
নিশিকে বলেছিলাম আজ আসবো। কিন্তু গত তিন চারদিনের কাঠফাটা রোদে বেরোতে ইচ্ছে করছেনা। সে প্রতিদিন দুপুরে একবার করে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করছে আজ আসছো তো? আমি বরাবরেই বলি হ্যা হ্যা, ঠিক বিকেলেই চলে আসবো কিন্তু ঐ বলা পর্যন্তই। যাওয়া আর হচ্ছেনা আমার।
নিশি যখন ছোট্টটি ছিলো তখন থেকেই তার শিশুসুলভ অঙ্গভঙ্গি দিয়ে আমাকে হাসানোর অন্তহীন প্রচেষ্টা চালু রেখেছে। কিছু বললেই ফিক করে হেসে ওঠে আর তার হাসিতে যে কেউ হাসতে বাধ্য। যেন আমাকে হাসানো তার একমাত্র কাজ। এ পৃথিবীতে তার জন্মই হয়েছে আমার মন ভালো রাখার জন্য।
অনেকগুলি কারনেই আসলে আমি নিশিদের বাসায় যাওয়া কমিয়ে দিয়েছি। তার বাসায় একবার ঢুকলে এক দুপুর সময় না পেরোলে বের হওয়াই মুশকিল। প্রত্যেক সদস্য আমার সাথে যতক্ষণ আলাদাভাবে কথা শেষ করবেনা ততক্ষণ নিস্তার নেই। সে আমার যতই কাজ থাকুক কেউ কোন অজুহাত শুনতে নারাজ।
এড়িয়ে যাবার এই ব্যাপারটা কি করে যেন নিশি বুঝতে পেরেছে। আমি তাঁকে এড়িয়ে চলছি ঠিক তা নয় তবে মন সায় দিচ্ছেনা। নিশির মা’র চোখমুখের ভাষা ইদানীং আমার কাছে বড্ড রহস্যময় মনে হচ্ছে। কিসের যেন আহ্বান! নিশির দাদী আমাকে কি যেন বলতে চান। তাঁর ধারণা সে সংসারের ছায়া হিসেবে আমাকেই দেখতে চায় সবাই। হয়তো এই ব্যাপারটা তার গলায় এসে আঁটকে আছে, কিন্তু মুখ ফুটে বলতে পারছেননা।
ক্লাস থ্রীতে আমাদের নতুন স্কুলের প্রথমদিন যে ছেলেটি আমাকে চুইংগাম দিয়ে মেয়েদের চুলে জট লাগিয়ে জব্দ করা শিখিয়েছিলো সে রবিন, নিশির বাবা। এটা আশির দশকের কথা অথচ স্কুল জীবনে রবিনের সাথে আমার দুষ্টুমিমাখা সেসব স্মৃতি এখনো চোখে ঝলমল করে। রবিনের পরিবারের সবাই আমাকে তাদের একজন অঘোষিত সদস্য করে নিতে দ্বিধা করেনি। নিশি আমার পাশে যতক্ষণ থাকবে রবিনের এসব দুষ্টুমির কথা শোনাই তার একমাত্র উদ্দেশ্য হয়ে উঠলো।
আমি নিশির ফুফু সারিকাকে মনে মনে পছন্দ করতাম। কলেজ জীবনে যেদিন সারিকার চোখে কিশোরী উদ্দীপনা দেখেছিলাম তখন থেকেই। সারিকা বুঝতে পারতো কিন্তু আমার সাথে যখন যেখানে চোখাচোখি হতো আমি দৃষ্টি সংবরন করে নিতাম। বড্ড লাজুক স্বভাব আমার! এটা সারিকাকে আনন্দ দিত। তাদের বাসায় দুষ্টুমিষ্টি মজা করতে একটুও পিছপা হতোনা সে।
সারিকা আমার মনখাঁচা ছেড়ে উড়াল দিলো অন্য খাঁচায়। বিদায়ের দিন বরের গাড়িতে ওঠার আগে আমার দিকে ছলছল চোখে নির্বাক তাঁকিয়ে ছিলো। হয়তো আমাকে বলেছিলো গর্দভ! ভালোবাসার কথা বলে দিতে হয় সেটাতো বুঝিনি। সারিকা অন্য ঘরে চলে যাবে এ ভাবনা আমার মাথাতেই আসেনি।
সারিকার বিয়ের পরে আমি দেবদাস হয়ে ফেরারি আসামীর মত দিগ্বিদিক ঘুরে আবার থিতু হয়েছি সে রবিনেরই প্রচেষ্টার ফসল। ভাইয়ের মত দেখতো আমাকে। রবিনের বিয়েতেও কত মজা করেছি আমি। অথচ বিয়ের একবছরের মাথায় সবাইকে অকুলপাথারে রেখে সে চলে গেলো। স্পষ্ট মনে আছে জীবনের কাছে হেরে যাওয়া রবিনের সেদিনটাও ছিলো ভাদ্রের খাঁ খাঁ তপ্ত দুপুরবেলার সময়।
রবিনের বউকে আমি তার নাম ধরেই ডাকতাম। রবিনকে চিরনিদ্র্য শায়িত করে তাদের বাসায় আসতেই রবিনের মা আমাকে জড়িয়ে ধরে ছিলেন এক দুপুর। সেই একদুপুর এখনো আমার পিছু ছাড়েনি। তপ্ত দুপুরবেলার ঘামে ভেজা চিটচিটে আঁঠালো জামার মত গায়ে সেপ্টে আছে। স্মৃতিময় কাঠফাটা রোদ্দুর!
