এপিগ্রাম ইন “আট কুঠুরি নয় দরজা”

মরুভূমির জলদস্যু ২৮ নভেম্বর ২০১৪, শুক্রবার, ০৭:৫৬:৩০পূর্বাহ্ন সাহিত্য ১৬ মন্তব্য

অনেকদিন আগে পড়া সমরেশ মজুমদারের “আট কুঠুরি নয় দরজা” আমার পড়া চমৎকার উপন্যাসগুলির একটি। ভালো না লেগে উপায় নেই, এতো চমৎকার এর কাহিনী। এতোটাই চমৎকার কাহিনী যে আমি এক দিনে বইটি পড়ে শেষ করে ফেলেছিলাম। এই উপন্যাসটি আমি একাধিকবার পড়েছি। বইটি পড়ার সময় অনেকগুলি এপিগ্রাম চোখে পড়েছিল আর আমার স্বভাব মত সেগুলি দাগিয়ে রেখেছিলাম। আজ সেগুলিই শেয়ার করছি।

 

১/ অযত্ন অবহেলায় ঈশ্বর জন্মলগ্নেই বাঙ্গালী মেয়েদের শরীর এবং মনে সংকোচ শব্দটাকে এঁটে দিয়েছেন।
২/ শূন্য চরাচরে শুধু নীড়ে ফেরা পাখিরাই এখন সঙ্গ দিচ্ছে।

 

৩/ যেটুকু সময় পাওয়া যায় ততটুকুই জীবন।

 

৪/ তুমি অনেক চেষ্ঠা করে যদি জিরো পাও তাহলে আমি তোমাকে বাহবা দেব না।

 

৫/ যে কোনো স্তব্ধতা মানে বড় আক্রমণের প্রস্তুতি।

 

৬/ শেষ আঘাত হারার সুযোগ এক জীবনে একবাই আসে।

 

৭/ অনেক সময় বোকারাও ঠিকঠাক কাজ করে ফেলে।

 

৮/ কথাটা যে মিথ্যা তা শিশুও বলে দেবে। কিন্তু মিথ্যাটা প্রমাণ করা যাচ্ছে না।

 

৯/ ঘুম। তুমি আমার খুব প্রিয়, কিন্তু আমার হাতে সময় নেই তোমাকে সঙ্গ দেবার।

 

১০/ জলে যেখানে হাঙরের সাথে লড়াই সেখানে একটা কুমিরের মৃত্যু নিয়ে কেউ মাথা ঘামাবে না।

 

১১/ কেউ অপরিহার্য নয় কথাটা শেষ পর্যন্ত সত্যি হলেও সময়বিশেষে মেনে নেয়া যায় না।

 

১২/ যা সত্য তা সবসময়ই সত্য। ক্ষেত্র বদল হলেও তার কোনো পরিবর্তন হয় না। পরিবর্তন যে করে সে সুযোগ সন্ধানী।

 

১৩/ তরবারার ফলায় হাত রাখলে কেটে যায়, ওকে কব্জা করতে হলে তার হাতল ধরতে হয়।

 

১৪/ মেরুদণ্ডহীন প্রাণীকে প্রশ্রয় দিলে নিজেদের সর্বনাশই ডেকে আনা হবে।

 

১৫/ বন্দুক দিয়ে ছবি আকার মত ব্যাপার।

 

১৬/ আমি তোমার মতো কান দিয়ে দেখি না।

 

১৭/ সম্পর্ক পালটাতে পালটাতে যখন শীতল থেকে শীতলতর হয়ে যায় তখন যে পক্ষ দুঃখ পায় সে পক্ষ কি মুর্খ?

 

১৮/ সকাল সব সময়ই চমৎকার। হাজার হোক সকাল মানে একটা গোটা রাতের শেষ।

 

১৯/ গির্জায় গিয়ে প্রার্থনা না করলে ঈশ্বর শনতে পাবেনা বলে যারা মনে করেন তারা ঈশ্বরের ক্ষমতাকে ছোট করে দেখেন।

 

২০/ আকাশে মেঘ দেখেও কেউ কেউ ছাতি না নিয়েই বেড় হয় এবং না ভিজেই গন্তব্যে পৌছে যায় কারণ বৃষ্টিটা তখনো নামেনি। কিন্তু বৃষ্টি নামতে পারে ভেবে ছাতি নেয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ।

 

২১/ মরে যাবার পর শান্তির কি দরকার, যদি সারাটা জীবনই শান্তি না পেরাম জীবিতো অবস্থায়।

 

২২/ বিজ্ঞান সব করতে পারে। এখন যা পারছেনা আগমী কাল পারবে।

 

২৩/ ফ্যান ঠিক ঠিক চালাতে একটা রেগুলেটার লাগে। সেটা এড়িয়েও তো ফ্যান চালানো যায়। কিন্তু একই স্পিড থাকে আর ঝুঁকিও।

 

২৪/ সাধারণ মানুষ চীরকাল অল্পতেই খুশি।

 

২৫/ মানুষ বিশ্বাস না করলেও কৌতূহলী হয়।

 

২৬/ রূপের সাথে অহঙ্কার না মিশলে মেয়েরা সত্যিকারের সুন্দরী হয় না।

 

২৭/ বুড়ো হলেই মানুষ খুব সেয়ানা আর স্বার্থপর হয়ে যায়।

 

২৮/ মানুষের চেয়ে বিষাক্ত প্রাণী কিছু আর নেই।

 

২৯/ মানুসিক জোর অসুস্থতাকে দ্রুত সারিয়ে ফেলে।

 

৩০/ যখন কেউ আস্থাভাজন থাকে না তখন তার ত্রুটি খুঁজে পেতে দেরি হয় না।

 

৩১/ যে মানুষ সাহায্য করে তার মুখ এবং ব্যবহার থেকে সেটা বোঝা যায়।

 

৩২/ প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে মানুষের ব্যবহার দ্রুত বদলে যেতে শুরু করে।

 

সমাপ্ত

———————————————–

মরুভূমির জলদস্যুর “এপিগ্রাম” সমগ্র :

১। এপিগ্রাম ইন “ক্লিওপেট্রা”

৫১৪জন ৫১৪জন
0 Shares

১৬টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