ঠিক ধরেছেন অপার্থিব। অস্তিত্বের সবচেয়ে মৌলিক আর গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। প্রত্যেকের জীবনে একবার না একবার এই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। কারো কাছে উত্তর থাকে, কেউ খুঁজে নেয়।
সোনেলার সম্ভবতঃ সব চেয়ে কম শব্দের পোষ্ট।এ ক্ষেত্রে এ পোষ্ট স্বরণীয় হয়ে থাকবে-ছিলাম-অতীত,আছি-বর্তমান আর থাকবো- ভবিষৎ এরপর জানি না-অনন্ত জীবনের সন্ধ্যানে।চমৎকার লিখেছেন কবি।
চোখ লাল হলে আপনজনেরা ভাবে কেঁদে লাল হয়েছে, শত্রুরা ভাবে রাগের কারণে লাল দেখাচ্ছে,
আর ডাক্তারের সামনে গেলে ডাক্তার বুঝে নেয় ভাইরাসের সংক্রমণ। অক্ষর সংখ্যা ২৭ ! এটাও গুনে বের করে
ফেলেছেন? রহস্য আর কিছু বাকি রাখা গেলো না!! 😰😰
ছিলাম আদি মানব, গ্রীক উপাখ্যানের সমস্ত প্রেমিক/ প্রেমিকা, বেহুলা লক্ষ্মীন্দর, লাইলি মজনু হয়ে
থাকবো সেভাবেই যেভাবে মরে গিয়ে বেঁচে উঠেছি বার বার
আছি তো অবশ্যই বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া কোন অঙ্গের ফিরে পাওয়ার পূর্নতায়
জানিনা বললেই হয় না শেষ, শেষ বলে কিছু নেই, সমাপ্তিতেই সমাপ্ত না, নতুন উপাখ্যানের প্রারম্ভ তা।
সোনেলায় প্রকাশিত সবচেয়ে ছোট পোষ্টের মধ্যে এত কিছু আছে!
সোনেলায় প্রকাশিত সবচেয়ে ছোটো এই লেখায় কিছু থাকুক বা না থাকুক, আপনার মাঝারি সাইজের মন্তব্যে বিশাল কিছু দেখতে পাচ্ছি। স্মৃতির পাতায় চব্বিশ ঘন্টার জায়গায় শত সহস্র বছর কিভাবে আনলেন কিছুই বুঝলাম না !!
মন্তব্যের ভিতরে একবার গেলেন গ্রীক, তারপর চলে গেলেন বেহুলার বাসর ঘরে, ঐখানে না থেমে আবার দৌড় দিলেন লাইলী–মজনুর মরুভূমিতে !!
কেন জানি মনে হচ্ছে এটা আপনি কমেন্ট দেয়ার জন্যে লেখেননি। ব্যাপারকি? হঠাৎ এমন কমেন্টের রহস্য কি ?
আপনার এই পাঁচ লাইনের লেখার মাঝে আমি জন্মজন্মান্তর কিছু একটা পেয়েছি।
এই বিষয়টা যেন আমারই, আমার লেখা লেখি বা পড়ার সবচেয়ে প্রিয় বিষয় হচ্ছে জন্মান্তর।
আমি জন্মান্তরের লেখায় নিজেকে মনে হয় উজার করে দিতে পাড়ি।
এমন লেখা যখন লিখি, তখন আমি আমার বর্তমানের সাথে শত সহস্র বছরের কাউকে অনুভব করি, যে আমাকে দিয়ে এসব লেখা লেখিয়ে নেয়।
কেন জানি মনে হয়, আমার জন্মান্তর হচ্ছে, কখনো ইউরোপ, কখনো আফ্রিকা, আমেরিকা মহাদেশে।
কখনো এশিয়ার বিভিন্ন দেশে, আমাদের দেশে।
হয়ত প্রিয় বিষয় নিয়ে লিখতে বসলে, লেখার একেবারে গভীরে প্রবেশ করি আমি, তাই এমন মনে হতে পারে।
‘ আমি আমি না ‘ সিরিজে এমন প্রায় সাতটি লেখা আছে আমার সোনেলায়। যে লেখা গুলোতে আমি খুব আনন্দ নিয়ে ছিলাম।
আপনি ঠিকই ধরেছেন, আমি জন্মান্তরের লেখায় ফিরতে চাচ্ছি আবার। লিখে ফেলবো খুব শীঘ্র।
আপনি নতুন লেখা দিচ্ছেন না কেন?
