
মাঝে মাঝে এমন হয় যে, কিছু মানুষের কাছে বিনা কারণে অসম্মানিত হয়ে ভাবতে বসি, কেন এমন হলো? আমি তো কারও কোন ক্ষতি করিনি। তাহলে আমার সাথেই কেন এমন হলো?
আবার, পরোক্ষণেই এমন কিছু মানুষের নিকট থেকে সম্মান পেয়ে যাই, যা আমরা ভাবতেও পারি না! তাঁরা হয়ত সমাজের অনেক সম্মানিত মানুষ, যাঁদের সান্নিধ্য পাবার কথা কল্পনাও করিনি কোনদিন! দেখা যায় তাঁরা আমাদেরকে ভালোবেসে সম্মান দিয়ে বরণ করে নিচ্ছেন। যা পাবার যোগ্যতাও আমাদের ছিলো না।
আসলে এটাই হয়। পৃথিবীর একটা পিঠে যেমন যন্ত্রণা, অসম্মান, ঘৃণা, তারই উল্টো পিঠে রয়েছে শ্রদ্ধা, স্নেহ এবং ভালোবাসার ঝর্ণাধারা। শুধু চিনে নিতে হয়, কারা পাশে আছেন, কেমন করে আছেন, কতটুকু নিয়ে সাথে আছেন।
স্বর্ণ যেমন নির্ভেজাল নয়, একদম খাঁটি সোনা দিয়ে গয়না হয় না,তেমনি শুধু সুখ কিংবা শুধু দুঃখ একাধারে থাকে না। দুটোই চলতে থাকে সমান্তরালে। আজ আপনাকে কেউ অসম্মান করছে, অপদস্থ করছে, টিটকারি দিচ্ছে, কিন্তু আপনার কিছুই করার নাই। দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করতে হচ্ছে। একই সময়ে পৃথিবীর কোন না কোন প্রান্তে ঠিক কেউ না কেউ আপনাকে সম্মান দিচ্ছে, ভালোবাসছে, শ্রদ্ধা করছে।
যারা টিটকারি দেয়, অবজ্ঞা করে, তারা নিজেদের চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। এটা তাদের মানসিক সমস্যা, আপনার নয়।কারণ টিটকারি করা, সম্মানিত কোন মানুষকে টেনে পথে নামিয়ে তাকে নিয়ে মজা করা, তামাশা করা, তার সম্মান ধূলোয় মিশিয়ে তাকে অহেতুক ছোট করা এগুলো কোন স্বাভাবিক মস্তিষ্ক সম্বলিত মানুষের কাজ নয়। এটা কেবল বিকৃত মস্তিষ্কের লোকেরাই করতে পারে। আপনি তাদের মানসিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারেন, আর তা না পারলে সৃষ্টি কর্তার কাছে তাদের বোধদয় চেয়ে প্রার্থনা করতে পারেন।
২৪টি মন্তব্য
সামশুল মাওলা হৃদয়
আসলে প্রকৃতিটা নিয়ম এটা,যেটা নিজে কখনো করি নাই,ওটা মিথ্যা অপবাদ শুনতে হয়
নীরা সাদীয়া
ঠিক বলেছেন। এটাই নিয়ম।
শুভ কামনা।
সুপায়ন বড়ুয়া
ঠিক বলেছেন আপু।
আমরা যা পাই তা চাই না।
যা পাই তা চাই না।
এটাই চিরন্তন। শুভ কামনা।
নীরা সাদীয়া
এটাই সারাংশ।
ধন্যবাদ আপনাকে।
ফয়জুল মহী
সুন্দর উপস্থাপনা।
অন্তহীন শুভ কামনা।
নীরা সাদীয়া
আপনাকে ধন্যবাদ।
রেজওয়ানা কবির
সত্যি প্রত্যেকটা কথাই বাস্তবতা, এভাবেই আমরা চলছি,একপাশে অসম্মান,দুঃখ,অন্যপাশে,ভালোবাসা, সুখ।একজন অবজ্ঞা করলে আরেকজন এসে আপনার হাতটি ধরবে।যে অবজ্ঞা করবে আল্লাহ তাদের হেদায়েত দান করুক এই কামনা। খুব ভালো লিখেছেন আপু।
