আকাশটা আজ কার–
আমি অনন্তর দৃষ্টি বিছিয়ে রেখে যাবো তোমার কঠিন দেয়ালের পলেস্তারায়!নির্বাক ঠোঁটের ফোঁকর গলে যেদিন হাসতে চাইবে! সেদিনও সেখানে আমার রেখে যাওয়া কষ্টগুলো গিলতে দেখবো ;
বাতাসের গায়ে তুলো ভাসার মতো ভাসিয়ে দিও দেয়া কথাদের অঙ্গিকার ।এখন আমি বারান্দার রকিং চেয়ারের কোলে বসে আকাশ দেখি।
সঞ্চয়িতার পৃষ্ঠা ওল্টাই
আর লাবন্যের হাত ধরে ধরে হেঁটে চলি অজানা গহীন বন্দরের নোঙড় দেখতে। অমিতও চলে গেছে না বলে কিছুই।
তোমারও আর ফেরার খবর পাইনি কোনো।
শুন্য করে রেখেছি আঁচলে ঢাকা কোল: একদিন আকাশ দেখবে বলে স্বপ্ন দেখার কথা শুনিয়েছিলে;
আকাশটা আজ কার হয়েছে ?
জল নুপূর-
নির্জ্বলা জলের নিস্তরঙ্গ ঢেউয়ের অপরপৃষ্ঠে থেকে গিয়েছিলাম, জলনুপূরের মতো; এঁটেলমাটির আলিঙ্গনে সরলের মত জলজাত বৃক্ষ ভালবাসায় আঁকড়ে রেখেছিলো !
ধারেকাছেই কোথাও ঘুঘুদের বাসায় সদ্যজাত ছানারা রাতদিন কান্নার গান শোনায়। শোনায় ক্ষুধার্ত অভাবের রোজনামচা।
নির্বোধ বোঝাপড়ায় দূরত্বের নোটিশবোর্ড ঝুলে থাকে জল-স্থলের ঘাসের জমীনে।
মাঝে মাঝে উঁকি দেই মন জানালায়: ধুলো আর মাকড়সার ঝুলের বাসা বাঁধা কতগুলো ডায়রী ; পরিত্যাক্ত অক্ষর নির্জিবতায় দম নিচ্ছে।
পরিত্যাক্ত! পেছনের অতীত থেকে উদ্ধার করতে চেয়েছি বারংবার শব্দের ফুসফুস;
ততবার বাঁধা পড়েছে জল নুপূরের বাঁধনীতে।
৩৬টি মন্তব্য
নাসির সারওয়ার
আচ্ছা, কষ্ট খেতে ক্যামন, মানে গিলতে অসুবিধা নাইতো!
আমি কবি তবে কবিতা আমার মাথায় ভর করেনা। কারন, তারা এলেই আমার মাথা হ্যং খায়।
বন্যা লিপি
আপনার মন্তব্য তাহলে ছাপাখানা থেকে ডেলিভার্ড হলো? কি কান্ড বলুন তো! আপনি বিপদে ফেলে দিলেন, ডেলিভার্ড মন্তব্যে। কবিদের ডরাই আমি জম্মের মতো। ওইযে হ্যাং ট্যাং এর ডর আরকি!
সাবিনা ইয়াসমিন
আকাশটা যে দেখতে পাচ্ছে তারই হয়েছে।
কেউ আকাশ দেখে সুখ পায়, কেউ আকাশে থেকে কষ্টের মেঘ উড়িয়ে দেয়। তাতে আকাশটার কি আসে-যায়!!
বন্যা লিপি
ঠিক, আকাশের কিচ্ছু আসে যায় না, মেঘ শুধু আসে বারে বারে আকাশের বুকে।
ভালবাসা❤❤❤
সাবিনা ইয়াসমিন
জল নুপূরের কাব্য খানা একটু বুঝিয়ে দাও প্লিজ। আমার মাথা পুরোই ফাঁকা হয়ে আছে। শব্দের নিগুঢ় অর্থ বোঝার সাধ্যি নেই 🙁
বন্যা লিপি
এইযে তুমি বললে, “আমার মাথা পুরোই ফাঁকা হয়ে আছে। শব্দের নিগুঢ় অর্থ বোঝার সাধ্যি নেই 🙁”
সারমর্ম এটাই…..
