
১. জলাঞ্জলি-
চলো কাশবনে যাবো। যেই ভাবা সেই কাজ, চলো চলো এক্ষুনি! কোন পাঞ্জাবি, কোন শাড়ি-চুড়ি এসব বাচবিচার করতেই দিনের অর্ধেক বেলা শেষ। এইবার ভ্রমণ পালা। রিকশায় বসে মনটা খারাপ হয়ে গেলো।
রিকশাচালকের জরাজীর্ণ লুঙ্গি আর গেঞ্জি দেখে কাশের সৌন্দর্য অবলোকন প্রাপ্তির আনন্দকে নিমিষেই জলাঞ্জলি দিলাম আমি।
২. ছবি-
কাশবনের মাঝখানে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছি। ক্লিক! ক্লিক!
এই হচ্ছেনা, তুমি একটা গর্দভ। একটা ছবিও ভালো করে তুলতে পারোনা। দেখছো না, এই ছবিতে আমার চিক বোঝা যাচ্ছে! মুখটাও মোটা লাগছে? আবার তুলে দাও।
মনে পড়ে গেলো, নতুন কেনা ক্যানন ডিজিটাল ক্যামেরা দিয়ে যেদিন প্রথম আব্বার ছবি তুলেছিলাম তিনি বলেছিলেন- তোর ছবি তোলার হাত কিন্তু চমৎকার! না শিখিয়ে দিয়েই এত সুন্দর ছবি তুললি!
শুভ্রকাশ এই মুহূর্তে কদাকার হয়ে ধরা দিচ্ছে আমার চোখে।
৩. হাতছানি-
খালিপায়ে একাকী কাশবনে হাঁটার অন্যরকম একটা আনন্দ আছে। চড়ুই, মুনিয়ার কিচিরমিচির শব্দে চারপাশে সবুজ প্রকৃতি। মাথার উপর পেজো তুলোর মত কাশ আর মাঝখানে আমি! স্বর্গীয় অনুভূতি!
একটা কাশের ডগা আমার গাল ছুঁয়ে যেতেই চোখে ভাসে তোমার মায়াবী মুখ! কতদিন আমরা একসাথে কাশফুল দেখিনা! কাশের নরম আলতো স্পর্শে পুলকিত হই, তোমার কাছে যাবার সময় ঘনিয়ে এলো যে!
আকাশের ওপারে তুমি, সেও কি বড্ড দূর!
৩৯টি মন্তব্য
ইঞ্জা
কি যে বলেননা ভাই, কেন কু কথা বলেন, দোয়া করি যেন দীর্ঘজীবী হোন।
কাশফুলের মাঝে প্রেমিকা বলেন বা স্ত্রী, কাউকে নিয়ে যাওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়নি, কিন্ত আপনার লেখাটা পড়ে মন টানছে এইবার।
তৌহিদ
এসব কিচ্ছুনা, লিখতে গিয়ে কত কথাইতো মনে জাগে দাদা।
দোয়া রাখবেন। শুভকামনা রইলো।
ইঞ্জা
তা সত্য, জীবনের চলার পথেই পরতে পরতে অসংখ্য স্মৃতি এবং পূর্ণতা না পাওয়া স্বপ্ন গুলো মনকে ভাবিত করে।
বন্যা লিপি
নাহ্, অণুগল্পে সয়লাব হয়ে যাচ্ছে তো ব্লগ! আমি পিছিয়ে থাকবো কেন? এক্ক এত্ত রোমান্টিক গল্প পড়ে আমারো রুমান্টিক হইবার মুঞ্চাইতাছে😊😊😊
ভীষণ ভীষণ কাঁশবন কথন মনে ধরেছে।
তবে পৌষী ভাবির ঝারিটা সেই হয়েছে😆😆😆😆
তৌহিদ
সবার দেখাদেখি আমিও একটু ট্রাই মারলাম। আপনাদের ধারের কাছেও যেতে পারিনি নিশ্চিত।
শুভকামনা রইলো আপু।
ফয়জুল মহী
আকাশের ওপারে জোছনাময় চাঁদ। আর চাঁদের আলো কাঁশফুলে । মাঝখানে সাদা সরস।
তৌহিদ
ধন্যবাদ মহী ভাই।
রেজওয়ানা কবির
তিনটা অনুগল্পই অসাধারণ হয়েছে ভাইয়া।প্রথম গল্পের মত আমার ও আমার বরের কোন ড্রেস কিভাবে ম্যাচিং করবো এই নিয়ে সারাদিন কেটে যায়😋😋😋 । শুভকামনা।
