সলজ্জ ইচ্ছে হয়েছিল সাজব একদিন একাকী আন্মনে,
প্লাবনপ্রেমে ক্ষণে ক্ষণে সারাক্ষণ জাগে সাধ এ হৃদয়ে,
কালিঝুলি মেখে নয়, ম্যাক্সফ্যাক্টরের ঝাঁপি উল্টিয়ে।
ভেবোনা সং সাজব রং মেখে কোন এক দুঁদে কিংবদন্তির কথা ভেবে;
নিষ্পত্র বিশীর্ণ বিষণ্ণতায় শব বসনে ভাসব
তীব্রতর স্রোত বিহীন বিভুঁয়ের সুন্দরতম জলনদে।
অবাক বিস্ময়যন্ত্রণার নিখুঁত নিকুচি করে “ইচ্ছে” একদিন সাজতে চেয়েছিল।
♦দুঁদে………দুরন্ত
৫৯টি মন্তব্য
খেয়ালী মেয়ে
বাহ!!!!কি সুন্দর…অসাধারন সৃষ্টি (y)
কিভাবে যে মানুষ এতো সুন্দর করে লেখে ;?
শুধু আমার দ্বারাই হলো না কোন সুন্দরের জন্ম 🙁
ছাইরাছ হেলাল
আমি তো ভাবি আপনার মত সুন্দর করে কবে যে একটু মন খুলে লিখতে
পারব!
অবশ্যই ধন্যবাদ আপনাকে।
জিসান শা ইকরাম
ইচ্ছের ইচ্ছে বাস্তব হোক
ছাইরাছ হেলাল
তা কী করে হবে!! ইচ্ছে তো মরে যেতে চায়।
তা নিশ্চয়ই আমরা মেনে নেব না।
জিসান শা ইকরাম
তাহলে ইচ্ছেকে আমাদের ইচ্ছে মত চলতে বাধ্য করতে হবে।
ছাইরাছ হেলাল
সেখানেই যত সমস্যা, ইচ্ছে কারও কথাশোনা পাবলিক না।
জিসান শা ইকরাম
মৃত্যু ইচ্ছে এত সুন্দর হলে আমি নিজেও এ ইচ্ছে ধারণ করতে চাই।
ছাইরাছ হেলাল
সে চেষ্টা করা যেতেই পারে।
তবে সাবধান, এটি সহজ কোন কথার কাজ নয়।
নীলাঞ্জনা নীলা
ইচ্ছেকে একদিন নীল রঙের শাড়ী পড়িয়ে
পায়ে নূপুর বেঁধে দিয়ে বললাম
এবার ছন্দ তোলো
আমার মীড় তখন ভৈরবী সুর সাধছে।
ভোরটা মাটি করে দিয়ে, বেহাগী দুপুরের পথে ছুটতে লাগলো।
ইচ্ছেগুলো এতো দূরন্ত কেন?
সাজিয়ে রাখে নিজেকে,
আমায় সাজতে দেয়না।
এমন কবিতা কেন লেখেন বলুন তো? মাথা খারাপ হয়ে যায়। বারবার পড়তে মন চায়। ঠিক না। এতো সুন্দর লিখতে হয়না। মাঝে-মধ্যে পঁচা লিখলে কি দোষ হয়?
তাই আজকের মন্তব্যে কোনো প্রশংসা রাখলাম না।
ছাইরাছ হেলাল
না সাজা সাজ এত্ত সুন্দর হলে সেজে আর কী হবে!
মন্তব্যের এহেন ঠুমরীতে উত্তর পালাতে চায়।
এমন সুন্দর মন্তব্য করা ঠিক না, আমাদের জন্য তো কিছুই বাকী রইল না।
আপনাদের লেখা পড়েই আঁকিবুঁকি করি। এ আর এমন কী?
আরও দু’ফোটা প্রশংসা করলে কিছু কমে যেত না আপনার।
নীলাঞ্জনা নীলা
দু’ফোঁটা!!! এত্তো শখ প্রশংসার?
ইচ্ছেরা তাইতো একদিন সাজতে চেয়েও সাজেনি। সেজে ফেললেই যদি আরোও ইচ্ছের জন্ম দিয়ে দেন কবি। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
যক্ষের ধন কারো কাজে লাগেনি, আপনাদের অনেক আছে বলেই না
ছিটেফোঁটা ফেলতে বলছি। কৃপণতা করা ঠিক না।
নীলাঞ্জনা নীলা
কৃপণতা করার উপায় তো নেই। এভাবে মাথার ভেতর চলছে তো চলছেই।
সাহিত্যের এমন এক পর্যায়কে সাজাচ্ছেন, আমি ভাবছি এতো স্পর্ধা আমার এলো কি করে মন্তব্যের?