অপেক্ষায় আছি আপনার লেখার জন্য।
শুভ কামনা।
কখনো বাস্তবতা খুব নির্মম হয় আর অমোঘ সত্য গুলো হয় দুর্ভেদ্য। আপন সত্বা আপন অস্তিত্বের মাঝে আছে কি নেই এই প্রশ্নটা অবান্তর মনে হলেও আমরা কোনো না কোনো সময় প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে থাকি।
৩৬টি মন্তব্য
প্রহেলিকা
কঠিন করে লিখেছেন!
ছাইরাছ হেলাল
শুধু আপনিই লিখবেন!! তাই না!!
দেইখখেন আবার তরজমা চাইয়েন না, ভুত নামিয়ে ফেলতে পারে।
প্রহেলিকা
সেই ভুল করা যাবে না। ধুমো বেশিই বেরুচ্ছে। পানি ঢালেন। আপনার বাতাস লেগেছে না’হলে এভাবে কেন লিখবে?
ছাইরাছ হেলাল
অন্যের ঘাড়ে চাপালে কাজ হবে!!
ঠিক আপনার মতই কঠিন লেখা।
প্রহেলিকা
জাতি সব জানে সব জানে, উদর পিণ্ডি ভুদোর ঘাড়ে চাপানো সহজ কাজ নয়।
সাবিনা ইয়াসমিন
হু, সহজ উপলব্ধিকে কঠিন করে লিখেছি। যা কিছু সহজে বলা–বোঝা যায় তা সহজ করে লিখলে হবে?
প্রহেলিকা
পরিচিত ওঝা ফোজা কেউ থাকলে ঝাড়ফুঁক নেন দয়া করে। কঠিন কুবির বাতাস লাগছে আপনারও। দূরে দূরে থাকেন, এ বাতাস কঠিন বাতাস।
ঝাড়ফুঁক এর ব্যবস্থা করেন, পাঠকের চান্দি চান্দির জায়গায় থাকতে দিন।
সাবিনা ইয়াসমিন
* বাতাস লেগেছে আপনারও * মানে আপনার বাতাস খাওয়া হয়ে গেছে !!
অপার্থিব
অস্তিত্বের সবচেয়ে মৌলিক প্রশ্ন!
সাবিনা ইয়াসমিন
ঠিক ধরেছেন অপার্থিব। অস্তিত্বের সবচেয়ে মৌলিক আর গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। প্রত্যেকের জীবনে একবার না একবার এই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। কারো কাছে উত্তর থাকে, কেউ খুঁজে নেয়।
শুভ কামনা 🌹🌹
মনির হোসেন মমি
সোনেলার সম্ভবতঃ সব চেয়ে কম শব্দের পোষ্ট।এ ক্ষেত্রে এ পোষ্ট স্বরণীয় হয়ে থাকবে-ছিলাম-অতীত,আছি-বর্তমান আর থাকবো- ভবিষৎ এরপর জানি না-অনন্ত জীবনের সন্ধ্যানে।চমৎকার লিখেছেন কবি।
সাবিনা ইয়াসমিন
ধন্যবাদ মমি ভাই। কবি!! আমি আপনার বোন হই, ঐ সম্বোধন টাই আমার কাছে বেশি আপন।
ভালো থাকবেন, শুভকামনা রইলো 🌹🌹
মাহমুদ আল মেহেদী
সম্পূর্ণ জীবন
চমৎকার
অফুরন্ত
সাবিনা ইয়াসমিন
ধন্যবাদ মেহেদী ভাই।
শুভকামনা
অবিরত 🌹🌹
ছাইরাছ হেলাল
মাত্র চব্বিশ ঘন্টা!!