রবিনের মৃত্যুর কিছুদিন পরে নিশির জন্ম হয়। জন্মের পর থেকেই সে আমাকে আব্বু বলে ডাকতো। কিন্তু একটু বড় হয়ে যখন রবিনের কথা জেনেছে তখন থেকে আর আব্বু বলেনা। তবে অন্য কিছু বলেও সম্বোধন করেনা। আমাকে শুধু তুমি বলে ডাকে। তুমি আসছো তো! তুমি যাবেতো! আমার ঐটা লাগবে, বাসায় পৌঁছে দিতে পারবেতো! এসবই তার সম্বোধনের বাহার! এদের মায়ার টানে আমি জীবনে থিতু হতে পারিনি। দূরে কোথাও বেশিদিন থাকতে পারিনা বলে ভালো চাকুরীও আমার কপালে জুটলোনা।
ইদানিং আমার খুব অভিমান হচ্ছে নিশির প্রতি। তার মা, দাদী, ফুফু সবার প্রতি। সবচেয়ে বেশী রবিনের প্রতি। রবিন তুই চলে গিয়েছিস আর আমাকে ছয় বছর ধরে একলা রেখে গিয়েছিস কাঠফাটা চৌচির এক মাঠের মাঝখানে। তুই ইচ্ছে করেই এমনটা করেছিস না রে? ছোটবেলায় করা খেলার মতন! প্রতিবার হেরে গিয়ে তুই আমাকে বড্ড জ্বালাতিস।
নিশি আবারো কল দিচ্ছে আমি ধরছিনা। আসলে কথা বলতে ইচ্ছে করছেনা। এই প্রখর রৌদ্রদুপুরে রিংটোনের শব্দে বুকের ভিতরটা খাঁ খাঁ করে ওঠছে আমার। রবিনের দুষ্টুমির কথা শোনার জন্য অন্যপ্রান্তে নিশি অনবরত কল দিয়েই চলেছে।
৩৫টি মন্তব্য
রেজওয়ানা কবির
ভালো লাগল।
তৌহিদ
ধন্যবাদ আপু, শুভকামনা রইলো।
ইঞ্জা
মন ছুঁয়ে যাওয়া গল্পটি মনের কোণে যেন ঘর বেঁধে গেলো, পিতৃহারা নিশি যে এখনো রবিনকে বাবা মেনে চলেছে যেন, ওর প্রতি যে টান তা এক কন্যা সন্তানেরই থাকে,,আহ!
তৌহিদ
আসলে মায়া জিনিসটি অনেক সময় ক্ষতিকর দাদা। নানাবিধ বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। নিশি রবিনের সম্পর্কটাও তাই। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ দাদা।
শুভকামনা রইলো।
ইঞ্জা
হাঁ অনেক সময় ক্ষতিকর বই কি।
ভালো থাকবেন ভাই।
তৌহিদ
আপনিও ভালো থাকুন দাদা।
নিতাই বাবু
নিশির জন্য মায়া হচ্ছে খুব। সামনে থাকলে ওঁদের বাসায় গিয়ে একটু আদর করে আসতে পারতাম। কিন্তু তা তো আর সম্ভব হচ্ছে না। তাই দূর থেকে নিশির জন্য আদর, ভালোবাসা-সহ সবসময় সুস্থ থাকার প্রার্থনা করি। মহান সৃষ্টিকর্তা সবার মঙ্গল করুক!
