তখন ঈশ্বরী হইয়া উঠো, যখন আমারে তৃপ্তি মজাইয়া প্রত্যাখ্যান করো। তুমি একজন নারী, অনুতপ্ত সুরে কেঁদে কেঁদে বুক ভাসাও, ওম্যান বলে কথা! তুমি দিনেদিনে পিনিকের সর্বগ্রাসিনী কালনাগিনী, একইভাবে নির্বুদ্ধিতা প্রমাণে ভীষণ মার্জিত।
তুমি যখন ঈশ্বরী হইয়া উঠো তোমারে তপস্যা করি, শয়নেস্বপনে ছুঁয়ে দেয় মন, অন্তত এক-ঝলক দেখার জন্য হলেও তোমারে আরাধনা করি। দ্রুত এ-তো কিছু বুঝে গেলেই তুমি ঈশ্বরী হইয়া উঠো, তুমি বরং সুকৌশলী, একটি অপ্রিয় আবেগী মন তোমার, বিস্তৃত হয়ে যাও সমস্ত বিশৃঙ্খলায়।
তুমি ঈশ্বরী হইয়া উঠছো মনের অজান্তেই, আমারে এখন আর পাত্তা দেও না, গোনায় ধরার টাইম নাই, তুমি আমারে হিমশিম খাও। তাই আমি বুঝতে পারলাম তোমার মনের কথা গুলো বলতে গিয়ে ক্লান্ত অনুভব করো, তোমার মধ্যে হাহাকার লেগে যায়, কারণ তোমার চোখমুখ প্রেম পেয়ালায় প্রমত্ত, ভালোবাসা না পেলে দিকবিদিকশুন্য মানুষ হয়ে পড়ো, কিন্তু তোমার তো ঈশ্বরী হইয়া উঠার কথা। যাই হোক, তুমি কেমন জানি তোমার মত হইয়া উঠো, তখন তুমি নিজেরে দেখতে থাকো আবেগ অনুভূতির ঊর্ধ্বে, যেনো নিজেরে অন্যভাবে দেখতে পাওয়ায় পৈশাচিক আনন্দ লাগে। যেমন আনন্দ লাগে নিজেরে নিঃশেষ করতে পারলে।
তোমার কারো প্রতি এখন আর কোন অভিযোগ নেই, বরং সবকিছুতে ক্ষিপ্ততা প্রকাশ পায়, তুমি নিজেরে সংযত করতে গিয়া বড্ড অভিমানী হইয়া উঠো, কিছু হলেই চোখ ভিজে উঠে, তুমি হাসি আর কান্নায় তফাৎ ভুলে গেছো, তুমি দেখাও নিজেরে বেশ শক্তিশালী। তোমার তো ঈশ্বরী হইয়া উঠার কথা ছিল, তারচেয়ে তুমি চেয়েছিলে আরও মানাবী হতে, সকল বিনম্রতা যেনো তোমারে ছুঁয়ে দেয়। তোমার তো আসলে তুমি হইয়া উঠার কথা কিন্তু কেমনে জানি তুমি নিজেই নিজের কাছে সেরা হইয়া উঠলা।
তুমি একা তাই ঈশ্বরী, বহুমাত্রিক বিকাশে লড়াই করছো নিজের সাথে, তুমি প্রসঙ্গ পেলেই রাগ দেখাও তাই তোমারে উল্টেপাল্টে পড়া যায় সহজে। ক’জনই তোমার মনের খবর জানে, স্বার্থের পৃথিবীতে রাখে ক’জন তোমার খেয়াল, মনে আসে-যায় কতজন, তারপরেও কাকে যেনো যুগের পর যুগ ধরে খুঁজে বেড়াচ্ছ। নিজের মধ্যে তোমার হারাইয়া থাকতে পারলেই শান্তি লাগে, কি করতে চেয়েছো এই চিন্তায় এক যুগ পেড়িয়ে গেছে শুধু আক্ষেপ আর হতাশায়। তোমার নিজেরে ভালবাসতে লেগেছে বহুকাল। তোমার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে, রিক্ততায় ভেতরটা কেমন জানি শূন্য লাগে, যা কিছু চেয়েছো তা সময়ে এসে ধরা দেয়নি, সময়ের জিনিস সময়ে না পেলে কোন মূল্য নেই!
তুমি তখন সমস্ত নিয়ন্ত্রণের কৌশল বুঝতে শিখে গেছো, তুমি দেখলে কথারা কিভাবে ফাঁদ পেতেছে। তাই তুমি ঈশ্বরী হইয়া উঠো, এ-সব টেকনিক বুঝে গেলে নিজেরে তখন একজন সর্বময়ী ক্ষমতার অধিকারী মনে হয়, মনে হয় যেনো এক বিস্ময়কর প্যারাডক্স জীবন তোমার, একাই বয়ে চলছো অনন্তকালের মহাযাত্রায়, যা বিনির্মাণ হতে চলছে তোমার মধ্যে, তখন তুমি আরও বেশি ঈশ্বরী হইয়া উঠো।
ব্যস্তানুপাতিক,,,,
কেনো!
ঈশ্বরও কি চায় না সেবা?
সেও কি চায় না তার গুনগান!
তবে কেনো মানুষ পাবে না চাইতে বিনিময়,,
লেখাটা চমৎকার।
মনে হয় একটু স্পেস দিয়ে লিখলে লেখাটা আরো সুন্দর হতো।
ভেবে দেখবেন প্লিজ
৮টি মন্তব্য
মনির হোসেন মমি
গদ্য কবিতা।ভাল লাগল।
রোকসানা খন্দকার রুকু
মমি ভাই আপনিও লিখুন। ম্যাগাজিনে থাকবেন না!!
হালিমা আক্তার
স্বার্থের পৃথিবীতে কে কাহারে মনে রাখে। নিজেকে ভালবাসতে লেগেছে বহুকাল। ভালো লাগলো মানবী হয়ে উঠার গল্প। শুভ কামনা রইলো।
রিতু জাহান
ব্যস্তানুপাতিক,,,,
কেনো!
ঈশ্বরও কি চায় না সেবা?
সেও কি চায় না তার গুনগান!
তবে কেনো মানুষ পাবে না চাইতে বিনিময়,,
লেখাটা চমৎকার।
মনে হয় একটু স্পেস দিয়ে লিখলে লেখাটা আরো সুন্দর হতো।
ভেবে দেখবেন প্লিজ
বন্যা লিপি
এত বড় একটা কবিতায় আপনি সাধু চলিতের সংমিশ্রণ টা কিভাবে উপস্থাপন করলেন, ঠিক বুঝিনি।
কয়েক জয়গায় সংঘর্ষ মনে হলো কয়েকটা শব্দে। ( বোঝার ভুলও হতে পারে আমার)
ম্যাগাজিনে থাকছেন তো আপনার লেখা নিয়ে। লিখে ফেলুন।
সাবিনা ইয়াসমিন
সর্ব নিয়ন্ত্রণে স্বয়ংসম্পন্নার ঈশ্বরী হওয়া ছাড়া গতি থাকে না। মানবীকে সুখের খোঁজে লেগে থাকতে হয়।কিন্তু ঈশ্বরী নিজেই নিজের সুখ রচনা করে।
দারুণ কবিতা।
বোরহানুল ইসলাম লিটন
ভালো, বেশ ভালো!
আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা জানবেন সতত।
অনন্য অর্ণব
বুঝলাম, তিনি খুব পাকাপোক্ত হয়ে প্রেমের সাগরে নেমেছেন😄😄