
ভূরাজনীতিতে বাংলাদেশকে পাশে চায় ভারত, গত এক দশকে দুই দেশের সম্পর্ক বিশেষ পর্যায়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা সহযোগিতা বড় ভূমিকা রেখেছে, ট্রানজিট আর ট্রান্সশিপমেন্টের বিষয়গুলোতে বাংলাদেশ দ্রুত সাড়া দিয়েছে, এসবের মধ্য দিয়ে ভারতের দীর্ঘদিনের চাওয়া পূরণ হয়েছে কিন্তু বারবার প্রতিশ্রুতির পরও সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় মোটেও নামেনি, বরঞ্চ বেড়েছে।
প্রায় ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও তিস্তা চুক্তি সই হলো না, কবে অভিন্ন নদীর পানির চুক্তি হবে, সেটা এখনো অজানা বা আদোও হবে কিনা আমার সন্দেহ আছে, এছাড়া ফারাক্কা বাঁধ আমাদের কাছে বিষ ফোঁড়া সম হয়ে আছে, শুস্ক মৌসুমে এপার বাঙ্গলার মানুষ পানি পাইনা, আবার বর্ষা মৌসুমে তারা বাঁধ খুলে দিয়ে আমাদেরকে বন্যায় ভাসিয়ে দেয়।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ-ভারত-চীন সম্পর্ক আলোচিত হচ্ছে নানা মহলে, সেই আলোচনায় উঠে আসছে সম্পর্কের টানাপোড়েনের নানা প্রসঙ্গ।
ভারতের সাথে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তা শুধুই যেনো কাগজে কলমে কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ প্রতি মুহূর্তেই উপলব্ধি করে ভারতের দাদাগীরি।
এই গতমাসের কথা, ভারত বাংলাদেশকে দশটি রেল ইঞ্জিন দিয়েছে উপহার স্বরূপ কিন্তু আসল ঘটনা উল্টো, পুরাতন ইঞ্জিন যা তারা ব্যবহার করবেনা তাই আমাদেরকে রঙ করে উপহার দিয়েছে, যেনো জুতা মেরে পিন্ডি দান করেছে।
গত এক দশকে দুই দেশের সম্পর্ক বিশেষ পর্যায়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা সহযোগিতা বড় ভূমিকা রেখেছে, বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীকে নির্মূলে বাংলাদেশ দ্রুততার সঙ্গে ভারতকে সহযোগিতা করেছে, পাশাপাশি ট্রানজিট আর ট্রান্সশিপমেন্টের বিষয়গুলোতে বাংলাদেশ দ্রুত সাড়া দিয়েছে, এসবের মধ্য দিয়ে ভারতের দীর্ঘদিনের চাওয়া পূরণ হয়েছে অথচ বারবার প্রতিশ্রুতির পরও সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামেনি, প্রায় ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও তিস্তা চুক্তি সই হলো না, কবে অভিন্ন নদীর পানির চুক্তি হবে, সেটা এখনো অজানা।
স্থলসীমান্ত চুক্তির প্রটোকল সইয়ের পাঁচ বছর পরও মুহুরি নদীর সীমান্ত চূড়ান্ত করার বিষয়টি এখনো ঝুলে আছে, কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভারতে রাষ্ট্রীয় সফরে গেলে ফেনি নদী থেকে পানি দেওয়া শুরু করেন কিন্তু দ্বিপক্ষীয় ক্ষেত্রে এত সহযোগিতার পরও রোহিঙ্গা সংকটে ভারতকে পাশে না পাওয়া বাংলাদেশকে বেদনাহত করেছে, পাশাপাশি ভারতের জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে উদ্বেগ আছে।
পরিবর্তিত ভূরাজনীতি আর চীন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বৈশ্বিক রাজনীতিতে শক্তির ভারসাম্য পাশ্চাত্যের দেশগুলো থেকে ক্রমেই ঝুঁকছে এশিয়ার দিকে, এতে এশিয়ায় যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ তা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
