
চোখ বেয়ে জল গড়ায়
আমি হাতা খুন্তি নাড়ি, বুকের বাঁপাপাশ খামচে ধরে আছে সেই কবে থেকে!
উপর্যুপরি কালো মেঘে ছেয়েই আছে আকাশ, রোদ গিলতে চাই, চাই কোনো একদিন কফিশপে ঠিকঠাক দেখা পেয়ে যাবো আচমকা ভালো থাকা’র সাথে।
জাপটে ধরে বলে উঠবে- রাগ কোরোনা পাখি, ভীষণ ব্যস্ত থাকি’;
আমি সেদিনের থাকি আকণ্ঠ তৃষ্ণায়।
কবে ফিরবে সে ভালো থাকা?
সুদীর্ঘ সময় কেটেকুটে ভাগ করে নেবার কথা ছিলো। গড়িয়ে যাওয়া শিশিরের ফোঁটায় বিশ্বাসের রংধনু দেখে ভুল ভেবে আকুলিয়া ধরতে চাওয়া রংয়ের আবির!
বাউড়ি বাতাসে ছিলো দুরারোগ্য ভুল;
শিশির জ্বলে গিয়ে উঠলো দাবানল।
শিরিষের পাতায় এখনো শিরা উপশিরা বেঁচে আছে
মরা গাছে ফুল ফোটাবে ভেবে।
রাতের মেঘে মাথা পেতে দিয়ে দেখা যেতেই পারে
আকাশের চোখে ঘুম তো নেই!
ঝিমুনি ভাবটা কাটিয়ে উঠতেই প্রেমে পড়ে গেলো দূর নক্ষত্রের চোখে চোখ রেখে।
নক্ষত্রের ভারবাহী বয়সের তোয়াক্কা না করেই,একরোখা শব্দের প্রতিশ্রুতিতে আলিঙ্গনাবদ্ধ হয়েছিলো আকাশ-নক্ষত্র।
ভোরের কাছে ফিরতেই আকাশ নক্ষত্র ভুলে সুর্যকে ধারন করে নিলো নিজের করে। লুকিয়ে গেলো নির্বিবাদে নীলবিষপানে নীল তারা…….।
* ছবি – নিজ হাতে তোলা।
২৫টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
সেদিনের আকন্ঠ তৃষ্ণা নিয়ে এখনো দেখি নীলাকাশ,
সাদা-ধুসর-কমলা মেঘ গুলোকে গিলে খায় অনন্ত অন্ধকার,
দৃষ্টির সীমানায় জ্বল-জ্বল জ্বলতে থাকা নক্ষত্রেরা ধ্বিকিধ্বিকি আগুনে পুড়িয়ে দেয় আমার চোখ, মন, একাকীত্ব..
আধাঁরে ঢেকে থাকা এই আমি অন্ধকারে হাতরে বেড়াই নিজের ছায়া,
গাঢ় আঁঁধার গ্রাস করেছে আমায়
নিকষ অন্ধকারে নিখোঁজ হয়েছে আমার অস্তিত্ব,
কেমন আছি আমি!
বন্যা লিপি
নির্বাক ভাষায় হন্যে হয়ে
শুন্য চোখের ভরা জল গুণে যাই……ফের যদি আসে ফিরে ভালো থাকা-
বাঁচিয়ে রাখি ক্ষীণ আশা…..
সুরাইয়া পারভীন
নিতান্তই অনন্যোপায় হয়ে
অশ্রুস্নাত নয়নে বুকের বাঁপাশের
খামচে ধরা যন্ত্রণা সয়ে তাকিয়ে থাকি
কালোমেঘে ছেয়ে যাওয়া আকাশের পানে
মেঘ বৃষ্টি হয়ে ঝরে সমস্ত দাবানল নিভিয়ে দিয়ে
ছড়িয়ে দেবে এক পশলা প্রশান্তির পরশ।
এমনি এক পরশের স্পর্শে সব তৃষ্ণা মিটবে বলেই
এখনো পড়ছে শ্বাস, চলছে প্রাণস্পন্দন
বন্যা লিপি
মেঘ বৃষ্টি হয়ে ঝরে সমস্ত দাবানল নিভিয়ে দিয়ে
ছড়িয়ে দেবে এক পশলা প্রশান্তির পরশ………ভালবাসা সুরু।
মনির হোসেন মমি
আমি সেদিনের থাকি আকণ্ঠ তৃষ্ণায়।
কবে ফিরবে সে ভালো থাকা?
