
আকাশ কতো দূর! অথচ এর মাঝে ছুটে চলা সাদা মেঘগুলো কতো স্বাধীন! ইচ্ছেমতো মন খুলে উড়ে উড়ে চারদিকটা চষে বেড়ায়। হিংসে হয়। আমিও যদি এভাবে উড়ে বেড়াতে পারতাম! আকাশকে ছুঁয়ে দেখার অনেক সাধ।
বাবা মাকে কথা দিয়েছিলাম প্রেম করবোনা। ওনাদের ইচ্ছেমতোই বিয়ে। পাত্র রাজযোটক। চাওয়ার থেকে পাই বেশি।
: ছাদে যাবে?
: এতো রাতে?
: জোসনা দেখবো!
: জানালা খুলে এখানে বসে দেখো।
: খুব ইচ্ছে তোমার সাথে জোসনা মাখবো।
: হুমায়ুন আহমেদ পড়ে ; মাথা গেছে। আমার দৌড় আবদুল্লাহ আল মূতীর ” আকাশ ” প্রবন্ধ পর্যন্ত। যা ছোঁয়া যায় না। তা আমার পছন্দ না!
নিজেকে ঘুড়ি বানিয়ে রেখেছি। নিজস্ব স্বাধীনতাটা অন্যের ইচ্ছের মধ্যে আটকে থাকে। একটা আচমকা ঝড় ইচ্ছে করলেই মুক্ত করতে পারে। কিন্তু ঝড়ের তো মতিগতির ঠিক নাই। সীমাবদ্ধতা নাই। ওলট পালট করে দিতে পারে। তাই ঘুড়ির মাঝে গুটিয়ে রাখি।
রবীন্দ্রনাথের ” শেষের কবিতা ” ছুঁয়ে দেখা হয় না! সাগরের ঝিনুক ফোটা জলে মন ভেজাতে ইচ্ছে করেনা।
আড়ং এর স্বর্ণ খচিত, মুক্তো বসানো ব্রেসলেটের দিকে তাকিয়ে একগুচ্ছ রজনীগন্ধা খুঁজি।
২৮টি মন্তব্য
বন্যা লিপি
এই অনুগল্পের আমিটা যদি আপনি নিজে হন তো একখান কতা আছে-।
আর যদি গল্পের ” আমি’টা” সার্বজনীনতায় ইঙ্গিত হয়ে থাকে তবে দুইখান কথা থাকে……… এখন ভাবতাছি মন্তব্যে আসলে কি কমু??
শুধু বলি ভালো লেগেছে। সাধারনে সাধারন থাকতে পারাটা ঘুড়ির মতোই নিয়ন্ত্রনে স্বস্তি খুঁজে ফেরা। ঘুড়ি ভালোই থাকে নিয়ন্ত্রনে ওড়াউড়িতে।
আরজু মুক্তা
মুই এলা কী কং? রংপুরের ভাষা। ( আমি এখন কী বলবো? )
আমিটা সার্বজনীন। এবার আপনার মন্তব্য আশা করছি।
নিয়ন্ত্রণে থাকলেই জীবন ভালো কাটে।
ফয়জুল মহী
খুবই অর্থবহ ও আকর্ষণীয় প্রকাশ।
আরজু মুক্তা
ধন্যবাদ ভাই
ছাইরাছ হেলাল
স্বাধীনতাহীনতায় কে বাঁচিতে চায় !!
জলাঞ্জলির স্বাধীনতা ও স্বাধীনতা, সেখানেও ঝড়ের ভয়,
একান্তে গুচ্ছগুচ্ছ রজনীগন্ধা-স্বপ্নই শুধু বেঁচে থাকে/বাঁচিয়ে রাখে।
এমন অপেক্ষার অণুগল্পে আপত্তি রাখি না।
আরজু মুক্তা
আপনার অনুপ্রেরণায় এতোটুকু লিখা। ধন্যবাদ অশেষ।
সুখ আপেক্ষিক। কেউ সোনাদানা আশা করে। আর কেউবা একটু ফুল আশা করে।
জীবন এভাবেই চলে
সুপায়ন বড়ুয়া
“আড়ং এর স্বর্ণ খচিত, মুক্তো বসানো ব্রেসলেটের দিকে তাকিয়ে একগুচ্ছ রজনীগন্ধা খুঁজি। “
অনুগল্পের আড়ালে স্বার্থপরতাকে প্রাধান্য দিলে কেমনে হয়।
ভাল লাগলো। শুভ কামনা।
আরজু মুক্তা
স্বার্থপরতা নয়। সুখটা বোঝা মুশকিল।কেউ চায় ফুল। কেউ সোনা। কেউ জোসনা। বোঝা মুশকিল।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
যা ছোঁয়া যায়না তা নিয়ে আফসোস করার কোন মানেই হয় না তবুও আমরা কিন্তু অসম্ভব কে পাওয়ার আশা নিয়ে বেঁচে থাকি। নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি সবার ই আকর্ষণ বেশি। স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচতে চায়, ঘুড়িকে স্বাধীনতা দিলে সে কিন্তু পথ হারিয়ে এখানে সেখানে গোত্তা খাবে স্বাধীনতা এমনি জিনিস। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য
আরজু মুক্তা
থিমটা এমন নয়। গহনা গাটি যতোই থাক। মেয়েদের একটা ছোট চাওয়া থাকে। কেউ চায় বই কিনে দেক। কেউ চায় জোসনা দেখুক। আবার কেউ চায় তার মনের মানুষটা একটা হলেও গোলাপ নিয়ে আসুক
সুপর্ণা ফাল্গুনী
জানি আপু। আমি শুধু স্বাধীনতা পেলে কি হয় সেটাই প্রকাশ করেছি। ধন্যবাদ আপনাকে। শুভ কামনা রইলো একরাশ
রোকসানা খন্দকার রুকু
চাওয়ার শেষ নেই। কিন্তু পাওয়া কি সব হয়?
