১১ নভেম্বর, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। শ্লোগান, আলোচনা সভা, মরহুম ফজলুল হক মনির কবরে পুষ্প স্তবক প্রদান এবং আরো অনেক কিছুর মাধ্যমে দিবসটি পালন হবে।
কিছু প্রশ্ন করাই যায়ঃ
এই যে যুবলীগ, যুবদল, ছাত্রলীগ,ছাত্রদল এদের কাজটা কি? দুটি বৃহৎ দলের কয়েক লক্ষ যুবক ছাত্র যে কর্ম সম্পাদন করে, তাতে দেশ কতটুকু উপকৃত হয় ?
এদের দল যখন ক্ষমতায় থাকে, তখন এরা হয়ে ওঠে এক একজন বাঘ। ক্ষমতায় না থাকলে বিড়ালও না, একেবারে ইঁদুর বা চামচিকা।
এলাকা নিয়ন্ত্রণ, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজী, মাদক ব্যাবসা, বিভিন্ন মহল ইজারা নেয়া, অভ্যন্তরীণ কোন্দলে মারামারি আরো অনেক কিছু এদের উজ্জ্বল কর্মের স্বাক্ষ্য বহন করে।
অথচ
এরা এই দেশটিকে পালটে দিতে পারে। এত বড় একটি শক্তি কোন শুভ কাজে ধাবিত হলে, দেশ পালটে যেতে বাধ্য।
কি করতে পারে এরা ?
এই সংগঠন সমূহের গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত কমিটি আছে। একটি গ্রামে খুব বেশী বাড়ি থাকেনা। গ্রাম গুলো আয়তনেও বেশ বড় নয়। এই কমিটি গুলো পারে প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার চালাতেঃ :
*বাল্য বিবাহের কুফল
*নারী শিক্ষা
*প্রায় ভুলে যাওয়া ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের সময়কার ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের বীরত্ব গাঁথা , রাজাকারদের-পাকসেনাদের বর্বরতা
*কোন পরিবার কোন অত্যাচারের শিকার হচ্ছে কিনা তা দেখা
*ইসলাম আর জামায়াত ইসলাম যে এক নয় তা বুঝানো
*আধুনিক কৃষি চাষ, গাছ লাগানো, সেনিটেশন
*শিশুদের বিদ্যালয় মুখি করার পরামর্শ এমন ধরনের আরো অনেক কাজ করতে পারে।
* প্রতি জেলা সদরে সংগঠনের নামে একটি ব্লাড ব্যংক প্রতিষ্ঠা করতে পারে।
* জেলা এবং উপজেলা সদরে ভুমি অফিস এবং জমি রেজিস্ট্রি অফিসে সাধারন মানুষের ভোগান্তি দূর করার জন্য একটি সেল খুলতে পারে সংগঠন।
*কম্পিউটার শিক্ষা, নেট ইউজ করা সংগঠনের প্রতি সদস্যের প্রতি বাধ্যতামূলক করা যেতে পারে।
শুধু ভোটের আগে প্রতি বাড়ি নয়, প্রতি মাসেই তো প্রতি বাড়ি যাওয়া যায়। কোন সংগঠন যদি এসব কাজ করে, জনতার হৃদয়ে তাদের স্থান পাকাপোক্ত হয়ে যাবে। জনতা ভাবতে বাধ্য- এরাই আমাদের আপন, অতি কাছের স্বজন ।
আর না করলে ? বর্তমানে প্রচলিত ব্যবস্থায় ব্যক্তির উন্নয়ন হবে তাও অন্যের হক ছিনিয়ে নিয়ে।
৩৯টি মন্তব্য
শুন্য শুন্যালয়
এ কেমন আশাবাদ ব্যক্ত করলেন? আমি যে এদের চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, আর পিস্তল হাতে ছাড়া মেলাতেই পারছিনা।
সুন্দর আশাবাদ, আমরা সবাই পারি এমন কিছু শুরু করতে। আলো আসবেই, স্বপ্ন যখন আছে, সত্যি একদিন হবেই।
জিসান শা ইকরাম
আশা করতে দোষ কি ?
