
লেখালিখি করা আমার শখ। আমার কাছে মনের ক্ষুধা মেটানোর অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে লেখার মাধ্যমে পাঠকদের সাথে আনন্দ-বেদনাগুলি ভাগাভাগি করা। কিন্তু হুটহাটতো আর যেখানেসেখানে লেখা যায় না। লেখার পরিবেশ, পাঠক সংখ্যা, নিজের আত্মসম্মান এসবই যেখানে রক্ষা পাবে সেখানেই একজন লেখক বিচরণ করবে এটাই স্বাভাবিক।
এ কথা অনস্বীকার্য, লেখার জন্য উপযুক্ত প্লাটফরমটি সোনেলাই আমাকে দিয়েছে। সেই কৃতজ্ঞতাবোধ থেকেই সোনেলার জন্মমাসে পাঠকদের সাথে নিজের অনুভূতি শেয়ার করা উচিত বলে আমি মনে করি।
যারা লিখতে ভালোবাসেন তাদের কাছে লেখালিখি জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমি পেশাগত লেখক নই, শখের বশে লিখি আর নিজের মনের খোরাকের জন্য লিখি। নিজের অবসর সময়কে লেখালেখি করে কাজে লাগাই। ব্লগিং নিয়ে নানাবিধ জড়তা ও ভয়ভীতি কাটিয়ে বুকে সাহস বেঁধে “হৃৎপিণ্ড” লেখাটির মাধ্যমে সোনেলায় প্রথম পোষ্ট দিয়ে আমার পথচলা শুরু হয়েছিল তা অদ্যাবধি চলমান। এর সব কৃতিত্ব সোনেলায় আমার সকল পাঠকদের।
ব্লগে প্রথম এসে সোনেলার অন্যান্য সিনিয়র ব্লগার জিসান শা ইকরাম ভাই, ছাইরাছ হেলাল ভাই, ইঞ্জা ভাই, মনির হোসেন মমি ভাই, শুন্য শুন্যালয় আপু, রীতু আপু, নীলাঞ্জনা নীলা আপু, আগুন রঙের শিমুল ভাই, মজিবর ভাই, রিমি রুম্মান আপু সহ অনেক সিনিয়র ব্লগারদের আন্তরিকতা আমাকে মুগ্ধ করেছিলো এবং নিজের সকল জড়তা দূর হয়ে গিয়েছিলো তাদের উষ্ণ আতিথেয়তায়। তারা সবাই আমাকে লেখা এবং ব্লগিং সম্পর্কে আন্তরিকভাবে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।
আমার সমসাময়িক ব্লগারগণ যারা বর্তমানে সোনেলায় লিখছেন তারাও আমাকে উৎসাহ যুগিয়ে চলছেন একান্ত আপন হিসেবে। আমার প্রতিটি লেখায় আলোচনামূলক মন্তব্য দিয়ে আমার লেখার আগ্রহ বৃদ্ধি করছেন প্রতিনিয়ত। আপনাদের সবার প্রতি আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।
সোনেলার প্রতিটি লেখক এবং পাঠকগণ আমার কাছে হীরকখণ্ডের চেয়ে কোনও অংশেই কম নয়। আমার দেখা সবচেয়ে সুন্দর এই হীরকখণ্ডদের প্রজ্জ্বলতাকে ম্লান হতে দেখতে চাইনা। হয়তো একসময় আশ্চর্য হবো এটা ভেবে- একদিন আমিও দেখেছিলাম এই সবকিছু। তাইতো সোনেলায় সবার আবেগ, ভালোবাসা, পাওয়া না পাওয়ার বেদনা, আনন্দ অশ্রু, হারিয়ে যাওয়াগুলোকে ধারণ করে চলেছি নিজের মনে।
