গাইনোকোলোজিস্ট মিসেস সাবরিনার কেস নিয়ে হুলস্থুল পড়ে গেল। সাংবাদিকেরা মিসেস সাবরিনাকে হেডলাইন বানিয়ে খবর ছাপাচ্ছে। কিছু কিছু পেপারের হেডলাইনও সেইই হচ্ছে, যেমন ‘কন্যাশিশুহন্তারক ডঃ সাবরিনা’, ‘ডাইনি সাবরিনা’, ‘জল্লাদিনী না ডাক্তার?’ ইত্যাদি ইত্যাদি। এক প্রাইভেট ক্লিনিকে দিনের পর দিন মেয়েশিশুর অ্যাবরশন করে আসছেন। একজন নারী হয়ে কিভাবে এ কাজ করছেন তা সমাজের প্রশ্ন, ব্লগারদের প্রশ্ন, মানুষের প্রশ্ন। বিভিন্ন স্কুল কলেজের মেয়েরা তার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল কেস চলাকালীন সময়ে। কেসের রায়ের দিনেই সব বদলে গেল। Criminal abortionএর প্রমাণস্বরূপ যথেষ্ট কাগজপত্র পাওয়া গেল। পুরোসমাজ মহিলাকে ধিক্কার দিচ্ছে, জীবিতপুতে ফেলতে চাইছে। ডঃ সাবরিনাও defence-এ কিছুই বলেন নি, সব মেনে নিয়েছেন। Self-justificationএর সময় তার কথা শুনে সবাই থমকে গেল।
গল্পের বাকী অংশ পড়তে চলে আসুন বইমেলায়, সংগ্রহ করুন “অনুভূতি গেছে অভিসারে”।
৩৮টি মন্তব্য
মিথুন
ডাঃ সাবরিনার জন্য আমার সমবেদনা। তবে ক্রিমিনাল এবরশান একটা ক্রাইম। এভাবে মেয়েদের ভাগ্য বদলানো যাবেনা।
কিছু কথা মনে দাগ রেখে গিয়েছে মেয়ে সন্তান ছেলেদের ক্রোমোজমে নির্ধারন হয় সত্যিই তো এটার প্রচার নেই, আর করবেই বা কারা? অপ্রকৃতিস্থ দের কাছে থেকে আমরা সত্য শুনতে ভালোবাসি এটাও সত্যি।
কৃন্তনিকা
এটি একটি গল্প। এখানে সাবরিনার জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনায় তার মানসিক অসংলগ্নতার সাথে সমাজের প্রেক্ষাপটকে তুলে ধরতে চেয়েছি। ক্রিমিনাল অ্যাবরশনকে এখানে জাস্টিফাই করা হয় নি।
হুম, অপ্রক্রিতস্থরা কোন কিছুকে তোয়াক্কা করে না।
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
বাস্তব অসংগতি তুলে এনেছেন যত্ন নিয়ে।আমাদের সমাজ ব্যবস্থার অন্ধকার দিক এটি একটি ।
কৃন্তনিকা
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
সমাজের এই বাস্তব অসঙ্গতিগুলো অবাস্তব হতে কত যুগ লাগবে জানা নাই। কিন্তু এই অন্ধকারকে দূর তো করতেই হবে…
ভালো থাকবেন 🙂
রিমি রুম্মান
ভালোলাগা রইলো লেখা এবং লেখকের প্রতি। শিক্ষণীয় একটা লেখা…
কৃন্তনিকা
আপনার ভালোলাগা জেনে ভালো লাগলো। 🙂 🙂 🙂
পড়ার জন্য ধন্যবাদ। 😀
পুষ্পবতী
ডা: সাবরিনার প্রতি রইলো অভিনন্দন।হ্যা এইটা ঠিক যে আমাদের সমাজে নারীদের অনেক অবহেলা করা হয় এবং নারীরা প্রতিনিয়ত নির্যাতিত হচ্ছে তাই বলে এবারশন করে কন্যা শিশুদের মৃত্যু কোন সমাধান নয়। এইটা একটা ক্রিমিনাল অপরাধ। তাই ডা: সাবরিনা একজন অপরাধী আমার মনে হয়।
