উনপঞ্চাশ –
তিরির প্রতি
আমার ফুলটুসীটাকে বলিস কিছুদিন মোটে, আসছি খুব তাড়াতাড়ি। এসেই দুজনে মিলে ওর মাকে জ্বালাবো।
আর ছাগলী আমার হাসির জন্য সবাই পাগল। তাই ভাব ধরে থাকি। এতোজনকে ম্যানেজ করা সম্ভব না।
অবশ্য কঠিনও না। কিন্তু ওসব এখন করবো না।
আমার ফুলটুসীটা এলে দুজনে মিলে সবগুলোকে নাচাবো। বুঝলি?
– তোর অহম
পঞ্চাশ –
অহমের প্রতি
নাহ তোর বদল হলো না। হবেও না। আমার মেয়েটাকে তুই নষ্ট করেই ছাড়বি দেখছি!
শোন আজ অফিসে গিয়ে দেখি নতূন একটা মেয়ে এসেছে। ওহ বলিনি তোকে দু’ সপ্তাহ যেতে পারিনি অফিসে। চিন্তার কিছু না, জানিস তো প্রিয়কে একটু মাথা ঘোরাচ্ছিলো, অমনি অনুরোধ। আর এমন একটা মুখ করে বলে যে কথা শুনতে বাধ্য হই।
যা বলছিলাম মেয়েটা দেখতে বেশ। পরিচয়টা ভালো করে হোক, তোর পাশে দারুণ মানাবে।
– তোর তিরি
একান্ন –
তিরির প্রতি
আবার? এবার দয়া কর রে মা। অনেক হয়েছে। একেকজনকে নিয়ে আসিস আর আমার মাথা খাস।
ঘটকী ঘটকালী ছেড়ে মায়ের দায়িত্ব পালন কর।
আমার ফুলটুসীটার যে কি হবে, কতো কতো ছেলের সাথে ঘটকালী করবে তার মা। সেটা ভেবেই অস্থির হচ্ছি।
শোন নিজের দিকে খেয়াল রাখিস আর পাগলামীটা কম করিস।
– তোর অহম
বায়ান্ন –
অহমের প্রতি
বাব্বাহ তুই দেখছি আমার অভিভাবকের মতো উপদেশ দিচ্ছিস! আমি আমার খেয়াল ঠিকই নেই, তোর না ভাবলেও চলবে।
তোর ফুলটুসীর জন্যে ঘটকালী করতে হবেনা আমায়। যে একখানা ছাগল অহম আছে, সে বারোটা না বাজিয়ে কি আর ছাড়বে?
– তোর তিরি
ক্রমশ প্রকাশ্য
হ্যামিল্টন,কানাডা
১০ জানুয়ারী, ২০১৫ ইং।
৩০টি মন্তব্য
খেয়ালী মেয়ে
ইশশশশশশ চিঠির উত্তর আসলে না জানি কেমন লাগে–আপনার এই উত্তর প্রত্যুত্তর দেখে কিছুটা আন্দাজ করার চেষ্টা করছি–চালিয়ে যান (y)
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনিও খুব ভালো চিঠি লিখতে পারেন,উত্তরও লিখে ফেলুন……… খেয়ালী মেয়ে
প্রজন্ম ৭১
মিস করছিলাম আপনার অহম তিরি আর প্রিয়কে। অপেক্ষা পরের পর্বের জন্য
নীলাঞ্জনা নীলা
ধন্যবাদ এমন ভাবে উৎসাহ দেয়ার জন্য
সাইদ মিলটন
ভালো লাগলো 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
ভালো লাগাতে পেরে ধন্য হলাম 🙂
ব্লগার সজীব
আপেক্ষায় থাকি আপনার এই পোষ্টের জন্য।এমন সুন্দর বন্ধুত্ব পড়তেও ভালো লাগে।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমিও অপেক্ষায় থাকি কখন লেখা পোষ্ট করবো কখন 🙂
নুসরাত মৌরিন
এত্ত সুইট!!তিরি আর অহম!!
