একটা রাত খোলা চোখে কাটিয়ে যাবার পরে পাখির ডাক কানে বাজে। চিকন বা কর্কশ স্বরে ডাকাডাকি তে ভোরের অস্তিত্ব জানালা ভেদ করে হুরমুড়িয়ে অধিকার আর দাবিদাওয়া নিয়ে হাজির হয়ে যায়। কালো কাঁচের খোলা জানালার ওপারে কঙ্কালের মত শরীর নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ইমারত রোজ-প্রতি সময়ে নির্লজ্জের মত তাকিয়ে থাকে। এই তপ্ত চৈত্রের দিনে নির্বিবাদে অ-সংকোচে জানালা -পর্দা খোলা রাখা দুশ্চিন্তার মত জাপটে থাকে। কংক্রিটের কঙ্কালে গঠন দিতে কারিগর সকাল -সন্ধ্যা অক্লান্ত খাটুনী দিয়ে যাচ্ছে। গলায় চটুল সুরের আওয়াজ তুলে তাদের চোখগুলো ঘুরে বেড়ায় জানালার এপার-ওপার। এ বড় বিরক্তিকর;
অথচ কিছুই করার নেই। কতকিছুই তো থাকে…. কিছুই করার থাকেনা। দূর থেকে কাছের নৈকট্য মাপা গেলে বড় ভালো হতো। এই যে একা একা কথা বলা! কে আর কতজনই বা শুনছে? কিন্ত বকেই যাচ্ছি তো বকেই যাচ্ছি। কেন বকছি?
খাড়া রোদ্দুর মাথার উপরে। এই শহরটা বড্ড জঞ্জালে জনাকীর্ণ। স্বল্প দূরত্বে পৌঁছুতে কাকডাকা ভোরে জেগে সুফল মেলেনা সহজে। চারচাকা, যখন তখন পথরোধক লাল সবুজ বাতির ইশারায় রাস্তাজুড়ে থমকে থাকে। যাকে বলে নিত্যকার ভাষায় ‘ট্রাফিক জ্যাম’।
নিজেকে বিলাসী ভাবতে ভালোলাগছে না ঠিক এই মুহুর্তে। অথচ এখানে ধার করা বিলাসী যাকে বলে, এখন তাই হয়ে আছি। শীতল একটা কাঁচঘেরা বিলাসী চারচাকায় সওয়ারি। রিকসা যাত্রি দেখে লজ্জা লাগছে, আমার সামর্থ রিকসা, ধারকরা বিলাসীতা নয়। ঘামে জবজবা যাত্রি, হাত পাতা ভিক্ষুক আর আমি…. সমীকরণ আমাকে নাড়া দিচ্ছে, বেগুণী তপ্ত রোদের মত। মাঝে মাঝে চশমা খুলে চোখ ছোট ছোট করে তীব্র রোদের চোখে চোখ রাখি। কেউ দেখে কিনা জানা নেই…. মাইক্রোস্কোপ যন্ত্রের নিচে যেমন অসংখ্য ভাইরাস কিলবিল করে! আমি রোদের চোখে চোখ রাখলে তা স্পষ্ট চোখে দেখি। আমার সময় কেটে যায় এই রোদের চোখে চোখ রেখে রেখে। আমার একা কথার ঝুড়ি, একা একা বাড়তে বাড়তে ভরতে থাকে।কোলের ওপর সাবিত্রী উপাখ্যানের খোলা পৃষ্ঠা। ডানে বাঁয়ে সামনে পেছনে লম্বা অনঢ় অসংখ্য চার- ছয় -আট, থমকে থাকা চাকার বিভৎস ভীড়। সময়ের অপচয় এ শহরে একচেটিয়া এক শ্রেনীর দখলে। কয়েকদিন আগেও চাক্কাজ্যাম করা হয়েছিলো উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা অযুহাতে। কী আজব সেলুকাস আমাদের অধিকারগুলো! হিমশীতল সংরক্ষনাগারে হিমায়িত হতে থাকে বারোমাস। অধিকার – স্বাধিকারের ভারী ভারী শব্দাবলী।
অবিশ্বাস্য রকম এখন ঘুম পাচ্ছে লেখকের।
চোখ জ্বলছে, জিহ্বা টক টক লাগছে, মাথার ভেতরটা ফাঁকা লাগছে…… মনে হচ্ছে, সমস্ত শব্দ ছাপিয়ে ঢুঁকে পড়েছে এক অচেনা পৃথিবীর অভ্যন্তরে। চোখ খুলে তাকাতেই হঠাৎ অচেনা আগন্তক কথা বলে ওঠে- লেখক ছোট চোখের আয়তনে মাপামাপি ছেড়ে দিয়ে আনন্দিত ভাব অপ্রকাশ্য রেখে অপেক্ষা করতে লাগলো শুন্যের আওয়াজ শোনার।
– তুমি কিছু লিখছো না কেন?