সবগুলো বাক্যই অর্থপুর্ণ-জীবনের কথা বলে।
বন্যা লিপি
সবই জীবন থেকে নেয়া শব্দাক্ষর মমি ভাই। ধন্যবাদ জানবেন।
ফয়জুল মহী
অনবদ্য শব্দগঠনে নান্দনিক উপলব্ধির উপস্থাপন। বেশ মুগ্ধ হলাম।
বন্যা লিপি
আপনাকে মুগ্ধতায় ধন্যবাদ।
শামীম চৌধুরী
বফু
অনুভূতিতে যে ভাবনাগুলি ফুটিয়ে তুলেছেন সবই বাস্তবতায় পরিপূর্ন। আর সবই চলছে রুটিন মাফিক। যেমনটি আপনি বলেছেন-
ভোরের কাছে ফিরতেই আকাশ নক্ষত্র ভুলে সুর্যকে ধারন করে নিলো নিজের করে। লুকিয়ে গেলো নির্বিবাদে নীলবিষপানে নীল তারা…….।
খুব ভাল লাগলো আপনার অনুভতিগুলি।
বন্যা লিপি
শা’চ্চু
যাপিত বর্তমান বাস্তবতা কিছুতেই এড়াতে দিচ্ছে না যে কোনো অনুভূতির লেখায়। শুধু প্রতীক্ষা ভালো থাকারা ফিরবেই কোনো একসময়। ধন্যবাদ শা’চ্চু। ভালো থাকবেন।
জিসান শা ইকরাম
ভালো থাকা আর ফিরবে কিনা কে জানে?
তবে অনন্ত অপেক্ষায় থাকা হবে তার ফিরে আসার জন্য তা বুঝতে পারি।
কবিতাটা একটু বেশিই ভালো হয়েছে।
শুভ কামনা।
বন্যা লিপি
অনন্তর পথে অপেক্ষার দৃষ্টি বিছিয়ে রেখে দিন গুণে যাওয়া ছাড়া আর তো কোনো উপায় দেখছি না।
একটু বেশিই ভালো লেগেছে জেনে সিক্রেট বলে দিতে ইচ্ছে করছে…… কিন্তু না, বলবো না এখানে। ক্রেডিট গোস টু সাম ওয়ান স্পেসাল 😊 টুকরো টুকরো কথামালা জুড়ে দিয়েছেন একজন। এমনকি এখানে এনে টপকে সঞ্চিত রাখার ইচ্ছাটাও তাঁর। বলবো না বলে বলেই দিলাম 😊😊😊 বুঝতে বাকি থাকার কথা না আশা করি।
কৃতজ্ঞতা সহ স্রদ্ধা সবসময়।
রোকসানা খন্দকার রুকু
আর কি ফিরে আসবে সে সব দিন? জিরিয়ে নেবার দিন বোধহয় শেষ হয়ে গিয়েছে অশনি থাবায়।
তবু আয়াত বাঁচি।
শুভ কামনা আপু।
রোকসানা খন্দকার রুকু
সরি আশায় বাঁচি।
বন্যা লিপি
তবু আশা আছে বলেই হয়ত বেঁচে থাকার প্রেরনা পাই। শুভ কামনা আপনার জন্য।
খাদিজাতুল কুবরা
আপু আপনার কবিতার চরণগুলি এমনভাবে হেঁটে গেলো শিরা উপশিরায় রক্ত কনিকায়…
কেন এমন হয়!
কেন সবকিছু চাওয়া পাওয়ার অনুকূলে থাকেনা!
রাতের ভাবনা চাদরে লুকিয়ে দিনের প্রখরতাকে বশ মানানোর নামই হয়তো জীবন!
এতো সুন্দর কেমন করে লিখেন আপু!
শুধু মুগ্ধ হয় পড়ি।
অনেক ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছা জানবেন।
বন্যা লিপি
আমি কল্পে ওড়াই গল্পকথার ঘুড়ি!
আমি প্রজাপতির পাখনা থেকে রং করি চুরি।
আমার ভেতর আমায় নিয়ে
ভীষণ ঘোরে থাকি।
আমি আমার ভাবনা নিয়ে সারা আকাশ ঘুরি!
আমি আমার শেকড়টাকে লুকিয়ে শুধু রাখি।
কল্পলোকের পাতাল থেকে নীল আকাশের চূড়ায় শুধু চড়ি…….
