
গতকাল সোনেলার ফেসবুক গ্রুপে আমাদের লেখক এবং পাঠক সমীপে মতামত জানতে চেয়ে একটি প্রশ্ন রেখেছিলাম-
” আপনার লেখায় পাঠকের মন্তব্য কমে গিয়েছে কেন?”
বিস্তারিত লেখার আগে গ্রুপে কেন এই পোষ্ট দিয়েছিলাম সেটির ব্যাখ্যা দেয়া উচিত বলে আমি মনে করি-
প্রথমত, আমরা ফেসবুকে সবাই এক্টিভ অথচ ব্লগে তেমন নই। ব্লগে অনেকের চোখে পোষ্ট এড়িয়ে যেতে পারে।
দ্বিতীয়ত, যেহেতু পাঠকেরা ব্লগে নিবন্ধিত না হলে মন্তব্য করতে পারেননা তাই প্রশ্নটি গ্রুপেই দিয়েছি যাতে তারাও মন্তব্য করতে পারেন। আর এতে করে যাতে লেখক পাঠক উভয়েই নিজেদের অবস্থান উপলব্ধি করতে পারেন সেটাও অন্যতম একটি কারন ছিলো।
সোনেলার ফেসবুক গ্রুপে গতকালের জানতে চাওয়া প্রশ্ন- মন্তব্য কম আসছে কেন’র উত্তরে পাঠক ও লেখকগন যেসব মন্তব্য করেছেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারন যা পেয়েছি হুবহু তা তুলে ধরলাম-
🔴 ব্লগে বেশি সময় দিতে পারি না বলে।
🔴 আমার লেখাগুলো আগের মতো পাঠককে আকর্ষণ করার ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ণ না থাকার দরুন।
🔴 আমার লেখার মান মনে হয় ভালো হচ্ছে না।
🔴 মনে হয় পাঠক লেখার উপর না, ব্যক্তির উপর নির্ভর করে বাড়ে।
🔴 give and take!!!
🔴 আমি যতটুকু জানি কারো বদ অভ্যাস যদি থাকে তবে সেটাকে পরিবর্তন করে অপরকে উপদেশ দিতে হয়। তাই আমি কারো লেখা বা কবিতায় কমেন্টস করি না। তবে কি করে আশা করবো আমার লেখায় কেউ মন্তব্য করবে।
🔴 কবিরা ছাড়া প্রায়ই অনেকে রুটিন মাফিক সমসাময়িক লেখা লিখছেন। তাতে ঘুরে ফিরে একই কথা। যেমন ঝিল ঘুরে ফুরে মতিঝিল।
🔴 মতামত পড়তে আসলাম।
🔴 আমি নিজেই কারো পোষ্টে মন্তব্য করিনা তেমন। আমারে তারা কেনো করবে। যত বেশি নিজে সময় দেবো অন্যের লেখায় ততো বেশি সময় আসা করবো অন্যের থেকে।
🔴 লেখার সাথে নিজের একখান এডিট করা ছবি টানাইয়া দিলে কমেন্ট ভালো আসে, কারন পাঠকের চেয়ে দর্শক বেশি।
🔴 সময়টা বেশ জটিল চলছে, তাছাড়া আমার এলাকা রেড জোনে আছে বলে ব্যবসায়িক সমস্যাটাও বেশ প্রকট। তাই ব্লগে আসার জন্য মনের সায় পাচ্ছি কম বলে আসা হচ্ছেনা।
🔴 অন্যের লেখা পড়ে মতামত দেওয়া ও নিজের পোষ্টের মনতরিপ্লাই করাটা দায়িত্ব। কিছুদিন ধরে অন্যদের লেখা পড়ছি না তাতে সবাই কিছুটা বিমুখ হয়ে পড়েছে।
🔴 লেখার মান মনে হয় ভালো হচ্ছে না। আর সময় মতো ব্লগেও আশা হয়না।
🔴 সবাই স্বার্থপর লেখক এবং পাঠক। অনেক লেখক অন্য লেখা পড়েন না।অনেক পাঠক অপরিচিতের লেখা না।।
🔴বেশিরভাগ পাঠক সস্তা বিনোদন চান অর্থাৎ ছোট লেখায় পেট ভরা হাসি।
