রাত নয়টা, সরকারি ডাকবাংলোর একেবারেই পশ্চিম কোণের ছোট্ট রুমটায় বসা অপু ও তার কিছু সাঙ্গপাঙ্গ। সিগারেটের ধোঁয়াতে আচ্ছন্ন পুরো রুম, টেবিলের উপর রাখা হোয়াইট লেভেলের বোতল পাশে স্বচ্ছ গ্লাস। বোতলের স্বচ্ছ তরল গিলে নেশায় টালমাটাল সবাই। নিস্তব্ধতা ভেঙে অপু বলে ওঠে আরেক প্যাক লাগবে এখনো ফিলিংস আসেনি। কিছুক্ষণ পর পিস্তলটা কোমরে গুঁজে ঢুলঢুলে বাড়ির পথে হাটতে শুরু করে।মাথার মধ্যে গুরপাক খাচ্ছে পুরনো সে কথা। সরকারি কলেজ থেকে এমএ পাশ করে বন্ধুরা যখন ঘুষ দিয়ে বিভিন্ন চাকরিতে যোগদান করে অপুর স্বপ্ন তখন রাজনৈতিক নেতা হওয়া। প্রথমে গ্রাম পর্যায়ে রাজনীতিতে যুক্ত হয়। উপজেলা পর্যায়ের বড় নেতাদের তোষামোদ করে সহজেই দাপুটে নেতা হয়ে যায়এলাকায়।বালুরমহাল,হাটবাজার ইজারা, খাসজমিন দখল, টেন্ডারবাজি সবকিছুতেই মোটা অংকের চাঁদায় পকেট সবসময় পূর্ণ থাকতো। ইউএনও,ওসি, গুদাম মাষ্টার সবার সাথে ভালো সম্পর্ক ছিল। প্রতিরাতে মাতাল হয়ে ঘরে ফিরে দেখে সবাই তখন ঘুমিয়ে, পরিবারের কেউ তেমন তার সাথে কথা বলে না। সকালে হয়তো দেখে মা কাঁদছে, অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক বাবা নীরব। ফ্যামিলির নিষেধ আছে যেন কেউ তার টাকা স্পর্শ ও না করে। প্রতিদিন এলাকার শিক্ষিত তরুণ তদবিরের জন্য তার কাছে আসত কিন্তু টাকা ছাড়া সে কোন কাজ করে না।
ছোট বেলায় পাশের বাড়ির মিতুর সাথে বিয়ে ঠিক করেছিল মা,কিন্তু তার চরিত্র দেখে বিয়েতে রাজি নয় মিতু।তারপর ও মা চেষ্টা করেছিল এ আশায় হয়তো বিয়ের পরে ভালো হবে। কিছু দিন পর পাশের গ্রামের মামার বাড়িতে নিয়ে বিয়ে দেওয়া হয় মিতুকে,বর প্রবাসী।
চাইলেই বিয়ের রাতে মিতুকে হয়তো তুলে আনতে পারতো,কিন্তু জোড় করে তো আর ভালোবাসা হয় না। কিছু দিন পর বাবাও অসুস্থ হয়ে মারা যায়, যাওয়ার আগে বলা শেষ কথাটি আজ মনে পড়ে অপুর। একা অন্ধকার রাস্তায় বিরবির করে বলতে থাকে “চরিত্র মানুষের অমূল্য সম্পদ, যা হারালে আর জীবনে কিছুই থাকে না “।
১২টি মন্তব্য
অনুশঙ্কর গঙ্গোম্যাক্সিম
যেহেতু নতুন তাই হয়তো গুছিয়ে লিখতে পারিনি।
শুন্য শুন্যালয়
বেশ গুছিয়েই লিখেছেন, সমাজের একটা অন্ধকার অংশকে …ভালো লেগেছে ….
আদিব আদ্নান
ভাল হয়েছে , নিয়মিত লিখতে শুরু করুণ ।
সবার মন্তব্যের আলাদা উত্তর দিলে একটু ভাল হয় ।
নীলকন্ঠ জয়
“চরিত্র মানুষের অমূল্য সম্পদ, যা হারালে আর জীবনে কিছুই থাকে না “।
ভালো একটা উদাহরণ দিলেন। (y)
অনুশঙ্কর গঙ্গোম্যাক্সিম
(3 ধন্যবাদ
নীলকন্ঠ জয়
জবাব লেখায় ক্লিক করে প্রতিউত্তর দিবেন দাদা। তাহলে আলাদা করে প্রত্যেককে উত্তর দিতে পারবেন মন্তব্যের নিচে।
শিশির কনা
ভালোই লিখেছেন দাদা । আরো লিখুন -{@
অনুশঙ্কর গঙ্গোম্যাক্সিম
চেষ্টা করি আলাদা আলাদা জবাব দেওয়ার জন্য, কিন্তু নিয়মটা এখনও বুঝে উঠতে পারি নি দাদা।
ওয়ালিনা চৌধুরী অভি
ভালো লেগেছে । আরো লিখতে থাকুন -{@
মর্তুজা হাসান সৈকত
বাহ! প্রকাশরীতি ভালো লেগেছে।
জিসান শা ইকরাম
অপুর কথা পড়লাম ।
শেষ লাইনটিও মুল বক্তব্য – ভালো লিখেছেন ।
পরামর্শ –
** কেমন লিখছেন , তা নিয়ে সামান্য চিন্তা থাকলেও তা ঝেড়ে ফেলুন ।
** নিশ্চিন্তে লিখতে থাকুন ।
** লেখায় প্যারায় ডাবল স্পেস দিম।
জবাব –
====
সম্ভবত আপনি মোবাইল দিয়ে লিখছেন এবং মন্তব্য করছেন।
** প্রথম পাতার একদম নীচে ” ডেস্কটপ ” ভার্শন লেখা আছে , ওটায় ক্লিক করুন । দেখবেন সাইট পিসিতে যেভাবে দেখা যায় , তেমন দেখাবে ।
** প্রতিজনে যে মন্তব্য করছেন , তার নীচেই জবাব দিন এ ক্লিক করুন। যে বক্স আসবে তাতে জবাব লিখে ” মন্তব্য প্রেরন করুন ” এ ক্লিক করুন ।
** আশাকরি এতে আপনি সবাইকে আলাদা আলাদা ভাবে জবাব দিতে পারবেন । যদি না পারেন–
** আপনি অপেরা ব্রাউজার ব্যবহার করলে , সেটিংস এ গিয়ে মোবাইল ভিউ অফ করে দিন।
শুভ কামনা
শুভ ব্লগিং 🙂
খসড়া
আরও লিখুন। ধীরে ধীরে সব ঠিক হয়ে যাবে। হ্যাপ্পি ব্লগিং।