একজন নতুন লেখককে অবশ্যই অনুপ্রেরণা দিতে হবে। কেউ জন্ম থেকেই লেখার শিক্ষা নিয়ে আসেনি। আপনি, আমি যখন লেখালিখি শুরু করেছি আমাদেরও একই অবস্থা ছিল। আমরা লিখতে লিখতে শিখছি। তাই অহেতুক অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য না করে নতুন লেখকদের উৎসাহ দিন, তাদের বুঝিয়ে বলুন। ব্লগকে মানিয়ে নিতে সহযোগীতা করুন। আপনার মন্তব্যে লেখক যাতে নিত্যনতুন লেখার ক্ষেত্রে আগ্রহবোধ করে সেদিকে অবশ্যই সুদৃষ্টি রাখুন।
সোনেলা ব্লগ এগিয়ে চলুক তার আপন গতিতে। সোনেলার জন্মমাসে সোনেলায় বিচরণকারী সকল ব্লগার, পাঠক এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের সর্বদা পাশে থেকে আমাদের উৎসাহ দেবার জন্য মন থেকে প্রাণঢালা অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা জানাই।
(চলবে…)
সোনেলার জন্মোৎসব ২০২০ (আমার অনুভূতি – ১ম পর্ব)
৩৮টি মন্তব্য
আলমগীর সরকার লিটন
চমৎকার অনুভূতি অনেক ভাল লাগল তৌহিদ দা
অনেক শুভকামনা রইল
তৌহিদ
আপনাকেও শুভেচ্ছা ভাই। শুভকামনা জানবেন।
ছাইরাছ হেলাল
সব কিছুর ই একটি শুরু থাকে, ক্রমে তা রূপ লাভ করে এগিয়ে যায় যে যার মত।
এটিই হয়ত অলিখিত নিয়ম। প্রকৃতির নিয়মে।
তৌহিদ
সোনেলার এগিয়ে যাওয়া এবং আমাকে আপনাদের পাশে থাকার সুযোগ দেয়া এসবই আপনাদের সকলের আন্তরিকতার জন্যই সম্ভব হয়েছে ভাইজান। কৃতজ্ঞতা অশেষ।
শুভকামনা রইলো।
ইঞ্জা
বেশ ঘুচিয়ে লিখছেন দেখে ভালো লাগলো ভাই, আপনার চাওয়াটিরও বেশ তাৎপর্য আছে, সত্যিকার অর্থে গঠনমূলক মন্তব্যই পারে ব্লগারদের প্রেরণা দিতে সামনে এগিয়ে যাওয়ার, আমি আপনি যলহন এসেছিলাম তখন মন্তব্যের স্বর্ণ যুগ চলছিলো, সেইসব মন্তব্য আমাদের অনেক পথ দেখিয়েছে, এখন যেন মন্তব্যের আকাল চলছে।
তৌহিদ
ব্লগে ফেসবুকীয় পোস্ট, মন্তব্য মোটেই কাম্য নয়। এতে ব্লগের শিষ্টতা নষ্ট হয়।
নতুনদের আগমনকে যেমন স্বাগত জানাতে হবে তেমনি গঠনমূলক মন্তব্য করে লেখককে উৎসাহ দিতে হবে যা আমাদের অনেকেই করিনা।
ভালো থাকুন দাদা। শুভকামনা রইলো।
ইঞ্জা
অতি সত্য বলেছেন ভাই
সুপায়ন বড়ুয়া
ঠিক বলেছেন ভাইজান নতুন লেখককে উৎসাহ দিতে হয়। জোট বেঁধে অপমান করা কারও কাম্য নয়।
আবার কোন লেখায় কারও নাম উৎল্লেখ করতে চাইলে ও বিপদ হয়।
এই যে যাদের নাম উৎল্লেখ করে আপনার লেখায় মন্তব্য করে বলেছেন তাও ১০০% ভাগ সঠিক নয়।
এই যে আমি আপনার প্রতিটি লেখায় মন্তব্য করি
সেটাও গেলেন ভুলে। নাকি মন থেকে মুছে ফেলার ছলে ? কিন্তু আমি যে ভুলবো না ভাইজান। হা হা হা।
শুভ কামনা।
তৌহিদ
হা হা হা! আপনার সেন্স অফ হিউমার যথেষ্ট প্রাঞ্জল। চমৎকৃত হলাম কিন্তু। ধন্যবাদ দিলাম। কেন তা লেখাটি আরো একবার পড়লেই বুঝবেন।
যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা প্রত্যেকেই আমার সিনিয়র ব্লগার। যদিও অনেককে আপনি পাননি দাদা।
সমসাময়িক ব্লগার হিসেবে অন্যান্য ব্লগারদের পাশাপাশি আপনিও আমার প্রত্যেকটি লেখায় গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থেকেছেন, থাকবেন এটাই আশা করি।
শুভকামনা রইলো।
সুপায়ন বড়ুয়া
আনন্দ করলাম ভাইজান মজা ও পাইলাম
সম্পাদনা না করলেও চলতো। ব্লগে ঢুকলে আপনার লেখা পড়বো ও মন্তব্য করবো সবার আগে।
আমার স্বপ্ন লেখায় নাম দিতে গিয়ে (কপি করলাম আপনার লেখা থেকে) প্রদীপ দা আর আপনি বোধ হয় বাদ পড়লেন পরে কায়দা করে প্রধানমন্ত্রীর পরিচয় পর্বে আপনাকে আনলাম। কিন্তু প্রদীপদাকে আনা হয়নি। সেটা ক্ষমা ছেয়ে মন্তব্য করার পরও প্রদীপদা আমার লেখায় মন্তব্য করেনি।
এজন্য বললাম নাম দিতে গেলে বিপদ।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
তৌহিদ
নাম দিতে গেলে বিপদের কিছুই নেই দাদা। সবার নাম একসাথে মাথায় আসেনা অনেকসময়। আবার কৃতজ্ঞতার অংশ হিসেবেও নাম আসতেই পারে।
ভালো থাকুন দাদা।
শামীম চৌধুরী
দারুন অনুভূতি ফুঁটিয়ে তুললে এই পর্বে। পরের পর্বগুলি পড়ে কয়েক পাতার মন্তব্য করবো এক সঙ্গে।
শুভ কামনা।
চলুক লেখা এগিয়ে।
তৌহিদ
অবশ্যই ভাইজান। আপনার সুন্দর মন্তব্যে সর্বদা অনুপ্রেরিত হই। পাশে থাকুন ভাইজান।
শুভকামনা জানবেন।
তৌহিদ
মন্তব্যে সেই সময় কি যে ভালোলাগা ছিলো। একটি গঠনমূলক মন্তব্যের ব্যঞ্জনার সুর কানে বাজে লহরীর মত। এখনো অনেকের মন্তব্যে সেই ভালোলাগার ছোঁয়া খুঁজে পাই মাঝেমধ্যে।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অবশ্যই নতুনদের উৎসাহ দিতে হবে, মতামত গুলো খুব সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলতে হবে সেখান থেকেই হবে একজন পরিপূর্ণ লেখক যদি সে সেই শিক্ষাটা নিতে পারে, নিজেকে সংশোধন করতে পারে। আর যদি সে আত্ন অহমিকায় নিজেকে আগেই বড় কিছু ভেবে বসে তখন কারো কোন মন্তব্য ই তার কাজে লাগবে না। আপনার পথ চলা আরো সুন্দর ও মহিমান্বিত হোক সোনেলার উঠোনে এই কামনা রইলো। ভালো থাকবেন সবসময়
তৌহিদ
সুন্দর বললেন আপু। সহব্লগারদের আন্তরিকতা এবং উৎসাহই ব্লগে বিচরণ দীর্ঘ করতে সাহায্য করে।
একজন ভালো লেখকের আত্মঅহমিকা প্রকাশ পায়না। বিনয়ী হতেও সবাই পারেনা। সোনেলার আপনার বিচরণ দীর্ঘতর হোক এটাই প্রার্থণা।
ভালো থাকুন আপু।
আরজু মুক্তা
উৎসাহ সবারি লাগে। না হলে লিখবে কেমনে?