🔴 জীবন মূখী লেখা মানেই সেটা কেউ পড়বেন না। ব্লগে লেখা বড়ো হলেই পড়বেন না।
🔴 ছেলেদের ভালো লেখাও মেয়েদের যে কোন লেখার তুলনায় পাঠক পাঠ প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে।
🔴 বর্তমান পরিস্থিতি শিল্প চর্চার বিপরীতমুখী।
🔴 অনেকে লেখায় মুখস্থ কমেন্ট করেন এ যেন কমেন্ট এর প্রতিযোগিতা চলছে যা লেখকের খুবই বিরক্ত লাগে। এর চেয়ে মন্তব্য না করাও ভালো।
🔴 ভার্চূয়াল জগতে মন্তব্য বিষয়টি হলো লেনদেনের মতো। আপনি আমাকে আমি আপনাকে।
আশাকরি সব মন্তব্যগুলি সবাই পড়েছেন? নিজের ভাবনার সাথে এর একটিরও মিল খুঁজে পাচ্ছেন কি? কেননা এই মন্তব্যগুলির মাঝেই রয়েছে আপনাদের সেই কাঙ্ক্ষিত উত্তর। এবার নিজেরাই অনুধাবন করুন আপনার লেখায় মন্তব্য কমে গিয়েছে কেন!
চলুন এই সমস্যা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজতে আপনাদের একটু সাহায্য করি।
🔵 আপনি যদি সত্যিই সোনেলাকে ভালোবাসেন তাহলে আপনার প্রথম দায়িত্ব হচ্ছে নিজের সদিচ্ছাকে জাগ্রত করা। আপনার লেখাকে আপনি যেরকম সম্মান করেন, ভালোবাসেন সোনেলাকেও সেরকম ভাবুন। কেননা এটি আপনার বিচরণ ক্ষেত্র। নিজের লেখার ডায়েরিকে ছিঁড়ে কুটোকুটি করবেননা।
🔵 আপনি ব্লগে ন্যুন্যতম সময়টিও দেননা। এতে আপনার আমার সম্পর্কে অন্য লেখকের নেতিবাচক ধারনা হচ্ছে। প্রতিদিন বিশ মিনিট হলেও সময় দিন। হুট করে একদিন এসে লেখায় সবার মন্তব্য আশা করে আবার নিঁখোজ হয়ে যান অনেকেই। তাহলে মন্তব্য আশা করবেন কি করে?
🔵 ব্লগে অনেকের মাঝে পারস্পারিক মেলবন্ধনের ঘাটতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। আমি আপনার লেখায় সময় দিলে আপনিও আমার লেখায়ও সময় সময় দিতে কিঞ্চিত বাধ্য। যা নিজেরাই পাশ কাটিয়ে যাচ্ছি আমরা।
🔵 ফেসবুকে সবাই একটিভ। গ্রুপে সবার লেখা শেয়ার করা হয়। না পড়ে ইচ্ছেকৃত এড়িয়ে গিয়ে নিজের লেখকসত্ত্বাকে ছোট করবেননা। ক্ষতি আদতে আপনারই। তাই উদাসীনতা পরিহার করুন।
🔵 লেখার বিষয়বস্তুতে পরিবর্তন আনুন। সবাই গদবাধা একই বিষয় নিয়ে লিখছেন। পাঠক ভীন্নধর্মী লেখা পছন্দ করে।
🔵 অন্যের মন্তব্য থেকে অনুপ্রেরণা নিন, শুধু লেখা দেখেই চিড়ে ভিজেনা। নিজের মুল্যবান মন্তব্যের দ্বারা আপনার জ্ঞানবোধকে সাক্ষী হিসেবে অন্যের লেখায় তার প্রমাণ রাখুন।
🔵 লেখার ফিচার ছবিতে ভিন্নতা আনুন। ছবির সঠিক মাপ বজায় রাখুন, এতে দৃষ্টিনন্দন লাগবে লেখাটি। আপনার নিজের ছবি বারবার ব্যবহার করলে তা দৃষ্টিকটু লাগবে অবশ্যই। ফলে পাঠক লেখাবিমুখ হবেন নিশ্চিত।