কৌশলগত সম্পর্কের ক্ষেত্রে পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে প্রতিবেশী দেশের কাছ থেকে যে প্রতিক্রিয়া ভারত আশা করেছিল, সেটা পায়নি, বিশেষ করে চীনের সঙ্গে সংঘাতের সময় দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দেশের প্রতিক্রিয়া না পেয়ে ভারত চিন্তিত হয়ে উঠেছে, ফলে প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্কটা ঠিক আছে কি না, সেটা ভারতকে ভাবিয়ে তুলেছে,এ ছাড়া নেপালের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কটা ঠিকঠাক চলছে না, শ্রীলঙ্কার নির্বাচনের ফলাফলের পর উদ্বিগ্ন হয়ে আছে ভারত, বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সুসম্পর্কটা বজায় আছে, তবে বাংলাদেশের সঙ্গে বিভিন্ন স্তরে চীনের যোগাযোগ নিয়েও ভারত চিন্তিত, বাংলাদেশের বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামোতে যেভাবে চীন যুক্ত হচ্ছে, তাতে ভারতের উদ্বেগ লক্ষণীয়।
আমরা ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক চাই, কিন্ত একতরফাভাবে কিছু হবে না, আদান-প্রদান থাকতে হবে, ভারতের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না আর আমাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে, কাজেই এ নিয়ে ভারতের একটা উদ্বেগ থাকতেই পারে, ২০১৬ সাল থেকে আমাদের অনেক বড় প্রকল্পে চীন বিনিয়োগ করছে যা নিয়ে ভারতের অস্বস্তি আছে।
বৈশ্বিক রাজনীতিতে শক্তির ভারসাম্য পাশ্চাত্যের দেশগুলো থেকে ক্রমশ ঝুঁকছে এশিয়ার দিকে, বৈশ্বিক পটভূমিতে দ্রুত পরিবর্তনশীল ভূ-রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের নতুন দিক উন্মোচন করার উদ্দেশ্যে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা ঢাকায় এসেছিলেন, একজন বন্ধু হিসেবে তাঁরা ঢাকাকে পাশে চাইবেন, এটাই স্বাভাবিক।
দুই নিকট প্রতিবেশীর সম্পর্ক যখন এত বহুমাত্রিক এবং অন্য কোনো সম্পর্কের সঙ্গে তুলনীয় নয়, সেখানে জনগণের স্বার্থে স্বচ্ছতা বাঞ্ছনীয়।
দুই দেশের সম্পর্ক এখন এমন একটা স্তরে পৌঁছে গেছে, সেখানে সহযোগিতার নতুন নতুন ক্ষেত্র বাড়ছে, তাই সম্পর্কের স্বার্থেই স্বচ্ছ অবস্থান থাকলে ভালো হয়।
উন্নয়নের আকাঙ্ক্ষা আর ভারতের দায় কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার পরও বেশ কিছু বিষয়ে ভারত সরকারের প্রতি বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে, বাংলাদেশের উদ্বেগ দূর করার বিষয়ে ভারত তেমন সংবেদনশীল নয়, আবার বাংলাদেশ নিজের স্বার্থে অন্য কোনো দেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠলে তাতে ভারতের প্রতিক্রিয়াটা বিস্মিত করার মতো।
বাংলাদেশের সুবিধাটা হচ্ছে ভারত ও চীন দুই দেশের সঙ্গেই আমাদের সম্পর্কটা বেশ ভালো, এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আমাদেরকে সেতু হিসেবে রেখেছে।
ভারতের সঙ্গে গভীর সম্পর্কের নিরীখে রোহিঙ্গা সংকটে ভারতের কাছ থেকে যে ধরনের সহযোগিতা আশা করা হয়েছিলো সেটা পাওয়া যায়নি, সারা বিশ্ব যখন মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে গণহত্যার জন্য দোষারোপ করেছে, তখন মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে ভারতের গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠেছে, এতে বাংলাদেশ উদ্বিগ্ন।
বাংলাদেশ উন্নয়নের স্বার্থেই চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করেছে, এটা না করে বাংলাদেশের কোনো উপায় নেই, কাজেই বন্ধুদেশ হিসেবে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নিয়ে ভারতের অস্বস্তি বোধ করাটা উচিত নয়।
বাংলাদেশ এখন চীন থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল মেসিনারিজ থেকে শুরু করে গাড়ি, পিঁয়াজ সহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করছে যা বাংলাদেশের উন্নতিকে ত্বরান্বিত করছে, এতে বাংলাদেশ যদি উন্নতি লাভ করে ভারতের জন্য ভালো, ভারতের বাজার বড় হবে, ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য সুবিধা হবে, ঘনিষ্ঠ বন্ধু যদি স্বাচ্ছন্দ্যে থাকে, সচ্ছল থাকে, সেটা আপনার জন্য সব সময় সুবিধাজনক।
