আমার স্বপ্ন দেখা শুরু সেই ছোটবেলা থেকেই—ভাইয়া আপুর সাথে বয়সের ব্যবধান, তার উপর খেলার সাথী হিসেবে সমবয়সী কেউ ছিল না বাসায় কিংবা আশেপাশে প্রতিবেশীদের কেউ—একা একাই খেলতাম-কমিকস পড়তাম-আর রূপকথার গল্প পড়তে পড়তে তো হারিয়ে যেতাম রূপকথার জগতে—সেই ছোট্ট বয়স থেকেই নিজের একটা আলাদা জগৎ গড়ে নিয়েছিলাম নিজের মত করে—স্বপ্নময় একটা জগৎ………….
ছোট্টবেলা থেকেই পরী হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম—যার ডানা থাকবে—যখন যেখানে মন চায় উড়ে যাবে—হাতে ১টা রূপালী রঙের যাদুর কাঠি থাকবে—সেই কাঠির অনেক ক্ষমতা থাকবে—আম্মুর মুখে পান্তা বুড়ির গল্প অনেক শুনেছি—যখন মা গল্প বলতো তখন পান্তা বুড়ির জন্য আমার অনেক কষ্ট হতো—আর চোরটার উপর অনেক রাগ হতো—আগে আমার বিশ্বাস ছিলো চোর মানে যার ১টা লম্বা লেজ আছে-মাথার উপর বাঁকা ২টা শিং-অনেক বড় বড় দাঁত-হাতে লম্বা লম্বা নখ—চোরের কথা শুনলে খুব ভয় লাগতো—তখন আমি আবার আমার স্বপ্নে চলে যেতাম—ডানা মেলে আমি বুড়ির বাড়ি চলে যেতাম—যাদুর কাঠি দিয়ে চোরের লেজটা আমি ভ্যানিশ করে দিতাম—তারপর চোরটাকে শাস্তি দিতাম—এই স্বপ্নগুলো দেখতে যে কত্তো ভালো লাগতো……………..
বাসার ছাদে ভাইয়ারা যখন ঘুড়ি বানিয়ে আকাশে উড়িয়ে দিতো তখন কি যে আনন্দ লাগতো—আকাশে ঘুড়ি উড়ছে-তার সাথে সাথে আমিও উড়ছি আকাশে ডানা মেলে—আমার এই পরী হওয়ার স্বপ্ন কারো অজানা নয়—স্কুলে যেমন খুশি তেমন সাজ সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতায় আম্মু আমায় পরী সাজিয়ে দিতো—আব্বু আমার জন্য পরীড্রেস/যাদুর কাঠি সবই এনেছিলো—পরী সেজে আমি আকাশে উড়তে পারিনি ঠিক কিন্তু প্রাইজ আনতে পেরেছিলাম—প্রথম ১/২ বছর যেমন খুশি তেমন সাজ প্রতিযোগীতায় আমাকে পরী সাজতে দেখে—পরের বছরগুলোতে সবাই আগে থেকেই বলে দিতো যে আমি এবারও পরী সাজবো—ভুল বলতো না—সত্যি আমি পরীই সাজতাম………………..