🔵 আপনি ব্যক্তি একমতন কিন্তু লেখায় প্রকাশ পাচ্ছে আপনার অন্যরুপ। এটি কেউ বুঝলে আপনার লেখায় মন্তব্য আসবে না অনেকের। নিজের লেখায় আপনাকে আমিকে সততার সাথে প্রকাশ করুন।
🔵 ব্লগে বিশ্লেষণধর্মী বড় লেখা আসবে এটাই স্বাভাবিক। তাই বলে এড়িয়ে যাবেননা। যিনি লিখলেন তার লেখাকে এবং তাকে সম্মানিত করুন। সম্মান দিলে তবেইতো সম্মান পাওয়া যায়।
🔵 সোনেলা সাম্যতায় বিশ্বাসী, নারীব্লগার বেশি মন্তব্য পান আর পুরুষ ব্লগার কম এসব বলে একে অপরকে হেয় করবেননা। এই মানসিকতার পরিবর্তন লেখক এবং পাঠক উভয়ের জন্যই মঙ্গলজনক।
🔵 আপনার লেখার মান খারাপ এটি মনে করবেননা। এ কথাটি মোটেও ঠিক নয়। যিনি ভালো লেখেন তিনি একদিনে ভালো লেখক হননি। অন্যদের লেখা পড়ে নিজের চর্চা অব্যাহত রেখে তবেই হয়েছেন। এটাই সবার করা উচিত।
🔵 কখনওই মনে করবেননা মন্তব্য ব্যক্তিকেন্দ্রিক হয়। হয়তো একজনের সাথে অন্যজনের ভালো সম্পর্ক আছে বলেই তারা নিজের নিজেদের লেখায় উভয়েই মন্তব্য, প্রতিমন্তব্য করেন। পারস্পারিক এই বোঝাপড়ার সম্পর্ক কিন্তু ব্যক্তিগত নয়। এটি তারা তৈরী করে নিয়েছেন ব্লগে মন্তব্যের মাধ্যমেই। আপনিও তাই করুন।
🔵 মন্তব্য দেয়া মন্তব্য পাওয়া! কথাটি ঠিক নয়। যদি তাই হতো তাহলে আমার লেখায় আপনারা সবাই মন্তব্য করতেন। কারন আপনাদের প্রত্যেকের লেখায় আমি কমবেশি মন্তব্য করি। কই আপনিতো আমার লেখায় তা করেননা? অনেকের লেখাতেই করেন না। তাহলে দেয়া আর পাওয়ার হিসেব মিললো কি? এই অবান্তর কথাটি বলে নিজেই নিজেকে ছোট করলেন কিন্তু!
এতক্ষণে আপনাদের উওর পেয়ে গিয়েছেন নিশ্চই। ইদানিং অত্যন্ত দুঃখের সাথে লক্ষ্য করছি, ব্লগে আমাদের সম্মানিত লেখকদের লেখার মন্তব্যের ঘরে একধরনের শুন্যতা বিরাজ করছে। অনেকেই আমাদের কাছে ইনবক্স করেছেন, অনেকে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। ফলে ব্লগ বিমুখীতা বিরাজ করছে ব্লগারদের মাঝে। যা কেবল একজন লেখককে সাহিত্যচর্চা থেকে দূরেই নিয়ে যাবেনা সেই সাথে নিজের মাঝে বীতশ্রদ্ধাও দেখা দেবে। সোনেলা এটি কিছুতেই সমর্থন করেনা।
বাংলা সাহিত্যের চর্চা অব্যাহত রাখার যে প্রয়াস নিয়ে সোনেলা তার নিজের মানদন্ডে অটল, সেখানে সামান্য হতাশা থেকে একজন লেখক লেখাবিমুখ হয়ে পড়বেন তা সোনেলা কিছুতেই হতে দিতে পারেনা। হয়তো বর্তমান পারিপার্শ্বিকতার ফলে ব্লগে ব্লগারদের বিচরণ কমে এসেছে তবে তা অচিরেই ঠিক হয়ে যাবে আশাকরি।
এবং সবশেষে বলছি, এই যে আপনি পুরো লেখা না পড়ে স্ক্রল করে করে সবার শেষের অংশটুকু পড়লেন এবং অন্যান্যদের মন্তব্য দেখে গদবাঁধা একটি মন্তব্য করার প্রয়াস নিলেন এটিও কিন্তু আপনার লেখকচিত্তের মৃত্যুকে ত্বরান্বিত করলো, আপনার লেখায় পাঠকদের মন্তব্য আসতে দেয়াল হয়ে দাঁড়ালো এবং এর জন্য সোনেলা বা সোনেলার কোন ব্লগার নন। হ্যা, আপনি কেবলমাত্র আপনিই দায়ী। তাই, নিজের মানবিক গুণাবলীকে জাগ্রত করুন।
