এ শহর আমার শহর, আমার কাছে আসে
চোখ পেতে আনমনে, আমায় নিয়ে হাসে,
এক টুকরো অকৃপণ সোনা নিয়ে বাঁচে;
এ আমার শহর।
দুপুর আসে রোদমাখা চোখে,
অলস ছায়াবিকেল আসে আনন্দে নেচে নেচে,
রাত্রি আসে চুপিসারে,
বানডাকা জ্যোৎস্নার মাদল বাজিয়ে
শিশিরে পা ফেলে ফেলে সকাল আসে
লাজভীরু পায়ে।
ডাইনিরাও আসে রাতবিরাতে
ভাঁজা ইলিশের লোভে নয়, রক্ত খেতেও নয়
ফেলে যাওয়া ফেলে রাখা ভালোবাসা নিতে;
মুয়াজ্জিন আর পাখির ডাকে ভোর হয় ভোর আসে
ফুলের হাসিমাখা গন্ধে এ শহর হাসে,
এ শহর আমার শহর, আমার কাছে আসে;
শীত,
মুড়িদেয়া চাদরে জড়িয়ে এসো
কুয়াশার বরফে পা এঁকে এঁকে এসো,
পিঠে রোদ ফেলে খাঁটি সরিষায় মুড়ি মাখা খাওয়াবো
কাটা পিয়াজ আর লাল লংকাও ফেলে দেবো।
শীতের এই অবসরে, শীত এসো, আমার এ শহরে,
কবিতা শুনব কবিতা শোনাবো এবারে
অনেক অনেক বেশি বেশি করে, নিঝুম অবসরে;
চন্দ্রভূক অমাবস্যা এখানে নেই
খরচোখে দাঁড়িয়েও কেউ নেই,
কদমকেশরের পথ শেষে রোদবারান্দায় বসে
কুসুমঘুমের স্বপ্নাতুর হয়ে এসো,
রাত্রিআঁকা চোখ বা ঠোঁটের রাহাজানি এড়িয়ে
আঁধার নামার আগেই এসো
এ আমারই শহর;
৩০টি মন্তব্য
ঘুমের ঘোরে কেটে যাওয়া অনন্ত পথ
দুপুর আসে রোদমাখা চোখে,
অলস ছায়াবিকেল আসে আনন্দে নেচে নেচে,
রাত্রি আসে চুপিসারে,
বানডাকা জ্যোৎস্নার মাদল বাজিয়ে
শিশিরে পা ফেলে ফেলে সকাল আসে
লাজভীরু পায়ে।
দারূণ কবিতা। অনেক ভাল লেগেছে
শুভ সকাল
-{@ -{@ (y)
ছাইরাছ হেলাল
অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
লিখতে শুরু করুন।
ইঞ্জা
অসাধারণ লেখেন ভাইজান যার উৎকৃষ্ট উদাহরণ এই কাব্যটি, খুব ভালো লাগলো, ডাইনিরা যেখানে ভালোবাসা কুড়াতে আসে সেই কাব্য অবশ্যই মুগ্ধ করে। (y)
ছাইরাছ হেলাল
আউল- ফাউল লেখাকে অসাধারণ বললে হবে!!
অনেক ধন্যবাদ।
ইঞ্জা
আউল ফাউল যদি হয়ে থাকে তাহলে এটলিস্ট আমিই আগে বলতাম ভাইজান
ছাইরাছ হেলাল
খাইছে আমারে,
নাসির সারওয়ার
সারছে আমারে। এমন দেশে মানুষ থাকে কেমন করে! ঘুমায় কখন!! স্বপ্ন দেখে কখন!!!
দূরে থাকাই উত্তম।
ছাইরাছ হেলাল
সব দূর দূর না, সব কাছে আবার কাছ ও না,
তাই দূরে বা কাছে কোনটা চাইলেই থাকা যায় না, হয় ও না।
মিষ্টি জিন
আমার শহর ,আমার শহর ভাবখান এমন , আর কেউর না শুধু একলা ওনার এই শহর। :@
ডাইনিরা শশ্মান, ইলিশ মাছ ভাজা রেখে কুবিরাজের শহরে আসবে ভালবাসা নিতে!মাথা পুরাই গেছে। :p
মুডিতে কাঁচা লংকার বদলে একটু বোম্বাই দিয়েন। যা হবে না খেতে।
খাসা এখান কবিতা লিখলেন কুবিরাজ ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
আরে এমন শহরের ভাগ কাউকে দিচ্ছিনে বলে কেউ কেউ
এমন ভাবতেই পারে, তবে আপনি চাইলে উড়ে এসে জুড়ে বসা টাইপ কিছু একটা
পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখতে পারেন, অবশ্য যদি সাহস থাকে,
আপনি বোম্বাইয়ের ভক্ত!! আগে বলবেন না!!