৮ম শ্রেণীর স্কলারশীপের রেজাল্টের পর কুমিল্লার ডিসি এবং ডিপিইও এসেছিলেন স্কুল ভিজিটে—আমরা যে কজন টেলেন্টপুলে স্কলারশীপ পেয়েছিলাম ডিসি আমাদের উদ্দেশ্য প্রশ্ন রেখেছিলেন তোমরা কে কি হতে চাও—আমার বন্ধুরা বিজ্ঞানী/প্রকৌশলী/শিক্ষক/পাইলট তাদের এমন বড় বড় ইচ্ছেগুলোর কথা বলল—আর আমিও খুব গর্ব করে বলেছিলাম আমার সেই দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন পরী হওয়ার কথা—এখনও চোখে ভাসে আমার কথা শুনে সবাই খুব হেসেছিল—তখন খুব খারাপ লেগেছিল—কিন্তু ডিসি স্যার আমার মাথায় হাত রেখে বলেছিলেন-ভেরি গুড ড্রীম,উইশ ইউ অল দ্যা বেষ্ট বেবি—তখন আমার অনেক ভালো লেগেছিলো—এমন কতো পাগলামিই না করেছিলাম ছোটবেলায়—এখনও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ফ্যামিলির সবাই যখন একসাথে হয় আমাকে এই পরী হওয়া নিয়ে অনেক ক্ষেপায়—তবু স্বপ্ন দেখা হয়নি বন্ধ………………
দিন যায়-সময়ও বয়ে যায়—সময়ের স্রোতে কতো কিছুই না গেল ভেসে—শুধু স্বপ্নগুলো রয়ে গেছে মনের মনিকোটায় অতি নীরবে—এখন আর আগের মতো বলি না আমি পরী হবো-আমি ডানা মেলে উড়বো-আমি সব অন্যায়কে যাদুর কাঠিতে ভ্যানিশ করে দিবো-ঘরের দেয়ালে আমি এখন আর কোন গল্পের বইএ দেখা পরীর ছবি আঁকি না-এখন আমি আর যখন তখন পরী সাজার বায়নাও ধরি না—সময় সত্যি অনেক গড়িয়েছে—আর অনেক স্বপ্নকে সময় একঘরে করে রেখেছে—হায়রে আমার স্বপ্নরা………………
তবে এখন আমি বাসার পিচ্ছিগুলোকে মাঝে মাঝে পরী সাজায়—পরীদের নিয়ে নানান রূপকথার গল্প শুনিয়ে, তাদেরকে রূপকথার জগত ঘুরিয়ে আনি—স্কুলে বার্ষিক প্রতিযোগীতায় বাচ্ছাদেরকে কতো কিছুই না সাজতে দেখি-কিন্তু কাউকে আজো পরী সাজতে দেখলাম না—আমাদের সুখ ৩বছর হয় স্কুলে আছে-গাঁয়ের বধু/আদর্শ শিক্ষক/মুক্তিযোদ্ধার মা এগুলো সাজতেই ও বেশি পছন্দ করে-পরী নয়—আমিও মাঝে মাঝে আমার স্টুডেন্টদের কাছে খুব আগ্রহ নিয়ে জানতে চাই –কি স্বপ্ন ওরা দেখে?—কোন স্বপ্ন নিয়ে ওরাও স্বপ্নালোকে হারিয়ে যায়?—সবাই খুব স্মার্টলি অ্যানসার করে, তাদের স্বপ্নগুলো অনেক বড়—আমার মতো কেউ বোকা বোকা স্বপ্ন দেখে না……………………
আজও বিকেলে যখন ছাদে গেলাম আশেপাশে দেখি অনেকেই ঘুড়ি উড়াচ্ছে—চোখ মেলে শুধু চেয়েই থাকি-কিন্তু সেই ঘুড়িগুলোর আশেপাশে কোথাও আমি আমাকে দেখলাম না—স্বপ্ন আমার স্বপ্নই রয়ে গেলো-আর আমি আমিই রয়ে গেলাম-পরী হওয়া হলো না আমার–এখন আমি অনেক বড় হয়ে গিয়েছি—এখন আমি বুঝতে পারি, এই স্বপ্ন কখনো সত্যি হওয়ার নয়—কতো বোকা ছিলাম আমি, পরী হতে চেয়েছিলাম-যা কখনোই আমি হতে পারবো না……………..
স্বপ্ন সেতো স্বপ্নই—পূরণ হবারতো নয়……..
যা পূরণ হয়, তা হয়তো আমাদের প্রয়োজন/চাহিদা কিংবা লক্ষ্য থাকে—স্বপ্ন নয়—অনেক দেরিতে হলেও এই সত্যটা অনুধাবন করতে পেরেছি……..