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন। শুভ ব্লগিং।
৩৬টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
গ্যানের কুনু শেষ নেই
তাই তা অর্জন চেষ্টা খুপ বৃথা।
তৌহিদ
এউ উপলব্ধি আমি সোমেলায় আমার সহব্লগারদের কাছ থেকেই পেয়েছি। আপনাদের দেখানো পথে অন্যকে আলো দেখানো দায়িত্ব ভাইজান।
তৌহিদ
দুঃখিত, সোনেলায় হবে।
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন শুধু লেখা না, যে কোন কাজে পারস্পরিক সহমর্মিতা না গড়ে উঠলে
যত শ্রম দেই না কেন তা পণ্ডশ্রম হতে বাধ্য।
আমরা আমাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে সুষম কাজটি করতে পারলেই আমাদের
সামনে চলা পথ মসৃন হবে।
ভাল কথা, মোটেই গ্যান দিচ্ছি না, আমার নিজের -ই খুব অভাব সেটির।
তৌহিদ
অথচ এতটুকু সুষম কাজ করতে খুব বেশি সময় লাগেনা কিন্তু। আমাদের সদিচ্ছার অভাব আছে বলেই মনে করি। আমিও যে খুব করি তাও নয়। তবে চেষ্টায় ঘাটতি থাকেনা ভাইয়া। সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ইঞ্জা
আমি কি বলবো, একের পর এক প্রিয়জনকে হারাচ্ছি, মনটা বিষিয়ে উঠছে প্রতিদিন, সাথে ব্লগে কবিতা বেশি যা আমার বুঝে আসেনা, ব্লগ নিয়ে একটা লেখা দিয়েছিলাম যেন সবার মনমানসিকতা একটু চেইঞ্জ হয়, কিন্তু দেখছি তথৈবচ, সত্যি দুঃখ লাগছে।
তৌহিদ
এই করোনাকালে সবারই মানসিক অবস্থা কিছুটা খারাপ। সকলেই ভালো থাকুক, সোনেলার উঠোন আবার ঝলমলিয়ে উঠুক এটাই কাম্য।
ভালো থাকুন দাদা।
ইঞ্জা
ইনশা আল্লাহ
প্রদীপ চক্রবর্তী
ব্লগে যথাসাধ্য এখন থেকে সময় দেওয়ার চেষ্টা করবো।
হয়তো একসাথে সকলের লেখা পড়তে পারবো না তাই সময় নিয়ে পড়ে যথার্থ মতামত প্রকাশ করার চেষ্টা করবো।
আপনার লেখা পড়ে হুচট খেয়ে গেলাম!
তবে যাই হোক ব্লগকে সময় দিতে হবে ব্লগের লেখা পড়তে হবে। তাহলে নিজের জ্ঞান সমৃদ্ধি হবে।
আর ব্লগের লেখা কিভাবে হবে এবং কিভাবে না আমাদের ইঞ্জা দাদা গত কয়েকদিন আগে পোস্ট করেছিলেন।
এসব নিয়মকানুন মেনে আমরা ব্লগকে নিয়ে থাকি।
বিষয় গুলো তুলে ধরার জন্য সাধুবাদ, দাদা।
নিজের সকল অলসতা কাটিয়ে ব্লগ সময় দেওয়ার চেষ্টা করবো।
শুভ ব্লগিং
তৌহিদ
হোঁচট খাবার কিছু নেই দাদা, আমার মতে অন্যের লেখাকেও সম্মান করা উচিত। আর ব্লগে নিয়মিত আসা উচিত। এ বিষয়গুলি আমি যেভাবে বুঝি সেভাবেই তুলে ধরলাম। শেখার শেষ নেই কিন্তু!
