
নন্দিনীর শখ নান্দনিক ছবি কিনে দেয়ালে ঝুলিয়ে দেয়া। ছবিগুলোর সাথে আমার আত্মার কথোপকথন বেড়েছে। আজ যে ছবিটার সামনে দাঁড়িয়েছি, তা একটি বহুতল ভবনের স্কেচ। নিখুঁত হাতে আঁকা। ভবনটিকে ঘিরে পাতলা একটা সুক্ষ্ম নেট দেখতে পাচ্ছি। চোখ ছোট করে , মানে আধখোলা রেখে দেখি ; নেট না ঘুড়ির প্রতিচ্ছবি। অদ্ভুত একটা টান অনুভব করছি।
পলেস্তারার প্রথম দৃশ্যপটে দেখি, অবাক করা বিকেলের ছাদে উঠে ; যার রং বেরং এর ঘুড়ি ওড়া বিমোহিত করতো আমায় ! আজ ঘুড়িটি পথভুলে আমার হাতে এসে পরে। লেখা : ” মোবাইল নং, প্লিজ! ” ঝটপট লিখে দেই ঘড়ির সময়কে স্থির করে।
বিধাতা নিজের মতো করে জীবনযাপন করতে দেয়না! শব্দহীন কান্না বুকে জমাট বেধে শুধু ওজন বাড়ায়।
স্যার, গাড়ি কি একটু দূরে থামাবো?
সম্বিত ফিরে পেয়ে বলি, না গেটের সামনে।
আমাকে দেখে, সর্দারনী দ্রুত নেমে এলো। তাঁকে বললাম, ” বুদ্ধিমতী, স্মার্ট, সুন্দরি মেয়ে এক ঘণ্টার জন্য লাগবে।”
সময় গড়িয়ে যাচ্ছে দেখে, উর্বশী বললো, ” স্যার, কোন সমস্যা?”
মানিব্যাগ থেকে ছবি বের করে দেখালাম। কাল, মোবাইলে কল এসেছিলো। ও আশেপাশেই কোথাও আছে।
পরদিন ফোন পেয়ে ওখানে গেলাম।
উর্বশী বললো, “স্যার, ৩ নং বিল্ডিং, তৃতীয় তলা।”
একটা খাম বের করে ওকে দিলাম।
“স্যার, একজন পুরুষ মানুষ সব পারে! টাকাটা বড় নয়। দাওয়াত দিয়েন।”
চায়ের কাপে চামচের শব্দে ফিরে তাকিয়ে দেখি, ” আমার নন্দিনী!”
৩২টি মন্তব্য
রেজওয়ানা কবির
চায়ের কাপে চামচের শব্দে ফিরে তাকিয়ে দেখি, ” আমার নন্দিনী!”চমৎকার অনুভূতির প্রকাশ।
আরজু মুক্তা
শুভকামনা আপি।
আর অবশ্যই ধন্যবাদ পড়ার জন্য
ফয়জুল মহী
স্নিগ্ধোজ্জ্বল লেখনী
নন্দিত
আরজু মুক্তা
ধন্যবাদ ভাই
ছাইরাছ হেলাল
নন্দিনীর ঝুলিয়ে রাখা ছবি দেখতে দেখতে গল্পে আমাদের ও
তব্দা খাওয়ার অবস্থা, শেষের চমকটি অনবদ্য।
আরজু মুক্তা
তব্ধা হয়ে থাকেন।
ধন্যবাদ অনুপ্রেরণা দেয়ার জন্য
আলমগীর সরকার লিটন
চমৎকার এক অনুগল্প মুক্তা আপু অনেক শুভ কামনা
আরজু মুক্তা
ভাই ধন্যবাদ।
শুভকামনা সবসময়
রোকসানা খন্দকার রুকু
ভাবলাম অনেকক্ষন॥
সত্যিই পুরুষরা চাইলে অনেক কিছু পারে॥
শুভ কামনা॥ শুভ সকাল।
আরজু মুক্তা
ধন্যবাদ আপি।
মেসেজ কিন্তু ঐটাই।
ভালো থাকবেন
হালিম নজরুল
চমৎকার লেখা। নন্দিনীর জন্য শুভকামনা রইল।
আরজু মুক্তা
ধন্যবাদ ভাই। মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো
ইঞ্জা
ঘুড়ির মতোই জীবন নন্দিনীর কিন্তু রোমাঞ্চকরও, শেষের লাইনটি খুব টানলো আপু।
