
প্রতিদিন আমি যখন অফিস যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি তখনি মেয়ে রেডি হয়ে বসে থাকে আমার সাথে এক সাথে বের হবে।যদি বলি বাহিরের সব মজা খেলনার দোকান বন্ধ ।তখন সে কিছুইতেই বিশ্বাস করবে না।যদি তার হাতে টাকা ধরিয়ে দিয়ে বলি ৴দোকান খুললে মজা খেয়ে নিবে।তখন সে এটাও মানবেনা।তার বায়না হলো৴ সে আমার সাথে দোকানে যাবে টুকটাক মজা কিনবে তারপর সে শান্ত হবে।
একদিন ভাঙ্গা ভাঙ্গা শব্দে বলছে…
৴আব্বু আব্বু শোন শোন…
৴তুমি কিন্তু আর সিগারেট খাবে না৴
৴আচ্ছা৴সিগারেট খেলে কী হয় মা?
৴তুমিতো মইরা যাইবা!!
৴মইরা গেলেতো ভালই হবে।
৴না তুমি মরবা না,তাহলে আমারে ঘুরতে নিবে কে!মজা খাওয়াবে কে?
মেয়ে খুব চিন্তিত আরআমি মিটমিট করে হাসি।
মেয়েরা বাপের প্রতি যে যত্ন নেয় তা অন্য কেউ ওভাবে ওর মতন নেয় না।আমি এতো রাতে কেনো বাসায় ফিরি আরো আগে কেন আসতে পারিনা৴রাস্তায় যদি কোন বিপদ হতো৴ ইত্যাদি নানান ভাবনায় থাকে।অফিস যেতে কিংবা বাসায় ফিরে আসলে লুঙ্গি তোয়ালে কই দ্রুত খুজে দিয়ে ৴পেট ভরা থাকলেও কিছুনা কিছু খাবার সামনে এনে হাজির করবে।
বাবার কাছেও মেয়েরা সবচেয়ে বেশী আঁদুরি হয়। মেয়ের যে কোন বায়না ছেলের বায়নার আগেই পূরণ করে দেন।মেয়ের চোখের জল পিতার হৃদয় কষ্টে কেপে উঠে।হাসিমাখা মুখটি দেখলে মনে হয় যেন, জগতের সব সুখ ওর হাসিতে লুকিয়ে ছিলো।
মেয়েদের বাবারা যতদিন বেচে থাকবেন ততদিন তারা রাজকন্যা।মেয়ের বেড়ে উঠা থেকে শুরু করে শ্বশুরবাড়ী যাওয়া পর্যন্ত একমাত্র বাবাই তার নির্ভয়ে নির্ভরতার আশ্রয়স্থল।যে মেয়ের বাবা অকালেই হারায় সেই মেয়ের মত দুঃখি আর কেউ নেই।জীবন চলার পথে প্রতি কদমে একধরনের ভয় মেয়ের মনে রয়ে যায়।যা বাবা থাকলে সেয়ার করলে একশভাগ লাগব হতো সহজেই সমাধান করতেন।
মেয়ে বড় হলে পৃথিবীর নিয়মে তাকে যেতে হবে পরের ঘরে।এতো কষ্ট করে আদর যত্ন দিয়ে মেয়েকে বড় করে অবশেষে দিতে হয় সম্পূর্ণ অজানা অচেনা পরের ঘরে।সেখানে মেয়ে কেমন আছে? ভাল আছেতো? সবার সাথে মিলে মিশে থাকতে পারছেতো? নাকি পরের অপ্রত্যাশিত লাঞ্ছনাগুলো মুখ বুঝে সইছে? ইত্যাদি ভাবনাগুলো চিন্তায় বাবার মন ভারি করে রাখে।
মেয়েও খুব চিন্তায় থাকে বাবা ঠিকমত বাসায় ফিরছেতো? ঠিকমত খাওয়া দাওয়া করছেনতো? ঔষধগুলো কী সময় মত খাচ্ছে? চশমটা ঠিকঠাক জায়গা মত খুজে পানতো ইত্যাদি ভাবনাগুলো মেয়ের মনকে মন বার বার তাগাদা দেয়- চলো বাপের বাড়ী চলো।।
আজকের এই কন্যা দিবসে জগতের সকল কন্যারা ভাল থাকুক ৴সুস্থ থাকুক৴ নির্ভয়ে বেড়ে উঠুক, সমাজ সংসারে সমঅধিকারে থাকুক৴এই কাম্য।
সবাইকে
“কন্যা দিবসের শুভেচ্ছা”
২১টি মন্তব্য
হালিমা আক্তার