তাই মন্তব্য লিখতে বসলেই একটু ভয় কাজ করে, বুঝতে পারছি তো? নাকি ভাব নিচ্ছি! :p
চলুক না লেখা, আমার মতো ভাব ধরা মন্তব্যকারিণীর জন্য। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
পরের মজা করে লেখাটি আপনার জন্য।
হুশিয়ার-সাবধান।
চলিপে……লেখালেখি।
নীলাঞ্জনা নীলা
ঘুমের দেশে যাবো, এরপর যাত্রা শেষে ফিরে এসে যেনো দেখি ইচ্ছেদের পাঁপড়ি ফুঁটেছে। কলি থেকে ফুল। -{@
চলতে হবেই যে কবি, থেমে থাকলে যে চলবে না। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
পাবেন, অবশ্যই।
আজিম
অনেক নতুনত্ব আছে আপনার লেখায়। অনেক শব্দ্ও আছে, শব্দের বিন্যাসও আছে সুন্দর, খুবই সুন্দর। অভিনব-ও বটে।
আপনি অনেক লেখাপড়া করেন, আমার দুটি লেখায় আপনি এরকমই বলেছিলেন আর এজন্যই পারেন এরকম অভিনব লেখা লিখতে।
আমার মত ক্ষুদ্র একজন লেখকের পক্ষে, বিভিন্ন উন্নতমানের বইপত্র পড়ার অভ্যাস যার নাই, তার পক্ষে খুবই স্বাভাবিক আপনার এ লেখার মর্মোদ্ধার করতে না পারাটা।
ভাল থাকুন এবং এরকম অভিনব লিখা লিখুন আরো।
ছাইরাছ হেলাল
আরে আপনি এ সব কী বলছেন!!
এটি এমন কোন লেখা নয় যে মর্মোদ্ধার করতে হবে।
আমি বলার চেষ্টা করতে পারি।
ইচ্ছে একজন মানুষ, যে তার আপন জনের কাছে সাজগোজ করার ইচ্ছের কথা বলতেছে।
তবে এ সাজটি শব যাত্রার।
এই ই তো।
আমার জানার গণ্ডি খুব খুব সীমাবদ্ধ,ঘষা শ্রমিক টাইপের, প্রতিভাহীন, তবে বুঝে-নাবুঝে অসম্ভব শব্দপ্রেমি।
শব্দেরা আমার প্রাণ। তবে হ্যা অনেক অনেক জানতে চাই, সম্ভব সম্ভবের দোলায় দুলে ও।
পড়ার জন্য অবশ্যই অনেক ধন্যবাদ।
সীমান্ত উন্মাদ
শেষ দুইটা লাইন বেশি ভাললাগছে।
ইচ্ছুকগুলো বাস্তবের আকাশে উড়ুক নীল মেঘ হয়ে।
শুভকামনা নিরন্তর।
ছাইরাছ হেলাল
আকাশে উড়াতে পারলে ভালই হতো, পারছি কৈ!!
আপনার জন্যও শুভেচ্ছা।
নীলাদ্রি
অসাধারণ লিখেছে সত্যি অসাধারণ…
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য ধন্যবাদ দিচ্ছি।
স্বপ্ন নীলা
সকাল বেলা কি ভেবে যেন সোনেলায় কিবোর্ড চাপ দিলাম, আপনার নাম দেখেই রিপোর্ট রেখে পড়ে ফেললাম – কি যে ভাল লাগলো-এতই ভাল লাগলো যে ক্ষনিকের জন্য সব অফিসের জটিল সব চিন্তা দূর হয়ে গেল — কেন লিখেন না কবি !! কেন লিখেন না এমন করে !! পাঠকের মন ভিজিয়ে দিন আপনার লেখনী শক্তি দিয়ে —–
শুভকামনা রইল
ছাইরাছ হেলাল
অনেকদিন পর সুহৃদকে দেখে ভালোই লাগল। মন্তব্যের পটুত্ব আপনার লেখার মতই স্বভাবজাত।
আমি কিন্তু কবিতা লিখতে পারিনি/পারিনা।
বেশি লিখিনা, লিখি অনিয়মিত।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
তানজির খান
অনেক ভাল লাগলো লেখা। (y) (y) (y)
ছাইরাছ হেলাল
শুভেচ্ছা আপনাকে।
লীলাবতী
এ কেমন ইচ্ছে?ইচ্ছের বাস্তবায়ন না হোক,আমাদের সোনেলার কি হপে তাহলে?দুঁদে তাহলে দুরন্ত?আমি এতদিন ভেবে এসেছি বন্ধু জাতীয় কিছু একটা।
ছাইরাছ হেলাল
সোনেলা সোনেলার মতই থাকবে।
দুঁদে শব্দটি আপনার বেলায় ও প্রযোজ্য।
ব্লগার সজীব
ভাইয়া জানতে ইচ্ছে করছে,আপনি কি কথা বলার সময়েও এমন সুন্দর সুন্দর শব্দ ব্যবহার করেন? 🙂
ছাইরাছ হেলাল
এটি বলা যাবে না, অসুবিধা আছে।
অবশ্য বিদগ্ধ একজনা ভুল করে একবার বলেছিল আমি নাকি কবিতার মত কথা বলি।
নীলাঞ্জনা নীলা
তাহলে তো শুনতেই হয়! 🙂
ছাইরাছ হেলাল
কবিতার আপত্তি আছে!!
