
১৪ বছরের নুর নাহার মরে গেছে, মরে গেছে কারণ তারে এই বাল্য বয়সে বিয়ে দেওয়া হয়েছিলো ৩৫ বছরের রাজিব খান নামের এক দামড়ার সাথে, প্রবাসী দামড়া দেখে আরও উৎসাহ নিয়ে তার বিয়ে দেওয়া হয়েছিলো। নুর নাহার নামের বালিকা যার বেণী দুলিয়ে স্কুলে যাবার কথা ছিলো সে মরে গেছে যৌনাঙ্গের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জন্য, সে মরে গেছে কারণ পতি নামক জানোয়ারটা বিয়ের রাতেই এই বাচ্চা মেয়েটার উপর পশুর মতো ঝাঁপিয়ে পরে।
বিয়ের রাতের পর আরও ৩৪ দিন মেয়েটা বেঁচে ছিলো। যদিও যৌনাঙ্গের রক্তক্ষরণ বন্ধ না হলেও স্বামী নামক জানোয়ার মেয়েটারে ছেড়ে দেয়নি, সেই রক্তাক্ত যোনী দিয়েই স্বামীর হক আদায় করেছে। প্রতিদিন মেয়েটা ধর্ষিত হয়েছে অবশ্য বাংলাদেশের মানুষতো ম্যারিটাল রেপ কি জিনিস তা জানে না! তারা ভাবে বিয়ে হলেই স্বামীটি স্ত্রীর যৌনাঙ্গের মালিক! স্ত্রী ইচ্ছে বা অনিচ্ছা যাই হোক স্বামী তার হক আদায় করেই নেয়। রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়নি বলে একটু কবিরাজের কাছে মেয়েটারে নেওয়া হয়েছে, লাভ হয়নি। তারপর একেবারে অবস্থা খারাপ হলে হাসপাতালে। ততোদিন বাচ্চা মেয়েটা আর বাঁচার অবস্থায় নেই।
খুব খারাপ লাগছে…. খুব। ১৪ বছর বয়সের আমার নিজের কথা মনে পরছে। আমি স্কুলে যেতাম, নুর নাহার কবরে গেছে। এইযে বিবাহিত জীবনের ৩৪ দিন তার উপর দিয়ে গেলো কেউ ভাবতে পারে তা কতো ভয়ংকর? শুধু কি রাজিব খানের দায়? যে বাবা মা এই বয়সে বিয়ে দিলো, যে রাষ্ট্রে দারিদ্রতার জন্য বাচ্চাদের বিয়ে হয়ে যায়, যে বাবা মা মেয়ের এই অবস্থা জেনেও শ্বশুরবাড়ি ফেলে রাখছিলো, যারা সময়মতো চিকিৎসা দেয়নি কারও দায় কম না! অবশ্য মেয়েদের জীবনের তো দাম নেই। আর ওইযে দামড়া ওর কথা কি আর বলব! ওই লোক আবার বিয়ে করবে, নুর নাহারের কথা সবাই ভুলে যাবে।
অসুর রাজিব খান:
লেখার সুত্র:।। বিয়ের ৩৪ দিনের মাথায় অষ্টম শ্রেনির ছাত্রীর মৃত্যু যে কারনে।
============
পুষ্পিতা আনন্দিতা
নিউইয়র্ক।
৯টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
কিছু বলার ভাষা নেই আপু। ঐটুকু বাচ্চা কতটুকু কষ্ট পেয়েছে তা শুধু সে আর বিধাতা জানে। ঐ নরপশুর শাস্তি তো হতেই হবে পাশাপাশি মেয়ের বাবা-মা, আশেপাশের সবার একটা কঠিন বিচার হওয়া উচিত। সত্যিই সবাই মেয়েটির কথা ভুলে যাবে আর ঐ জানোয়ার টা নতুন সংসার পাতবে। কারো কিছু যায় আসে কি? না পরিবারের, না সমাজের, না রাষ্ট্রের? ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন
সুপায়ন বড়ুয়া
মনটাই খারাপ হয়ে গেল।
এই বিভষ্য ব্যাভিচার থেকে রেহাই পায়নি কিশোরীটি
দানবের হাত থেকে।
সমাজ পারেনি নিরাপত্তা দিতে ও বাল্যবিয়ে রুখতে
মা বাবা শকুনের হাত থেকে বাঁচাতে দানবের হাতে দিয়েছে তুলে।
ধিক শত ধিক।
আপনার জন্য শুভ কামনা।
মোঃ মজিবর রহমান
মনটআ ভিষন খারাপ হয়ে গেল। প্রবাসী পেলেই অনেক বাবামা মেয়ের বিয়ে দিতে উৎফুল্ল ডগমগ হয়। বুঝেনা মেয়েটার আগামীদিন কেমন হবে।
আবার ছেলের পক্ষ ভাবেনা বাল্য বিবাহ মানেই জিবনের যবানিকাপাত হোয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
তৌহিদ
সংবাদ মাধ্যমে দেখেছি খবরটি। খুবই দুঃখজনক। বাল্যবিবাহ রোধ এখনো শতভাগ কার্যকর হয়নি এটাই তার প্রমান।
ভালো থাকুন।
ফয়জুল মহী
দরিদ্রতা এর জন্য এক নাম্বার দায়। তারপর দায় স্বামী নামক জানোয়ার টার মন মানসিকতা। অশিক্ষিত বর্রব বিদেশ গিয়ে রোজগার করতে পারলে কম বয়সী সুন্দরী মেয়ে খোজে । আর গরিব মা বাপ টাকার কাছে মেয়েটা বিক্রি করে।
আরজু মুক্তা
জীবনের ঘূর্ণিপাকে দেখা যায়, সমাজ, পতিদেব, কখনো বাবা মা, কখনো দারিদ্র্য, কখনো অশিক্ষিতা, কখনো পরিবেশ অন্তরায়। মেয়েদের না বলা শিখতে হবে। আর তার আগে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে।
পৃথিবী নতুন করে জাগ্রত হোক
আলমগীর সরকার লিটন
কি আর বলি আমাদের সমাজ ব্যবস্থা এর জন্য দায় কিছুবলার ভাষা আর জানা নেই আপু
মনির হোসেন মমি
বাক রুদ্ধ লেখায়।মন্তব্যের ভাষা নেই।তবুও বলব রুখে দিতে হবে এসব দামড়াদের রুখে দিতে হবে বাল্য বিবাহ। খুব ভাল পোষ্ট।
রোকসানা খন্দকার রুকু
বাবা মা এত কষ্ট করে সন্তান বড় করে জানোয়ারের হাতে তুলে দেয় তাও বয়স না হতে।
প্রতিবাদী হতে হবে।
শুভ কামনা সকল মেয়েদের জন্য।