নীরা সাদীয়া
অসম্মান পেতে সময় লাগে না।
সম্মান পেতে অনেক সময় লাগে।
এটাই বাস্তবতা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
চমৎকার একটি ভাবনার উপস্থাপন দেখলাম। কোন অন্যায় না করেও যখন অপমানিত হতে হয়, কথা শুনতে হয় সেটা মেনে নেয়া খুব কষ্টের আমার জন্য। আবার যাদের কাছে কিছু আশা করি না তারা আমাকে এতোটা সম্মান , ভালোবাসা দেয় যে সেটার যোগ্য ভাবতে লজ্জা লাগে। যাহা চাই তাহা পাইনা, যাহা পাই তাহা ভুল করে ও চাই না। সোনেলার জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো
নীরা সাদীয়া
একদম ঠিক বলেছেন।
ধন্যবাদ।
রেহানা বীথি
খুব সুন্দর করে লিখলেন বাস্তব কথাগুলো। সুখ-দুঃখ দুটি বোন, সবসময় হাত ধরাধরি করে চলে। আমাদের জীবনে একবার সুখ আসে, পরক্ষণেই হয়তো দুঃখের সাগরে ভেসে যাই। আবারও সুখ ফিরে আসে কোনও না কোনওভাবে। স্থায়ী হয় না কোনও কিছুই।
ভালো থাকবেন সবসময়।
নীরা সাদীয়া
তবুও দুঃখের সময়টা অনেক দীর্ঘ মনে হয়।
শুভ কামনা রইলো।
মোঃ মজিবর রহমান
এটাই মনে হয় এই ধরার বাস্তব নিয়ম। বাস্তব চিত্র তুলে এনেছেন লিখায়।
নীরা সাদীয়া
ধন্যবাদ আপনাকে।
আলমগীর সরকার লিটন
অনেক শুভেচ্ছা রইল
নীরা সাদীয়া
ধন্যবাদ আপনাকে।
আরজু মুক্তা
কোনকিছু স্থায়ী নয়। ভালোর সাথেই সবসময় থাকবো। বিকৃত মানুষের সঙ্গ ত্যাগ করাই ভালো
নীরা সাদীয়া
হুম, তাদেরকে এড়িয়ে চলাই উত্তম।
খাদিজাতুল কুবরা
চাইলেই কি ভালো থাকা যায়?
যার বা যাদের ভালোবাসা সম্মান পাওয়ার জন্য হৃদয় ব্যাকুল তারা উদাসীন। আবার অপ্রত্যাশিত কিছু প্রাপ্তি জীবনে যোগ হ্য়। সৃষ্টিকর্তা মানুষকে কতোভাবে সন্তুষ্ট করেন। বান্দার দরজা বন্ধ হলে আল্লাহর দরজা খুলে যায়।
চরম বাস্তবতা নিয়ে খুব সুন্দর লিখেছেন আপু।
অনেক দিন আপনার লেখা পেলাম।
নীরা সাদীয়া
তাই হবে…
যার কেউ নেই, তার আল্লাহ থাকেন।
শুভ কামনা রইলো।
সুরাইয়া পারভীন
বাহ্ দারুণ লিখেছেন। তবে কথা হচ্ছে মানুষ তো আমরা তাই অন্যের করা অসন্মান, অবজ্ঞা ঘৃণা টিটকারী সহ্য করতে পারি না। যদিও জানি ওটা তার মানসিক সমস্যা আমাদের নয়। তবুও কিন্তু যন্ত্রণা পাই।
নীরা সাদীয়া
হুম, সাময়িক ভাবে এটা আমাদেরকে কষ্ট দেয়।
ভালো থাকবেন খুব।
উর্বশী
বাস্তবতার উপখ্যান । জীবনের এই খেলাঘরে কোনো কিছুই স্থায়ী হয়না। সুখ- দুঃখ,হাসি কান্না সব কিছুই নিয়মের বেড়াজাল। লেখাটি ভাল লেগেছে অনেক শুভ কামনা রইলো
নীরা সাদীয়া
ধন্যবাদ আপনাকে।