: কী লিখব? আমি তো চোখে দেখিনা!
– ডাঃ আবু সাঈদের কাছে যাওনা কতমাস হলো?
: সে হবে দেড় বছরের মত!
– তাহলে তো ঠিকই আছে।শুধু শুধু চশমা চোখে রেখেছ কেন?
: চশমা ছাড়া যে তেল-মশলা- নুন-মরিচের আন্দাজ করতে পারিনা! পারিনা সাদা ভাতের ভেতরে কালো মরা চালের ভাত বেছে বেছে লোকমা মুখে দিতে! পারিনা আলু,বেগুন,টম্যাটোর পঁচা বা পোকা বাছতে! পারিনা নিজের আঙুলের নখ বড় হলে কেটে ছোট রাখতে! পারিনা,
– গান শোনো?
: আমি তো বধির! কানে শুনতে পাইনা। আমার কান ফেটে যায় রাজমিস্ত্রিরির ঠোকাঠুকি শুনতে, স্তব্ধতায় কান আমার হাঁসফাস করে ওয়েল্ডিং মেশিনের আওয়াজে, শোবার ঘরের পাশেই বহুতল ভবনের ভিত্তি গড়ার যন্ত্রদানবের শব্দে, সুর বাচেনা এসবের ভীড়ে।
– তোমার মন খারাপ?
: মন???
– হু!
: আছে নাকি এরকম কোনো বস্ত?
– মন বস্ত হতে যাবে কেন?
: তাহলে মন কী?
– মন না থাকলে বোঝো ক্যামনে তুমি বেঁচে আছো কি না?
: হয়ত কিছু একটা আছে! নইলে শব্দ শব্দ খেলা আসে কি করে!!!
জনাকীর্ণ একটা দিন ফুরিয়ে যায় সাংবিধানিক শাসন বেষ্টিত ভবনের পেছনে; সুর্য লুকিয়ে যাবার পরে। লেখক ক্রমশ দিনের কাছে সঞ্চিত শক্তি খুইয়ে ক্লান্তিতে আবার গিয়ে বসে ধার করা বিলাসী কাঁচঘেরা শীতল চার চাকার যানে। এক চারকোনা শীততাপ বেষ্টনে নির্ধািরিত কিছু জমায়েতি কেনাবাচার নাম দিয়েছে ‘মেলা’। আকাশ সংস্কৃতির ব্যাপকতর প্রসারে, সুযোগ হচ্ছে কিছু নারী নামক প্রাণী’র দু’পয়সা রোজগারের। স্বয়ং আত্মজা নিজেও এতে অংশিদার।যাপিত এই যাপনে লেখক চাক্ষুস দর্শক।
শতেকখানেক মানুষ দেখা ভারী আমুদে ব্যাপার লেখকের কাছে। ক্ষনে ক্ষনে সামনে-পেছনে-ডানে-বাঁয়ে বাহারি পোষাকের ভেতর থেকে উঁকিঝুঁকি দেয় কালো-ফর্সা-মিশ্র রঙের হাত পা ওয়ালা প্রাণী।কত ঢঙের পোষাক! কত ঢঙের চাহনি জোড়া জোড়া চোখগুলো! কত রকম মুখের ছুঁড়ে দেয়া ভাষা! কতরকম আন্তরিকতার বহিঃপ্রকাশ! একে একে লম্বা সময় একটু একটু করে ক্ষয়ে যেতে যেতে পাশে বসা প্রাণীটিও আপন হতে চায়।