এছাড়া ভারতের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নাগরিক বাংলাদেশে কাজ করে, বাংলাদেশের অর্থনীতি আরও বড় হলে, উন্নত হলে, এমন সুযোগ ভারতের জন্য আরও বাড়বে।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত পৃথিবীর একমাত্র সীমান্ত এলাকা, যেখানে শান্তির সময়ে মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়, শত্রুদেশ নয়, যুদ্ধ চলছে না; অথচ গুলি করে মানুষ মারা হয়, এটা হতে পারে না, যে অজুহাতই ভারত দিক না কেন, শক্ত সিদ্ধান্ত যদি রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষের থাকে, তাহলে এটা হওয়ার কথা নয় কারণ বিশ্বের কোথাও এইভাবে সীমান্ত হত্যা হওয়ার রেকর্ড নেই।
ভারত জাতীয় নাগরিকপঞ্জি করছে করুক, কিন্তু তারা তাদের নাগরিককে আমাদের নাগরিক বলে আমাদের দেশে ছুড়ে ফেলবে তাতো বলতে পারেনা, তাদের এইসব ধমকি-ধামকির সমুচিত জবাব আমরাও দিতে পারি, সময় হলে এবং দরকার হলে আমরা দিতে প্রস্তুত আছি।
ভারতের উচিত বাংলাদেশকে উপরে উপরে বন্ধু না বলে ভিতরে ভিতরেও বুঝুক বাংলাদেশ তাদের অকৃত্রিম বন্ধু, তাদের এমন কিছু করা উচিত নয় যাতে বাংলাদেশ তথা বাংলাদেশের মানুষ তাদের শত্রু ভাবতে শুরু করে।
তাদের উচিত দ্রুত সীমান্ত হত্যা বন্ধ করা, দ্রুত তিস্তা চুক্তি সম্পাদন করা, সাথে সাথে ফারাক্কা বাঁধের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ন্যায্য হিসসা দেওয়া, সাথে সাথে সকল সীমান্ত হত্যা বন্ধ করা।
ভারতের বন্ধু হিসাবে আমরা যেভাবে তাদের অল্প খরচে ট্রানজিট ট্রান্সশীপমেন্টের সুযোগ দিয়েছি, ঠিক একই ভাবে তাদেরও উচিত আমাদের সাথে সহায়তার হাত বাড়ানো।
ভারতের যেসব মন্ত্রী এমপিরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কথা বলে, তাদের থামানো জরুরী।
ভারতল যে ভাবে তার পন্য পাঠানো বন্ধ করে দেয়, তা দ্রুত কন্ট্রোল করা উচিত, পিঁয়াজকে বাংলাদেশের জন্য অত্যাবশকীয় ঘোষণা করে সবসময় রপ্তানি চালু রাখা, যদি কখনো পারা না যায় তাহলে আগাম সর্তকতা দিয়ে তারপর বন্ধ করুক, তারা যদি তা না করেন তাহলে বাংলাদেশের উচিত ভারতের পিঁয়াজ আমদানি একদম বন্ধ করে অন্য দেশ থেকে আনা, একি ভাবে অন্যান্য পন্যেরও আমদানি অন্য দেশ থেকে আনার চিন্তা করা উচিত।
পরিশেষে বলতে চাই, ভারত তোমরা আমাদের বন্ধু হয়ে পিছনে ছুরি মেরোনা, যদি মারো তাহলে নিজেও ছুরির বদলে তলোয়ার খাওয়ার জন্য রেডি থাকো, কারণ বাংলাদেশ আর আগের সেই বাংলাদেশ নেই, বাংলাদেশের সাথে দাদাগীরি ছেড়ে দাও, মনে রেখো তোমরা আমাদের বড় ভাই নও।
আমাদের সোনেলার জনপ্রিয় ব্লগার তৌহিদ ইসলাম বলেছেনঃ
ঠিক কোন অজ্ঞাত কারনে ভারতের সাথে আমাদের পারস্পারিক ব্যবসায়ীক সম্পর্ক মন্দা যায় তা আমার ঠিক বোধগম্য নয়। তবে এটা ঠিক ভারত যেমন নিজেদের স্বার্থ দেখছে তেমনি বাংলাদেশেরও কি উচিত নয় নিজেদের স্বার্থ দেখা? ঠিক এই জায়গাতেই আমাদের ঘাটতি রয়েছে বলে মনে করি।
আমাদের উচিত স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করা। সামর্থ্য থাকা সত্বেও কিছু অসাধু লোকের জন্য এটি সরকারের পক্ষে সম্ভবপর হচ্ছেনা। যেমন- পেঁয়াজের কথাই ধরুন। এত কৃষি অফিসার এদেশে কেউইকি কখনো বলেছে এবারে কৃষক এই পদ্ধতিতে এতগুলো জমিতে পেঁয়াজ চাষাবাদ করলে আমরা এবছর পেঁয়াজের চাহিদা নিজেরাই মেটাতে পারবো? মনে হয় না!