সবাই সোনেলাকে ভালোবাসি। সোনেলার জন্যই সবাই সবার লেখাকে উৎসাহ দিবো।
আর আপনার জন্য শুভকামনা
তৌহিদ
অবশ্যই আপু। একে অপরের লেখায় গঠনমূলক মন্তব্যের মাধ্যমে আমরা নিজেদের আন্তরিকতা বৃদ্ধি করতে পারি।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
প্রদীপ চক্রবর্তী
আমার কাছে আপনার প্রতিটি কথা সার, প্রতিটি কথা মর্ম।
সত্যিই বলেছেন,দাদা মনের ক্ষুধা মেটানোর অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে লেখার মাধ্যমে পাঠকদের সাথে আনন্দ-বেদনাগুলি ভাগাভাগি করা। কিন্তু হুটহাটতো আর যেখানেসেখানে লেখা যায় না। লেখার পরিবেশ, পাঠক সংখ্যা, নিজের আত্মসম্মান এসবই যেখানে রক্ষা পাবে সেখানেই একজন লেখক বিচরণ করবে এটাই স্বাভাবিক।
এসবকিছু না থাকলে একজন লেখক তাঁর ভাবনাগুলো তুলে ধরতে পারবেনা।
আমরা সখের বশে লেখি।
নিজের সৃজনশীলতা বৃদ্ধির জন্য।
আপনার প্রতিটি কথায় অনুপ্রেরণা যোগাবে বলে আমি মনে করি।
আর হ্যাঁ সোনেলার
তৌহিদ
অবশ্যই দাদা, চমৎকার মন্তব্যে অনেক ভালোলাগা রইলো। আমরা নিজেরা নিজেদের এবং অন্যান্য লেখকের লেখায় সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে আন্তরিকতার সম্পর্ক তৈরি করে নিতে পারি।
এরফলে ব্লগে বিচরণ করতে ভালোলাগবে এবং লিখায় উৎসাহ পাব আমরা।
ভালো থাকুন দাদা।
প্রদীপ চক্রবর্তী
আমার কাছে আপনার প্রতিটি কথা সার,
প্রতিটি কথা মর্ম।
সত্যিই বলেছেন,দাদা মনের ক্ষুধা মেটানোর অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে লেখার মাধ্যমে পাঠকদের সাথে আনন্দ-বেদনাগুলি ভাগাভাগি করা। কিন্তু হুটহাটতো আর যেখানেসেখানে লেখা যায় না। লেখার পরিবেশ, পাঠক সংখ্যা, নিজের আত্মসম্মান এসবই যেখানে রক্ষা পাবে সেখানেই একজন লেখক বিচরণ করবে এটাই স্বাভাবিক।
এসবকিছু না থাকলে একজন লেখক তাঁর ভাবনাগুলো তুলে ধরতে পারবেনা।
আমরা সখের বশে লেখি।
নিজের সৃজনশীলতা বৃদ্ধির জন্য।
আপনার প্রতিটি কথায় অনুপ্রেরণা যোগাবে বলে আমি মনে করি।
আর হ্যাঁ সোনেলার মতো প্লাটফর্ম খুঁজে পাওয়া কঠিন।
সোনেলার জন্য সর্বদা শুভকামনা।
ভালো থাকুন দাদা।
শুভ ব্লগিং।
তৌহিদ
অন্যান্য ব্লগের তুলনায় সোনেলা অনেক পরিচ্ছন্ন একটি ব্লগ তা এতদিনে আপনিও অনুভব করেছেন নিশ্চিত। এটা সম্ভব হয়েছে আমাদের লেখক, পাঠক সকলের আন্তরিকতার ফলেই।
সোনেলাকে ভালোবাসি,পছন্দ করি একারনেই।
শুভকামনা সবসময়।
খাদিজাতুল কুবরা
তৌহিদ ভাইয়া আপনার সোনেলার প্রতি ভালোবাসার বর্ণনা পড়ে সত্যি খুব ভালো লাগলো। তাই তো এতো সুন্দর লিখেন। সবচেয়ে বড় গুণ আপনার আপনি সবার লেখাই পড়েন। ভালো লেখক অবশ্যই ভালো পাঠক।
আপনার লেখা পড়ি কেননা পড়ে আনন্দ পাই। অনেক শিক্ষনীয় বিষয় থাকে।
নতুন লেখককে তীর্যক সমালোচনায় পর্যুদস্ত না করে সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে দিলে হয়তো সেও ভালো লেখা শিখবে।