আপনার ভাল লেগেছে যেনে আনন্দিত হব ভাবছি,
মিষ্টি জিন
আমি জিন, আমি সাহস দেখালে তো ঘাড় টার কিছু থাকবে না। 😀
ডাইনি ফাইনিরে থোরাই কেয়ার করি।
এত্ত ডাইনি ,ডাইনিরানী শুনি সাহস থাকলে তেনার একখান ফটু দেন , দেখে চক্ষু জুডাই। :D)
ছাইরাছ হেলাল
ডাইনিদের মধুর জ্বালায় অস্থির, জিন-ফিন দিয়ে ভয় দেখানো ঠিক না,
অশরীরীদের পিক হয় না,
আর তা আপনাকে দেখানোর অনুমতি পাওয়াও মনে হয় দিত না,
নীলাঞ্জনা নীলা
জন্মের শহর, বেড়ে ওঠার শহর, কৈশোর-তারুণ্যের শহর বড়ো নিঃস্বার্থ হয়। অকৃপণ হাতে বিলোতে থাকে স্মৃতিময় জ্যোৎস্না, একাকীত্ত্বের তৃষ্ণা মেটায়। ওই শহরের আনাচ-কানাচে রোদ্দুরের যে মায়া সে বড়ো পরিচিত। এমনকি তেঁতুল-শ্যাঁওড়া গাছের ডাইনি-ভূত-পেত্নীও।
আচ্ছা কোন টাইপের ডাইনি ভালোবাসা খেতে আসে! ;?
আহ মুড়ি মাখা, এখনই খাবো।
কবিতা শোনাবেন? আবৃত্তি করে তো? আবৃত্তি সুবিধার হলে আমরা সোনেলার সবাই আসবো, আগে বলুন।
আমি আবার খুব ভালো আবৃত্তি করি কিনা! :p
কুবিরাজ ভাই কুবিতাখানা মনে ধরলো। 😀
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন স্মৃতিময়তাই জীবন, সুখ বা দুঃখের,
ধরুন, এখন দুঃখের সাগরে ভাসছি, তলিয়ে যেতে যেতে, তীর খুঁজে পাব কী না জানিনা,
এখন ভরসা সুখ স্মৃতি, প্রত্যকেরই জীবনশহরের স্মৃতি থাকে, তা ই অবলম্বন করে আমরা বাঁচার চেষ্টা করি।
আমার ডাইনিদের সাথে আপনার অবশ্যই পরিচয় করিয়ে দেব এখানেই, তারপর দেখতে পাবেন,
তাদের সবকিছু!!( সব সব না), আপনার মন্দ লাগবে না,
দেখবেন আবার যেন ভাব করে ফেলবেন না, আপনি তো আবার………
আপনি আগে ভাল আবৃত্তি করতে পারতেন, এখনও তা পারবেন কী না কে জানে আগের মত,
আমি কিন্তু কিছুই পারি না, আবৃত্তি-ফাবৃত্তি!
লেডিগুরুর ভাল বললে অবশ্যই ভাল।
নীলাঞ্জনা নীলা
দুঃখের স্মৃতি আপনার আছে? দু’/একটা বলুন শুনি! মজা করে বলিনি, সিরিয়াসলি জানতে চেয়েছি।
যাক আমরা দুঃখের ঝাঁপি সবার কাছে খুলিনা, এটাই নিয়ম হয়ে গেছে। আর যারা দুঃখ-দুঃখ শ্বাসের তলে হাসিটার খুণ করে, তারাই খুণী, এবং তারাই দুঃখবিলাসী।
মাফ চাই কুবিরাজ ভাই ডাইনিদের নিয়ে আপনি-ই থাকুন। “দেখবেন আবার যেন ভাব করে ফেলবেন না, আপনি তো আবার………” শূণ্যস্থান পূর্ণ করে দিলে ভালো হয়।
আগের মতো বলতে কতো আগের কথা বলছেন, বলুন তো! ;?
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই আছে, বেশ করেই আছে, আর তা চেপে-চুপেও রাখি না,
এখানে সবই বলি!!,
ডাইনিরাণীর সাথে ভাব হয়েছে দূরবর্তী, দেখভাল করা ডাইনিও আছে, দেখতে পাবেন,
আমি আবার ‘না’ বলতে পারি না, বলিও না, সেটাই জ্বালা!!