সিলভিয়া এসেছিলো কারুমেলায় উদ্যোক্তা হয়ে নিজের বুটিক নিয়ে। সারাদিনে বেচাকেনার কোনো খরিদ্দারের পায়ের ধুলো পড়েনি তেমন মাইডাস সেন্টারের তেরো তলার মেঝেতে।সেলফি তোলাতে অন্তত কিছুটা ব্যস্ত রেখেছে সিলভিয়া। দিন শেষ হবার আগে ‘নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো ‘, প্রবাদীয় বাক্য প্রমানে তিনটা পোষাক বিক্রি হবার মত আনন্দটুকু রক্ষা পেয়েছে। লেখক বার বার চেষ্টায় ডুব দেয়ার ভাণে সাবিত্রি উপাখ্যানে মনোযোগ দেবার চেষ্টা আঁকড়ে ধরতে চাইছে। — আন্টি চা খাবেন? : পাওয়া যাচ্ছে? — হ্যাঁ, যদিও রং চা।যদিও আমার রং চা একদম ভালো লাগেনা।খালি মনে হয়, গরম পানি খাচ্ছি।: তাহলে তো তোমাকে আমার হাতের রং চা খেতে হবে।
— তাই? যাব একদিন আপনার বাসায়।
: নিশ্চই!! আমি দাওয়াত দিলাম না, বলব…. অপেক্ষা করব তোমার,কবে আসবে তুমি?
— ঠিক একদিন চলে আসব।আপনিও কিন্ত আসবেন আন্টি সুরঞ্জনা আপুর সাথে,
: আসলে, সত্যি বলতে কী বলোতো! মেয়েটা ইন্টার পার করে ভার্সিটি লেভেলে ওঠার পর থেকে আমার আর ঘর থেকে বের হওয়া হয়না খুব একটা।
— বুঝলাম না আন্টি; মানে?
: একটা সময় খুব দৌঁড়েছি বাচ্চাদের স্কুল কলেজে, কোচিং এ, তারপর,শপিং বলো আর কোথাও বেড়ানো বলো, মেয়েটার সাথেই বেড়োনো হতো, মেয়েটা ব্যস্ত হয়ে পড়লো ব্যাবসা নিয়ে! তারপর থেকে আমায় আর সময় দিতে পারেনা।আমিও চাইনা আর কারো কাছে কোনোরকম সময়।
লেখক বদলে গেছে অনেক। এখন আর ছোঁয়না এসব আপেক্ষিক আবেগের মোহ।
লেখক – লেখকও নয় যে!
উপাদান খুঁজতে খুঁজতে নিরঙ্কুশ হারের কাছে হেরে যেতে প্রস্ততি চলতেই থাকে। শব্দকোষের কাছে পরাজিত দেখে দেখেও আর লজ্জা নেই।নেই হৃত রাজ্য উদ্ধারের মিথ্যে প্রচেষ্টা।
রাস্তার নিয়ন লাইটের নিচে বেচাকেনা চলে ফুটপথের ঝুপরি ঘরে উনুন জ্বালাবার প্রয়োজনে, কাঁখে ২/৩ বছরের ছেলেটাকে একহাতে জড়িয়ে আরেক হাতে বেলিফুলের মালা বিক্রির জন্য নেমেছে ঝুপরিঘরের রাণী। লেখক কাঁচ খুলে ছটফট করে ওঠে ‘ওই মালা আমার চাই’ দামের কাছেও হেরে যেতে হলো প্রিয় বেলি ফুলের মালা চাইতে গিয়ে…… ঝুপরি’রাণীর চোখে স্পষ্ট তিরষ্কার দেখে লেখক ভুল ভাঙালো নিজের, সেতো ধারকরা বিলাসী চাকায় ভর করে বসে আছে! একটা না ফোটা কলির ফুলের মালা কয়েক ইঞ্চি দৈর্ঘ। সময়ের বাজারদর চড়া। তবে এ মালার দাম কেন ঊর্ধ্ব চড়া হবেনা? ঝুপরি রাণী কি আর জানে, এই দামী বিলাসী কাঁচের ভেতরে যে প্রাণীটি বেলির মূল্য জানতে ভড়কে গেলো! আদতে বেলির মূল্য দেবার মূল্য তার কাছে হিসেবের খাতায় টান পরে যাবার মত।
‘ এহ্…..আইছে, এয়ার চাইতে কমে চায় বেলি ফুলের মালা’…..