অন্যদিকে সবাই তাকিয়ে থাকে কখন আমদানি করার সুযোগ আসবে। এতে কৃষক লসে পড়লেও পকেটে নদদ নারায়ণ ঢোকে। দেশ গোল্লায় যাক।
পুরো সিস্টেম ঘুনে ধরা পোকায় কাটছে। ভারত তাদের দেশের পেঁয়াজের চাহিদা মেটাতে রপ্তানি বন্ধ করেছে। তাদের দেশের জনু তারা ঠিকই করেছে। আমরা কি করেছি?
বলতে গেলে আরো অনেক কথাই আসবে। ইচ্ছে করেনা।
জনপ্রিয় সিনিয়র ব্লগার মনির হোসেন মমি বললেনঃ
ভারত শুধু স্বাধীনতা যুদ্ধ,ছিট মহল এবং সংকটে বঙ্গবন্ধু কন্যাদের আশ্রয় দেয়া ছাড়া আর কোন উল্লেখযোগ্য সহযোগীতা বাংলাদেশকে করেননি।ভারত স্বাধীনতা যুদ্ধে যতটা না সহযোগীতা করেছেন তার চেয়ে বেশী যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের পাকিদের ফেলে যাওয়া সামরিক সরঞ্চামাদী নিয়ে গেছেন।আর একটী দুঃখজন জনক কথা হল ভারত তাদের দলিল পত্রে ১৯৭১ এর যুদ্ধকে পাক-ভারত যুদ্ধই লিখে রেখেছেন কখনো ১৯৭১ বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধ হিসাবে লিখেননি যার প্রমান আমরা তাদের বানানো সিনেমা মিডিয়াও পেয়েছি।ফারাক্কা সীমান্ত সমস্যতো ঝুলেই আছে।সব চেয়ে দুঃখ লাগল ওরা এতোটা স্বার্থবাজ যে রোহিঙ্গা ইস্যুতে ওরা মিয়ানমার এর গান গাইল আমাদের অকৃত্রিম ভালবসাকে উপেক্ষা করে।
ভারতকে বন্ধু ভাবা আর নাই ভাবা ভারতের কিছু যায় আসে না কারন ওরা এখন একটি পরা শক্তি ওদেরকে কৌশলে পাশে রেখেই আমাদের চলতে হবে এর অলটারনেট কিছুই নেই।কারন আমাদের চারদিকই ভারত।
আরেক জনপ্রিয় ব্লগার সুপায়ন বড়ুয়া বললেনঃ
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার পরও বেশ কিছু বিষয়ে ভারত সরকারের প্রতি বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। সেটা আপনার লেখার মন্তব্য থেকে ও বুঝতে পারবেন। একি ভাবে ভারতের জনগনেরও মধ্যেও ক্ষোভ আছে। যেটা প্রতিবেশী হিসেবে হাজারো অভিযোগ আছে কারন বাংলাদেশ অনেক বিষয়ে তাদের থেকে এগিয়ে আছে। আর যারা বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যায় তারা কি বাংলাদেশকে ভাল বলে ? ভারতে যারা যায় তারা ?
আর পেঁয়াজ নিয়ে রাজনীতি করতে হবে কেন ? এই বন্যা মৌশুমে কোন সব্জিটা সস্তা আছে বলেন ? ৮০ টাকার নীচে কোন সব্জী পাওয়া যায় ? ৪০ টাকার আলু খেলে কত টাকার দেশী পেঁয়াজ খাবেন ?
তৌহিদ ভাইয়ের মতো বলি হয় চাষ করবো না হয় কম খাব আর পেঁয়াজ আমদানি টোটাল বন্ধ করবো।
সেদিক থেকে চায়না ভাল আছে সারা বিশ্বের সাথে বাংলাদেশের বাজার দখল করেছে। কারন আমাদের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে।
আন্তজাতিক রাজনীতি বড়ই জটিল ট্রাম্প সেটেলার দৌঁড়ানোর কথা বলে ক্ষমতা গেলেন ???
