
সত্যের পরতে পরতে জমা শেষ সত্যের অস্থায়ী বুদবুদ,
বিষম খাওয়া দুঃখগুলোকে এবার জানাব সাধুবাদ,
কি ভাবছ? অদ্ভুত!
এ-ই হয়, তোমাদের ঐ এক দোষ, মিথ্যের ফানুস উৎসব ভালোবাস সত্যিতে নাখোশ।
শীতের ভয়ে অশীতিপর কাঁপছে থরথর,
তবুও শীত আসে অনায়াসে বৈচিত্র্য ধরে রাখতে ঋতুর।
প্রাণ বাঁচানো গেলোনা ঘাটের মরা সম্পর্কের।
আদিগন্ত শোকের নহর, খরস্রোতা কাটছে এপার ওপার পাথুরে নদীর।
মাথা ছাড়া দেয় আদিম তৃষ্ণা, সর্বত্র সুপেয় কিংবা কবোষ্ণ।
বৃষ্টির বড্ড আকাল এ খরায়, এদিকে চাতকের ঠোঁট খসখসে প্রায়।
পুনরুজ্জীবন দিলেন মনস্তাত্ত্বিক , চিন্তাধারার তিনি সুপরিবাহক।
আজ এ পর্যন্ত থাক।
অতঃপর,
অভিমানি মেঘপত্র গয়নার বাক্সে জমুক, আটঘাট বেঁধে লিখবে বৃষ্টির শ্লোক!
গোমড়ামুখী পাহাড় করেছে পণ হাসবে সে অকারণ, সুন্দরী ঝর্ণা ফোয়ারা ছড়াতে ব্যস্ত ভীষণ!
হাসি কান্নার আড়ালে দ্বৈতস্বত্তা চলছে উল্টো চালে,
বলছে তালে – বেতালে,
“বেখেয়ালে ভাবছ আমাকে হারিয়ে দিলে?
তা নয়তো সোজা, বুঝবে বাছা!
ঝাপসা চোখে বাছতে গিয়ে অনুভূতির আগাছা; আমি রয়ে যাব অগোচরে।
তাই বলছি সাথে রেখো মোরে, বাসনার অন্তরালে। সারবস্তু এ-ই আমরা এক যোগে অর্কেস্ট্রা বাজাই।”
১৫টি মন্তব্য
আলমগীর সরকার লিটন
বেশ অনুতূতির ছোঁয়া কবিতা কবি আপু
খাদিজাতুল কুবরা
অনেক ধন্যবাদ লিটন দা।
পপি তালুকদার
অনেকদিন ব্লগে আসা হয়না।কিন্তু এফবি তে লেখাটির শিরোনাম পড়ে আগ্রহ দমিয়ে রাখতে পারিনি। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর লেখনীর জন্য।
শুভকামনা রইলো…..
খাদিজাতুল কুবরা
সত্যি খুব আনন্দ হচ্ছে।
আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
আবার লিখুন প্রিয় সোনেলায়
ভালো থাকবেন বন্ধু।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
সুর, তাল, লয়, ছন্দ কেটে গেলে অর্কেষ্ট্রা ও বেসুরো হয়ে বাজে। তবুও জীবন বহমান, সুন্দর। অসাধারণ একটি কবিতা পড়লাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা রইলো
খাদিজাতুল কুবরা
আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ এবং বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।
ভালো থাকবেন
সাবিনা ইয়াসমিন
পোস্ট প্রিয়তে নিলাম। আবার পড়বো, এমন লেখা বারবার পড়তে ইচ্ছে করে।
❝আদিগন্ত শোকের নহর, খরস্রোতা কাটছে এপার ওপার পাথুরে নদীর❞
অসাধারণ!!
খাদিজাতুল কুবরা
সাবিনা, আমাদের সোনেলার অদরা চাঁদমুখ অবশেষে পাইলাম আপনাকে।
ভাই আমার কপাল খুলেছে বুঝতে পারছি।
ধন্যবাদ এবং বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।
লেখা পড়তে চাই ব্যস কোন কথা হবেনা
খাদিজাতুল কুবরা
অধরা
হালিমা আক্তার
অসাধারণ লেখা। বারবার পড়েও তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলা যায় না। মনে হয় আরেকবার পড়ি। শুভ কামনা রইলো।
খাদিজাতুল কুবরা
আপা আপনার এ মন্তব্য আমার বিরাট প্রাপ্তি। দোয়া করবেন আপু এটুকু যেন হারিয়ে না ফেলি।
অনেক ভালোবাসা রইল
ছাইরাছ হেলাল
কোথা থেকে কোথায় নিয়ে গেলেন! সেটি পেরেছেন বলেই সৌন্দর্য পেয়েছে লেখাটি।
বর্ণহীণতার ভার বালুময় সৈকতের রেখচিত্রে,
মুখের মুখোশে ঝুলে আছে বিজ্ঞাপন,
তবুও ওতপ্রোতের মত দাঁড়িয়ে আছে সহস্র আশার স্বপ্ন,
গুচ্ছ গুচ্ছ রংবাহারের ফুলে ফুলে।
খাদিজাতুল কুবরা
কি সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া।
সেই স্বপ্ন আশাই শব্দ গাঁথতে সাহস যোগায়।
ভালো থাকবেন
অনেক ধন্যবাদ
রোকসানা খন্দকার রুকু
“গোমড়ামুখী পাহাড় করেছে পণ হাসবে সে অকারণ, সুন্দরী ঝর্ণা ফোয়ারা ছড়াতে ব্যস্ত ভীষণ!” — অসাধারণ
এ ছাড়া তো বেঁচে থাকা হারিয়ে যাবে। লোভনীয় শিরোনাম ম্যাম।।।
খাদিজাতুল কুবরা
তোমার ভালো লেগেছে জেনে আমার ও ভালো লাগলো।
চল, এই ভালোলাগা ক্ষন গুলিকে মুঠোবন্দি করি।
ভালো থেকো প্রিয়