তৌহিদ
ধন্যবাদ ভাই। আসলে আমাদের মানবিক গুণাবলী দিনকে দিন লোপ পাচ্ছে।আপনি ব্যতিক্রম। আপনার ভাবনাকে সম্মান করি।
শুভকামনা সবসময়।
জিসান শা ইকরাম
মায়া খুব সাঘাতিক জিনিস। কে কখন কিভাবে মায়ায় জড়ায় ঠিক নেই। রবিনের কারনেই হয়ত নিশিদের উপেক্ষা করা যাবে না, তা যতই এড়িয়ে যাবে চেস্টা করা হোকনা কেন।
গল্পে মনের দ্বন্দকে সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন।
শুভ কামনা।
তৌহিদ
মায়ার জন্য জীবনে অনেক বিড়ম্বনায় পড়তে হয় কিন্তু। নিশি রবিনের জীবনের গল্পটিও তাই। তবু এই মায়ার কারনেই ভালোবাসা আজও বেঁচে আছে আমাদের অন্তরে। অসুস্থতা নিয়েও মন্তব্য করেছেন দেখে অবাকই হলাম ভাই। ভালো থাকুন সবসময়।
কৃতজ্ঞতা রইলো।
ছাইরাছ হেলাল
নিশি আর রবিন কে নিয়ে লেখার নায়কের গভীর আবর্ত বেশ সুন্দর।
বুকের খাঁ খাঁ খুবই সুন্দর যন্ত্রণার !!
তৌহিদ
এমন গল্প আমাদের কতজানার জীবনেই আছে। মায়ার বাঁধনে জড়িয়ে আর নিজেকে ছাড়াতে পারেনি অনেকেই।
ভালো থাকুন ভাইজান।
ফয়জুল মহী
অত্যন্ত চমৎকার ও মনোমুগ্ধকর লেখনী।
তৌহিদ
আপনিও ভালো থাকুন মহী ভাই।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
দারুন একটি গল্প পড়লাম। বিষয়টি র গভীরতা দারুন লেগেছে। একটি পিতৃহীন ছোট্ট মেয়ের বাবার বন্ধুকে বাবা ভাবাটাই স্বাভাবিক। নিশির কাছে তার হারিয়ে যাওয়া বাবার ছায়া খুঁজে পাওয়া নায়কের মাঝে খুবই কষ্টের অনুভূতি। ভালো হয়েছে ভাইয়া। শুভ কামনা রইলো
তৌহিদ
আপনি অত্যন্ত মনোযোগী পাঠক। সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম আপু।
শুভকামনা সবসময়।
প্রদীপ চক্রবর্তী
মায়া বড় কঠিন।
তা কাঠানোর একমাত্র ঠুনকো হলো নিজের ইচ্ছেশক্তি।
তবে সব মায়াতে পাশ কাটিয়ে আসতে নেই।
পিতৃহারা নিশি এখনো রবীনকে বাবা বলে ডাকছে সেটা রক্তের টান, অন্তরঙ্গ টান।
সেটাকে কখনো ছেড়ে যাওয়া যায়না।
নিশির জন্য শুভকামনা রইলো
.
বেশ ভালো একটা গল্প, দাদা।
তৌহিদ
না না এ রক্তের টান নয়, নিশি হচ্ছে রবিনের বন্ধুর মেয়ে। আসলে মায়ার বাঁধনে জড়িয়ে গিয়েছে তারা সকলেই।
ভালো থাকুন দাদা।
সাদিয়া শারমীন
বা্হ! খুব সুন্দর গল্প তো! ভালো লেগেছে ভাইয়া।
তৌহিদ
ধন্যবাদ আপু। শুভকামনা সবসময়।
সাবিনা ইয়াসমিন
নিশিদের কারনেই রবিনদের সংসার এক সময় নিজের হয়ে যায়। মৃত বন্ধুর পরিবারের প্রতি কর্তব্যবোধ, পিতৃহীন অবুঝ শিশুর নিস্পাপ হাসি এড়ানোর সাধ্য থাকে না হৃয়য়বান নায়কের। অস্থির আড়ষ্টতা ভুলে এক সময় সাড়া দিতে হয় নিয়তির ডাকে।
আমাদের সমাজে এমন দৃশ্য অনেক দেখা যায়। পিঠে-পিঠি ভাইয়ের অকাল মৃত্যুতে সন্তান সহ ভাইয়ের বউকে বিয়ে করে নেয় অবিবাহিত দেবর, অথবা বন্ধু। অনেকে সেটা মন্দ চোখে দেখে কানাঘুষা করে। তারা ভাবতে পছন্দ করে, হয়তো মৃতের সম্পদ বা বিধবা বউটিই বিয়ের কারন। কিন্তু ছেলেটার মনে কি চলছে, আসলেই সে ঐ সংসারের দায়িত্ব কেন নিচ্ছে, এমন সম্পর্কে সায় দিতে সে মানসিক ভাবে কতটা প্রস্তুত, এটা কজন ভাবে!
সুন্দর লিখেছেন তৌহিদ ভাই। ব্যতিক্রমী গল্পটা ভালো লাগলো।
শুভ কামনা 🌹🌹
তৌহিদ
একদম বাস্তব কথা বলেছেন আপু। আসলে মায়ার টান উপেক্ষা করা কঠিন। আবার পরিবারে বিয়ের যে বিষয়টি লিখেছেন সেটিও যেমন বাস্তব তেমনি লোভ লালসাও দায়ী অনেকক্ষেত্রে। তবে অহেতুক অন্যের পরিবার নিয়ে আমরা যেসব গসিপ করি তা করা মোটেও উচিত নয় কিন্তু! মনের কথা কিংবা পরিবারের ভিতরের কথা আমরা কতজনাই বা জানি!
