
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতীর এক কলঙ্কিত অধ্যায়। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, বাঙালি জাতি থাকবে। ততদিন এই কলঙ্কিত ইতিহাস আমাদের বয়ে বেড়াতে হবে।
কি অপরাধ ছিল বঙ্গবন্ধু? কি অপরাধ ছিল তার পরিবারের সদস্যদের? জীবনের অধিকাংশ সময় কারাভোগ করেছেন। শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেছেন। একটি স্বাধীন দেশের স্বপ্ন দেখিয়েছেন। বাঙালি জাতিকে একটি স্বাধীন মানচিত্র উপহার দিয়েছেন। আমরা তাঁকেই সপরিবারে হত্যা করলাম। কি অপরাধ ছিল বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বেগম মুজিবের। কি দোষ করেছিল বঙ্গবন্ধু পুত্রবধূ সুলতানা জামান ও রোজী জামাল।যাদের হাতের মেহেদীর রং না শুকাতে বুলেটের আঘাতে রক্তাক্ত হলো বাংলার আকাশ। ছোট্ট রাসেল তাঁকেও এতো ভয়। তাঁর ছোট্ট বুকেও বুলেট ছুড়লো। তাঁকেও বাঁচতে দিল না। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন নির্মম হত্যাকাণ্ড আর কোথায়ও ঘটেনি।
শেখ মণির অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণির অনাগত সন্তান পৃথিবীর আলোর মুখ দেখতে পেল না। কি নির্মম হত্যাকাণ্ড! বেবী সেরনিয়াবাত, সুকান্ত আব্দুল্লাহ বাবু বুলেট তাঁদেরও ঝাঁঝরা করে দিল। একসাথে এতগুলো হত্যাকাণ্ড যুদ্ধের মাঠেও হয় না। তখন তো যুদ্ধ ছিল না। সদ্য স্বাধীন একটি দেশ। স্বাধীন দেশে বাঁচার অধিকার সবার আছে। অধিকার থেকে কেন তাঁদের বঞ্চিত করা হলো। দেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে বারবার জানতে ইচ্ছে করে। কি ছিল বঙ্গবন্ধুর অপরাধ। বাংলাদেশকে ভালোবাসা,বাংলাদেশের মানুষকে ভালোবাসাই কি ছিল তাঁর অপরাধ।
ভোরের আকাশে উঠছিল কি দিনমনি
শুনেছিল কেউ পাখির কলতান,
শ্রাবণের শেষ আকাশ ছিল আঁধারে ঢাকা
নিরব নিস্তব্ধ হাহাকারে পুড়ছিল
বাংলার মানচিত্র, বঙ্গবন্ধু তুমি হারা।
ছবি–নেট থেকে সংগ্রহ করা
২৩টি মন্তব্য
মনির হোসেন মমি
স্বপরিবারে এমন নির্মম হত্যা বিরল।বিনম্ভ্র শ্রদ্ধাঞ্জলী।
হালিমা আক্তার
সত্যিই বলেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
সাবিনা ইয়াসমিন
দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে দেশ স্বাধীনতা পেলেও স্বাধীন হতে পারেনি স্বাধীনতার বিপক্ষ থাকা অপশক্তির হাত থেকে। তিনি বাইরের শত্রুদের মোকাবেলা করতে পেরেছিলেন সিংহের মতো পরাক্রমশালী হয়ে, কিন্তু ইঁদুর ভেবে যাদের করুণা করেছিলেন তারাই তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। বিশ্বাসঘাতকদের দ্বারা গঠিত ১৫ই আগষ্টের নৃশংসতা পাকি-বাহিনীর নৃশংসতাকে হার মানিয়েছিলো। সৃষ্টি করা হয়েছিল বাংলাদেশের ইতিহাসের দ্বিতীয় কালরাত্রির-কলঙ্কিত রাত্রি।
হালিমা আক্তার
মানুষ এতো খারাপ হতে পারে বিশ্বাসঘাতকদের না দেখলে বিশ্বাস হবে না। যাদেরকে দয়া করেছেন তারাই তাঁকে নৃশংস ভাবে হত্যা করলো।
শুভ কামনা রইলো।
আরজু মুক্তা
এমন ঘটনা পৃথিবীতে বিরল। বিনম্র শ্রদ্ধা জাতির পিতা এবং তাঁর পরিবারকে।
হালিমা আক্তার
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
রিতু জাহান
আমরা অধৈর্য জাতি, আমাদের একপক্ষ যা বোঝায় তাৎক্ষণিক তা বুঝে ফেলি অথচ অপেক্ষা করে তার সবকিছু জেনে সুফল ভোগ করতে পারি না। আমাদের বোঝাতে একদল সক্ষম হয়েছিলো, বঙ্গবন্ধুর শাসন ব্যবস্থা দুর্বল।অথচ তিনি দীর্ঘদিন জেল খেটে খেটে দুর্বল হতেন তবু বঙলার মানুষকে তা বুঝতে দিতেন না! একবার ভাবুন তো, একটা ঘরে আপনিই শুধু একা কেউ নেই কথা বলার। থাকতে পারবেন?