ভালো লেগেছে।
শুভ কামনা।
আরজু মুক্তা
সেটাই অনেক সময় ছোট জিনিসের জন্য মনটা খারাপ হয়।
শুভকামনা
শামীম চৌধুরী
মনোমুগ্ধকর লেখা আপু।
আরজু মুক্তা
ধন্যবাদ ভাই।
রেজওয়ানা কবির
আড়ং এর স্বর্ণ খচিত, মুক্তো বসানো ব্রেসলেটের দিকে তাকিয়ে একগুচ্ছ রজনীগন্ধা খুঁজি।
আড়ংং এর কোনকিছুই চাই না আমার, আমার চাই শুধু একগুচ্ছ বেলী ফুলের মালা,ফুচকা খাওয়া,গভীর রাতে জোৎস্না দেখা, বৃষ্টিতে ঠান্ডা লাগার ভয় থাকলেও কোন চিন্তা না করে চোখ বন্ধ করে তার হাত ধরে ভিজতে চাই।চাই শুধু কপালে আলতো চুমু,চাই না চাইনিজ।আর সর্বোপরি চাই তার সাথে এভাবেই পথ চলতে।
অনেক ভালো লেগেছে আপু আপনার অনুগল্প।
আরজু মুক্তা
একদম। এমনই চাচ্ছে গল্পের নায়িকা।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন সবসময়
তৌহিদ
কতদিন প্রাণভরে জোছনা দেখিনা! আপনার লেখা পড়ে ইচ্ছেটা মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো আবার।
ভালো থাকুন আপু।
আরজু মুক্তা
তাও ভালো। জোসনায় অবগাহন।
শুভকামনা
সুরাইয়া পারভীন
যদি মধ্যরাতে দুধ সাদা চাঁদের জ্যোৎস্না গায়ে মেখে ভিজতে ইচ্ছে করে তবে তাতে সংঙ্গ দেওয়া উচিত।
আসলে আমাদের একেক জনের চাওয়া একেক মতো
কেউ চাঁদের জ্যোৎস্না মেখে খুশি, কেউ ডায়মন্ড খচিত ব্রেসলেটে কেউবা আবার বৃষ্টিতে ভিজে
আরজু মুক্তা
ঠিক বলেছেন।
শুভকামনা
সুরাইয়া পারভীন
*সঙ্গ
নাজমুল হুদা
সমমনা তুমি মনের বড় অভাব সমাজে। তবুও হাজার হাজার রোমান্টিকহীনতায় বেঁচে থাকে এভাবেই।
গল্পটির একটি উত্তাপ আছে , ধৈর্য্যের এবং বিষাদে ভরপুর। তবুও মানুষ অপেক্ষা করে জোছনা দেখার।
ধন্যবাদ আপু
আরজু মুক্তা
ধন্যবাদ ছোট ভাই। থিমটা বুঝতে পেরেছো।
ভালো থাকো সবসময়
আলমগীর সরকার লিটন
হু প্রেম ত করেই চলছেন অনেক শুভ কামনা মুক্তা আপু
আরজু মুক্তা
ধন্যবাদ।
দিপালী
সব মেয়ের ভিতরেই সুন্দর একটি মন থাকে। যেখানে গচ্ছিত থাকে কিছু না ছুতে পারা স্বপ্ন। তবুও মেয়েরা তা মনের গহীনে তুলে রাখে সযত্নে।
আরজু মুক্তা
জি, ঠিক বলেছেন। মেয়েদের কে স্যাকরিফাইস করে চলতে হয়।