মাথার উপ্রে দিয়ে গেছে, যায়নি!!
সাতাশ অক্ষরে তো মহা কাব্য নামিয়ে ফেললেন।
সাবিনা ইয়াসমিন
আপনার কাছেতো এটাই মনে হবে।
চোখ লাল হলে আপনজনেরা ভাবে কেঁদে লাল হয়েছে, শত্রুরা ভাবে রাগের কারণে লাল দেখাচ্ছে,
আর ডাক্তারের সামনে গেলে ডাক্তার বুঝে নেয় ভাইরাসের সংক্রমণ। অক্ষর সংখ্যা ২৭ ! এটাও গুনে বের করে
ফেলেছেন? রহস্য আর কিছু বাকি রাখা গেলো না!! 😰😰
ছাইরাছ হেলাল
ঝানু গোয়েন্দা লেখক হলে কত কি খুঁজে পেতাম,
রহস্য রহস্যের কাছেই থেকে গেল।
লাল-চোখ কোন আড়াল-চোখ কী না কে জানে।
সাবিনা ইয়াসমিন
আড়াল চোখ তো বটেই, নইলে লাল হবে কেন? বেগুনি বা নীল হতে পারতো। আপনার প্যাঁচার চোখের জানি কি কালার ছিলো? লাল আর হলুদ !!
ছাইরাছ হেলাল
ঐ যে আমার উলুক ঊলুকীর দিলে চোখ দিয়েন্না প্লিজ।
ছাইরাছ হেলাল
আমিও এমুন করে লিখতে চাই,
কিন্তু…………
মোঃ মজিবর রহমান
কি লিখলে ভাই, সমীকরণ জটিল। কিছুই জানিনা। চাইও না।
সাবিনা ইয়াসমিন
তেমন কিছু না ভাইজান, জটিল সমীকরণ টা একটু সহজে বোঝার চেষ্টা করলাম।
মোঃ মজিবর রহমান
বন্দি জীবন
বন্দি ভালবাসা
বন্দিই আছি।
সাবিনা ইয়াসমিন
আমরা বন্দিই থাকি। সৃষ্টির শুরুতেই প্রান পাখিটা দেহের খাঁচায় বন্দি হয়ে আসে। তারপর একদিন যখন মুক্তি পায় তখন উড়ে যায় সেখানে, যেখান থেকে এসেছিলো।
ভালো থাকবেন ভাইজান 🌹🌹
মোঃ মজিবর রহমান
একটি গজল শুনুন।
https://youtu.be/VYR_TL_I2Ak
নীলাঞ্জনা নীলা
“ডাক পাঠালেই থেমে যায় সব।”
আপু আর কিচ্ছু বলার নেই।
সাবিনা ইয়াসমিন
আর কিছু বলার থাকেওনা আপু। ❤❤
নীলাঞ্জনা নীলা
ভালো থাকুন আপু।
জিসান শা ইকরাম
_স্মৃতির খাতায় যোগ করেছি শত সহস্র বছর
ছিলাম আদি মানব, গ্রীক উপাখ্যানের সমস্ত প্রেমিক/ প্রেমিকা, বেহুলা লক্ষ্মীন্দর, লাইলি মজনু হয়ে
থাকবো সেভাবেই যেভাবে মরে গিয়ে বেঁচে উঠেছি বার বার
আছি তো অবশ্যই বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া কোন অঙ্গের ফিরে পাওয়ার পূর্নতায়
জানিনা বললেই হয় না শেষ, শেষ বলে কিছু নেই, সমাপ্তিতেই সমাপ্ত না, নতুন উপাখ্যানের প্রারম্ভ তা।
সোনেলায় প্রকাশিত সবচেয়ে ছোট পোষ্টের মধ্যে এত কিছু আছে!