মানুষ একসময় চাঁদে যাবার স্বপ্ন দেখতো, অবাস্তব মনে হলেও গিয়েছে চাঁদে।
গ্রহ গ্রহান্তরে যাবার স্বপ্ন দেখছে, স্বপ্নের দ্বারপ্রান্তে মানুষ।
আমিও তেমন অবিরাম স্বপ্ন দেখা এক মানুষ।
শুন্য শুন্যালয়
একটা ব্যাপারে হেল্প চাচ্ছি ভাইয়া, আপনার মেইলটা চেক করবেন প্লিজ?
জিসান শা ইকরাম
দেখেছি। ধন্যবাদ। সফটওয়ারটি আশাকরি ইন্সটল করতে পেরেছেন।
শুন্য শুন্যালয়
জ্বি ভাইয়া, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। এখনো ইউজড টু হতে পারিনি, কএকদিন ইউজ করলে বুঝতে পারবো। ভালো থাকবেন।
ছাইরাছ হেলাল
এত মুক্তো আমাদের লাগে না।
জিসান শা ইকরাম
হা হা হা হা , ঠিক ঠিক 🙂
অরণ্য
ভাবনাটা মন্দ নয়। এ তো মানুষ নিয়েই কাজ। তবে, এইসব ছাতার তলে (যুবলীগ, যুবদল, ছাত্রলীগ,ছাত্রদল) সেই মানুষগুলোই আপনার কাঙ্খিত কাজগুলো করবে বা করতে পারবে, এ বিশ্বাস আমার নেই একেবারেই। ছাতা পালটালে নতুন কোন ছাতার নীচে একই মানুষকে দিয়ে অনেক ভাল কিছু করানো সম্ভব, এ বিশ্বাস আমার আছে। প্রয়োজন সময় আর লিডারশীপ।
জিসান শা ইকরাম
এই যুবকরাই বিদেশে গেলে কত পরিশ্রম করে, অন্য যে কোন দেশের যুবকদের চেয়ে এরা কাজে অনেক দক্ষতা এবং আন্তরিকতা দেখায়। সিষ্টেম আর নেতায় গলদের কারনে, এরা আমাদের দেশে ভিন্ন ভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
অরণ্য
সহমত। সিস্টেম আর নেতায় গলদ।
সোনিয়া হক
আপনি কোন জগতে বাস করেন ভাইয়া? এদের দিয়ে এসব করার কথা স্বপ্নেও ভাবিনা।
জিসান শা ইকরাম
অবিরাম স্বপ্ন দেখি আমি।
নুসরাত মৌরিন
ভাইয়া মনে হয় না আপনার এই আশাবাদ সত্যি হবে।
রাজনৈতিক দল গুলোর অঙ্গসংগঠন গুলো তাদের আস্থার জায়গা অনেক আগেই হারিয়েছে।
জিসান শা ইকরাম
ঠিক বলেছেন, অথচ অসীম সম্ভাবনা ছিলো এদের দিয়ে কাজ করানোর।
মোঃ মজিবর রহমান
আশা করা জেতেই পারে।
আশা আছে স্বপ্ন আছে
তাই আমরা ভবিস্যতের চিন্তা করি।
আর তা করতে হলে বই পড়া, ইতিহাস, পূর্বপুরুষদের বীরত্ব গাঁথা জীবনী জানা সর্বপ্রথম দরকার।
আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ এই পস্টি দেয়ার জন্য যে কোন এই সমাজ পড়ে উজ্জিবিত হই কিনা।
জিসান শা ইকরাম
অবিরাম স্বপ্ন দেখে যাই মজিবর ভাই।
মোঃ মজিবর রহমান
উপায় নাই এর চেয়ে বেশি আর করতে হলে অস্ত্র হাতে নামতে হবে।
অশুভ অপতপরতার বিপক্ষে।
আজিজুল ইসলাম
জনাব অরন্যের মন্তব্যের সাথে আমি একমত।
আসলে এদের কন্ট্রোল করে যারা, তারা না বদলালে এরা বদলাবেনা। এদের কাছ থেকে সে আশা করাও কতটুকু ঠিক, তা আপনার মত উঁচু মাপের মানুষকে বুঝিয়ে আর কী বলব!