উহ,শুধু কবিতার আপত্তির কথা বলছি কেন! ইচ্ছে, বিকেল ও মেহজাবিনের তীব্র আপত্তি।
এবারের মত,শুধুই এবারের মত ক্ষমা-ঘেন্না করে দিন নিজ গুনে।
নীলাঞ্জনা নীলা
কাকে বলছেন, আমায়? যদি আমায় বলে থাকেন তাহলে
মানিনা, মানবোনা। আন্দোলন-হরতাল। বুঝেছেন হেলাল ভাই?
ছাইরাছ হেলাল
হ্যা, নীলা আপনাকেই বলছি কবি।
প্লিজ আন্দলোনের-হরতালের ডাক দিয়ে অবুঝ জাতিকে মেরে ফেল্লে হপে না।
আপনি বরং উনাদের সাথে সমঝোতার কুহক পাতুন।
নীলাঞ্জনা নীলা
আন্দোলন-হরতালের ভাবনা সরিয়ে ফেললাম, কিন্তু আবদার ফেলবেন কি করে? 😀
ছাইরাছ হেলাল
এবার তো সত্যি বিপদে ফেলে দিলেন।
নীলাঞ্জনা নীলা
বিপদ কাটিয়ে দিলাম। এই নিন ফুঁউউউউউউউউ দিয়ে দিচ্ছি। নিশ্চিন্তে-নির্ভয়ে আবৃত্তি করুন। -{@
ছাইরাছ হেলাল
জোরছে ফুঁ মাড়ুন, পৌছুচ্ছে না তো। বিপদ না কাটা পর্যন্ত ফুঁ মারতেই থাকুন।
নীলাঞ্জনা নীলা
ফুঁ দিতে দিতে কি আমা্র মৃত্যু চান? কারণ যে হারে ফুঁ দিলাম, তাতে তো এখন হাঁপাচ্ছি। শ্বাস ঝুলে আছে।
ছাইরাছ হেলাল
অলক্ষুনে কথা বলতে নেই, আস্তে আস্তে দিন ,এক সময় ঠিক পৌছে যাবে।
নীলাঞ্জনা নীলা
মৃত্যু কি অলুক্ষণে? বরং মঙ্গল। আবৃত্তির জন্যে জ্বালানোর একজন কমে যাবে :p
শুন্য শুন্যালয়
তো? তারপর?
ছাইরাছ হেলাল
তার আবার পর থাকে তা তো এখনও আপনি বলেননি।
বলুন এবার……
শুন্য শুন্যালয়
সন্দেহ একবার জেগেছিল কসমেটিকস কোম্পানি ম্যাক্সফ্যাক্টরে ও কারো কারো ইচ্ছে সাজে!! বলে তো দিতে হতো না আগে, পড়াশোনা নিয়মিত করতে হবে নইলে পড়তে পারা ভুলে যাবেন।
ছাইরাছ হেলাল
আপানার সন্দেহ অমূলক হতেই পারে না।
জ্বি, ভাউ। এবার থেকে নিয়ম মেনে খুপ নেখাপড়া দেব।
শুন্য শুন্যালয়
ম্যাক্সফ্যাক্টর আর তীব্রতর স্রোত বিহীন বিভুঁয়ের সুন্দরতম জলনদ… ইচ্ছে এত দামী সাজে সাজবে বলেই কি মনসংকটে পরলো? নিঁখুত করেও নিকুচি করা যায়? এ লেখায় আরো অনেক গল্প আছে। জানি আমি আছেই। বলিয়ে নেবই কারন আমাদের ইচ্ছেও এখন সেজেছে অপেক্ষায়। এমন সাত লাইন কদিনে লিখেছেন? লেখাত আত্মকাহিনী জানতে মঞ্চায়।
ছাইরাছ হেলাল
আমিতো দেখে দেখেই শিখি, অবশ্যই আরও লেখা আছে , আপনি বললেই দিয়ে দেব।
সিরিজ লেখা শিখছি যে।
সাত লাইন লিখতে সাত নিযুত বছর লেগেছে প্রায়, অবশ্য আপনি হুকুম দিলে সাত সেকেন্ডেও
নামিয়ে ফেলতে পারি। আদেশ করুণ ভাইয়ো!