তৌহিদ
আপনার ভালো লেগেছে জেনে উৎসাহ পেলাম আপু। শুভকামনা জানবেন।
খাদিজাতুল কুবরা
‘প্রথমটা পড়ে বুঝলাম নয়টার ট্রেন কয়টায় যাবে ‘
আমরা হলাম সেই জাতি, আমাদের সাজতে একটু সময় লাগবে সেটাই স্বাভাবিক।
দ্বিতীয়টা ও একদম ঠিক পয়েন্টে আছে, ছবি তোলা নিয়ে ঝাড়ি না দিলে সুযোগ্য বৌ হওয়া যায়না।
তৃতীয়টা পড়ে একটু মনটা খারাপ হয়ে গেছে। না ভাইয়া শতবছর আয়ু নিয়ে আমাদের মাঝে থাকুন। আকাশের ওপারের দূরত্ব মাপার দরকার নেই।
তৌহিদ
অন্তরিক্ষ ভাব বুঝতে পেরেছেন দেখে প্রীত হলাম আপু। আপনি হচ্ছেন লক্ষী পাঠক।
শুভকামনা রইলো।
খাদিজাতুল কুবরা
ভাইয়ের কাছে বোন সবসময় লক্ষী হয়।
রোকসানা খন্দকার রুকু
আপনি মোটেও ভালো না।কোথায় একটু রোমান্টিক মুড সাতসকালে উকিঝুকি দিল। শেষে এমন রিরহ।কেন কাশবনে আরএকটু প্রেম করলে কি হত?
এখন মন চাইছে মরা কান্না জুড়ে দিতে।দুরো ভাল্লাগে না।
অনেক বছর বেঁচে থাকুক ভালোবাসা। শুভ কামনা নিরন্তর।
তৌহিদ
চারপাশে শোকাবহ পরিবেশে রোমান্টিকতা পালিয়ে বেরোচ্ছে আপু। মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
শুভকামনা রইলো।
আলমগীর সরকার লিটন
পয়েন্ট কারে গল্প পড়লাম সুন্দর তৌহিত দা
তৌহিদ
ধন্যবাদ ভাই, ভালো থাকুন সবসময়।
সুপায়ন বড়ুয়া
কাশফুল কথনে ফুটে উঠল
রোমান্টিক কথোপকথন।
যাক না জলাণ্জলী ক্ষনিক রতন।
হাতপাকা ছবিতে ফুটে উঠুক যা
হাতছানি দিয়ে যায় স্মৃতি রোমন্তন।
সুন্দর হলো। শুভ কামনা।
তৌহিদ
ছড়াকারে মন্তব্যে আপনি পারদর্শী দাদা। আপনার মত করে মন্তব্য করা খুব কঠিন আমার কাছে।
শুভকামনা রইলো।
মোঃ মজিবর রহমান
হয়নি বেড়ানো কাশফুলের নরম কেশম বনে প্রেমিকা বা বউকে নিয়ে ঘোরা। আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ।
তৌহিদ
পড়েছেন দেখে ভালো লাগলো ভাই। শুভকামনা রইলো।
ছাইরাছ হেলাল
অণুগল্প ব্যাপারটি আমার কাছে কিছুটা ধোঁয়াশা, এর প্রকৃতিগুলো ঠিক ধরতে পারছি না এখন ও।
পড়ে যাচ্ছি নিয়মিত। দেখি কী হয়।
তৌহিদ
আমিও ট্রাই মারলাম কিন্তু হলো আর কই। আসলে অনুগল্প লেখা খুবই কঠিন তবে চেষ্টা চালু থাকবে। আপনিও আমাকে কিছু টিপস দিন ভাইজান।
শুভকামনা রইলো।
মোঃ মজিবর রহমান
গল্প সল্প আমার কর্ম নয়। দেখেন কুবি ভাই দেয়কিনা টিপস।
প্রদীপ চক্রবর্তী
শরৎ আসলেই কাশফুল জানান দেয় আগমনী গন্ধ।
আর আগমনী কাশফুলের গায়ে বেয়ে নামে কবি লেখকের অজস্র মনের ভাবরস।
গল্পে যেন স্বর্গীয় সুখ নেমে এসেছে।
ভালো লাগলো,দাদা।
তৌহিদ
ধন্যবাদ দাদা। মন্তব্যে প্রীত হলাম। শুভকামনা সবসময়।
আরজু মুক্তা
রোমান্টিক আর বিয়োগান্তক!