জিসান শা ইকরাম
বর্তমান নেতৃত্বের কাছে এসব আশা করা যায় না ।
খেয়ালী মেয়ে
আশা করা যায়, স্বপ্ন দেখা যায়, আর আমাদের চিন্তাগুলোও এমন সুন্দর/কল্যাণকর ই হওয়া উচিত (y)
জিসান শা ইকরাম
স্বপ্ন আছে আমাদের সবার মনে।
আমাদেরকে যদি একটু বুঝতো আমাদের নেতা নেত্ররা —
সায়ন্তনু
আপনি কল্পজগতের মানুষ।
জিসান শা ইকরাম
পুরোটাই
স্বপ্নের মাঝে বসবাস আমার।
সঞ্জয় কুমার
নিতান্তই সুখ স্বপ্ন । তবুও আমি মনে করি কেবল তারণ্যের শক্তিই পারে দূর্জেয় কে জয় করতে ।
জিসান শা ইকরাম
চীন পেরেছে
আমাদেরও পারা উচিৎ।
স্বপ্ন নীলা
শুধু ভোটের আগে প্রতি বাড়ি নয়, প্রতি মাসেই তো প্রতি বাড়ি যাওয়া যায়। কোন সংগঠন যদি এসব কাজ করে, জনতার হৃদয়ে তাদের স্থান পাকাপোক্ত হয়ে যাবে। জনতা ভাবতে বাধ্য- এরাই আমাদের আপন, অতি কাছের স্বজন ।’’———–এই লাইন দুটি অসাধারণ শক্তিশালী —— এমনটাই হওয়া উচিত —যা দেশের মানুষ প্রত্যাশা করে ——
অসাধারণ একটি লেখায় কোটি কোটি প্লাস
জিসান শা ইকরাম
ধন্যবাদ আপনাকে। তবে এসব কেমল কল্পনা। বাস্তবতা থেকে কোটি আলোক বর্ষ দূরে এর অবস্থান।
মরুভূমির জলদস্যু
সবাইকে দিয়ে যে সব কাজ হয় না তার সবচেয়ে ভাল উদাহরণ এরা, আবার উল্টো করে ও বলা যায়, কোন কাজই ছোট না, লজ্জা ছাড়তে পারলে সব কাজই করা যায়। :D)
জিসান শা ইকরাম
এদের দিয়ে যে সব হবেনা, এটি আশা করা যায়।
ওয়ালিনা চৌধুরী অভি
কোন লাভ হবে না। অযথাই সব ভাবনা।
জিসান শা ইকরাম
স্বপ্ন দেখলে লিখিনা আমরা ? এটাও তেমন এক স্বপ্নের লেখা।
সঞ্জয় কুমার
*ইসলাম আর জামায়াত ইসলাম যে এক নয় তা বুঝানো
নিশ্চিত নাস্তিক ট্যাগ সাথে উষ্ঠা খাওয়ার সম্ভাবনা ।
আমরা এসব কাগজে কলমে করলেও ।
জামাতরা এগুলি অনেক আগে থেকেই মাঠ পর্যায়ে করছে । ।
ধর্মের সাথে মিশিয়ে সুকৌশলে একটু রাজনীতি । সাধারণত মানুষ তাতেই কুপকাত ।
জিসান শা ইকরাম
এজন্য কেউ নাস্তিক ট্যাগ দিবেনা।
যদি কেউ দেয়, সে নাস্তিক।
প্রচারের বিষয়ে লীগের উচিৎ জামায়াতকে অনুসরন করা।
মিশু..
আমিও একজন আশাবাদী মানুষ কিন্তু এদের কাছে ভাল কিছু আশা করা বোকামি মনে হয় … (-3 (-3
জিসান শা ইকরাম
ঠিক বলেছেন, এদের কাছে আশা করার মত কিছুই নেই।
শিশির কনা
এই দলগুলো দিয়ে কিছুই হবেনা, লেখা লেখি বৃথা।
জিসান শা ইকরাম
স্বপ্ন লিখছি, আর কিছুনা।
লীলাবতী
স্বপ্নেও এসব ভাবনা আসেনা 😀
জিসান শা ইকরাম
আমি এসব স্বপ্ন দেখি, কিছু করার নেই।