
নিরব অভিমানে কলম ছেড়েছিলাম!
নিন্দুক সমালোচকের মুখে কুলুপ আঁটুক,লিখবোনা আর মন খারাপের গান।
চাইলেই কি করা যায় কপট সুখে অবগাহন!
আমি তো বিড়াল তপস্বী নই!
তাই চুপচাপ ডায়েরির পাতায় প্রতিবাদী অক্ষর সাজাই।
কখনো বা দিনলিপি তুলে ধরি সাহিত্যের পাতায়।
যা লিখি তা আমার হাঁড়ির খবর নয়, তবে কারুর তো নিশ্চয়ই।
যদি বলি আমাদের কথা,কিংবা সকলের হাঁড়ির পঞ্চ ব্যাঞ্জন টক মিষ্টি তিতা।
তবে কি মুখ ভার করবে?
কমে যাবে পাঠক প্রিয়তা!
আমি ভিন গ্রহের নই, সকলের একজন।
আমার অক্ষমতার পাঁচিল টপকে বেরিয়ে পড়ে দুর্বিনীত অনিরুদ্ধ কিরণ!
আমার বাড়ি থেকে কয়েকশ গজ ফেরোলেই ডাস্টবিন,
আমার রসুই ঘরে কড়া পাহারা,
চাইলেও করতে পারিনা আবর্জনার স্তুপে খাবার অন্বেষণে নিমিত্ত পাগলীটার ক্ষুধা নিবারণ।
আমি এক গৃহবধূ ক্ষমতা সীমিত অক্ষম বললেও অত্যুক্তি হবে না।
আমার প্রতিবেশি বউটাকে যখন স্বামী বেধড়ক পিটায়, ঘরের কপাট খুলে বেরিয়ে গিয়ে আমি কৈফিয়ত চাইতে পারিনা!
মসজিদ, মাদ্রাসা গড়ে তোলাই সামাজিক উন্নয়ন, এটিই আমার পারিবারিক আদর্শ।
নারীর নিপীড়ন পাগলীর ক্ষুধা নিবারণ এসব অহেতুক ভাবনার হেতু খুঁজে তারা বিমর্ষ!
আমিও ভাবনার পরিধিকে ছোট করে নিই ভুলেও গণ্ডি পেরোইনা।
একটি নিরাপদ আশ্রয় বনাম পথে পথে হায়েনা।
ম্যাচটিতে কে জেতে এ গল্প তো আমার জানা।
বহিরাবরণে শামুক হলেও অন্তরে আমি ঘাস ফড়িং।
আগুনে ভয় পাইনা, আলোর সন্ধানে ছুটি আমরণ।
২০টি মন্তব্য
রিমি রুম্মান
আমরা অধিকাংশ মানুষই এমন শিক্ষায় বড় হয়েছি। লেখাটি ভালো লেগেছে। বিশেষ করে এই লাইনটি … ‘ আমার প্রতিবেশি বউটাকে যখন স্বামী বেধড়ক পিটায়, ঘরের কপাট খুলে বেরিয়ে গিয়ে আমি কৈফিয়ত চাইতে পারিনা!’
খাদিজাতুল কুবরা
হ্যাঁ আপু একবার এক প্রতিবেশী বউকে পেটাচ্ছিলেন আমি প্রতিবাদ করতে গিয়েছিলাম। উল্টো কথা শুনিয়ে দিলেন। অন্যান্য প্রতিবেশীদের আচরণে মনে হলো যেন আমি অদ্ভুত আচরণ করছি। আর লোকটি যা করলেন তা স্বাভাবিক।
এক সাধারণ গৃহবধূর সীমাবদ্ধতা অনেক!
