
পৃথিবীর আর সবাই ঘুমিয়ে গেছে, অতন্দ্রীলা;
তুমি জেগে আছো? কুয়াশা-কলমে কবিতা লিখছো?
মৃত্যুর মত এই হিমঝুরি হেমন্তের রাতে
গজলের ঢেউয়ে ভেসে আসে জীবনের স্বর,
আমি তো এমন নই যে বানানের ভুলগুলো শুধু ধরিয়ে দেবো,
আলাপের বেসুরো তান টুকু তুমি
অন্তরায় এসে শুধরে নিও বরং, যদি পারো..
ঝরাপাতা গুণে গুণে সময় বেশ কেটে যায় আমার
মলিন অবসাদে অবশ আমি
আমি মৃত্যুময় ও চিরহরিৎ
নিস্পন্দ নির্যাশে যেমন পদ্মপাতার জল
অথবা একফোটা শ্বেতদ্রোণ
হাজার মাইল পাড় হয়ে এসেও দেখি
তোমার মুখের মৃন্ময়ী আভা মৃত্যুর মত লেগে আছে মনে
তোমার দোতলা ঘর, বাগানের ঘাসফুল,কার্নিশের ছাতিম মিশে গ্যাছে আমার কড়িকাঠে,ঝাউয়ের ছাউনিতে, ঊর্নাময় বেডল্যাম্পে
কুয়াশার মত মিহি একটা স্বপ্ন কী শান্তভাবে এগিয়ে এসেও…
চৌকাঠের বাইরে হঠাত থেমে গেল,
কবেকার কথা…
অশীতিপর বৃদ্ধের মত সফেদ চাহনী মেলে দেখেছি সময়ের নির্লজ্জ লেনাদেনা,
অতন্দ্রীলা,জেগে আছো? নাকি
নৈশব্দবতীর নি;সীম তন্দ্রা তোমাকেও নিয়ে গেছে ঘন ঘোর ঘুমের ভেতর,
আমার দূর্বাভেজা জীবনেও যে এম্নিভাবেই শেষ এলো…
….
পুনশ্চঃ
পুববাংলার এই হেলে পরা রাতে আমি কবুল করছি
মৃত্যু বড় জ্বালাতন করেছিল
জীবন ও জালিয়েছে খুব
তবু ছিল কিছু একটা- হয়ত মানুষজন্ম-হয়ত তোমার শিশিরভেজা মুখ
অতন্দ্রীলা, ভালবাসি বললেই বুঝি ভালোবাসা হয়।
লেখক- জাকির হোসেন।
১৭টি মন্তব্য
রোকসানা খন্দকার রুকু
এই কবিতা আমার নয়। আমি তাকে “জীবনানন্দ” ডাকি। কুমিল্লা বেতারের কর্মকর্তা। কবিতা ও সমসাময়িক লেখেন। আবৃত্তি ও গানের গলাও দারুন।
বললাম- বাবা ব্লগে লেখেন সবাই পড়বে।
তিনি বললেন- খালামনি এইসব ছাইভস্ম লিখে লজ্জিত হতে চাইনা।
দেখা যাক বিচারিক মতামত কি আসে॥ আপনারা বলেন তারপর লিখবেন।
রেজওয়ানা কবির
ছাইভস্ম নয়, শব্দচয়ন অসাধারন। সত্যিতো ভালোবাসা বললেইতো ভালোবাসা হয় না? ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ এমনভাবে করতে হয় যেন শুধু মুখে নয় অনুভবেই বুঝতে পারা যায় যে কতটা ভালোবাসে! আর সত্যি তোমার ভাগনে খুব সুন্দর লিখেছে।লিখতে বল আমাদের সোনেলায়।
রোকসানা খন্দকার রুকু
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমিও তাকে বলেছি ভালো লেখে কিন্তু মানতে নারাজ। আর তোমারও ভাগনা। হয়েছে কি তোমার?
শুভ কামনা।
প্রদীপ চক্রবর্তী
পূর্ণচ্ছেদ শেষ হওয়ার পূর্বে প্রতিটি মানুষের প্রেমের সীমান্ত উন্মুক্ত হোক।
খুবি ভাবার্থ লেখনী।
ভালো লাগলো।
রোকসানা খন্দকার রুকু
দারুন মন্তব্যে ধন্যবাদ। আমিও চাই ভাবার্থ লেখা দিয়ে আমাদের ভরিয়ে দিক।
শুভ কামনা।
আরজু মুক্তা
অসাধারন। আমি বিমোহিত।
সব কিছু প্রকাশিত হোক। ডুবে যাওয়ার আগে।
রোকসানা খন্দকার রুকু
আমিও বিমোহিত হই। কিন্তু পটাতে পারছি না।
শুভ কামনা আপনার জন্য। শুভ সকাল।
ফয়জুল মহী
অনবদ্য অনুপম কাব্য। মুগ্ধতা অপার।
রোকসানা খন্দকার রুকু
ধন্যবাদ ও শুভকামনা ভাইয়া।
ছাইরাছ হেলাল
নিয়মিত লিখে আমাদের আরো পড়ার সুযোগ দিক,
তাঁকে এ কথা সত্ত্বর জানিয়ে দিন।
রোকসানা খন্দকার রুকু
আমিও একমত। শুভ কামনা ও শুভ সকাল ভাইয়া।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
শিরোনাম টা দারুন লেগেছে। মনের দরজা জানালা খুলে দিন , তাকে বুঝতে দিন, জানতে দিন তাহলেই ভালো হয়। ভালোবাসি বললেই বুঝি ভালোবাসা হয়! একদম ঠিক বলেছেন। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন
রোকসানা খন্দকার রুকু
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ দিদিভাই।
শুভ কামনা।
খাদিজাতুল কুবরা
পড়তে পড়তে আবেশিত হয়ে পড়লাম। দারুণ কবিতা লিখেন তিনি। তাঁকে আমার পক্ষ থেকে অভিনন্দন!
আমি তো কোমর বেঁধে ফেলেছি, রুকু আপুকে একছোট দেখে নিবো বলে ভদ্রমহিলা কবিতা লিখতে পারিনা বলে আমাকে একদম ঘোল খাইয়ে ছাড়লো।
শেষে দেখি কেস ভিন্ন।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর কবিতা পাঠের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
আপনার নতুন লেখার অপেক্ষায় রইলাম
রোকসানা খন্দকার রুকু
আমার ভাগনা সে। তাকে অবশ্যই বলব।
আর কোমর বেঁধে লিখলে আমাদেরই ভালো। অসাধারণ কবিতা পড়তে পারব।
আমি কবিতা ভালোবাসি অত ভালো লিখতে পারিনা। তারপরও ভদ্রমহিলার কবিতা ভালো লাগে জেনে যার পর নাই খুশি হলাম। গিফট হিসেবে ভালোবাসা রইল।
তৌহিদ
কবিতা লেখককে বলে দিয়েন কবিতা পছন্দ হয়েছে ।আপনিও ভালো থাকুন আপু।
লেখার শেষে কবিতা লেখক এর নাম লিখে দিন। না হলে পাঠক মনে করবে আপনারই কবিতা। এটি আমার মতামত। বাকি আপনার ইচ্ছে।
রোকসানা খন্দকার রুকু
জী ভাইয়া বলব।এবং চাইব তিনি আমাদের আরও সুযোগ করে দিন।
নাম লিখে দিলাম। শুভ কামনা।