সাবিনা ইয়াসমিন
সোনেলায় প্রকাশিত সবচেয়ে ছোটো এই লেখায় কিছু থাকুক বা না থাকুক, আপনার মাঝারি সাইজের মন্তব্যে বিশাল কিছু দেখতে পাচ্ছি। স্মৃতির পাতায় চব্বিশ ঘন্টার জায়গায় শত সহস্র বছর কিভাবে আনলেন কিছুই বুঝলাম না !!
মন্তব্যের ভিতরে একবার গেলেন গ্রীক, তারপর চলে গেলেন বেহুলার বাসর ঘরে, ঐখানে না থেমে আবার দৌড় দিলেন লাইলী–মজনুর মরুভূমিতে !!
কেন জানি মনে হচ্ছে এটা আপনি কমেন্ট দেয়ার জন্যে লেখেননি। ব্যাপারকি? হঠাৎ এমন কমেন্টের রহস্য কি ?
জিসান শা ইকরাম
আপনার এই পাঁচ লাইনের লেখার মাঝে আমি জন্মজন্মান্তর কিছু একটা পেয়েছি।
এই বিষয়টা যেন আমারই, আমার লেখা লেখি বা পড়ার সবচেয়ে প্রিয় বিষয় হচ্ছে জন্মান্তর।
আমি জন্মান্তরের লেখায় নিজেকে মনে হয় উজার করে দিতে পাড়ি।
এমন লেখা যখন লিখি, তখন আমি আমার বর্তমানের সাথে শত সহস্র বছরের কাউকে অনুভব করি, যে আমাকে দিয়ে এসব লেখা লেখিয়ে নেয়।
কেন জানি মনে হয়, আমার জন্মান্তর হচ্ছে, কখনো ইউরোপ, কখনো আফ্রিকা, আমেরিকা মহাদেশে।
কখনো এশিয়ার বিভিন্ন দেশে, আমাদের দেশে।
হয়ত প্রিয় বিষয় নিয়ে লিখতে বসলে, লেখার একেবারে গভীরে প্রবেশ করি আমি, তাই এমন মনে হতে পারে।
‘ আমি আমি না ‘ সিরিজে এমন প্রায় সাতটি লেখা আছে আমার সোনেলায়। যে লেখা গুলোতে আমি খুব আনন্দ নিয়ে ছিলাম।
আপনি ঠিকই ধরেছেন, আমি জন্মান্তরের লেখায় ফিরতে চাচ্ছি আবার। লিখে ফেলবো খুব শীঘ্র।
আপনি নতুন লেখা দিচ্ছেন না কেন?
অপেক্ষায় আছি আপনার লেখার জন্য।
শুভ কামনা।
তৌহিদ
অল্প ক’টি শব্দেই বুঝিয়ে দিলেন জীবনের মানে। এর উত্তর আমার জানা নেই, তবে প্রত্যেক মানুষের জন্য অমোঘ সত্য।
ভালো থাকবেন আপু।🌹
সাবিনা ইয়াসমিন
কখনো বাস্তবতা খুব নির্মম হয় আর অমোঘ সত্য গুলো হয় দুর্ভেদ্য। আপন সত্বা আপন অস্তিত্বের মাঝে আছে কি নেই এই প্রশ্নটা অবান্তর মনে হলেও আমরা কোনো না কোনো সময় প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে থাকি।
আপনিও খুব ভালো থাকুন, দোয়া ও শুভকামনা রইলো 🌹🌹
তৌহিদ
ধন্যবাদ আপু
শাহরিন আক্তার মুক্তা
এতো বছরে চব্বিশ ঘণ্টা কেবল!!!
সাবিনা ইয়াসমিন
চব্বিশ ঘন্টা কি কম হয়ে যায় ? তাহলে চব্বিশ যুগের হিসেব করা শুরু করি 🤔