নরম আঁধারের সুতোয় দহন বুনেছে প্রহর
সুনসান শব্দহীনতা জমিয়ে বসেছে রাত্রির
পাতার ওপর !
জলছত্র খুলেছে আকাশ মনোরম রমণী নদীর
ঢল বুঝি –
আড়াল খুঁজে কি গাছের ছায়ারা সব
কেমন সর্পিল বিষাদ মেখে গা ঘেঁষাঘেঁষি নিশিযাপন !
কোমল কলরব অহর্ণিশ বোধের বোবাটে
বারান্দায়
বাঁধাগ্রস্ত হাওয়ার থালায় লম্বাটে বধির বিভ্রাট
বিচলিত চাঁদ হারানো খেয়ার অদৃশ্য মাধুরী !
চাপল্য চমকায় কলাবনের বাদুর ঠোঁটে
ইগুয়ানার জিভের টানে উঠে আসে
যতটুকু আলো
খুঁজে পায় তরল আঁধার **********
২০/০৫/১৭ শনিবার ।
ছবি সংগ্রহ ঃ Cell Phone Wallpaper
৫টি মন্তব্য
শুন্য শুন্যালয়
অনেকদিন পর স্যারের লেখা যদিও আমার জন্যে বিস্তর কঠিন।
রাতের আঁধারের চিত্রকল্পে অনেকটা আলো ছুঁতে ছুঁতেও ছোঁয়া হলোনা যেন। হবে হয়তো শব্দের দহন।
মোঃ মজিবর রহমান
কবিতা যে এতো কঠিন মাথায় ঠোকেনা। তবে বাঁধাগ্রস্ত হাওয়ার থালায় লম্বাটে বধির বিভ্রাট
বিচলিত চাঁদ হারানো খেয়ার অদৃশ্য মাধুরী !
নীলাঞ্জনা নীলা
কবিতার ভেতরে ইগুয়ানা উপমা! এ আপনাকে দিয়েই সম্ভব!
“কোমল কলরব অহর্ণিশ বোধের বোবাটে বারান্দায়”—-অমন বোধ নিয়ে আমরা বোধ হয় সকলেই জীবন কাটাই, তাই না স্যার? কবিতাটাকে বড়ো আপন লাগছে।
জিসান শা ইকরাম
কবিতা পড়ে অদ্ভুত ভাল লাগায় মন তৃপ্ত হলো।
আগুন রঙের শিমুল
ফোটা ফোটা তরল আধাঁর এসে জমা হয় পানপাত্রে,
পানপাত্রের গায়ে জমে হৃদয়ের হিম ; কুয়াশা।
অথচ তার বুকের ভেতর তরল আগুন।
… আবহে মন্দিরার ধূন।
বিফল জনম গেল বধূ, পানপাত্র সম্মুখে রাখি তৃষায় পুড়ি শুধু।