তবুও স্বপ্ন দেখতে আমার নেইকো মানা—
স্বপ্নেই আমি উড়ে যাই মেলে স্বপ্ন ডানা—
ডানা মেলে আমি উড়ি আকাশে—
মাঝে মাঝেই যাই মিলিয়ে বাতাসে—
তারাদের গল্পের আসরে আমিই হলাম মধ্যমনি—
চাঁদের বুড়ির সাথে দেখা করতে নিয়ে যাই পান সুপারি—
রঙধনুতে বসিয়ে দিই আমার নরম হাতের ছাপ—
সূর্য্যি মামা তাইনা দেখে হয় কুপোকাত—
সপ্তর্ষিদের সাথে আমার গলায় গলায় ভাব—
ধ্রুবতারা জানতে চায় কি আমার নাম?—
মেঘেদের সাথে করি ছুটোছুটি—
রৌদ্রের সাথে খেলি লুকোচুরি—
আমি হলাম স্বপ্ন পাগল এলোমেলো এক স্বপ্নপরী…………………
(খেয়ালী মেয়ের রং হারানো স্বপ্ন)
২৭টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
খুব আন্তরিক ভাবে আপনার স্বপ্নের কথা লিখলেন।
অনেকেই ইচ্ছে গুলোর কথা এমন সুন্দর করে গুছিয়ে লিখতে পারেননা।
ইচ্ছে প্রকাশে আপনি সফল।
লেখার সমাপ্তিতে কবিতা লেখাটিকে অন্য মাত্রা দিয়েছে।
পরীর মতই আপনার ইচ্ছেটা সুন্দর।
ভালো লেগেছে খুব।
খেয়ালী মেয়ে
ধন্যবাদ 🙂
নুসরাত মৌরিন
আপনি তো আসলেই পরী। যার এত এত কল্পনার ডানা থাকে সে কি আর সাধারন মেয়ে?
আমার সাথে দেখি আমার অনেক মিল।আমিও সেই পিচ্চি কাল থেকে কল্পনায় ভেসে ভেসে মহাকাশ থেকে হিমালয় সব জায়গা ঘুরে বেড়াই।যদিও পরী হতে চাই নি কখনো,কিন্তু আমারও এমন হাজারও কল্পনার ডানা ছিল,কিছু কিছু ভেঙ্গে গেছে,কিছু এখনো আছে।
আর একটা ব্যাপারেও আপনার সাথে আমার মিল আপনি যেমন অদেখা ড্যামিশ কে চিঠির পর চিঠি লেখেন,আমারও এমন একজন অদেখা অনিমেষ আছে,তাকে অবশ্য আমি কখনো খুঁজেই পাই নি,তবু তাকে মনে মনে চিঠি লিখি,ভাবি সে আশেপাশেই আছে,কিন্তু খুঁজেই পাই না।
কত্ত মিল আমাদের তাই না?
🙂
নুসরাত মৌরিন
#আমার সাথে দেখি আপনার অনেক মিল
খেয়ালী মেয়ে
আপনার সাথে দেখি সত্যিই আমার অনেক মিল..
আপনার অনিমেষকে মনে মনে যে চিঠিগুলো লিখেছেন সেগুলো পড়তে মন চাচ্ছে(চিঠির প্রতি আমার অনেক র্দূবলতা রয়েছে)………..