আত্মজা আরো তিরষ্কার করে বলে বসে- ‘ তুমি উইন্ডো ওপেন করেছো কেন এই ভয়ঙ্কর রকম বারতে থাকা করোনা সময়ে, তারউপর আবার ওইরকম ফুলের মালা কেনার কথা ভাবো কি করে? তোমাকে নিয়ে আর পারিনা, এত বোকা কেন তুমি!’
চাকা গড়গড়িয়ে চলছে নিয়নের আলোর নিচে নিচে। হঠাৎ গলা জিহ্বা শুকিয়ে মরাকাঠের মত মনে হয়। একফোঁটা জল চাই। আড়ষ্ট হয়ে আছে জিহ্বা। মাথার ভেতরে ভোঁতা যন্ত্রনা। শরীর অবষন্ন। মেরুদণ্ড বেঁকে বসে আছে। ব্যাথায় টনটন করছে হাঁটু।অস্থির লাগছে ভীষণ চোখ বন্ধ ও করা যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে সমুদ্র থেকে সমস্ত লোনাজল এসে জমা হয়ে আছে চোখের ভেতরে।অথচ গড়াতে পারছেনা উপকুল উপচে।সিগন্যালের লাল বাতি আবার চাকা থামিয়ে দিতেই -‘ একটা পান কেনা যাবে?’ আত্মজা এবার আর উইন্ডো ওপেন করতে আপত্তি করেনা।
লেখক মনে মনে হাসে। এই ভয়ঙ্কর করোনাকালে বেলি ফুলে সমস্যা থাকলেও পান এ সমস্যা নেই..।
এই একটু আগেই প্রশ্ন করেছিলো একজন নবদূত এর মত দ্যুতিময় একটুকরো দামী হাসির মালকিন।যেন লেখক আগেই জানত, লেখকের প্রশ্নের জবাবে ওই মালকিন কী জবাব দেবে। নাম বলেছিলো কী? ভুলোমন ভুলিয়ে দিয়েছে নামটা। কো
: কোন ক্লাশে পড় তুমি?
মেয়েটার মুখে তখন যে হাসিটা আটকে গেলো! জবাব ওখানেই লেখা ছিলো। –আমি ভার্সিটিতে পড়ি।
: আমি জানতাম তুমি এরকমই কোনো উত্তর দেবে।
— কী বই পড়ছেন?
: সাবিত্রি উপাখ্যান
— কার লেখা?…..ওহ্….দেখলাম, আপনার কার লেখা ভালো লাগে পড়তে?
: মূলত আমি সব লেখকের লেখাই মোটামুটি পড়ি, বাছাইকৃত কিছু পছন্দের লেখক তো অবশ্যই আছেন। এই লেখকের লেখা একজন সাজেষ্ট করে ধরিয়ে দিলো। এখন পর্ডন্ত ধৈর্য রাখছি, মনে হচ্ছেনা বেশিক্ষন ধৈর্য থাকবে। লেখায় অতি নাটুকেপণা আমার ভালো লাগেনা। তারওপর যদি কোর্ট কাচারি টেনে এনে তা প্রলম্বিত করা হয়, তবে তা আরো বিরক্তিকর লাগে আমার কাছে। লেখার স্কিলটা আমার ভালোলেগেছে বলেই ২০/২৫ পৃষ্ঠা এ পর্যন্ত পড়তে পেরেছি।…. আচ্ছা! তোমার মনে হচ্ছেনা! আমি একটু বেশি কথা বলছি?