সমাপ্তঃ
ছবিঃ গুগল।
সূত্রঃ গুগল এবং দৈনিক অনলাইন পত্রিকা।
৪১টি মন্তব্য
তৌহিদ
ঠিক কোন অজ্ঞাত কারনে ভারতের সাথে আমাদের পারস্পারিক ব্যবসায়ীক সম্পর্ক মন্দা যায় তা আমার ঠিক বোধগম্য নয়। তবে এটা ঠিক ভারত যেমন নিজেদের স্বার্থ দেখছে তেমনি বাংলাদেশেরও কি উচিত নয় নিজেদের স্বার্থ দেখা? ঠিক এই জায়গাতেই আমাদের ঘাটতি রয়েছে বলে মনে করি।
আমাদের উচিত স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করা। সামর্থ্য থাকা সত্বেও কিছু অসাধু লোকের জন্য এটি সরকারের পক্ষে সম্ভবপর হচ্ছেনা। যেমন- পেঁয়াজের কথাই ধরুন। এত কৃষি অফিসার এদেশে কেউইকি কখনো বলেছে এবারে কৃষক এই পদ্ধতিতে এতগুলো জমিতে পেঁয়াজ চাষাবাদ করলে আমরা এবছর পেঁয়াজের চাহিদা নিজেরাই মেটাতে পারবো? মনে হয় না!
অন্যদিকে সবাই তাকিয়ে থাকে কখন আমদানি করার সুযোগ আসবে। এতে কৃষক লসে পড়লেও পকেটে নদদ নারায়ণ ঢোকে। দেশ গোল্লায় যাক।
পুরো সিস্টেম ঘুনে ধরা পোকায় কাটছে। ভারত তাদের দেশের পেঁয়াজের চাহিদা মেটাতে রপ্তানি বন্ধ করেছে। তাদের দেশের জনু তারা ঠিকই করেছে। আমরা কি করেছি?
বলতে গেলে আরো অনেক কথাই আসবে। ইচ্ছে করেনা। শুভকামনা রইলো দাদা।
ইঞ্জা
সত্যই বলেছেন ভাই, আমাদের উদ্যোগের ঘাটতি আছে প্রচুর, নিজেরা চাইলে ভারতের পিঁয়াজ আমরা এখানেই ফলাতে পারি, আমাদের দেশের জমি গুলোতে অন্যান্য ফসলের সাথে সাথে ভারতের পিঁয়াজ ফলাতে পারি কিন্তু তা না করে আমরা আমদানি করছি যা দুঃখজনক।
ভারতের কথায় আসি, ভারতের উচিত আমাদের সাথে বড় ভাই সুলভ আচরণ না করে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করা, তাহলেই সম্ভব নিজেদের সমস্যা আমরা যৌথ ভাবে সমাধান করতে পারবো।
যথাযথ মন্তব্যের জন্য অনিঃশেষ ধন্যবাদ ভাই ।
তৌহিদ
সঠিক বলেছেন ভাই।
ইঞ্জা
ধন্যবাদ ভাই
ইঞ্জা
তৌহিদ ভাই,
আপনার মন্তব্য আমার মূল লেখাতে নিলাম, দেখবেন প্লিজ।
মনির হোসেন মমি
ভারত শুধু স্বাধীনতা যুদ্ধ,ছিট মহল এবং সংকটে বঙ্গবন্ধু কন্যাদের আশ্রয় দেয়া ছাড়া আর কোন উল্লেখযোগ্য সহযোগীতা বাংলাদেশকে করেননি।ভারত স্বাধীনতা যুদ্ধে যতটা না সহযোগীতা করেছেন তার চেয়ে বেশী যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের পাকিদের ফেলে যাওয়া সামরিক সরঞ্চামাদী নিয়ে গেছেন।আর একটী দুঃখজন জনক কথা হল ভারত তাদের দলিল পত্রে ১৯৭১ এর যুদ্ধকে পাক-ভারত যুদ্ধই লিখে রেখেছেন কখনো ১৯৭১ বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধ হিসাবে লিখেননি যার প্রমান আমরা তাদের বানানো সিনেমা মিডিয়াও পেয়েছি।ফারাক্কা সীমান্ত সমস্যতো ঝুলেই আছে।সব চেয়ে দুঃখ লাগল ওরা এতোটা স্বার্থবাজ যে রোহিঙ্গা ইস্যুতে ওরা মিয়ানমার এর গান গাইল আমাদের অকৃত্রিম ভালবসাকে উপেক্ষা করে।
ভারতকে বন্ধু ভাবা আর নাই ভাবা ভারতের কিছু যায় আসে না কারন ওরা এখন একটি পরা শক্তি ওদেরকে কৌশলে পাশে রেখেই আমাদের চলতে হবে এর অলটারনেট কিছুই নেই।কারন আমাদের চারদিকই ভারত।
সময়পোযোগী লেখা।
ইঞ্জা
