
নিজের একান্ত ভুবন নিয়ে সন্তস্ট থাকা একজন সে। তেমন কোনো উচ্চাকাঙ্ক্ষা নেই। সন্তান, সংসার, বাবা, মা, ভাই, বোন নিয়ে যাপিত জীবন নিয়ে অত্যন্ত খুশী তিনি। সৃষ্টিকর্তা যেভাবে রেখেছেন, সন্মানের সাথে শ্নেহ, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা পূর্ন একটি পরিমন্ডল। তেমন উচ্চাকাঙ্ক্ষা না থাকায় জীবনের জটিলতা এবং ঝামেলাও বলতে গেলে নেই। এমন ভালো এবং সন্তস্ট থাকা নারী আমাদের চেনা জানা জনদের মাঝে দেখতে পাই আমরা।
তারপরেও ওৎ পেতে থাকা সুযোগসন্ধানী হিংশ্র মানুষদের নখের থাবার আতংকে আতংকিত থাকতে হয় অনেককে।
রুপক অর্থে ছবি ব্লগ দেখুন। সন্তানের সাথে যুক্ত হতে পারে সম্পত্তি , সন্মান, আব্রু, আশ্রয়হীন করার চক্রান্ত।
মনের আনন্দে নিজস্ব জগতে সন্তান নিয়ে বিচরন ছিল তার।
দুরে গাছের ডালে ওৎ পেতে আছে ঈগল রুপি বিপদ। শক্তিমত্তায় অনেক বেশী ক্ষমতাধারী হওয়ায় নিজের উপস্থিতি প্রকাশ করলো ঈগল। ভাবটা এমন, হু তোর আবার কিসের ক্ষমতা যে তোকে লুকিয়ে ধ্বংস করতে হবে?
নজর পরলো ঈগলের দিকে মা এর। বাচ্চারা কাছে, আতংকিত সে।
একসময় বাচ্চাদের কথা ভেবেই ঈগলের দৃস্টির আড়াল হতে চাইল।
ঈগল উচু ডালে বসা। তীক্ষ্ণ দৃস্টিতে দেখছে সে। ভয়ে চলে যেতে চাওয়া পরিবারের দিকে তাকিয়ে উল্লাসিত সে।
ভয়ার্ত মা দেখছে, রক্ষা নেই আর। ধেয়ে আসবে এখনই। আয় বাছারা আমার ডানার কাছে আয়, বুকের মাঝে আয়। বিপদ আসছে।
ঝাপিয়ে পরার পুর্বক্ষনে প্রস্তুত ঈগল।
নিজের ভিতরে লুকিয়ে থাকা শক্তির উপিস্থিতি অনুভব করলো সে। প্রতিরোধ করতে হবে। এই বিশাল শক্তিধর ঈগলের তুলনায় সে কিছুই না। তবে তার মধ্যে সততার শক্তি আছে। আছে বেঁচে থাকার অসীম ক্ষমতা। ঝাপিয়ে পরলো সে ঈগলের উপর। অপ্রত্যাশিত আক্রমনে ঈগল অবাক, এবং ভয়ে উড়ে চলে গেলো।
তবে ঈগল, শকুন, হায়নারা যায়নি, তারা ফিরে ফিরে আসে। সুযোগের অপেক্ষায়, আবার ফিরবে।
মানুষের মাঝে অসীম শক্তি থাকে। যে কোনো বিপদে ভেঙে না পরে ঘুমন্ত শক্তিকে জাগিয়ে তুলতে হবে। বিশ্বাস করতে হবে ” আমি পারি “।
উৎসর্গ: সেই তাকে, যিনি তার মাঝে ঘুমিয়ে থাকা আগ্নেয়গিরির শক্তির কথা জেনে গিয়েছেন এবং তার প্রাথমিক প্রয়োগ আরম্ভ করেছেন।
১৮টি মন্তব্য
আরজু মুক্তা
নিজের মাঝে যে শক্তিটা আছে। সেটাই বড়।
https://youtu.be/Guf-WOIYQck
রবীন্দ্র সংগীতটি আমার খুব পছন্দের।
আর তার জন্য শুভ কামনা।
শুভ সকাল
জিসান শা ইকরাম
ঘুমিয়ে থাকা শক্তিকে জাগিয়ে তুলতে হবে,
রবীন্দ্র সংগীতটি আমাকেও প্রেরণা দেয়।
শুভ কামনা।
নাজমুল আহসান
মনের জোরই আসল জোর। সমস্যা হল, বেশিরভাগ মানুষই নিজের ভিতরে যে একটা শক্তি আছে, সেটা টের পাওয়ার আগেই মরে যায়।
নোটঃ এই পাখিটা শকুন নয়, ঈগল।
জিসান শা ইকরাম
অধিকাংশ মানুষ আস্থাহীনতায় ভুগে, নিজের ভিতরে থাকা শক্তি সম্পর্কে জানে না।
ঈগল করে দিয়েছি,
শকুন, হায়েনা এসব এই লেখার সাথে মানাতো ভালো। কিন্তু এদের নিয়ে এমন প্রতিরোধ ভিডিও না পাওয়ায় ঈগলই দিয়েছি।
অটঃ নতুন ব্লগারগন প্রফাইলে ছবি দিতে পারছেন না,
বিধায় নতুনরা ব্লগে আর লেখাই দিচ্ছেন না।
আলমগীর সরকার লিটন
বেশ ভাবনাময় প্রকাশ
জিসান শা ইকরাম
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
মোঃ মজিবর রহমান