ভালো থাকুন দাদা।
বন্যা লিপি
বিশাল পোস্ট লিখছেন ভাই। একটুও ফাঁকি বা স্ক্রল করে নিচের অংশ পড়ে গৎবাঁধা মন্তব্য করার মনোভাব পোষন করে মন্তব্য করতে আসি নাই।
“আপনি ব্যক্তি একমতন কিন্তু লেখায় প্রকাশ পাচ্ছে আপনার অন্যরুপ। এটি কেউ বুঝলে আপনার লেখায় মন্তব্য আসবে না অনেকের। নিজের লেখায় আপনাকে আমিকে সততার সাথে প্রকাশ করুন।”
এই লাইনকটা ভীষণ পছন্দ হয়েছে👏👏👏👏 খুবই যথোপযুক্ত পোস্টের জন্য আপনাকে স্যালুট। এর বেশি কিছুই বলছি না। আমিও বোধহয় মোটামুটি আপনার বিবিধ অভিযোগের আওতার মধ্যেই আছি। সকলের জন্য শুভ কামনা।
তৌহিদ
আমার কারো প্রতি অভিযোগ নেই আপু, যে যার যার নিজের অবস্থান ধরে রাখুক এটাই চাই। আমরা সবাই মিলে সোনেলা ব্লগে সাহিত্য চর্চার মাধ্যমে নিজের লেখকীয় সত্ত্বার বিকাশ ঘটাবো, নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যাবো এটাই প্রত্যাশা।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
কি বলবো বুঝতে পারছি না ভাইয়া। এখানে যা লিখেছেন তার মধ্যে আমার সাথে যায় সেটি হলো কবিতা লিখেছি বেশী এবং তার সারমর্ম অনেকেই হয়তো বুঝতে পারে না যেটা ইঞ্জা ভাই বললেন। এর বাইরে আর কোনো সমস্যা খুঁজে পেলাম না, বাকীটা আপনারা ভালো বলতে পারবেন আমার সম্পর্কে। নিজের বিচার করার ক্ষমতা নিজের থাকেনা বা হয়না। আমি ফাঁকি বাজি বা আমি যা নই তেমন লেখা লিখতে বা ভাবতেও পারিনা আর আমি কবিতায় সাচ্ছন্দ্য বোধ করি তাই কবিতায় লেখার আনন্দ খুঁজে পাই। আচ্ছা এতোজন পড়ছে বা দেখছে লেখাটি তাদের মধ্যে কি ৩০/৫০ % লোক ও নেই লেখাটি বুঝতে পারে বা কিছু খারাপ ভালো মন্তব্য করতে পারে? অবশ্যই পারে কিন্তু কেন তারা মন্তব্য করছে না সেটা তারাই ভালো বলতে পারবে। কারণ ফেসবুকে যারা মন্তব্য করেছে তারা কিন্তু ব্লগেও কমবেশি মন্তব্য করে। কিন্তু বাকীরা কোথায়? আমিতো প্রথম থেকেই এদের মন্তব্য-ই পেয়ে আসছি, আর আমিতো সবার লেখাতেই সময় দেই, মন্তব্য করি । আবার সবাই যে লিখছে তা-ও নয়, এখানে লেখকের চেয়ে পাঠকের সংখ্যাই বেশি মনে হচ্ছে কিন্তু অনুপাত টা আকাশ আর পাতাল। কিন্তু মন্তব্য করতে তাদের কেন এত অনীহা আমি বের করতে পারিনি। কারন সপ্তাহের আলোচিত লেখাগুলো দেখেন সেখানে ও মন্তব্য নেই একমাত্র স্টিকি লেখাগুলোতে মন্তব্য একটু বেশি হয় কিন্তু সেটাও খুবই নগণ্য এবং ঘুরে ফিরে ক’জনার মন্তব্যই আসছে। এখানে লেখকের লেখার মান বা একে অন্যের মন্তব্য দেয়া নেয়া ফ্যাক্ট বলে অন্ততঃ আমি মনে করছি না। ধন্যবাদ আপনাকে এই কথা গুলো বলার সুযোগ দেবার জন্য কারন এই বিষয়টি আমি অনেক আগেই ভেবেছি। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন
তৌহিদ
কবিতা গল্প এটা কোন বিষয় নয় আপু, আমি বলেছি একটু ভিন্নতা। সেটা যেকোন লেখাই হতে পারে। আর মন্তব্যের বিষয়টি যেহেতু ঐচ্ছিক সেখানে কাউকে জোড় করে মন্তব্য করানো যাবেনা।
আপনি আপপনার মত লিখুন। কে কি মন্তব্য করলো নাকি করলোনা এটি ভাবার দরকার নেই।
এস.জেড বাবু
আমরা যখনি যারা দুই তিন মাস নিয়মিত সোনেলায় সময় দিচ্ছি বা দেই- তারা সবাই ভুলে যাই যে আমি মাত্র চার মাস আগেও অনিয়মিত ছিলাম। আবার সামনের দিকে নিজের প্রয়োজনে / ব্যাস্ততায় / অসুস্থতায় অনিয়মিত হতে পারি।
জীবনের ঘুর্ণায়মান গন্ডিতে ব্যাস্ততা বলে কয়ে আসে না। তবে ব্যাস্ততা যে কারও থাকতে পারে। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে তা সম্মাণ করি।
এমন অনেকেই আছেন যিনি কর্মব্যস্ত নন, বা ইদানীং ব্যাস্ততা কাটিয়ে উঠেছেন- তবুও লিখায় বা পড়ায় মনযোগি হতে পারছেন না কারণ জোড় করে লিখা যায় না / মন না বসলে পড়তে ভালো লাগে না। এরাও একসময় বদলে যাবে, প্রসিদ্ধ লিখক হবে, মনযোগি পাঠক হবে। স্ব-গৌরবে সোনেলায় ফিরবে।
অনেকের ক্ষেত্রে লিখালিখি প্রফেশন নয় বরং শখ। নিজের কর্ম / চাকুরী / ব্যাবসা / জীবনের চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত সময় শখের বশে এ প্লাটফরমে সময় দেন, উপলব্ধি শেয়ার করেন। তাদেরকে তাদের মতো সময় দেয়া উচিত। বলা তো যায় না, জীবনের কোনও এক প্রান্ত, ব্যাস্ততার পথ পেড়িয়ে ওরা একদিন লিখালিখি সেই অবসর জীবনের অবলম্বন করে নিতে পারে।
নতুন করে দশজন নিয়মিত লিখক পাঠক ব্যাস্ত হবেন
পুরুনো পাঁচজন লিখক পাঠক ব্যাস্ততা কাটিয়ে ফিরে আসবেন
নব্য পাঁচজন লিখক পাঠক নতুন করে যুক্ত হবেন
এটাই হয়ত ধারাবাহিকত। ( আমি যতটা বুঝি)
কর্ণধারদের প্রতি আবেদন, সোনেলার উঠান কারও কোনও প্রকার কথায় / আচরনে পিচ্ছিল না হউক। সবাইকে বুক পেতে গ্রহন করার মতো প্লাটফরম হয়ে থাকুক প্রিয় উঠান।
যথার্থ বিশ্লেষণ ছিলো ভাইজান।
তৌহিদ
ব্যস্ততা সবারই আছে ভাই, যারা ব্যস্ততা কাটিয়ে সোনেলায় আসি তার ভালোবেসেই আসি বলে মনে করি। দুঃখ হয় অনেকেই নিজের লেখা ঠিকই দিচ্ছেন কিন্তু অন্যদের লেখায় আসছেননা। যারা আসছেন তারা নিয়মিতই আসছেন।
এখানে কেউ প্রফেশনাল নয়, সবাই সখের বসেই লিখি। যে যার মত আসবেন সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু একদিন এসে আর একমাস আসবেন না সেখানে আপনি মন্তব্য আশা করতে পারেননা।
সোনেলা নিজ গতিতেই চলছে চলবে। কারো কথায় পিছল হবেনা নিশ্চিত।
ভালো থাকুন।
হালিম নজরুল