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু। শুভকামনা রইলো।
মোঃ মজিবর রহমান
কিছু কিছু ঘটনা জিবনে অংগাঅংগি নিবিড় সযতনে অন্তরে ঠায় নেয়। আর এই ঘটনা আনন্দঅশ্রু মিশ্রিত আদ্দেপৃষ্ঠে ঠায় ন্যায়।
যা সরাবার না, আকড়িয়ে থাকবার এটা সেটাই।
হ্রিদয় ছোয়া লিখা ভাই।
তৌহিদ
একদম ঠিক বলেছেন ভাই, মনের খবর রাখা মানুষের কিন্তু বড্ড অভাব। মায়া জিনিশটিই অন্যরকম এক অনুভূতি।
ভালো থাকুন মজিবর ভাইজান।
মোঃ মজিবর রহমান
ভাল থাকুন ভাই।
রোকসানা খন্দকার রুকু।
অনরকম নতুনত্বের স্বাদ পেলাম।এরকম আমাদের সমাজে অহরহ। ভালো লাগলো ভাইয়া।
তৌহিদ
সমাজের মাঝেই বসবাস আমাদের, এসব হরহামেশাই ঘটছে। খবর নেয়ার মত লোকের বড়ড অভাব আপু। মায়ার বাঁধন যায়না ছেঁড়া।
শুভকামনা সবসময়।
আরজু মুক্তা
বন্ধু, বাবা, মেয়ে। দারুণ এক মর্মস্পর্শী গল্প। হৃদয় ছুঁয়ে স্থান করে নিলো।
নিশির ভিতরটা মনে হয় পড়ে এলাম
তৌহিদ
পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপু। শুভকামনা জানবেন।
সৌবর্ণ বাঁধন
আত্মকথার মতো লিখেছেন গল্পটা। সুন্দর।
তৌহিদ
সময় নিয়ে পড়েছেন দেখে ভালো লাগলো। ভালো থাকুন সবসময়। আসলে ব্যস্ততার কারনে আপনার লেখায় মন্তব্য কম হচ্ছে আমার। তবে সব লেখাই পড়েছি ভাই। অসম্ভব সুন্দর লেখেন আপনি।
পাশে থাকুন, শুভকামনা নিরন্তর।
সুপায়ন বড়ুয়া
ভাই আবার গল্পে এলো নিশির প্রেমের পড়ে
বাপ হারানো মেয়েটা যে মায়ার আঁচল ধরে।
গল্প না হয়ে সত্যি হলে হয় হৃদয় বিদারক।
শুভ কামনা
তৌহিদ
দাদা, দারুণ বললেন কিন্তু! আসলে লেখার মাঝে বাস্তবতা থাকেই কিছুটা হলেও। চারপাশে হরহামেশাই হচ্ছে যার খবর আমরা কতজনাই বা রাখি! মায়ার বাঁধন বড্ড অভেদ্য।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ দাদা।
উর্বশী
সুন্দর পরিচ্ছন্ন একটি সাজানো বাগান।সব গুলো ফুল ই বাগানে সুশোভিত। হঠাৎ তার মাঝে থেকে একটি ফুল ঝরে যায়। শূন্যতার সে জায়গাটি ভরিয়ে তোলে মায়ার বাঁধন। যে বাঁধন সহসা ছিড়ে যায়না। নিশি,তার বাবা এবং তার বন্ধু একটি বলয়ে সীমাবদ্ধ। কেউ চাইলেও মায়ার এই আবরণ তুলে নিয়ে যেতে পারবে না। মন ছোঁয়া লেখনি ভাইয়া।এক কথায় দারুন অনুভূতির প্রকাশ । যে সময়ে বাবার স্পর্শ দরকার , বা বুঝে ওঠার আগেই যদি বাবারা হারিয়ে যান,তাহলে সেই বাচ্চারাই বেশী বুঝে কি নেই তাদের। মনে হয় আবেগে চলে যাচ্ছি। অনেক সুন্দর গল্প। যা বাস্তবতায় খুঁজলে পাওয়া যেতে পারে।
আন্তরিক ধন্যবাদ সহ সালাম।
তৌহিদ
বাহ! সুন্দর বললেনতো আপু! আসলে একমাত্র মায়াই পারে ভালোবাসার বাগানকে সুশোভিত রাখতে। এর বাঁধন ছেড়া মুশকিল।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু। সালাম জানবেন আপনিও। শুভকামনা সবসময়।