প্রথম বার আপনার মন্তব্যে প্রাণিত হলাম।
অসংখ্য ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা জানবেন আপু।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি সব সময় ই দারুন সব অভিব্যাক্তি তুলে আনেন/ধরেন আন্তরিক নিপুণতায়।
বহিরাবরণে চাকচিক্য মেলে আসল এড়ানোই আমাদের এখন ধর্তব্য।
হৃদয়ের ঘাস ফড়িং আমাদের বাঁচিয়ে রাখে, সকল অপূর্ণতার মাঝে।
খাদিজাতুল কুবরা
বেশি দূরের উদাহরণ দিবোনা। আমার একটি লেখা ও খাতায় তুলতে পারিনি। লিখতে গেলে কৈফিয়ত দিতে হয়।
এই হচ্ছে অনেক মহিলার চরম বাস্তবতা।
সত্যিকারের স্বাধীনতা কখনো আসেনি।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
সুস্থ থাকুন শুভকামনা রইল।
দেরিতে জবাব দেওয়ার জন্য দুঃখিত।
বাসায় ঝামেলা ছিল।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
হেলাল ভাইয়ের সাথে আমি ও একমত আপনার লেখনীতে সবসময় অন্যরকম ভালো লাগা পাই। মনের ভাবগুলোকে চমৎকার নৈপুণ্যে ফুটিয়ে তুলেন। একরাশ শুভেচ্ছা ও শুভকামনা
খাদিজাতুল কুবরা
দিদি ভাই ভালোলাগায় আবেশিত হলাম। এমনি করে উৎসাহ পাই বলেই লিখতে পারি।
অনেক ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছা রইল।
আলমগীর সরকার লিটন
বেশ অনুভূতির প্রকাশ কবি আপু অনেক শুভেচ্ছা রইল
খাদিজাতুল কুবরা
অসংখ্য ধন্যবাদ লিটন দা।
ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা রইল
সুরাইয়া নার্গিস
অসাধারন লিখলেন আপু।
সব সময়ের মতো মুগ্ধ হলাম,বাস্তবতা লেখায় পেলাম।
ভালো থাকবেন আপু।
খাদিজাতুল কুবরা
অনেক ধন্যবাদ আপু। আপনি ও ভালো থাকুন সবসময়
রোকসানা খন্দকার রুকু
আমরা নারীরা যতই ঢাকঢোল পেটাই না কেন ঘরে ঠিকই আটপৌরে। মুখে বলি রসুই ঘরের মালিক কিন্তু পাগলিটাকে খাবার দেবার অধিকার নেই। মসজিদ মাদ্রাসা নিয়েও কথা বলা ঢের অন্যায়, অধিকারের বাইরে। নারী জীবনের চরম বাস্তবতা কবিতায়। অসাধারণ বন্ধু। শুভ কামনা রইলো।❤️❤️
খাদিজাতুল কুবরা
বন্ধু!
আপনার মন্তব্য আমার জন্য অনুপ্রেরণার অনন্য উৎস। একদম ঠিক বলেছেন মেয়েরা মূলত কোথাও স্বাধীন নয়। দেশ বিভেদে কম বেশি মেয়েরা স্বাধিকার পায়না।
বুকভরা ভালোবাসা রইলো প্রিয়!
ফয়জুল মহী
চমৎকার লেখা, ভালো লাগলো,
খাদিজাতুল কুবরা
অনেক ধন্যবাদ মহী ভাইয়া
ছন্দা দাম
বোন তোমার প্রতিটি লেখা মনে হয় যেন একটা পুরো জীবনের অভিজ্ঞতা তুলে এনে সাজিয়ে দেওয়া।তাই এতো প্রাণবন্ত এতো প্রাণোময়।। আজকের লেখাটা ও তাই।। অনেক শুভেচ্ছা তোমায় বোন ❤️❤️🌹
খাদিজাতুল কুবরা
দিদি ভাই আমি যে আপনার উত্তরসূরী। আপনার চমৎকার সব লেখায় আমি আমাকেই খুঁজে পাই।
ব্যস্ত ছিলাম গো দিদি ভাই তাই জবাব দিতে দেরি হল। অনেক ভালোবাসা নেবেন।
তৌহিদ
আপনি চাইলেও আমরা যেতে দেবোনা। তবে এটা ঠিক আমাদের সমাজে নারীদের অগ্রসরতাকে আমরা ঠিক মেনে নিতে পারিনা। সাংসারিক কাজে দেখতেই অভ্যস্ত।
এই অবস্থার উত্তরণ হতে সময় লাগবে আরো। নারী এগিয়ে চলুক আপন শক্তিতে এটাই কাম্য।
শুভকামনা আপু।
খাদিজাতুল কুবরা
হ্যাঁ ভাইয়া একটু উদার হলেই কিন্তু মেয়েদেরকে অনন্য উচ্চতায় দাঁড় করিয়ে দেওয়া যায়।
অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
সবসময় ভালো থাকুন শুভেচ্ছা রইল
আরজু মুক্তা
নারীরা এগিয়ে যাক সকল বাধা ভেঙ্গে
খাদিজাতুল কুবরা
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। নারী এগিয়ে যাক এটাই চাই।