বাবা মা হারানো একটি শিশুর দিন শুরু হয় রাস্তায়,শেষ ও হয় সেথায়। ক্ষুধার কাতর প্রানে তার মুখের আহার হয় , ডাস্টবিনে ফেলে রাখা বাসি পচা রুটি তার নেই কেউ স্বজন মমতাময়ী , যে বেধে দিবে উস্কো সস্কো চুলে রঙিন ঝুটি। সেই শিশুটির বাসস্থান হয় গাছতলায় ছেড়া জামা পরে দিন কাটে অজানায়। কখনো গায়ে ধুলি মেখে করে কাগজ টুকানো শুরু কখনো ব্যস্ত রাস্তায় হন্ন হয়ে ফুল বিক্রি করে যাকে দেখলে ধনীরা কুচকায় ভ্রু । কখনো নির্মম দুঘটনায় হাত পা হারিয়ে ভিক্ষার থালা নিয়ে বসে পথে এই কি তাদের পাওয়া এই ধরনি হতে? একটি শিশু লেখাপড়া করে হবে জাতির কর্নধার সভ্যতার উন্নয়ন কেমনে হবে যদি জ্ঞান না থাকে তার? শিশুদের জন্য চাই পরিবেশ,চাই স্বাধীনতা ধনী গরীব সকলে আসুন বাড়াই হাতটা আসুন মোরা আহার তুলে দেই অনাহারী শিশুর মুখে বস্র, বাসস্থান দিয়ে তাদের টেনে নিই বুকে। শিক্ষার সুযোগ দিয়ে করি তাদের আলোকিত একদিন মোরা পাব স্বর্নপ্রভাত মনের মত।
১৬টি মন্তব্য
মেঘাচ্ছন্ন মেঘকুমারী
এমন শিশুকে মমতায় বাচিয়ে রাখতে হবে।
শুভ্র মোহন্ত
ক’জন বাড়ায় মমতার হাত, বেশির ভাগ মানুষইতো এদের সমাজের বোঝা ভাবে ।
ছাইরাছ হেলাল
স্বাগত আপনি এখানে। লিখুন নিয়মিত ও পড়ুন ।
শিশুরাই আগামীর ভবিষ্যৎ। সাহায্যের হাত বাড়াতেই হবে আমাদের।
এখানের নিয়মানুযায়ী প্রতি ২৪ ঘন্টায় আপনি একটি লেখা দিতে পারবেন।
শুভ্র মোহন্ত
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আমার লিখাটি পড়ার জন্য । এই সব সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আপনি ভেবেছেন জেনে খুশি হলাম।এদের চাহিদা আহামরি কিছু নয় খুব অল্প , আর এদের সাহায্য করলে নিজের কাছেও ভালো লাগে ।
মামুন
মানুষ মানুষের জন্য, তাই মানুষকেই এইসব অবহেলিত শিশুদেরকে কাছে টেনে নিতে হবে। যার যার যায়গায় থেকে যতটুকু পারা যায়, সাহায্য করা উচিত।
অনেক ধন্যবাদ পোষ্টটির জন্য।
শুভকামনা রইলো।
শুভ্র মোহন্ত
লিখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।ভূপেন হাজারিকার মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না গানটার কথা মনে পড়ে গেলো।
আপনার জন্যও অনেক অনেক শুভকামনা ।
জিসান শা ইকরাম
সোনেলায় স্বাগতম।
এসব ভাবলে কষ্ট লাগে।
প্রথম পোষ্ট থেকে বুঝলাম, আপনি এসব নিয়ে ভাবেন।
শুভ কামনা।
শুভ্র মোহন্ত
অসংখ্য ধন্যবাদ লিখাটি পড়ার জন্য।আমি অনেক ছোটকাল থেকেই এই সকল বিষয় নিয়ে ভাবি , আপনি ঠিক ধরতে পেরেছেন । বাস্তবতার সহজ উদাহরন হল ভেবে কি হবে ওদের জন্য কিছু করতে পারিনি।
অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য ।
ব্লগার সজীব
ভালো লিখেছেন।
শুভ্র মোহন্ত
লিখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ । 🙂
শুন্য শুন্যালয়
আপনাকে সোনেলায় স্বাগতম ভাইয়া।
প্রথম পোস্টেই আপনার চিন্তা ভাবনার প্রকাশ পেলো।
ভালো লিখেছেন। এমন শিশুদের জন্য মমতার হাত বাড়াতেই হবে।
শুভ্র মোহন্ত
অনেক ধন্যবাদ লিখাটি পড়ার জন্য । আপনাদের মাঝে আস্তে পেরে অনেক সুখি মনে হচ্ছে নিজেকে।
আশা রাখি ভবিষ্যতেও সঙ্গেই থাকবেন। অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য 🙂 :=
মরুভূমির জলদস্যু
আমাদের চারপাশে এদের বসবাস।
শুভ্র মোহন্ত
মানুষটা আমাদের এলাকায় বছরের পর বছর ধরে পড়ে আছে। আমি তাকেএকবার জিজ্ঞেস করেছিলাম চাচা, আপনার জীবনের একমাত্র চাওয়া কি? চাচা চোখ বড় করে উত্তর দিয়েছিলেন- বালিশ, আমি একটা শিমুল তুলার বালিশ চাই! 🙂
খেয়ালী মেয়ে
বাসা থেকে বের হলেই এই সর্বহারা শিশুগুলোর দেখা মিলে–
শিক্ষার সুযোগ দিয়ে করি তাদের আলোকিত একদিন মোরা পাব স্বর্নপ্রভাত মনের মত-আপনার সাথে একমত পোষণ করলাম..
শুভ্র মোহন্ত
জানেন, খুব খারাপ লাগে তখন, যখন দেখি কমলমতি এই শিশু গুলোকে তাদের মা বাবা স্কুলে না পাঠিয়ে পরিবারের অভাব মোচনের আশার বাড়তি আয়ের জন্য কাজে পাঠাচ্ছে।এরা ঘাড়ের উপর একটা বস্তা নিয়ে প্লাস্টিকের টুকরো,ভাঙ্গা বোতল যাবতীয় জিনিস রাস্তায় রাস্তায় কুরচ্ছে।অথচ ঐ বয়সে শিশুটির ঘাড়ে বস্তা নয় থাকার কথা ছিল লাল টুকটুকে একটা স্কুল ব্যাগ,ব্যাগ ভর্তি বই আর মায়ের মমতা মাখানো টিফিন বক্সে সুস্বাদু খাবার।এদের মধ্যে অনেকেরই আবার মা বাবা নেই এদের কষ্ট আরও বেশী জীবনটা ওদের কাছে যেন অভিশাপ লোকে যাদের জারজ বলে।
শুধুমাত্র সরকার এবং আমাদের শুভ দৃষ্টিই পারে এই সকল সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ভবিষ্যৎ এবং দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সমৃদ্ধশালী এবং মেধাবী করতে।
শিক্ষার সুযোগ দিয়ে করি তাদের আলোকিত একদিন মোরা পাব স্বর্নপ্রভাত মনের মত।
আমার লেখাটির সাথে সহমত দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। (y)