আগের মত বলতে, যখন দাঁত-ফাঁত ছিল, এখন তো কিছুই অবশিষ্ট নেই, থাকার কথাও না।
নীলাঞ্জনা নীলা
দাঁত খুব ভালোভাবেই তার স্বমহিমায় আছে। 😀
ছাইরাছ হেলাল
সে দেখুম নে কী আছে আর নেই।
শুন্য শুন্যালয়
শীত কি নতূন প্রেমিকার নাম? শীতের অবসরে শীত কে আহবান করছেন বেশ তো! কবিতা শুনবেন, শোনাবেন ও? স্পেশাল কোন কবিতা রেখে দিয়েছেন নাকি? ভুলেও কিন্তু দাঁত কম্পের কবিতা শুনিয়েন না। শীত তো শীত, শহরও পালাবে।
খাঁটি সরিষার তেল কি শুধু কবিতাতেই পাওয়া যায় এখন? বাঁকি সব তো ভেজাল।
অমাবশ্যা যখন নেই তখন আঁধার নামলে কী সমস্যা! নাহ, কবিতায় বিস্তর ভেজাল।
ভালবাসা বস্তা ছালা ছুলা দিয়ে ভালো করে যত্নাদি করে রেখেন, ডাইনী র ভরসা নেই, পরে রক্ত চাইবেনা গ্যারান্টি নেই।
এলেমদারের কবিতা, পড়ি আর দীর্ঘনিঃশ্বাস ছাড়ি। যদি একখানও লিখতে পারিতাম! অনেক অনেক ভালো হয়েছে, সত্যি সত্যি বলছি।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই স্পেশাল লেখা থাকে, যা সবার জন্য না, অবশ্য আপনি বললে দু’একটি এখানেও দিয়ে দিতে পারি, দেবোও,
নূতন আর পেলাম কই, সবাই ফেলে-ফুলে ভেগে যায়!! ব্যাপার না, আকামা মানুষ,
তবুও জীবন মূল্যবান, তাকে আমাদের ধারণ করতেই হয়।
তবে নূতন বলতে ডাইনি নিয়ে সময় কাটাচ্ছি, দাঁত বসাবে না কথা দিয়েছে, তবে কিছু হেনস্থা কপালে আছে,
তা আপনারাও দেখবেন অচিরেই। ভেজাল ছাড়া ভাল কিছু কিন্তু হয় না।
আপনি সত্যিই সত্যি বলছেন!!
সত্যির সাথে দেখা হওয়ার কথা আছে, দেখি সে কী বলে;
মৌনতা রিতু
ইশ! কুবি ভাইকে কয়দিন ধরেই দেখছি ডাইনিরা বেশ জালাইতেছে।
ডাইনি ইলিশ মাছের গন্ধে আসে না। ওর গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে।
ভেজালের মাঝে খাঁটি জিনিস পাওয়াছ মুশকিল।
তা দুই একটা স্পেশাল কুবিতা দিলেই তো আমরা ও পড়তে পারি।
ছাইরাছ হেলাল
নাহ, এ জ্বালা সে জ্বলা না, মধু মধু জ্বলা,
আপনাকে পেলে বুঝতেন, কিরাম লাগে,
ঠিক ধরেছেন, আসল জিনিসের খুবই অভাব!!
পাবেন পাবেন, ইস্পেসাল লেখা পাবেন, পড়ার মানুষদেরই তো পাচ্ছি না,
জিসান শা ইকরাম
কখন সে আসেনা এটি নিয়ে একটি গবেষনা করব কিনা ভাবছি,
আপনি এত সহজ করে হরবরিয়েও লেখেন!
লেখাটি এত্ত ভাল লাগছে কেন?
ছাইরাছ হেলাল
এলে সে জানান দিয়েই আসবে, চুপিচুপি না,
লিখি লিখি এমনি এমনিই লিখি,
ভালোলাগা কিন্তু ভালো না!
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
এ আমারই শহর;
কতো আকুতিই না আসবার।চমৎকার লেখা। -{@
ছাইরাছ হেলাল
অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য,
আবু খায়ের আনিছ
বাহ! অসাধারণ হয়েছে। অনেক ভালো লেগেছে।
নিজের এলাকার প্রতি একটা ভালোবাসা এবং সেই শহরে যাওয়ার নিমন্ত্রণ। আমার প্রিয় লেখাগুলোতে জায়গা পাবে।
আবু খায়ের আনিছ
কবিতা পড়ে এবং আবৃত্তি করে একটা নিরব হাততালি হবে।
ছাইরাছ হেলাল
আরে নীরবে কেন!! সরবে হলেও ক্ষতি নেই,
তালি চালু থাকবে।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই নিজের লেখায় এ উচ্ছাস প্রকাশ করাই উচিৎ।