এই পোষ্টের একটা জিনিস আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে যে
খাবার স্যালাইন, পরিবার পরিকল্পনাগুলোর ব্যাপারগুলো টিভিতে প্রচার হচ্ছে। আমাদের সিস্টেম কি পারতো না প্রচার করতে যে- সন্তানের সেক্স নির্ধারিত হয় বাবার জিন দ্বারা। বাবার থেকে Y জীনটি আসলেই সন্তান ছেলে হয়।
তাহলে সমাজে নারীদের দোষারোপ করতে পারতনা।
ধন্যবাদ এতো গুরত্বপূর্ণ পোস্ট দেওয়ার জন্য। -{@
কৃন্তনিকা
এটি একটি গল্প। এখানে সাবরিনার জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনায় তার মানসিক অসংলগ্নতার সাথে সমাজের প্রেক্ষাপটকে তুলে ধরতে চেয়েছি। ক্রিমিনাল অ্যাবরশনকে এখানে জাস্টিফাই করা হয় নি।
সিস্টেমের জন্যই মেয়েদের সাথে ঘটে যাওয়া অন্যায়গুলোর কোন সুরাহা হয় না। মেয়েরা দিনের পর দিন অত্যাচারিত হতেই থাকে। কিন্তু সিস্টেমের কোন পরিবর্তন হয় না।
পড়ার জন্য আপ্নাকেও ধন্যবাদ 🙂
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
এ ঘূণে ধরা সমাজকে ধিক্কার জানাই এবং পুরুষ হিসাবে সত্যিই লজ্জিত।এটা মনে হয় না পুরুষের দোষ এটা ক্ষমতা আর প্রভাব প্রতিপত্তিদের দ্বারা সৃষ্টি।কোটি পতিরা ধর্ষিত হলে হয় সোসাইটি রক্ষা আর গরীব হলে হয় ধর্ষিতা।এ সমাজ ব্যাবস্হাকে বদলাতে প্রয়োজন বেগম রোকেয়ার মতন ক্ষমতায়ন নারী।
কৃন্তনিকা
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
কিন্তু কোটিপতিরা ধর্ষিত হলে হয় সোসাইটি রক্ষা- কথাটি বুঝতে পারনি।
বনলতা সেন
অত্যন্ত জীবন ঘনিষ্ট একটি বিষয় এখানে তুলে এনেছেন। সমাজের কোন স্তরেই কোন সচেতনতা তৈরি হয়নি ,
হবে এমন মনেও হয় না ।
কৃন্তনিকা
যে কোন মেয়ের জন্যই ব্যাপারগুলো বেশ স্পর্শকাতর। কিন্তু সচেতনতাই যেখানে তৈরি হয় নি, সেখানে সমাধান তো আর দূরের বিষয়।
আপনার সাথে সহমত পোষণ করছি। 🙁
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
শুন্য শুন্যালয়
চমৎকার বলেছেন উনি। প্রত্যেকটা কথা ভাববার মতো । ধন্যবাদ আপনাকে কৃন্তনিকা অনেক ভালো একটা বিষয় শেয়ার করবার জন্য।
কৃন্তনিকা
সাবরিনা যা বলেছেন তা প্রতিটি মেয়ের অন্তঃস্থলের কথা, শুধু ভাষা সাবরিনার…
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। 🙂
মেঘাচ্ছন্ন মেঘকুমারী
নারীদের প্রতি বৈষম্য গুলো সঠিক ভাবে তুলে ধরেছেন।
ধন্যবাদ এমন লেখার জন্য।
কৃন্তনিকা
পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
নারী কবে এই বৈষম্য থেকে মুক্তি পাবে জানি না… 🙁
খসড়া
