এ যে রাজাকার দলের মহা বিজয়
বর্তমান জামাত নিষিদ্ধ হবে কি না তা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত— আশরাফ।
বা বা সাত খণ্ড রামায়ন পড়ে শেষে সীতা রামের মা, কথার মত হয়ে গেল না কথাটা। মুক্তি যুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তির চাওয়া জামাত দল হিসেবে নিষিদ্ধ হক। তাদের রাজনীতি করার অধিকার কেড়ে নেওয়া হক। কিন্তু বর্তমান উপজেলা নির্বাচনের ফলাফলে জামাতের পক্ষে জন সমর্থন দেখলে তাদের নিষিদ্ধ করার পক্ষে তেমন কোন কারন খুজে পাওয়া যায় না।
চেয়ারম্যান—৩৬ ভাইস চেয়ারম্যান—১১৭ ( যা বিয়েনপির চেয়ে বেশি–১০৮, লিগ — ১৬৭) মহিলা ভাইস চেয়ারম্যন—৩৪
৭১ এ বিশ্বাস ঘাতকটা ও তাদের জেল বন্দী নেতাদের কু-কাম এর দরুন যে কথা উঠেছে—জামাত নিষিদ্ধ হক।
কিন্তু বাস্তবতা হল তাদের তরুণ নেতারা সকলেই ৭১ এর পরবর্তী প্রজন্মের। এদের সঙ্গে ৭১ এ ঘটনার নেই কোন সংযোগ। ফলে ফ্রেস ভাবমূর্তির এই সব তরুণ নেতা এবার উপজেলা নির্বাচনে ভাল করেছে।
জামাত নিষিদ্ধ করার দরুন অনেকে বলাবলি করছে জামাত মিসরের মুসলিম ব্রাদারহুটের মত আন্ডার গ্রাউন্ডে চলে যাবে। বাস্তবতা বলে এটি ডাহা ভুল কারন জামাত দল হিসেবে নিষিদ্ধ হলেও তাঁরা অন্য নামে অলরেডি ২ টি দলের নিবন্ধন করে রেখেছে। জামায়াত নিষিদ্ধ হলে সেইদুইটি দলের একটি হবে জামায়াতইসলামীর সংস্কারিত রুপ ।যা নাকি তুরস্কে বর্তমান ক্ষমতাশীল দল জাস্টিসএন্ডডেভেলাপমেন্টপার্টির (একেপি) (যা পূর্বের ইসলামপন্থীওয়েলফেয়ারপার্টির নতুন রুপ মাত্র।) মত ব্যপার মাত্র।
তাহলে লাভ টা হল কি ? জামাত অন্য নামে ঠিক রাজনীতি করছে ও করবে? তাই ঐ যাই লাউ তাই কদু, নামের একটু হের ফের।
তাই তো এখন শুনি এবং শুনতে হয়—- মানবতা বিরেধী অপরাধের দায়েমৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী জনগণের আদালতেবিজয় অর্জন করেছেন বলে নিজেই মন্তব্য করেছেন।সাঈদী বলেছেন, ‘বিচারিক আদালতে যে রায়ই হোক না কেন আমার বিজয় হয়েছেজনতার আদালতে।পিরোজপুরের জিয়ানগর বাসী উপজেলা নির্বাচনে ব্যালটের মাধ্যমে আমার এবিজয় ছিনিয়ে এনে দিয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে মাসুদ সাঈদী বলেন, ‘আমার বাবাকে জিয়া নগরবাসী ভালবাসে বলেই তারা আমাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেছে।জিয়া নগরের আলোচিত ইউনিয়ন পাড়েরহাট।এই ইউনিয়নে সংগঠিত মানবতাবিরেধী অপরাধ বেশি হয়েছে বলে রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।এখানে সংগঠিত মানবতা বিরোধী অপরাধের দায়ে আমার বাবাকে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।বাবা যদিঅপরাধই করতেন তাহলে ওখানে আমি কোনো ভোটই পেতামনা। বাবা যে ওইস্থানে কোনো ধরনের অপরাধ করেননাই তারপ্রমাণ ওখানে আমিসর্বোচ্চ ভোট পেয়েছি।’
বাবাকে নির্দোষ দাবি করে সাঈদী পুত্র মাসুদ সাঈদী বলেন, ‘এ নির্বাচনের মাধ্যমে জনতা তাদের মতামত দিয়েছেন।যাতে প্রমাণিত হয়েছেআমার বাবাসম্পূর্ণ নির্দোষ।’
৪টি মন্তব্য
খসড়া
হ হের বাবা নির্দোষ আর আমার বাপ দোষী আর হের বাপরে রাজাকার কইয়া আমি হইছি পাপী। মন চায় আত্ম হত্যা করি।
ব্লগার সজীব
সহজ সরল সাধারন মানুষকে ধর্মের ফাদে ফেলে, প্রতারনা করে ভোট নেয়া সহজ। আচ্ছা সাইদির ছেলে কি এমন প্রাচার করেছে, আমি রাজাকার সাইদির ছেলে, আমাকে ভোট দিন।
রাজাকার সাইদি যাই হোক ও একটা রাজাকার। 🙂
মা মাটি দেশ
কোন মন্তব্য করতে পারলাম না তবে লেখায় বাস্তবতা উঠে এসেছে। -{@ (y)
জিসান শা ইকরাম
যে কোন রাজাকারকে তার রাজাকারের পরিচয়ে আসতে বলুন । ধর্মের আড়ালে লুকায় কেন সে ?