বনলতা সেন
আপনার লেখা পড়ে একটু ও রং হারানো স্বপ্ন মনে হয় না।
আপনাকেই পরী ভাবতে ইচ্ছে করে। আমাদের সামনে যে ভাবে স্বপ্নময় রাজ্য মেলে ধরলেন।
খেয়ালী মেয়ে
যা ভাবতে মন চাচ্ছে তা ভাবা শুরু করে দিন, আমি আসলেই এলোমেলো এক স্বপ্নপরী…
লীলাবতী
কে বলেছেন আপনি পরী হতে পারেননি ?পরীর মত ঘুরে ঘুরে আপনি সবার লেখা পড়তে যান। কে কি লেখেন তা ঠিকই দেখেন আপনি। বাস্তবে আপনার ডানা নেই সত্য কিন্তু মনের আপনার ঠিকই দুটো সুন্দর ডানা আছে আপু। আজ থেকে আমি আপনাকে পরী আপু বলেই ডাকবো। খুব সুন্দর করে আপনি নিজকে প্রকাশ করতে পারেন।
খেয়ালী মেয়ে
সম্বোধনটা মন্দ না, নিজেকে এবার আমার সত্যিই পরী মনে হচ্ছে…
ব্লগার সজীব
‘ প্রথম ১/২ বছর যেমন খুশি তেমন সাজ প্রতিযোগীতায় আমাকে পরী সাজতে দেখে—পরের বছরগুলোতে সবাই আগে থেকেই বলে দিতো যে আমি এবারও পরী সাজবো—ভুল বলতো না—সত্যি আমি পরীই সাজতাম ‘ কত সহজ সরল স্বীকারোক্তি 🙂 ছোট বেলার এই ইচ্ছেকে ধরে রাখুন আপু আজীবন। অনেক ভালো লেগেছে আপনার এই লেখাটি। আপনি খেয়ালী মেয়ে হয়েই এমন স্বপ্ন লালন করুন।
খেয়ালী মেয়ে
বোকা মানুষের স্বীকারোক্তি গুলো খুব সহজসরল হয়…আর এই খেয়ালী মেয়েটা সবসময় বোকা হয়ে এমন স্বপ্নগুলোকে লালন করে যেতে চায়……
ছাইরাছ হেলাল
যে এমন লিখতে পারে তার স্বপ্ন রঙ হারিয়ে যেতে পারে না।
আপনার লেখা পড়ে আপনাকেই পরী মনে হচ্ছে।
ছন্দময় অংশটুকু সুন্দর হয়েছে।
আপনি দেখছি দারুণ লেখেন। পড়ব নিয়মিত।
খেয়ালী মেয়ে
আমারও নিজেকে এখন একটু একটু পরী মনে হচ্ছে–
নিয়মিত পঁচা লেখা পড়ার জন্য যে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তার জন্য ধন্যবাদ..
মোঃ মজিবর রহমান
কল্পনা শক্তিি মানুসকে নিয়ে যায় অনেক দূর ,
সেই কল্পনাতেই আপনি পরী পরী পরী।
সুন্দর উপস্থাপনা।
খেয়ালী মেয়ে
হুমমমমমমমমমম আমি হলাম স্বপ্ন পাগল এলোমেলো এক স্বপ্নপরী………………
মোঃ মজিবর রহমান
স্বপ্ন পাগল বলেই তো লেখে চলেছেন একের পর এক স্বপ্নগাথা গল্প।
হৃদয়ের স্পন্দন
খুব ভালো উপস্থাপনা, নিজের স্বপ্নের প্রকাশ, ডানা আর কাঠি ওয়ালা পরী না হয় নাই হলেন বাস্তব জগতের পরী হোন, পাখার বদলে বিমানে ওড়েন তার জন্য চাই কঠিন সাধনা কেননা বিমানে এমনিতেই চড়া যায় কিন্তু আপনি সেই বিমানেই চড়বেন সেই কাজেই যাবেন যেখানে দেশের উন্নতে হবে আপনার সেই স্বপ্নের যাদুর কাঠিতে না মুখের কথায় আর কাজে, শুভ কামনা রইলো অবাধ্য অপূর্ণ স্বপ্ন গুলু ভিন্ন আঙ্গিকে পূরন হোক
খেয়ালী মেয়ে
দেখা যাক কি হয়———
আপনার জন্যও শুভকামনা রইলো..