খুব ভাল লাগলো আপনার লেখাটি। খুব অন্ধকার দিকটি তুলে এনেছেন। এবারে লিখুন প্লিজ প্রতিটি মেয়ে কি ভাবে রাতের পর তার রেপ হয় তার স্বা্মী নামক আপাত ভালবাসি পুরুষ কর্তৃক। কত মেয়ে জানেই না তাদের যে তৃপ্তি নামক একটি বস্তু আছে। তাদের শরীরের জ্বলা থেকে মুক্তি চায়। ইচ্ছা থাকলে পায় না অনিচ্ছায় দিনের পর দিন নির্যাতিতা হয়। কাউকে বলা যাবে না, কেউ মুখ খুললে বলে বাজে বকিস না তবে বাচ্চার মা হলি কি ভাবে? কি আশ্চর্য্য সমাজ। আমি ও মাঝে মাঝে চাই মেয়ে গুলি কেন জন্মদেন বিধাতা । বিধাতার আসলেই একটা চোখ। তিনি জন্ম দেন কিন্তু মানুষ করেন না আবার এতটুকু মর্জাদাও দেন না। পুরুষ যাতে টিকে থাকে তাই নারী জন্ম নেবে ।
এখন ভাবি ধ্বংস নয় সৃষ্টিকে সুন্দর করতে চাই সংগ্রাম যা শুরু হবে ঘর থেকে সম্মান করতে শিখুক সবাই নিজেকে।
কৃন্তনিকা
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। 🙂
আমার লেখা আপনার হৃদয়কে স্পর্শ করতে পেরেছে- বুঝতে পেরে ভালো লাগলো।
চেষ্টা করবো লেখার। সম্ভব হবে কিনা জানি না। ভালো থাকবেন 😀
লীলাবতী
ডাঃ সাবরিনার মুখ থেকে সমাজের অন্ধকার দিকটি বলিয়েছেন। আপনার লেখায় শতভাগ বাস্তবতার ছোয়া। পুরুষ সব কিছু চাপিয়ে দেয় নারীর উপরে। এমন লেখার জন্য সাধুবাদ জানাই আপনাকে।
কৃন্তনিকা
পুরুষ বরাবরই সবকিছু নারীর উপর চাপিয়ে দেয়।
লেখায় বাস্তবতা আসছে জেনে ভালো লাগলো।
পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। :Happy:
ব্যস্ততার জন্য উত্তর দিতে দেরী হল।
স্বপ্ন নীলা
এত সুন্দর বাস্তবভিত্তিক একটি লেখা — ধর্ষক ধর্ষণ করে আর বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায়–হায়রে মানুষ !!
আসলে পরিবার হতেই মানুষের শিক্ষা শুরু হয় – আমরা শিশুদেরকে আসল শিক্ষা দিতেই ভুলে যাই —যে কারণে নানা ধরণের ঘটনা ঘটে — পরে আমাদের ভুগতে হয
আন্তরিক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি লেখা উপহার দেয়ার জন্য
কৃন্তনিকা
পুরুষ যতই অনাচার করুক না কেন তারা তো পুরুষ, সুতরাং তাদের জন্য সকল অনাচার বৈধ।
আমাদের সমাজে মেয়েদের শালীন কাপড় পড়ার জন্য বলা হয়, কিন্তু পুরুষের দৃষ্টিকে সংযত করতে বলা হয় না। ধর্মে যদিও উভয়ের কথাই বলা আছে।
আপনার সুন্দর লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। 🙂
দেরীতে উত্তর দেওয়ার জন্য দুঃখিত।
ব্লগার সজীব
সহজ কিছু সত্য লিখে ফেলেছেন লেখায়। একজন পুরুষ হয়ে লজ্জায় নিমজ্জত হই মাঝে মাঝে আপু।
কৃন্তনিকা
একজন পুরুষ হিসেবে লজ্জিত হবার কিছু নেই।