— মোটেইনা আপু, আমার ভালো লাগছে আপনার কথা।
‘ আমার ভালো লাগছে আপনার কথা’ এবার ভালোলাগাটা কর্পূরের মত উবে গেলো ঝাৎ করে। এমনই হয় ইদানীং, কেউ ভালোলাগার কথা বললেই, পিঠটান দিয়ে এ্যাবাউটটার্ন করে ফিরে আসি ভালো না লাগার নিবাসে।
খুচরো পাঁচটা টাকাও যে সন্মান হেফাজত করতে কতখানি ভূমিকা রাখে! হাতের ব্যাগ হাতড়ে পাওয়া না গেলে চারচাকার চালক যখন ১০টাকার নোট বের করে পানওয়ালাকে দিয়ে পান কিনে দেয়! তখন টের পাওয়া যায়।সাধারন শব্দগুচ্ছকে ওলোটপালট করে দিলেই অসাধারন সব অর্থবোধক আলোর দেখা মেলে।অথবা বিষাদিয় কালো চাদরের সুঁতো ধরে টান দেয়া সব গোপন রাখা কালো কৌতুক উপহাসের হাসি হাসবে অট্টহাসিতে।ঘর থেকে বের হলেই উপাদান জুটে যায় অক্ষর দিয়ে শব্দ সাজাবার।নইলে……অন্ধ বধিরতায় কেটেই তো যায় চারদেয়ালের আভ্যন্তরিন যাপিত যাপন!!!!!
১৮টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
এ লেখাটিতে, এমন লেখায় উত্তর দিতে হলে তো এমন আর একটি লেখা লিখে ফেলা উচিৎ/দরকার।
সে সাধ আর সাধ্যের দিকটা নিয়ে ভাবতে বসা লাগবে,
খণ্ড-চিত্র গুলো এক সুতোয় বাঁধতে পারা চাট্টিখানি কথা না, নিছক প্রশংসা করে বলছি না। বানিয়ে ও না।
চোখদের খুব খেয়ালে রেখেছেন, দুবার খুব খেয়াল করে,
আর পান কিন্তু বেশ ভাল ভাবেই এসেছে, আসুক আসতেই পারে, আসা উচিৎ ও। বেলছেন বটে একাকীর কথা কিন্তু সংলাপে জরিয়ে আছে কথকতা।
আর হ্যা, এই একটি লেখাতে আছে অনেক লুকনো লেখা।
এবার লিখতে হবে আর লিখতে হবে মন্তব্যে………………
বন্যা লিপি
লেখাটা যখন লিখতে শুরু করেছি…..!!! কেন যেন মনে হচ্ছিলো, এটা আমার জন্য, নিজের কাছে নিজেরই চ্যালেঞ্জ নেয়ার মত। ১৫০০ শ শব্দ লিখে থেমে গেছি, আবার জোড়া দিয়েছি– আবার লিখেছি….।
১৫৭ পোষ্টের পরে আজ এই মন্তব্য(আপনার) আমার এ যাবৎ কালের শ্রেষ্ঠ মন্তব্য।
এই ২৯ ঘন্টায় এই পোষ্টে মাত্র দুটো মন্তব্য। আপনি আর ইঞ্জা ভাইজানের। আমি এবং আমার এই লেখা…..সার্থক সর্বকুলে।
সত্যি আমি আজ ভীষণ খুশি আপনার এ মন্তব্যে। ঠিক যে ধারাটা বজায় রেখো লেখা লিখে গেছি….আপনার চোখ তাই নিরুপন করেছে।
আমি জানি, আপনি প্রশংসা করতে পারেন না, বানিয়ে তো আরো না।
আমি অপেক্ষায় আছি আপনার
“এবার লিখতে হবে আর লিখতে হবে মন্তব্যে………………” এর জন্য…
ছাইরাছ হেলাল
বিদায় নিয়েছেন, তাই এর আলোচনায় যাচ্ছি-না/যেতে চাই-না।।
বন্যা লিপি
অজুহাতগুলো আরেকটু পোক্ত কইরেন মহারাজ। নইলে ভঙ্গুর শব্দাবলী বড্ড দাঁত কেলিয়ে হাসে। যা মানায় না একদম।
এ আমার বাড়িঘর। খেরোখাতা। যেদিন অবশেষে থমকে যাবে কলমের যন্ত্রনা! সেদিন আর বলা কওয়ার জন্য আমি থাকব না। এমনিতেই স্টিকি পোষ্টে শোকবার্তা আপনারাই ঝুলিয়ে দেবেন।
ইঞ্জা