না বলা কথাগুলো অনেক বেশি বলালো।
ভালো লাগলো।
ভাইয়া, গর্দভ বানানটা একটু দেখুন তো?
শুভকামনা
তৌহিদ
পড়েছেন দেখে ভালো লাগলো আপু। বানান ঠিক করে দিয়েছি। অনেক ধন্যবাদ।
আরজু মুক্তা
শুভকামনা
শামীম চৌধুরী
আমিতো কাশবন ঘুরে বেড়াই মুনিয়ার জন্য। কাশবনে গেলেই মনটা আমার শরতের দোলা পায়।
তৌহিদ
কাশবন আমারও খুব পছন্দের জায়গা ভাইজান। আহা! কতদিন যাইনা!
ভালো থাকুন ভাই।
সুরাইয়া পারভীন
রিকশাচালকের জরাজীর্ণ পোশাক কাশ ফুলের সৌন্দর্য অবলোকনে বাঁধার সৃষ্টি করলো। তারপর প্রেয়সীর ছবি তুলতে গিয়ে পিতৃস্নেহের কথা মনে পড়ে গেল। রোমান্টিকতার চাইতে বিয়োগান্তক বিরহ প্রাধান্য পেয়েছি বেশি।
তৌহিদ
চারপাশে শোকের মাতম। এরকম অবস্থায় মনখারাপ হয়েই থাকছে আপু। দোয়া রাখবেন।
শুভকামনা রইলো।
সুরাইয়া পারভীন
তবুও ভালো থাকতে হবে
আপনিই তো শিখিয়েছেন ভাইয়া
ভালো থাকুন মনকে ভালো রাখুন
সব ঠিক হয়ে যাবে
সুপর্ণা ফাল্গুনী
বাঙালির সময়জ্ঞান এমনি দুপুর বললে বিকাল, বিকাল বললে সন্ধ্যা লাগিয়ে দিবে পোশাক পরিচ্ছদ নির্বাচন করতেই সপ্তাহ পার করে ও দিতে পারে এরচেয়ে বেশীও লাগে স্পেশাল প্রোগ্রাম গুলো তে।
ছবি তোলা ঠিকমত না হলে আমার ও মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। এতো কষ্ট করে প্রকৃতির কাছে যাই নিজের সুন্দর কিছু স্মৃতি ধরে রাখার জন্য সেখানে নিজেকে যদি ভালো না দেখায় তখন সব কষ্ট ই জলাঞ্জলি দিতে হয়।
শেষটা যেন হৃৎস্পন্দন বন্ধ করে দিলো।
অনুগল্প গুলো সুন্দর হয়েছে ভাইয়া। ভালো থাকবেন শুভ কামনা সতত
তৌহিদ
লেখা ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম আপু। শুভকামনা সবসময়।
হালিম নজরুল
একটা কাশের ডগা আমার গাল ছুঁয়ে যেতেই চোখে ভাসে তোমার মায়াবী মুখ! কতদিন আমরা একসাথে কাশফুল দেখিনা! কাশের নরম আলতো স্পর্শে পুলকিত হই, তোমার কাছে যাবার সময় ঘনিয়ে এলো যে!
————-চমৎকার
তৌহিদ
ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকুন।
সঞ্জয় মালাকার
দাদা শরৎ শুভেচ্ছা রইলো।
এই হচ্ছেনা, তুমি একটা গর্দভ। একটা ছবিও ভালো করে তুলতে পারোনা। দেখছো না, এই ছবিতে আমার চিক বোঝা যাচ্ছে! মুখটাও মোটা লাগছে? আবার তুলে দাও।
শুভ কামনা রইলো দাদা!
তৌহিদ
আপনাকেও অনেক শুভেচ্ছা রইলো দাদা। ভালো থাকুন।