সত্যি কথা হলো ভারতের উচিত বড় ভাই সুলভ আচরণ করা থেকে বিরত হওয়া, নতুবা ভবিষ্যতে ওরাও আফসোস করবে যেমন নেপালের জন্য করছে।
আমাদের চারিদিকে ভারত রয়েছে তো কি হয়েছে, ওরা আমাদেরকে শুধু ওদের স্বার্থের জন্য ব্যবহার করবে তাতো ঠিক না, আমাদেরও সময় হয়েছে অলটারনেটিভ কিছু চিন্তা করার।
ধন্যবাদ ভাই, খুব ভালো মন্তব্য দিলেন।
মনির হোসেন মমি
হুম অবশ্যই মুক্ত স্বাধীনতায় বাচার মত বাচব।ধন্যবাদ।
ইঞ্জা
একদম ঠিক বলেছেন ভাই।
ইঞ্জা
মমি ভাই আপনার মন্তব্য মূল লেখাতে নিলাম, দেখবেন আরেকবার।
মনির হোসেন মমি
হুম দেখেছি।কৃতজ্ঞতা ভাইজান।
ইঞ্জা
আন্তরিক ধন্যবাদ ভাই
ছাইরাছ হেলাল
শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান পারস্পরিক সম্মানজনক সহাবস্থান বজায় রেখেই
এটি ই আমাদের একমাত্র কাম্য।
ইঞ্জা
অবশ্যই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান কামনা করি আমরা, কিন্তু তাই বলে কি আমরা তাদের অন্যায় আবদার বারবার মানবো কেন?
আমাদের উচিত এখন থেকেই তাদের উপর থেকে নির্ভরতা কমানো শুরু করা।
ধন্যবাদ ভাইজান।
হালিম নজরুল
“রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কটা গত এক দশকের বেশি সময় ধরে অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি ঘনিষ্ঠ, সম্পর্কটা একটা বিশেষ পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে, সম্পর্কের সোনালি অধ্যায় চলছে, দুই পক্ষই এমন দাবি হরহামেশা করে যাচ্ছে।”
————— একমত। তবে কাংখিত অপ্রাপ্তিগুলোর সুরাহা জরুরী বলে মনে করি।
ইঞ্জা
মুখে মুখে আত্মপ্রসাদ লাভ না করে কর্মেই তা দেখানো উচিত ভারতের, যেমন আমরা দেখাচ্ছি বারে বারে, কিন্তু দুঃখজনক ভাবে ভারতের এগিয়ে আসার কোনো লক্ষণ নেই, তাদের উচিত আমাদেরকে সাথে রাখার জন্য বড় ভাই সুলভ আচরণ বাধ দিয়ে বন্ধুত্ব সুলভ আচরণ করা।
সুন্দর এবং গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
সুপায়ন বড়ুয়া
সহমত পোষন করেই বলি।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার পরও বেশ কিছু বিষয়ে ভারত সরকারের প্রতি বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। সেটা আপনার লেখার মন্তব্য থেকে ও বুঝতে পারবেন। একি ভাবে ভারতের জনগনেরও মধ্যেও ক্ষোভ আছে। যেটা প্রতিবেশী হিসেবে হাজারো অভিযোগ আছে কারন বাংলাদেশ অনেক বিষয়ে তাদের থেকে এগিয়ে আছে। আর যারা বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যায় তারা কি বাংলাদেশকে ভাল বলে ? ভারতে যারা যায় তারা ?
আর পেঁয়াজ নিয়ে রাজনীতি করতে হবে কেন ? এই বন্যা মৌশুমে কোন সব্জিটা সস্তা আছে বলেন ? ৮০ টাকার নীচে কোন সব্জী পাওয়া যায় ? ৪০ টাকার আলু খেলে কত টাকার দেশী পেঁয়াজ খাবেন ?
তৌহিদ ভাইয়ের মতো বলি হয় চাষ করবো না হয় কম খাব আর পেঁয়াজ আমদানি টোটাল বন্ধ করবো।
সেদিক থেকে চায়না ভাল আছে সারা বিশ্বের সাথে বাংলাদেশের বাজার দখল করেছে। কারন আমাদের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে।
আন্তজাতিক রাজনীতি বড়ই জটিল ট্রাম্প সেটেলার দৌঁড়ানোর কথা বলে ক্ষমতা গেলেন ???