শুন্য শুন্যালয়
এই পরীটা এতোদিন কোথায় ছিলো? পুরো লেখা জুড়ে চমৎকার এক রূপার কাঠির গ্লিটার ছড়িয়ে গেলো… স্বপ্ন পুরন হয়ে গেছে সেই কবে, পরী তো নিজেই জানেনা …
খেয়ালী মেয়ে
সোনেলাতে আসার আগেই শুনেছিলাম শুন্য শুন্যালয়ও এখানে আছে আমার ভাল লাগবে….তাই এই একই প্রশ্ন আমারও শুন্য শুন্যালয় এতোদিন কোথায় ছিলো?…..
শুন্য শুন্যালয়
একটু ব্যস্ত হয়ে পরেছিলাম কিছুদিন, তবে মন এখানেই ছিলো। অবশেষে বান্দা আবার হাজির। আর যাচ্ছিনা। ভালো থাকুন অনেক।
মেহেরী তাজ
আজ দুপুরেই পড়েছি আপনার এই লেখা। এখন আবার পড়লাম। নিজের ইচ্ছে, স্বপ্নকে অসাধারন ভাবে উপস্থাপন করলেন। কোমল একটি ভাব আছে লেখায়। শেষের কবিতায় অশেষ ভালোলাগ।
খেয়ালী মেয়ে
🙂 🙂
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
জীন পরী শুনেছি ছিল দেখিনি কখনও কেউ বাস্তবে দেখেছে বলে মনে হয় না তবুও সবাই স্বপ্ন দেখে পরী হতে তবে সাবধান পরীদের মাঝেও খারাপ পরীও আছে সেটা হবার যেন ইচ্ছে না হয়।
খেয়ালী মেয়ে
এখনও পর্যন্ত খারাপ চিন্তাটা মাথায় আসেনি…আশা করি ভবিষ্যতেও কখনো আসবে না–
অলিভার
পরী, আকাশে উড়বে, গান গাইবে, মন খারাপ করা মানুষের মন ভালো করবে, এমনটাই তো রূপকথার গল্পগুলিতে শুনেছিলাম। সত্যিই কি আপনি মনে মনে আকাশে উড়তে পারছেন না আপনার স্বপ্নগুলিকে নিয়ে? সত্যিই কি পারছেন না দুষ্টুমি করে, গান গেয়ে ছোট ছোট এই রত্নগুলিকে আনন্দ দিতে? মন খারাপ হলে মজার কোন কৌতুক বলে সত্যিই কি পারছেন না মন খারাপ গুলিকে দূর করে দিতে? তাহলে আপনার পরী হবার স্বপ্নটা আর অপূর্ণই বা থাকলো কোথায়।
একটা জায়গায় আফসোস করলেন যে আমাদের বাচ্চাগুলি এখন আর পরী সাজতে চায় না, তারা অনেক বেশি রিয়েলস্টিক কিছু সাজতে চায়। দোষটা কিন্তু আসলে তাদের ন। আগে আমরা পরিবারের দাদী, নানী কিংবা এই গোছের কারো কাছে গল্প শুনতাম। আর সেখানেই থাকতো সেইসব কল্পনার পরীরা। আর সেই পরীগুলি গল্প থেকে আমাদের মনে স্থান করে নিতো। এখন কি হচ্ছে বলুন তো? এখন ছোটবেলাতেই কমিক দেখিয়ে বাচ্চাদের গল্প শোনানো হচ্ছে। আর সেই গল্পে ভিনদেশীদের গল্প বলা থাকে। সেখানে আমাদের শৈশবের পরীরা স্থান পায় না। আর এই কারণেই তারা এখন আর পরী হবার জন্যে আগ্রহ প্রকাশ করে না।
একটা স্বাধীন মন আর মানুষকে আনন্দ দেবার ক্ষমতা কিন্তু কোন পরীর যাদুর কাঠির থেকেও কম নয় 🙂
খেয়ালী মেয়ে
অনেক সুন্দর গুছিয়ে লিখেছেন, হয়তো আপনার কথাগুলোই ঠিক…