অথচ আমরা তার সকল ত্যাগের বিনিময়ে তার বুক ঝাঝরা করে দিলাম।
কলঙ্কিত করলাম।
হালিমা আক্তার
একদম সঠিক বলেছেন। আমরা আসলেই অধৈর্য জাতি। আমরা অনেকটা নিমকহারামও। না হলে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটানো সম্ভব হতো না। শুভ কামনা রইলো।
ছাইরাছ হেলাল
প্রশ্নের উত্তর জানা নেই, তাঁর আদর্শ গ্রহণ করাই আমাদের মুক্তির পথ।
হালিমা আক্তার
একদম সঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
সদ্য স্বাধীন হওয়া দেশের জনগণ যখন সবকিছু নতুন ভাবে সাজাতে মশগুল তখনই এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড সবার মনোবল ভেঙে দিলো, দেশ স্বাধীন হবার আগেই পরাধীন হয়ে গেল। ছোট্ট রাসেল, সুকান্তের কি অপরাধ ছিল সে প্রশ্ন আমারো। নবাগত বৌদের কি অপরাধ ছিল? এ প্রশ্নের উত্তর আদৌ মিলবে না।
হালিমা আক্তার
প্রায় আড়াইশো বছর পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হবার পর। একটি দেশ সাজাতে যে সময়ের প্রয়োজন তা বঙ্গবন্ধুকে দেয়া হয় নাই। শত্রুর ভয় ছিল বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অন্যরকম হতো। অন্যদের কি অপরাধ।এর উত্তর থেকে যাবে আঁধারে মিশে। শুভ কামনা রইলো।
নিতাই বাবু
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা ও ১৫ই আগস্টের সকল শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা।
হালিমা আক্তার
আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।
রোকসানা খন্দকার রুকু
অপরাধ ছিলো কুলাঙ্গার জাতীর মঙ্গল চাওয়া আর অতি বিশ্বাস করা যে আমার ভাই, আমার সন্তানরা আমাকে কখনোই মারতে পারে না। কথায় আছে না বাপকেও বিশ্বাস করতে নেই- সেটাই করা উচিত ছিলো।।
হালিমা আক্তার
একদম সঠিক বলেছেন। সেটা করতে পারলে বাংলার ইতিহাস অন্য ভাবে লেখা হতো। শুভ কামনা রইলো।
বোরহানুল ইসলাম লিটন
’সেদিন নিশীথে আর উঠেনি সে চাঁন
পাখিরাও গায়নি ক্ষণকাল গান,
বয়েছিল শুধু অসীম বিরহে ভরা
শোকাবহ এক তান’
আন্তরিক শুভ কামনা রাখলাম পাতায় নিরন্তর।
হালিমা আক্তার
সুন্দর কবিতা। অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
আলমগীর সরকার লিটন
বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই
হালিমা আক্তার
আপনাকে ধন্যবাদ।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
সত্যি মূল কারণ মনে হয় —- “তখন তো যুদ্ধ ছিল না। সদ্য স্বাধীন একটি দেশ। স্বাধীন দেশে বাঁচার অধিকার সবার আছে। অধিকার থেকে কেন তাঁদের বঞ্চিত করা হলো। দেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে বারবার জানতে ইচ্ছে করে। কি ছিল বঙ্গবন্ধুর অপরাধ। বাংলাদেশকে ভালোবাসা,বাংলাদেশের মানুষকে ভালোবাসাই কি ছিল তাঁর অপরাধ”।
হালিমা আক্তার
সহমত পোষণ করছি। ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
শুভ কামনা রইলো।