আরজু মুক্তা
ভাই, আপনি থিমটা ধরতে পেরেছেন।
ধন্যবাদ আপনাকে
ইঞ্জা
শুভকামনা আপু।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
“বিধাতা নিজের মতো করে জীবনযাপন করতে দেয়না! শব্দহীন কান্না বুকে জমাট বেধে শুধু ওজন বাড়ায়।” – কঠিন বাস্তবতা। নন্দিনীরা কি এভাবেই কারো হৃদয়ে গেঁথে থাকে! চমৎকার লিখেছেন। শুভ কামনা রইলো অহর্নিশি
আরজু মুক্তা
দিদি, একটা মেসেজ তো দিতে হয় গল্পে।
ঐটাই মেসেজ। কেউ কেউ এগিয়ে আসুক।
আপনাকে ধন্যবাদ।
বন্যা লিপি
গল্পের মধ্যভাগে ঢোকা হলো না এখন। আরেকবার পড়তে হবে।
আরজু মুক্তা
অপেক্ষায়।
সুরাইয়া পারভীন
হুম কেবল একজন পুরুষ ই পারে কাউকে পতিতালয়ে নিক্ষেপ করতে আবার সেই পুরুষই পারে সেখান থেকে তুলে নিয়ে গৃহের রাণী বা নন্দিনীর পরিচয় দিতে।
চমৎকার লিখেছেন আপু
আরজু মুক্তা
আপু আপনি থিমটা ধরতে পেরেছেন। চমৎকার মন্তব্যের জন্য থাকলো একরাশ শুভেচ্ছা।
সুপায়ন বড়ুয়া
“চায়ের কাপে চামচের শব্দে ফিরে তাকিয়ে দেখি, ” আমার নন্দিনী!” ডিডেকটিভ গল্প পড়ছি না তো ?
ভাল লাগলো। শুভ কামনা।
আরজু মুক্তা
আরে না। আর একটু মনোযোগ বাড়ান। থিমটা ধরতে পারেননি।
উর্বশী
ছবি কিন্তু দেখেই যাচ্ছি। যদিও চায়ের কাপে চামচের শব্দ দূর থেকে ভেসে আসছে তবুও দেখেই যাচ্ছি।নন্দিনী যাকে কিনা অন্তরে অন্তর্ভুক্ত করা যায়। আবার চাইলে এই চরিত্রকে বাইরে নিক্ষেপ করাও যায়। সময় বলে দেয় সব কিছু। সুন্দর গল্প।
আবার পড়লে আরও গভীরে যাওয়া যাবে। ভাল লাগলো।
আরজু মুক্তা
সুন্দর এবং হৃদয় ছোঁয়া মন্তব্যের জন্য থাকলো একরাশ ফুলেল শুভেচ্ছা।🌹🌹🌹🌹🌹
শামীম চৌধুরী
শুভ কামনা রইলো নন্দিনীর জন্য।
ভাল থাকুন আপু।
আরজু মুক্তা
ভাই, ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন সবসময়
খাদিজাতুল কুবরা
নন্দীনিদের এভাবেই ফিরিয়ে নিতে আসুক প্রিয় মুখ!
খসে পড়া পলেস্তারায় রঙের ছোঁয়া লাগুক।
আপু দুর্দান্ত এক গল্প লিখেছেন।
বদলে যাওয়ার গল্প পড়তে ভালোই লাগে।
আরজু মুক্তা
আপনাদের কমেন্ট আমাকে কলম চালাতে সাহায্য করে। অনুপ্রাণিত আমি। কৃতজ্ঞ আমি।
শুভকামনা আপনার জন্য।
খাদিজাতুল কুবরা
ভালোবাসা রইলো আপু।
তৌহিদ
গল্পের শেষে কিন্তু চমৎকৃতই হলাম। অতি অল্প কথায় জীবনের এপিঠ ওপিঠ দুটোই দেখালেন পাঠকদের। আপনার গল্প লেখার হাত সত্যিই খুবই চমৎকার।
ভালো থাকুন আপু।
আরজু মুক্তা
আপনাদের অনুপ্রেরণাই লেখার গতি পাল্টিয়ে দেয়।
শুভেচ্ছা অহর্নিশি। ভালো থাকবেন সবসময়