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
ইঞ্জা
খুবই ভালো বলেছেন দাদা, আমাদের উচিত নিজেদেরকে সয়ংসম্পূর্ণ করা, নাহলে ভারতের দাদাগীরি থামবে না, আমাদেরভুচিত আমদানি নির্ভতা কমিয়ে নিজেদের ফসল নিজেদেরই ফলানো।
আমি মানি বন্যার কারণে ভারতেও পিঁয়াজের সমস্যা হয়েছে, তাই বলে হুটহাট করে বন্ধ না করে আগে জানান দেওয়া উচিত।
গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
ইঞ্জা
দাদা, আপনার মন্তব্য মূল লেখাতে সংযুক্ত করলাম, দেখবেন একবার।
সুপায়ন বড়ুয়া
ধন্যবাদ। ঐ যে বললাম রাজনীতি। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রালয় এখন ক্ষমা চাচ্ছে।
মুক্তবাজার অর্থনীতিতে ভারতের পেঁয়াজ সস্তা এনেই আমাদের অপচয় কারী বানিয়ে আমাদের পেঁয়াজ চাষীদের বারটা বাজাচ্ছে।
না হলে আমাদের পেঁয়াজ ২০ লক্ষ টন দিয়ে আমরাই চলতে পারি একটু সংযমী হলে।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
ইঞ্জা
সম্পূর্ণ একমত দাদা, ঠিকই বলেছেন।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আমিও তৌহিদ ভাইয়ের সাথে পুরোপুরি সহমত। এর বাইরে আমার ও কিছু বলার নেই। বন্ধুত্ব কখনো একতরফা হয়না, টিকে না। আশা করি আমাদের সরকার বিষয়গুলো ভেবে সঠিক সিদ্ধান্ত নিবে যাতে করে বারবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য
ইঞ্জা
সম্পূর্ণ একমত আপু, আমাদের সরকারের উচিত আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনা, নিজের ফসল নিজেকেই উৎপাদন করা, তাহলেই সম্ভব ভারতের দাদাগীরি বন্ধ করা।
গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য সাধুবাদ জানাই আপু।
শুভকামনা জানবেন।
আলমগীর সরকার লিটন
খুব সুন্দর কথাগুলো বলেছেন ইঞ্জা তবে ভারত স্বার্থছাড়া এক পা চলে না স্বার্থের কোন সমস্যা হলেই সমস্যা করে এটা কোন সম্পর্ক হলো।
ইঞ্জা
এই জন্যই বলি এইভাবে সহাবস্থান সম্ভব নয়, ভারতের উচিত দাদাগীরি বন্ধ করে বন্ধু সুলভ আচরণ করা।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
শামীম চৌধুরী
ভাই সবই রাজনীতির কূটকৌশল। যে রাষ্ট্র কূটনীতিতে যত বেশী পারদর্শী সে তত ফায়দা লুটে নেয়। আর যে দেশের সঙ্গে কূটনীতির কৌশল প্রয়োগ হয় সে দেশ যদি অনুন্নত হয় ঘোড়ার পিঠে সওয়ার হবার মতন।
আমাদের অবস্থা ঘোড়া।
ভালই রাজনীতি বিশ্লেষন করেছেন।
ইঞ্জা
সত্যিই বলেছেন ভাই, ভারত আমাদেরকে ঘোড়াই বানিয়েছে, এখন আমাদের সময় হয়েছে ঘোড়া থেকে ভারতকে ফেলা, দাদাগীরি বন্ধ করিয়ে নিজেদেরকে খাদ্য সয়ং সম্পূর্ণ করা, সাথে বাংলাদেশকে উচিত ভারতকে দেওয়া সুবিধাদি কমিয়ে এনে নিজের স্বার্থ উদ্ধার করা।
গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
আরজু মুক্তা
ভারত বড় দেশ হিসেবে যেভাবে ফায়দা লুটছে, তাতে ব্যক্তি হিসেবে আমার মোটেও ভালো লাগে না। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে অনেক কিছুর জন্য আমরা তাদের উপর নির্ভরশীল। এতে তো তারাই লাভবান হয়।