বরং সমাজে সঠিক শিক্ষা ও সচেতনতা ছড়ানোর চেষ্টা করুন। তাহলে হয়ত লজ্জিত হবার দিন ঘুচতেও পারে।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ। 🙂
দেরীতে উত্তর দেওয়ার জন্য দুঃখিত।
জিসান শা ইকরাম
লেখা টি অফ লাইনে পড়েছি বেশ কয়েকবার।
খুবই শক্ত এবং যুক্তিযুক্ত ভাবে উপস্থাপন করেছেন বেশ কিছু সমাজের ক্ষতকে।
এত বছর যাবদ দেশে নারীর শাসন চলছে, অবস্থার কোনই উন্নতি হয়নি
সবাই পুরুষকে, এই সমাজ ব্যবস্থাকে তোয়াজ করতেই ক্ষমতায় আছেন যেনো।
এমন লেখার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
কৃন্তনিকা
পড়ার জন্য ধন্যবাদ 🙂
অনেকদিন লেগেছে লেখাটি লিখতে।
আসলে সকল মেয়ের মনের কথাই এগুলো। নারীর শাসন চলছে ঠিকই, কিন্তু নারী উন্নয়নের কিছু করতে গেলেই নানা রকম বাঁধা দেখা যায় ধর্মগুরুদের…
তোয়াজ না করলে গদিতে টিকবেন কিভাবে?
স্টিকি করার জন্য ধন্যবাদ 🙂 🙂 🙂
জিসান শা ইকরাম
আমি কিভাবে করি ষ্টিকি ? ধন্যবাদ দিলে সোনেলা ব্লগ টীমকে দিন।
আমি এক অতি সাধারন আম ব্লগার 🙂
কৃন্তনিকা
আচ্ছা, ব্লগ টিমকে জানাই ধন্যবাদ
আপনাকে দেওয়া ধন্যবাদ ফিরিয়ে নিচ্ছি 😛
শুন্য শুন্যালয়
ঠিক লেখাগুলোকে স্টিকি করে তার যথাযোগ্য সম্মান প্রদানের জন্য ব্লগ সঞ্চালককে সাধুবাদ জানাই। এভাবে অনুপ্রেরনায় এগিয়ে যাবে সোনেলা। অনেক ধন্যবাদ।
কৃন্তনিকা
ভালো লাগলো জেনে যে এই লেখটিকে স্টিকি করাকে আপনারা সাধুবাদ জানাচ্ছেন। :THANK-YOU:
লীলাবতী
উপযুক্ত লেখাকে ষ্টিকি করার জন্য ব্লগ টিমকে ধন্যবাদ ।
কৃন্তনিকা
স্টিকি করার উপযুক্ত মনে করে প্রেরনা দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ :Happy-Grin:
স্বপ্ন
কবে যে আমাদের দেশের মানুষজন নারীকে নারী না ভেবে মানুষ ভাববেন? অসাধারন লেখা । নারীদের নিয়ে এমন শক্তিশালী লেখা আমি আর পড়িনি। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
কৃন্তনিকা
হুম, আমাদের দেশে শুধু নয়, সারা পৃথিবীতেই মেয়েদের একই অবস্থা, কোথাও বেশি কোথাও কম-এটাই ব্যবধান্মাত্র।
ব্যাপারগুলো খুব ভাবায় আমাকে। তাই লিখে ফেললাম।
পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ 🙂
ব্লগার সজীব
নতুন লেখা চাই আপু। অপেক্ষা করি আপনার লেখার জন্য।
কৃন্তনিকা
হুম। একটি লেখা লিখছি। শেষ হলেই প্রকাশ করবো। 🙂 🙂 🙂
মিসু
মুগ্ধ হলাম এবং লেখা পড়ে আপনার লেখার ভক্ত হয়ে গেলাম। কঠিন কিছু সত্যকে তুলে ধরেছেন লেখায়। ধন্যবাদ আপনাকে।
কৃন্তনিকা
পড়ার জন্য ধন্যবাদ। 🙂
আপনাকে মুগ্ধ করতে পেরেছি জেনে আরো ভালো লাগলো। ভাল থাকবেন। 😀