সকল কন্যাদের প্রতি রইল অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। কন্যারা ভালো থাকুক, ভালো থাকুক পৃথিবী।
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ আপু।
বোরহানুল ইসলাম লিটন
কণ্যা সন্তান যেন পিতার জন্য
আল্লাহর দেয়া নিয়ামত।
খুব সুন্দর উপলব্ধির ব্যক্ততা।
আন্তরিক শুভ কামনা রেখে গেলাম পাতায়।
মনির হোসেন মমি
দোয়া করবেন ভাই।ধন্যবাদ।
মোঃ মজিবর রহমান
আল্লাহ সকল কন্যা সন্তানকে ভালো ভালো রাখুক নিরাপদে রাখুক। আমিন।
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ ভাই।
আলমগীর সরকার লিটন
আসলেই কন্যা বলে কথা
অনেক অনেক কন্যা দিবসের শু্ভেচ্ছা রইল প্রিয় কবি মমি দা
মনির হোসেন মমি
জি কবি আপনাকেও শুভেচ্ছা।ধন্যবাদ।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
মেয়েরা বাবার প্রতি যতটা আবেগী, আদুরে বাবারাও মেয়েদের প্রতি ততটাই আবেগপ্রবণ, দুর্বল। বাবাদের কাছে মেয়েরা রাজকন্যা, বাবার মতো বটবৃক্ষের ছায়া আর কেউ দিতে পারেনা তাইতো বাবা যার নেই তার দুর্বলতার সুযোগ সবাই নেয়। কন্যা দিবসের শুভেচ্ছা ও শুভকামনা প্রতিটি কন্যার জন্য।
মনির হোসেন মমি
সহমত।এমন অসংখ্য মেয়ের জীবনের ঘটনা দেখেছি বাবাহীন ওরা নিরুপায়ের মত ভয়ে ভয়ে বেচে থাকে।
উর্বশী
সব মেয়েরাই বাবার ভক্ত বেশী হয়।
কন্যা দিবসের শুভেচ্ছা। সকল কন্যারা খুব ভাল ও আদরে থাকুক।আল্লাহ পাক সকলের সহায় হোক — আমীন।আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা সব সময়।
মনির হোসেন মমি
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
আমার একমাত্র কন্যাসহ সকল কন্যাদের প্রতি দোয়া আর শুভ কামনা রইলো।
মনির হোসেন মমি
আমীন।ধন্যবাদ।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
শুভ কামনা রইলো ভাইয়া।
ছাইরাছ হেলাল
নিজের কথাই বলি, মেয়ে কলেজ শেষের পথে (hsc), তাও তাঁকে কলেজে দিয়ে আসতে হয় (বাসার কাছেই কলেজ)।
আল্লাহ সব কন্যাদের সুস্থতায় আদর-সোহাগে রাখুক, এই কামনা করি।
মনির হোসেন মমি
হুম।মামণির জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল।ধন্যবদ প্রিয়।
রোকসানা খন্দকার রুকু
প্রথমত আমি কন্যা হলেও বাবা নেই। আর আমি অভাগা যে আমার কোন কন্যাও নেই। গর্বিত কন্যার বাবা মায়েরা সুখসাগরে ভেসেছিলো, আমি কষ্ট পেয়েছি।
তবে শুভ কামনা সবসময় পৃথিবীর সকল কন্যাদের জন্য।।। আর আমাদের মায়ের জন্য স্পেশাল ভালোবাসা❤️❤️❤️
মনির হোসেন মমি
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
নার্গিস রশিদ
সব কন্যা যেন দৃহ মনোবল নিয়ে বড় হয় এটাই আশা করবো । শুভ কামনা।
মনির হোসেন মমি
অসংখ্য ধন্যবাদ।