আরও উদার মনোভাব প্রয়োজন
ইঞ্জা
দুঃখজনক হলেও সত্য বলেছেন আপু।
ধন্যবাদ অবিরাম আপু।
আরজু মুক্তা
আপনাকেও ধন্যবাদ
ইঞ্জা
শুভকামনা আপু
রোকসানা খন্দকার রুকু
তাদের উচিত দ্রুত সীমান্ত হত্যা বন্ধ করা, তাদের উচিত দ্রুত তিস্তা চুক্তি সম্পাদন করা, সাথে সাথে ফারাক্কা বাঁধের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ন্যায্য হিসসা দেওয়া।****
বড় বড় দেশগুলোর মত ভারত পররাষ্ট্র নীতি ভালো বোঝে।আমাদের সাথে মুখে মুখে মিলছে আর আমরা আশায় দিনগুনছি।আদতে তাঁরা কিছুই করবেনা তাই তাঁদের সঙ্গ ছাড়াই ভালো।
শুভ কামনা ভাই।
ইঞ্জা
সম্পূর্ণ একমত, ওদের উচিত আমাদের সমস্যা গুলো মিটিয়ে দেওয়া, দাদাগীরি ছেড়ে বন্ধুত্ব সুলভ আচরণ প্রত্যাশা করি।
গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ অবিরত।
মোঃ মজিবর রহমান
নিজ দেশের কুরাজনীতির প্রটেক্ট দিতে হচ্ছে সরকারকে আবার ভারত ক্ষমতায় থাকতে ভারতকে তেল মালিশ করতেও হচ্ছে যা সরকার ভারতের সাথে দেনদরবার করতে কাজুমাজু করছে।
আবার আওয়ামিলিগ বিরোধী দেশ পাকিস্তান, আমেরিকা, চীন সৌদিসহ এদের আদর করতে করতে সরকারকে অনেক কাজ করতে হচ্ছে।
সরকার আছে মহাবিপদে। না পারছে ভারতকে ছাড়তে না পারবে চীনকে ছাড়তে।
করোনা ভ্যাক্সিন কান্ড। চীন ও একপায়ে খাড়া ভারত একপায়ে খাড়া। চীন ভ্যাক্সিনে অগ্রাধিকার দিল বিধায় দ্রত ভারত সচিব এসে মুভমেন্ট ঠিক করতে এলো। এর বদলে বাংলাদেশকে হাতে রাখতে পচা নষ্ট ট্রেন ইঞ্জিন দিল।
ভুরাজনৈতিক দিক থেকে ভারতকে সরকার ছাড়তে পারবেনা ক্ষমতায় থাকার জন্য।
আবার দেশের বিশাল প্রজেক্ট চীনের হাতে।
চীন এর দালাল পাকিস্তান আর তাদের দোষর বি এন পি। সো বুঝতেই পারছেন সরকার মানকা চিপায় আছে।
সুন্দর লিখা ভাইজান।
ইঞ্জা
চমৎকার বলেছেন ভাই, সম্পূর্ণ একমত ভাই।
Jasim uddin
সীমান্ত হত্যা নিয়ে পুরো বাংলাদেশে অর্ধেকের বেশি মানুষ এখন ভারত বিরোধী। সীমান্ত হত্যা নিয়ে একটি প্রশ্ন মনে জাগে চোরাকারবারি কি শুধু বাংলাদেশেরই ভারতের কোন চোরাকারবারি নাই তাহলে এক দেশের লোক কেন মারা হচ্ছে। প্রয়োজনে বিজিবি র গুলি খেয়ে বাংলাদেশের চোরাকারবারি নিহত হবে কিন্তু একক ভাবে এক পক্ষ কে কেন ভারতের বিএসএফ হত্যা করছে। এমনকি বাংলাদেশের সীমানায় ঢুকে নিরীহ শিশুকে হত্যা করছে।
ইঞ্জা
সত্যি বিষয়টি দুঃখজনক এবং আতংক জনক, আপনি যা বললেন তা অবশ্যই আমাদের সরকারের উচিত বিষয়টি নিয়ে ভাবার এবং শুধু প্রতিবাদ নয়, এখন থেকে একশনে যাওয়া উচিত।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নজরে আনার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে।
তৌহিদ
আমার মন্তব্য আপনার লেখায় যোগ করেছেন দেখে সম্মানিতবোধ করছি দাদা। শুভকামনা জানবেন।
ইঞ্জা
ভালোবাসা জানবেন ভাই, আমি কারেকশনটা করে দিয়েছি।
তৌহিদ
ধন্যবাদ দাদা।
ইঞ্জা
😍😘