আপনার এই বক্তব্যটির সাথে আমি শতভাগ একমত।
তৌহিদ
আমি সুন্দর লিখি! কি যে বলেন আপু। আপনিও অনেক চমৎকার লেখেন। আর লিখতে উৎসাহ পাই আপনাদের অনুপ্রেরণায়। আমার সকল লেখাউ আপনি মন্তব্যে উৎসাহ দেন এটাই লেখক হিসেবে আমার বড় পাওয়া।
সোনেলায় আমরা প্রত্যেকেই সহব্লগারদের সম্মান করি বিধায় ব্লগে বিচরণ করতে ভালোলাগে। আপনিও এর ব্যতিক্রম নন।
শুভকামনা জানবেন আপু।
বন্যা লিপি
পড়লাম, বুঝলাম, জানলাম…….উৎসাহ না পেলে লেখক সত্তার মরন ঘটে চির সত্য।
সোনেলায় সবাই সবার সাথেই আছে /থাকবে। শুভ কামনা।
তৌহিদ
পড়েছেন দেখে ভালো লাগলো। লেখক হিসেবে পাঠকের উৎসাহমূলক মন্তব্যে অবশ্যই প্রেরণা পাই সবসময়। সোনেলায় আপনার বিচরণ আমাদের কাছে সবসময়ই আনন্দের।
শুভকামনা রইলো।
কামাল উদ্দিন
“লেখার পরিবেশ, পাঠক সংখ্যা, নিজের আত্মসম্মান এসবই যেখানে রক্ষা পাবে সেখানেই একজন লেখক বিচরণ করবে এটাই স্বাভাবিক।”
……..আত্ম সম্মানের ব্যপারে আমি বলবো মডারেটররা যেনো আরো বেশী মনোযোগী ও যত্নশীল হন।
তৌহিদ
অবশ্যই ভাই, আমার মনে হয় এতদিনে আপনিও উপলব্ধি করতে পেরেছেন যে সোনেলার মোডারেটরগন এক্ষেত্রে এতটুকুও ছাড় দেননা।
সোনেলা ব্লগের এবং ফেসবুক গ্রুপের একজন সদস্যের যে কোন নেতিবাচক কর্মকান্ডের কারনে দশজন সদসের যদি আত্মসম্মানে আঘাত লাগে তাহলে সেই একজনকে প্রতিহত করাই উত্তম এবং মডারেটরগন তা করেও আসছেন।। এর অনেক নিদর্শন সোনেলায় আছে। যে কারনে সোনেলা তার আপন গতিতে সর্বদা চলমান।
ভালো থাকুন সবসময়।
সুরাইয়া পারভীন
একদম সঠিক বলেছেন ভাইয়া। উৎসাহ না পেলে অনেক ভালো মানের লেখক ঝরে যায় অকালেই। সবসময় হয়তো সবার পোস্ট পড়া হয়ে উঠে না তবে যেটুকু পড়ি চেষ্টা করি উৎসাহমূলুক মন্তব্য করতে।
তৌহিদ
সুন্দর বললেন আপু। আর এ কারনেই আমাদের সকলেরই একে অপরের লেখায় গঠনমূলক মন্তব্যে উৎসাহ দিতে হবে।
শুভকামনা রইলো আপু।
সাবিনা ইয়াসমিন
লেখক পাঠকের যোগসুত্র আসলেই গুরুত্বপূর্ণ। কেউ যখন তার লেখা ব্যক্তিগত ডায়েরীতে লিখে রাখেন, সেটা তার নিজস্ব থাকে। কিন্তু লেখক যখন তা সবার সামনে প্রকাশিত করেন, সেটা পাঠকের জন্যেই রাখেন। পাঠকের সুগঠিত মতামত একজন লেখককে অনুপ্রেরণা দেয়ার পাশাপাশি তার লেখনীকে পরিপূর্ণ করে তোলে।
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
শুভ কামনা 🌹🌹
তৌহিদ
চমৎকার বললেন আপু। লেখকের প্রকাশিত লেখায় যখন পাঠক গঠনমূলক মন্তব্য করেন সেটি লেখক এবং পাঠক উভয়ের জন্যই উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণারর বিষয় হয়ে ওঠে।
সুন্দর মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ আপু। শুভকামনা রইলো।
জিসান শা ইকরাম