সাবিনা ইয়াসমিন
ওহহো এটাই বলেছো!! দেখো দেখি কারবার, তুমি না বললে এইটাও বুঝতাম না 😭😭
বন্যা লিপি
সাবিনা@ বাকি যে শব্দগুলো পড়েছ, সেগুলোকে প্রতিকী ধরে নাও চারপাশের ঘটনাবলী।
প্রদীপ চক্রবর্তী
পরিত্যাক্ত! পেছনের অতীত থেকে উদ্ধার করতে চেয়েছি বারংবার শব্দের ফুসফুস;
ততবার বাঁধা পড়েছে জল নুপূরের বাঁধনীতে।
নিচের এ দুলাইন প্রশংসনীয় বলা যায় দিদি।
ভালো লাগার মতো।
বন্যা লিপি
তাহলে বাকিকথাগুলো পরিত্যাক্ত হয়ে রইলো। পড়েছো বলে ধন্যবাদ
ছাইরাছ হেলাল
ফেলে যাওয়া ফেলে দেওয়া ফেলে রাখা আকাশের ঠিকানা
সবার হয় না, সবাই পায় ও না। স্বপ্নের ঠিকঠাক আকাশ খুঁজে নেয় ,
আমাদের না জানিয়ে।
বন্যা লিপি
এই মন্তব্যের জবাবে রিপ্লাই কি দেবো খুঁজে পাচ্ছি না। মাথা যানজটে আক্রান্ত।
শামীম চৌধুরী
লেখাটি পড়ে কোথায় যেন হারিয়ে গেলাম। হঠাৎ খুঁজে পেলাম জলনুপুর। আমিও সেই জলনূপুরে বাঁধা পড়তে চাই।
আর পেছনের অতীত? থাক না সেটা অতীত হয়ে। বর্তমানে আপনার লেখাটাই পড়ি। খুব ভাল লাগলো বন্যা আপু। শুভ কামনা রইলো।
বন্যা লিপি
এই সব্বোনাস! জল নূপুরে বাঁধা পড়তে চান পাখি ভাই। তাইলে পাখির ছবি তুলবো কেডা? লেখা পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
মনস্তাত্ত্বিক বিষয়, চারপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন । ক্ষুধার রোজনামচা, দূরত্বের নোটিশ বোর্ড,কথার বরখেলাপ, একাকীত্বের মূর্ছনা দারুন ভাবে এসেছে আপনার লেখনীতে। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা অবিরাম
বন্যা লিপি
লেখা সার্থক আমার। ভালো থাকুন, নিরাপদে থাকুন। শুভ কামনা শুভেচ্ছা।
আলমগীর সরকার লিটন
কাব্যপাঠে বেশ অনুপ্রেরণা পেলাম কবি আপু
অনেক শুভেচ্ছা রইল————–
বন্যা লিপি
আপনার মন্তব্যে আমিও প্রেরণা পেলাম লিটন ভাই। ভালো থাকবেন। শুভ কামনা।
রেজওয়ানা কবির
শুরুটাও যেমন সুন্দর শেষটাও ঠিক তেমনি সুন্দর। শুভকামনা আপু।
বন্যা লিপি
মন্তব্যে অনুপ্রানিত হলাম আপু। শুভ কামনা নিরন্তর।
রোকসানা খন্দকার রুকু।
শুধু বলতে চাই পড়েছি;আর কিছুনা।।।
শুভ কামনা।
বন্যা লিপি
আঃ— এইটা কি মন্তব্য হলো? আচ্ছা, কষ্ট করে পড়েছেন বলে আন্তরিক ধন্যবাদ।
শুভ কামনা।
রোকসানা খন্দকার রুকু।
আসলেই কষ্ট করে পড়েছি।
আপনার লেখনি বরাবর ভাষা খুঁজে পাচ্ছিলাম না।
অনেক ভালো লেখায় মন্তব্য করা সত্যি দুঃসহ।
ভালো থাকবেন।
শুভ কামনা।
সুপায়ন বড়ুয়া
আকাশ নিয়ে কাব্য লেখা জল নুপুরের খেলা।
চারপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো চমৎকারভাবে
তুলে এনেছেন
ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন
শুভকামনা আপু।
বন্যা লিপি
আন্তরিক শুভেচ্ছাসহ ধন্যবাদ দাদা। শুভ কামনা।
তৌহিদ
প্রথমটির জন্য-
আসলে আকাশ দেখার চোখ সবার থাকলেও কতজনেই বা আকাশকে নিজের করে নিতে পেরেছে। বেদনাবিধুর হাহাকারের কাব্যগুলি একই রকম। অমিতের মত কেউ কেউ চলে যায় আর ফিরে আসার মিথ্যে প্রবঞ্চিনায় দিন পার করি আমরা। আসলে সবই স্বার্থপর কুহক মায়া।
দ্বিতীয়টির জন্য-
জীবনটা আসলে বহমান ঢেউয়ের মতই সচল। ঢেউয়ের সাথে তাল মিলিয়ে যারা এগিয়ে চলে প্রাপ্তি নিয়ে তারাই জীবনে তৃপ্তি পায়।
অন্যদিকে মায়ার বাঁধন কাটাতে না পেরে যারা ঢেউয়ের পিছনেই থেকে যায় জীবনের যাঁতাকলে নিজেকে পিষতে দেখা ছাড়া তাদের আর কিছুই করার থাকেনা।
হয়তো অতীতের কথা মনে পড়ে তবু অতীতের সুখস্মৃতি মনে করে বর্তমানকে মেনে নেয়া ছাড়া আর কিইবা করার আছে বলুন।
তবু সুখে থাকুন সবসময় এটাই কাম্য। শুভকামনা রইলো।
তৌহিদ
কার ঘরে যে কি মন্তব্য যাচ্ছে!! আল্লাহ মালুম।
বন্যা লিপি
কি জবাব দেবো বলুন তো আপনার এমন বিশ্লেষনিক মন্তব্যে? শুধু বলবো আন্তরিক কৃতজ্ঞ রইলাম। অনেক শুভেচ্ছা।*
এই মন্তব্য আপনার জন্য ছিলো @তৌহিদ ভাউ। নেট একছের ডিগবাজী খাওয়ার ফলে এই অবস্থা। হুদ্কামে পোষ্টের মন্তব্য সংখ্যা বৃদ্ধি পেলো😡😡
তৌহিদ
মন্তব্য বৃদ্ধি পাওয়া ভালো জিনিস। পেট তরতাজা থাকে ☺
খাদিজাতুল কুবরা
“পরিত্যাক্ত! পেছনের অতীত থেকে উদ্ধার করতে চেয়েছি বারংবার শব্দের ফুসফুস;”
কোন লাইন রেখে কোন লাইন উল্লেখ করবো সবগুলো লাইন অসাধারণ লিখেছেন আপু।
শব্দের কারুকাজ খচিত লেখায় জীবনের জটিল সমীকরণ!
এতো কাঠিন্যতা জীবনের অভিজ্ঞতা ছাড়াতো কিছু নয়।
লেখনশৈলী মনোমুগ্ধকর।
শরতের শুভেচ্ছা নেবেন প্রিয় আপু।
বন্যা লিপি
কি জবাব দেবো বলুন তো আপনার এমন বিশ্লেষনিক মন্তব্যে? শুধু বলবো আন্তরিক কৃতজ্ঞ রইলাম। অনেক শুভেচ্ছা।
বন্যা লিপি
কার ঘরের মন্তব্য কার ঘরে চলে এলো? নেট সমস্যার কারনে।
বন্যা লিপি
শরতের শুভেচ্ছা আপনাকেও।জীবন থেকেই নেয়া হয় আমার সবরকম লেখার উপাদান। আমরা সবাই তো তাইই করি নাকি আপু? শুধু যোগ করি কিছু শব্দের চাতুরি। আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
খাদিজাতুল কুবরা
হ্যাঁ আপু আমি ও জীবনের নানান অভিজ্ঞতা থেকেই লেখার উপাদান খুঁজে পাই।
আরজু মুক্তা
করোনা ভালোই কল্পনা করতে শিখিয়েছে।
আকাশের ওপারে আকাশ। সুরন্জনা, সব কিছু কি ঘাসের মতো সবুজ হয়ে আসে।
বন্যা লিপি
সুরঞ্জনা আমার মাইয়ার নাম ফু’আম্মা। মেয়েটা একদমই পছন্দ করেনা কবিতা টবিতা। সবাই বলে আমার রাগ বেশি, আমার মেয়ে আমার চেয়ে চার ডিগ্রী বেশি। খালি করোনাকালের দোষ? কি যে বলেন!!