অসম্ভব ভালো লাগল ভাইজান। আসলে নিজেকে নিজের শক্তির উপর পুর্ণাস্থা রেখেই এগিয়ে যেতে হবে। আর নিজেকে সেইভাবে প্রস্তুত / মনবোল ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় কথা।
জিসান শা ইকরাম
সুন্দর এবং পোষ্টের বক্তব্য আনুযায়ী মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
মোঃ মজিবর রহমান
আপনার প্রতি রইল অগাধ ভালোবাসা ভাইজান।
জিসান শা ইকরাম
আপনার জন্য আন্তরিক শুভ কামনা।
রোকসানা খন্দকার রুকু
আমাদের প্রত্যেকের মাঝেই আগ্নয়গিরির লাভা লুকিয়ে থাকে। কেউ প্রকাশ করতে পারি কেউ পারিনা। তবে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে সবাই বাধ্য হয়।
শুভ কামনা ভাইয়া।
জিসান শা ইকরাম
অনেকে দেয়াল পিঠ ঠেকে গেলেও পারেনা,
লাভার খোঁজ না জেনেই মরে যায়।
শুভ কামনা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
সবার মধ্যেই একেকটা আগ্নেয়গিরি আছে। কারোটা সুপ্ত, কারোটা সচল। মনের আগ্নেয়গিরিকে জাগিয়ে তোলার সেই শক্তি বা সক্ষমতা সবার থাকে না। দাদাভাই খুব খুব ভালো একটি পোস্ট। শক্তের ভক্ত, নরমের যম এটা সব প্রাণীকুল এর জন্য প্রযোজ্য। অবিরাম শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো
জিসান শা ইকরাম
এই শক্তিকে জাগিয়ে রেখে কাজে লাগাতে হবে।
আত্মবিশ্বাসী হতে হবে।
শুভ কামনা ছোটদি।
হালিমা আক্তার
অসাধারণ একটি পোস্ট। ছবির সাথে লেখার চমৎকার সমন্বয়। সত্যের পক্ষে লড়াই জন্য মানসিক শক্তি প্রয়োজন। এটা সবার মধ্যেই আছে। তাছাড়া প্রয়োজন মানুষকে অনেক সাহসি করে তোলে। শুভ কামনা অবিরাম।
জিসান শা ইকরাম
আপনার মন্তব্যের সাথে একমত। ধন্যবাদ এমন মন্তব্যের জন্য।
শুভ কামনা।
সাবিনা ইয়াসমিন
নারী পুরুষ সর্বোপরি প্রতিটি মানুষের মাঝেই সুপ্ত আগ্নেয়গিরি থাকে, থাকে দানবীয় মনোভাব। নির্লিপ্ত সাধারণ মানুষের ভীরে লোভ/হিংসা/ প্রতিহিংসার সমন্বয়ে কিছু মানুষরুপী দানবের সংখ্যাও কম নয়, এরাও আমাদেরই চেনাজানা পরিমন্ডলের বাসিন্দা।
যখন একজন মানুষ অসহায়ত্বের চুড়ান্ত সীমায় পৌঁছে যায় তখনই সে চেষ্টা করে নিজের সর্ব শক্তি প্রয়োগ করতে। যে/যারা শুধুমাত্র নিজের কথা ভেবে জীবন যাপন করে তার হয়তো মনোবল ভেঙে যায়, কিন্তু যে/যারা নিজেকে ঘিরে থাকা সবার অস্তিত্ব রক্ষার জন্য কিছু ভাবে, তার চেষ্টা সফল হতে বাধ্য। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে লড়াই করতে হয়, দেয়াল ফুড়ে পালিয়ে যাওয়ার মধ্যে কোন সাহসীকতা নেই। নিজের এবং নিজেদের অস্তিত্ব বিলুপ্ত হওয়ার আশংকা যার মাঝে কাজ করে সে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যায়। সুপ্ত আগ্নেয়গিরি এমনি এমনি জেগে উঠে না। তার মাঝে চেষ্টা থাকতে হবে, ভালোবাসতে হবে নিজেকে-মূল্যায়ন করার স্পৃহা থাকতে হবে নিজেদের ঘিরে থাকা মানুষদেরকে।
উদাহরণ হিসেবে ছবিব্লগ/ ভিডিও লিংক দুটোই যথার্থ মনে হয়েছে।
পোস্টের বিষয়বস্তু আমাদের চলমান যাপিত জীবনেরই হুবুহু ঘটনার মতোন। তবে আপনার ভিন্নতর উপস্থাপনায় মুগ্ধ হয়েছি। পড়ার পর শুধু উপলব্ধি করলাম, এভাবেও লেখা যায়!!
দানবীয় চরিত্রদের বিরুদ্ধে প্রত্যেকের মাঝেই সুপ্ত আগ্নেয়গিরি জ্বলে উঠুক। মনে রাখতে হবে, অপশক্তি যতই শক্তিশালী হোক নিজশক্তি সব চাইতে বলিষ্ঠ।
ভালো থাকুন, শুভ কামনা 🌹🌹
নার্গিস রশিদ
নিজেকে বাঁচানোর জন্য যখন কেউ মরিয়া হয়ে উঠে তখন কোথা থেকে যেন শক্তি চলে আসে। সুন্দর প্রকাশ ভঙ্গি।