুকে ভালবেসে ফেলেছে সেইইইইইই কবে!! যতই তাড়াই আর অবহেলা বা রাগ দেখাই না কেন কিছুতেই ভালবাসার প্রকাশ করতে ছাড়েনি ;(
নীলাঞ্জনা নীলা
হায় হায় মশার ভালোবাসা? :D) :D)
ও দাদা একটা লেখা দিয়েছিলাম ফেসবুকে সেদিন। মজা করেই।
গুনগুন প্রেম…
ভেঁজা ঠোঁট ছুঁয়ে দিলে এসে আলতো করে
তোমার ঠোঁটের মাঝে এতো বিষ,
চুমুকেই ফুলে লালচে বিন্দু।
শুধু একরাতের জীবনে কয়েক ফোঁটা রক্তপান,
চুষে নিতে জানো ভালোই।
তোমার চুম্বনে যদি মিটতো আকন্ঠ তৃষ্ণা আমার,
ভালোবেসে ফেলতাম তোমাকেই।
গানের সাথে চুম্বন তুমি ছাড়া আর কেউ কি শোনায়?
ওহে মশকী কি ভাগ্য তোমার,
তোমাকে নিয়েও প্রেমের লেখা হয়!!! :D) :D) :D) :D)
হ্যামিল্টন, কানাডা
২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ইং।
নীতেশ বড়ুয়া
উফফ… একেবারে ফুলে লালচে বিন্দু ^:^
আপনার এতো সুন্দর উৎসাহ পেয়েই ভালবাসা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে
নীলাঞ্জনা নীলা
:D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D)
মিথুন
কবিরা বেখেয়ালী নয় সবাই, অনেকে গুছিয়ে লেখে, ভাবেও গুছিয়ে। প্রত্যেকটি সুন্দর কবিতা……… 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
কবিদের আমি আসলে জানিনা। মানুষ জানলে তবে না কবিকে জানা যায়!
মিথুন লেখা মিস করছি তো। লেখা চাই। -{@
মেহেরী তাজ
আপনি যে পাক্কা কবি তা বারবার প্রমাণ হয়। ছবি গুলো জব্বর। 🙂
দুএকটা হয়তো আগেও দেখেছি। 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
পিচ্চি আপু কুবি আমি! 😮
কুপি বাতি নেই, তাহলে জ্বালিয়ে আয়নায় দেখতাম খালি চোখে। :D)
শুন্য শুন্যালয়
নারী শব্দেই যে ন এ আকার। প্রত্যেকটি ই সুন্দর নীলাপু।। শুধু মন এক ঝুম বৃষ্টিতে আঁটকে আছে। প্রেম আসলে কি রে নীলাপু?
নীলাঞ্জনা নীলা
প্রেম জানিনা। তবে অনেকেই এই শব্দটার অস্তিত্ত্ব টের পায়না। কেউবা বিশ্বাস করেনা।
কিন্তু প্রেম মানেই আবেগ। এই যে এখানে লিখছি, গপ্পো-আড্ডা-হাসি-আনন্দ শেয়ার করছি, এ তো প্রেমই আপু।
প্রেম মানেই কি শুধু দুজনে দুজনার?
প্রেম মানে এই গান – -{@ (3
https://youtu.be/eqS4lX4yfT0