এমন বন্ধুতা হাজার বছর বাঁচুক! 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
বন্ধুতা এমনই হয়ে থাকে……… মৌরিন
ছাইরাছ হেলাল
এত অল্প কথায় ,অল্প উত্তরে নিবিড় বন্ধুত্বের প্রকাশ করা চাট্টিখানি কথা নয়।
নীলাঞ্জনা নীলা
এখনো শিখছি লেখা ………
হৃদয়ের স্পন্দন
আফসোস কেনো পুর্বের. অধ্যায় গুলো পড়িনি, সময় নিয়ে পড়ে ফেলব
নীলাঞ্জনা নীলা
সময় পেলে পড়ুন।অবশ্য প্রতিটি পর্বের টেষ্ট আলাদা আলাদা।
প্রহেলিকা
বেশ কয়েকটা পর্ব পড়ে এসে বুঝতে পারলাম যা অকপটেই জানাচ্ছি আপনাকে, এমন এক আবেশ ছড়িয়ে দেন লেখায় যা বশ করে নেই চিত্ত। ক্লান্তিহীন পড়ে যখন শেষ করে ফেলি তখন সেই আবেশ অনুভূত হয় আপনার এই লেখাগুলোতে। কি আর বলবো সম্মান রেখে গেলাম। অনেক অনেক শুভেচ্ছা আর এভাবেই লিখুন শ্রদ্ধেয়। শুভকামনা।
নীলাঞ্জনা নীলা
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এমন সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
রিমি রুম্মান
অল্প কথায় কত সুন্দর করে লেখা ! ভাললাগে এমন লেখা পড়তে। শুভকামনা রইলো।
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনি এর চেয়ে অনেক সুন্দর লেখেন……… রিমি।
শুন্য শুন্যালয়
দুজনের চিঠি একা কেমন করে লেখেন? আপনার লেখায় কি মন্তব্য করবো আর, এই চিঠিগুলোর জন্য অপেক্ষা করে থাকি, জানেনই আপনি। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
দুজনার ভাবনাই যে আমি জানি,তাই লেখা সহজ 🙂 ধন্যবাদ শুন্য শুন্যালয় -{@
স্বপ্ন নীলা
এত অল্প কথায় এত সুন্দর করে কিভাবে লিখলেন আপু——-অসাধারণ
নীলাঞ্জনা নীলা
লিখতে বসলে চলে আসে লেখা 🙂
জিসান শা ইকরাম
সব কিছু ছাপিয়ে প্রিয়র ভক্ত হয়ে উঠছি দিন দিন 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
প্রিয়র ভক্ত হওয়া যায়,তবে প্রিয়র মত হওয়া সহজ নয় জনাব 🙂
মেহেরী তাজ
নীলা দিদি আপনার এই লেখা পড়ে আমি লেখার চেষ্টা করছি 🙂 -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
দেখলাম,খুব দ্রুত লেখেন আপনি।লিখতে থাকুন …… তাজ
ছারপোকা
অহম ,তিরি ভাল এ লেগেছে কথা হচ্ছে আগের পর্ব গুলা ধারাবাহিক ভাবে না পড়ার কারনে কিছুটা খাপছাড়া হয়ে যাচ্ছি নিজেই ।
কম কথায় সুন্দর উপস্থাপন ।
নীলাঞ্জনা নীলা
সময় পেলে পড়ে ফেলুন…… ধন্যবাদ -{@
অরণ্য
নীলা আপু, নীলাটাই বেছে নিলাম আপনাকে ডাকতে। একটা সাহায্য করবেন আপনার এই লেখাগুলিকে একটু লিংকে যুক্ত করে? যেমন ধরুন এইবারেরটা ‘চতুর্দশ ভাগ’, এখানে আপনি লিংকটা রেখে দিলেন ‘ত্রয়োদশ ভাগ’ এর। নতুন কেউ এখানে এলে ও যেন সহজেই চলে যেতে পারে আগেরটিতে কিংবা পরেরটিতে, যদি সে চায়। এভাবে সে একেবারে প্রথম থেকেও শুরু করতে পারে। লেখাটি আমার প্রথম থেকে পড়তে ইচ্ছে করছে। আমি শুধু আমার কথাই ভাবছি না। বেশি ভাললাগা থেকেই এ চাওয়া।
নীলাঞ্জনা নীলা
ধন্যবাদ অরণ্য……… লিংক যুক্ত করে দেবো।