অভিমানী সুখস্মৃতি

তৌহিদুল ইসলাম ১০ নভেম্বর ২০২০, মঙ্গলবার, ১০:৩৮:৪৯অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ২৬ মন্তব্য

পরম রসময়ের ক্ষণস্পর্শে অপরুপ সংকেতে ব্যঞ্জনারুপে সকালের অপর্যাপ্ত আলোয় হৃদয় পরিপূর্ণ আমার বিরহী তৃষ্ণায়। দিন পেরিয়ে রাত আসে, পশ্চিমাকাশে সন্ধ্যাতারার কোমল আলো ঢলে পড়ে চোখেমুখে নিদ্রালু আবহে। অথচ ঘুম চলে গিয়েছে সাতসমুদ্র তেরোনদীর ওপারে।

জীবন প্রেমে স্নেহে মুগ্ধ আমি অপার চেয়ে থাকি বিরতিহীন পথপানে। কে যায় কে আসে ক্ষণিকের আবর্তে! একপলকের উদাস দৃষ্টি খেলাকরে বিরহাতুর বদনে। মাঝেমধ্যে ভুলে যাই আমার আমিকে! কি নাম, কি পরিচয়, কে দেবে বলে? অন্ধকারে তার স্পর্শে অনুভবে শীতল পরশ চোখেমুখে রঙধনুর সাতরঙে।

অকূলপাথারে ঝড়েপড়া শিমুলপাতার প্রতিটি খাঁজে যে নাম লিখে রেখেছিলাম, শীতের আগমনে ঝড়ে গিয়েছে সব পাতা। মর্মরধ্বনিতে কানে বাজে বিদায়ের সুর। এই আছে এই নেই, এ যেনো লুকোচুরি খেলা নিজের অন্তরাত্মার চিৎকারে কান ঢেকে। অমোচনীয় কালীতে ফুটে উঠেছে নীলাভ অশ্লীলতা।

পালিয়ে যে যাবো সে জায়গাটুকুও নেই। কতবার কতজনকে খেয়াঘাটের মাঝি সেজে পারাপার করিয়েছি, রঙ্গমঞ্চের পুতুল বিয়ে দেয়া বিনোদিনীর আঁচলে মুখ লুকিয়েছি; তারা আজ আর কেউ নেই। বেঁচে আছে নাকি মরে গিয়েছে কে জানে! পত্রবাহক লোকটা এমুখো হয়না বহুকাল। হয়তো লজ্জায় মুখ লুকিয়ে চলছে সে নিজেই।

স্মৃতির আড়ালে প্রাণহীন শতসহস্র মৌমাছি এলো গেলো কে রেখেছে তার হিসেব? কেউ মধু বিলিয়েছে আর কেউ বিনিময় করেছে। হায়! একটি কড়ির বদলে কেউ ডাকেনি পাশে। পরিত্যক্ত মৌচাকের দাম আর কত হতে পারতো সে হিসেব কষতে গিয়ে ইদানীং নিজেই বেহিসাবি হয়েছি আমি।

দৃষ্টি উদাসপানে চেয়ে থাকা সময়ে
ভুলে যাওয়া সুখস্মৃতি অভিমানী অতলে…

[ছবি- নেট থেকে]

১০৬৮জন ৮৯৬জন

২৬টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