
ছোট গল্পের জীবন__
বালিয়াড়িতে রেখচিত্র এঁকে ক্লান্ত অবসন্ন হয়,
কেন ফের ছোটেনা নতুন কোনো দ্বীপের বেখেয়ালি সীমানায়?
শেষ হয়ে ও যেন হয়না,
এ নিদারুণ আশার ব্যপ্তি ঝুলে আছে সংক্ষিপ্ত পাণ্ডুলিপির পাতায় পাতায়।
রাত্রির গাঢ় অন্ধকার দুচোখে,
চিকচিকে হিরকদ্যুতি গড়িয়ে পড়ে ; গ্রীবা দ্বয় ভিজে চুপসে থাকে।
শিথানের পাশে ঘুমন্ত নিষ্পাপ পাঁপড়ির আলতো স্পর্শে,
ব্যাথার যোজনাকারী মনের অজান্তেই হেসে উঠে!
প্রথম সূর্যালোকে ওরা হাসে, হলুদ প্রভাত হাতে মিশে রয় আমাতে।
দুটো অলকানন্দা ফুটে রয় দিনমান সারা ঘরময়।
ঘর্মাক্ত, ক্লান্ত দুপুর গড়িয়ে বিকেল লুটায় আমার গায়, সন্ধ্যাটা ভীষণ ম্যড়ম্যাড়ে,
এক চিমটি নুন স্ন্যাকসে ছিটিয়ে সাজিয়ে দিই আমার অলকানন্দার পাতে।
বেঁচে বর্তে কাটে দিনটি।
প্রগাঢ় ঘুমের আশ্রয় খুঁজি, মধ্য নিশীথে!
হয় মেলে না হয় দুঃখের দুয়ার খোলে।
দুঃখ গুলোকে শব্দে ভেঙে থরে থরে সাজিয়ে দিই শোকের সেলফে, এই তো রোজনামচা।
আছি বেশ!
আমি আর আমার অলকানন্দা।
৬টি মন্তব্য
আলমগীর সরকার লিটন
বেশ ভাবনাময় এক কাব্যিক প্রকাশ কবি আপু ভাল থাকবেন——
মোঃ মজিবর রহমান
জীবনটা আসলেই ছোট্ট কিন্তু আপনার লিখা খুব ভাবনাময় কষ্টের। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
রোকসানা খন্দকার রুকু
এই বেশ ভালো থাকা। নিজের যা আছে তাকে নিয়ে সুখে থাকাই উচিত। শুভ কামনা কবি!!!
মনির হোসেন মমি
জীবন যেখানে যেমন তেমনি জীবনকে উপলব্দি করাই শ্রেয়।সুন্দর মনোভাব।
হালিমা আক্তার
জীবন পান্ডুলিপির পাতায় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কষ্ট গুলো শিশির হয়ে ভিজিয়ে দেয়। অবসাদে ক্লান্ত পা থেমে থেমে যায়। দুরে আধো জ্বলা নক্ষত্র সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ খুঁজে দেয়।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
লেখাটি যেন আমার হৃদয়ে গেঁথে গেল। জীবন বুঝি এমনই। এভাবেই কত শত জীবন অন্তিমে পৌঁছে যায় , কোনো সংজ্ঞা খুঁজে না পেয়ে। শুভ রাত্রি আপু