শুন্য শুন্যালয়
রাত্রি, ইচ্ছে, বিকেল, মেহজাবিন ..শেষমেষ টানাটানি না পড়ে যায়। দেইখ্যেন কিন্তু। এইসব কালি মন্তর লেখার নাকি আবার ম্যালা গুণ ফুন থাকে লেখককে ফাঁদে ফেলার। সাত সেকেন্ড বড্ড দেরি হয়ে গেলো না!! আমার আদেশ তো চোখের পলক চায়। নামিয়ে ফেলুন. বিকেল, মেঘ কিংবা ইচ্ছে। উত্তর তো রেডি, আবার জিগায়।
ছাইরাছ হেলাল
কোন টানাটানির আশংকা নেই, সবই আপনাদের ইচ্ছেয় এক নীল সুতোয় বাঁধা।
আপনার আদেশ শিরে ফেলে দিয়ে দিয়েছি। মেহজাবিনের ফাঁদে পড়ে আছি সেই সেই
কবে থেকে। এর থেকে আর বড় কোন ফাঁদ নেই যাতে নূতন করে পড়া যায়।
বাকী জীবন এই শয়তানীর সাথেই কাটাতে চাই আপনাদের দোয়ায় বা ধুনফুন মন্ত্রে।
তা, ভাই এবারে উত্তরটি ঝেড়ে ফেলুন, খানিক সাতার কাটি।
শুন্য শুন্যালয়
না, লেখাটি বেশি ভালো হয়নি। ইচ্ছেটাও পঁচা ছিলো। শব বসন আমার একদম ভাল্লাগেনা। তার চাইতে লাল সুন্দর। ছোঁয়াচে রোগ থেকে দূরে থাকুন। ভ্যাক্সিন নিন প্রয়োজনে।
ছাইরাছ হেলাল
জ্বি, লেখাটি ভালো হয়নি।
জ্বি, ইচ্ছেটাও পঁচা ছিল, খুপ পঁচা। আমরাও শব বসন পছন্দ করি না। রক্ত রং পেলে।
অবশ্যই রোগের ছোঁয়াচ লেগেছে। দূরে থাকা যাচ্ছে না।
দাক্তারের ঠিকা দিন।
আম্লা তো দেকে দেকেই ছিখি।
লীলাবতী
সলজ্জ ইচ্ছে হয়েছিল সাজব একদিন……… এটি তো আত্মহত্যা। ছুটিপুরের সাইড এফেক্ট 🙂
ছাইরাছ হেলাল
তা স্বীকার করতে আপত্তি নেই।
খুব ছোঁয়াচে এ রোগ।
মেহেরী তাজ
এখানেও ছুটিপুর???
ছুটিপুর এর ভয়েই পালায়ে গেছিলাম। আবার সেই?????
ছাইরাছ হেলাল
পালানোর পথ নেই।
মেহেরী তাজ
আমার কাছে সব কিছু অনেক কঠিন মনে হয় কেনো??? সবায় এত্তো এত্তো কঠিন কথা বলেন কেনো?
;( ;(
ইচ্ছেরাও সাজতে চায়?
আচ্ছা ঠিক আছে।
ছাইরাছ হেলাল
কোন কিছুই কঠিন নয়। একটু মন দিয়ে সব মন্তব্য পড়ুন, ভালো লাগবে।
হ্যা, ইচ্ছেদের ও সাজতে ইচ্ছে করে।
নীতেশ বড়ুয়া
ইদানিং কবিতারা ইচ্ছের সাজ ভুলেছে…
ছাইরাছ হেলাল
মাঝে সাজে একটু ভুল-ত্রুটি হয়েই যায়।