লেখাটি বেশ পছন্দ হয়েছে আপু, সময় করে আরেকবার পড়বো।
বন্যা লিপি
আমি/লেখা সার্থক ভাইজান, পড়ুন আপনার সময়মত। ধন্যবাদসহ কৃতজ্ঞতা জানবেন।
ইঞ্জা
শুভকামনা আপু, পড়তেই এলাম।
বন্যা লিপি
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইজান
খাদিজাতুল কুবরা
মনে হচ্ছিল উপন্যাস পড়ছি। টিনএজ থাকাকালীন সমরেশ মজুমদারের উপন্যাস পড়তাম খুব। সে স্বাধ এ লেখাতে ও পেলাম।
এতো ভালো লিখিয়ের কাছে গল্প পড়ার আব্দার করতেই পারি।
বন্যা লিপি
তোমার এই বিষেশন আমার জন্য পরম পাওয়া। আমার গল্প লিখতে ইচ্ছে করে। চেষ্টা করব অবশ্যই ইনশাল্লাহ্। ভালবাসা তোমার জন্য❤
সুপর্ণা ফাল্গুনী
দূর থেকে কাছের নৈকট্য মাপা গেলে সত্যিই খুব ভালো হতো, সহজেই আপন পর বোঝা যেতো। একা একা কথা বললেই কি একাকীত্ব ঘুচানো সম্ভব! শুধু কথোপকথন ই সার।পান এর বেলায় সব মাপ করা যায়- শখের তোলা আশি টাকা। খন্ড খন্ড ঘটনা দিয়ে চমৎকার গাঁথুনিতে যাপিত যাপন উপস্থাপন করেছেন। প্রতিনিয়ত কত শত অভিজ্ঞতা যোগ হচ্ছে বহমান জীবনে। এভাবেই জীবন একদিন আসল গন্তব্যে পৌঁছে যায়। অবিরাম শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো। শুভ রাত্রি
বন্যা লিপি
পানের বেলায় সাতখুন মাফ….হা হা হা ঠিকই ধরেছেন দি।আরো বড় করা যেত এ গল্প, আমার যেমন ইদানীং শব্দের অভাব! তেমনি ধৈর্যের। খুব বাজে সময় যাচ্ছে আমার। খুবই বাজে। আশির্বাদ করবেন আমার জন্য।
আরজু মুক্তা
শেষের অংশটা সাধারণের কাছে অসাধারণ কিছু শিখতে হয়। প্রকৃতি মনে হয় এভাবে শিক্ষা দেয়।
বন্যা লিপি
হুমমম…..প্রতিনিয়ত ঐ শেষের অংশটার মর্মার্থ আমি হাড়ে হাড়ে টের পাই…..রংহীন চোখে আমি প্রজাপতি দেখতে চেয়ে ভুল করে ভুলে যাই…… অচল পয়সার কোথাও দাম নাই।
পপি তালুকদার
চার দেয়ালের যাপিত জীবন পড়তে পড়তে লেখকের ঘটনা গুলো চোখের সামনে ভেসে উঠেছে। মানুষের সখ কে সীমাবদ্ধ করতে হয় অর্থের কাছে এযেন চরম বাস্তবতা!
মানুষের একাকিত্বে নিজের সাথে গড়ে উঠে বন্ধুত্ব যার সাথে বক বক দিন দিন বাড়তে থাকে…..
অনেক সুন্দর একটি গল্প যার ভিতরে শিক্ষনীয় অনেক দিক রয়েছে।
বন্যা লিপি
পপি তালুকদার@ আপনাকে গোপন কথা বলি একটা- আমার আম্মার কাছ থেকে শোনা, আমি নাকি ছোটবেলা থেকে একা একা কথা বলি। ওই অভ্যাস বোধ করি কখনোই ছেড়ে যায়নি আমাকে। 😊😊😊আরেকটা লেখা জমা আছে, ওটা হুবুহু একা একা কথা বলার নমুনা। ওটাও টপকে দেব কোনোদিন বেঁচে থাকলে। ভালবাসা নিন❤শুভ কামনা সহ🌹🌹
হালিমা আক্তার
মন্তব্য করার মতো ভাষা খুঁজে পেলাম না | খুব ভালো লাগলো | শুভ কামনা |
বন্যা লিপি
এইটা কুনো কথা হইলো হালিমাফা!! আমার এই মন্তব্যে চলব না, বিস্তারিত মন্তব্য চাইই চাই😏😏 আমি নাছোড়বান্দা…..