প্রথম লেখার প্রকাশ অত্যন্ত আনন্দের এবং টেনশনেরও হয়। পাঠকরা কেমন ভাবে নিবেন লেখাটি, নতুন পরিবেশে নিজেকে কিভাবে গ্রহন করবেন পুরাতনরা? এসব নিয়ে চিন্তা থাকেই। প্রথম লেখার অনুভুতি আসলে লিখে প্রকাশ করা যায় না।
ব্লগে সহ ব্লগারদের আচরন অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন।
সহ-ব্লগারদের উৎসাহ একজন নতুন আগত ব্লগারের আত্মবিশ্বাস জাগ্রত করতে মূল ভূমিকা রাখে।
আপনি প্রথম এসে অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ন একটি পরিবেশ পেয়েছিলেন বলেই তুমুল আগ্রহে ব্লগিং চালিয়ে যাচ্ছেন। অবশ্য বর্তমানে যারা ব্লগিং করছেন, তারাও সহ-ব্লগারদের প্রতি পূর্বের ব্লগারদের চেয়েও আন্তরিক বলে আমি মনে করি।
লেখক পাঠকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একজন লেখক তৃপ্তি নিয়ে, উৎসাহ নিয়ে লিখতে পারেন।
লেখকের লেখাটি পাঠক মনযোগ দিয়ে পড়বেন এবং আন্তরিক ভাবে লেখা সম্পর্কে মতামত ব্যাক্ত করবেন মন্তব্যের মাধ্যেমে। পরবর্তীতে লেখক আবার আন্তরিক ভাবে পাঠকের মন্তব্যের জবাব দেবেন। এভাবেই তৈরী হয় লেখক এবং পাঠকের বন্ধন। যে বন্ধনই একজন লেখককে আত্মবিশ্বাসী করে, এবং পাঠকও তৃপ্তি পায়।
সোনেলা ব্লগ একটি উঠোন, এই উঠোনে সবাই যেন আনন্দ নিয়ে বিচরণ করতে পারে- এমন পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য ব্লগটিমের প্রতি অনুরোধ করছি। আমাদের সকলের প্রত্যাশা অনুযায়ী সোনেলার আগামী পথচলা আরো সুন্দর হোক।
শুভ কামনা, শুভ ব্লগিং।
তৌহিদ
আপনার গঠনমূলক মন্তব্য সর্বদাই আমাদের উৎসাহ দেয়। লিখতে অনুপ্রেরণা জাগায়। ব্লগে একজন লেখকের বিচরণ কিন্তু সহব্লগারদের সহযোগীতার মাধ্যমেই সহজ করা সম্ভব। সোনেলায় প্রথম এসে আমি যে আন্তরিকতা পেয়েছি তা আমাকে এখনো লিখতে সাহায্য করে এবং বর্তমানে যারা আছেন সকলেই একে অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল। তাইতো সোনেলার প্রতি ভালোবাসা, আবেগ মোটেও কমেনি বরং বাড়ছে।
ব্লগ কর্তৃপক্ষের কাছে এজন্য কৃতজ্ঞ, তারা আমাদের এতসুন্দর একটি প্লাটফরম দিয়েছে। গঠনমূলক মন্তব্যে আমাদের উৎসাহিত করছে। আমিও চাই ব্লগের এমন পরিবেশ সর্বদা বহাল রাখার জন্য ব্লগটিম সর্বদা কাজ করে যাবে। তাদের পাশেই থাকবো নিশ্চিত।
মন্তব্যে অনেক ভালোলাগা ভাইজান। শুভকামনা সবসময়।
জিসান শা ইকরাম
ব্লগারদের নিজেদের মধ্যে এত আন্তরিকতা অন্য কোন ব্লগে নেই।
তাইতো বারবার ছুটে আসি প্রিয় সোনেলায়।
সোনেলাতে এসে সবার অন্তরের স্পর্শ পেয়ে নিজেকে সজীব রাখি।
আপনার জন্যও শুভ কামনা রাশি রাশি।
শবনম মোস্তারী
সোনেলায় আমাদের সকল পাঠক এবং লেখক একই মেলবন্ধনে একসাথে পথ চলুক এটাই প্রার্থণা। জয় হোক সোনেলার। সোনেলার জন্মমাসে সকলকে শুভেচ্ছা।
তৌহিদ
ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার মন্তব্যে অনুপ্রেরিত হলাম প্রিয়। শুভকামনা সবসময়ম
তৌহিদ
সবসময়।