আর কি বলি বলোতো রুবি? সবই তো বলে দিলাম। একরাশ ভালবাসা💞💞💞💞💞
খাদিজাতুল কুবরা
এটা ও তো ভীষণ সুন্দর লিখেছেন আপু।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
কেমন আছি!! নিঃশ্বাস নিচ্ছি, পেটে ক্ষুধা লাগলে খেয়ে নিচ্ছি , ক্লান্ত শরীর টেনে নিয়ে বেড়াচ্ছি, দুচোখের পাপড়িগুলো যখন আর আলাদা থাকতে পারেনা, আলিঙ্গনে আবদ্ধ হতে চায় তখন ঘুম নামক রাজ্যে হারিয়ে যাই, আবার জেগে উঠি নতুন ভাবনায় ভর করে, রক্তের ধমনীতে বজ্রপাত হানা দেয় কিন্তু সময়ের কালে তাও থেমে গিয়ে নদীর মতো কলকল বয়ে চলে রক্তের প্রবাহ, মন উচাটন হয় নানান রঙে, ঘটনার আলোকে তবুও নিজেকে বেঁধে রাখি যুদ্ধের দাবানল থেকে শত শত ক্রোশ দূরে। নীরব দর্শক হয়েই আজন্ম বেঁচে থাকার প্রতিজ্ঞায় আবদ্ধ জন্ম-জন্মান্তরে। শুভ কামনা রইলো
বন্যা লিপি
যাস্ট অসাম…… কি ভালো যে লাগলো ছোটদিভাই আপনার মন্তব্য! এমন মন্তব্যে আকাঙ্খা বেড়ে যায় আরো বেশি ভালো লিখতে। কিন্তু ইদানীং লিখতে পারছি না কিছুই। সব এলোমেলো লাগছে। পুরোনো কিছু টুকরো টুকরো লেখা জড়ো করে নিয়ে হাজির হবো ভাবছি। শুভ কামনা ছোটদি।
প্রদীপ চক্রবর্তী
নীলাকাশ দেখা বেশ উদারতা।
গাভীর দলের মতো চরে বেড়া সাদামেঘের ভেলা তা দেখা এক মুগ্ধতা।
সবকিছু যখন ঘরে ফিরে তখন নিজেকে বড্ড খালি মনে হয় নেহাত শূন্য মনে হয়।
আর নিজেকে প্রশ্ন করতে হয় কেমন আছি আমি?
ভাবনা জুড়ে আসে শুধু শূন্যতার কথা।
আসে একাকীত্ব।
শূন্য স্থানে নিজেকে সমর্পিত করতে হয়।
নিজেকে ভালোবাসতে হয়।
নদীও কান পেতে নারীর কান্না শুনে।
তবুও তার বহে চলতে হয়।
কখনো সমর্পিত কখনো আত্মসমর্পিত হয়ে চলতে হবে।
একদিন নিশ্চয় তৃষ্ণায় ভরে উঠবেন।
.
যথার্থ ভাবনা,দিদি।
বন্যা লিপি
প্রদীপও জ্বলে তেলের সাহায্য আর বারুদের চাহিদায়। তোমার মন্তব্য মন কেমন করে ওঠা আরেক অনুভূতি। নদীও বয়ে যায় নারীর কান্না নিয়ে। নদীকে তুলনা করা হয় নারীর সাথেই। প্রার্থনা হোক সকলের ভালো থাকারা ফিরবেই চাওয়ার আকাঙ্খার কাছে। খুব ভালো থেকো দাদাভাই।
আরজু মুক্তা
মরা গাছে ফুল ফোটাতে একটা ঐশ্বরিক শক্তি দরকার। সেরকম একটা দৈববাণী করুক না ওলট পালট। আমরা নিজেকে খুঁজে ফিরে পাই। আকাশের নক্ষত্র কিংবা চাতকের কাছে একটা ফোটা স্বর্গীয় জল ; আকণ্ঠ পান করি। প্রকৃতি এভাবে বদলে যাক। আর আমরা আগের মতো হাসি গাই।
শুভকামনা
হালিম নজরুল
“রাতের মেঘে মাথা পেতে দিয়ে দেখা যেতেই পারে
আকাশের চোখে ঘুম তো নেই!”
——————ভাল লাগল।
তৌহিদ
ভালো বা মন্দ থাকাটা আপেক্ষিক! এটা নির্ভর করে পারিপার্শিকতার উপর। আপনি ভালো থাকুন সবসময় এটাই চাই।
শুভকামনা রইলো।