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। আসলেই আমাদের নিজের মধ্যে বোধ তৈরি না হলে আমরা আমাদের সঠিক ভূমিকা পালনে সক্ষম হব না।
তৌহিদ
এখন মনে হচ্ছে যে যার যার মত চলুক। বোধদয় না হলে সোনেলার খুব একটা ক্ষতি হবেনা মনে করি।
ভালো থাকুন ভাই।
সুরাইয়া নার্গিস
ভাইয়া লেখাটা পড়লাম, সত্যি গুরুত্বপূর্ন একটা পোষ্টে গ্রুপে পড়ে কমেন্টস করছি, এটাও পড়লাম। আমার একটা মতামত এখানে জায়গা পেয়েছে দেখে ভালো লাগলো।
চেষ্টা করবো ব্লগে সময় দিতে,সবার লেখা পড়ে মতামত দিতে এবং অন্যের মতামতের রিপ্লে করতে।
ভালো থাকবেন সবাই।
জয়তু সোনেলা ব্লগ।
তৌহিদ
আপু আপনিতো নিয়মিতই আসেন সোনেলায়। সত্যি ভালো লাগে। আপনাকে এভাবেই সোনেলার পাশে চাই সবসময়।
ভালো থাকুন সবসময়।
রেজওয়ান
নিয়মিত হবো ভাই😥দোয়া রাখবেন🌹
তৌহিদ
ইনশাআল্লাহ ভাইয়া, শুভকমনা সবসময়।
কামাল উদ্দিন
আমার দূর্বলতা হলো কবিতা বুঝিনা, মাঝে মাঝে কোন কবিতা বুঝার জন্য অনেক বার পড়ে অনেক কসরত করতে হয়। বড় লেখা পড়তে আলসেমী লাগে। আলসেমী লাগে নিজের পোষ্ট দিতেও, কারণ আমার একেকটা ছবি পোষ্ট দিতে অনেক সময় লেগে যায়। আর মনে শতভাগ আনন্দ না থাকলে ব্লগে আসতে ইচ্ছে করে না। কিন্তু ব্লগকে আমি ভীষণ ভালোবাসি, শুভ ব্লগিং।
তৌহিদ
সোনেলায় সব ধরনের লেখা আশা করি আমিও। আর বড় লেখা আসবেই। কস্ট করে না হয় একটু পড়লেন।
বিষন্নতা কেটে যাবে একসময়। সোনেলা উজ্জীবিত হোক সকলের পদচারনায় এটাই কাম্য।
নিতাই বাবু
শত চেষ্টা করেও নিয়মিত হতে পারছি না, দাদা। তাই হুটহাট করে একটা পোস্ট করি, তারপর আবার নাই হয়ে যাই নিজেই। জানি, এতে ব্লগের অনেকেরই মন খারাপ হয়ে যায়! তবুও আমি অধম নিরুপায়!
তৌহিদ
আপনি নিয়মিত আসেন সোনেলায়। হয়তো করোনাকালীন সময়ে কিছুটা ঢীমে তালে চলছে। সবাই ভালো থাকুক এটাই কাম্য।
আরজু মুক্তা
প্রত্যেকের লেখা থেকে শেখার আছে। এটা মেনে চলতে হবে।
অবশ্যই লেখায় ভিন্নতা আনতে হবে। মেয়ে লেখক কি? ভালো লিখলেই সবাই পড়ে।
তৌহিদ ভাই আপনাকে ধন্যবাদ
তৌহিদ
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু। মেয়ে ছেলে আলাদা লেখক এটা যে কেন বলেছেন আমার বোধগম্য নয়। আপনি আপনার মতন থাকুন।
শুভকামনা সবসময়।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
যুক্তিপূর্ণ সুন্দর এবং গঠনমূলক বিশ্লেষণ। ধন্যবাদ।
তৌহিদ
লেখাটি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। শুভকামনা সবসময়।
সাবিনা ইয়াসমিন
প্রশ্ন আর উত্তর সব এক পোস্টেই পাওয়া গেলো। এবার দেখা যাক সমাধান কোনো কাজে আসে কিনা 🙂
আমার ব্যাপারে বলবো, বর্তমান সময়ে নিজের উপরই জোর হারিয়ে ফেলছি। অস্থির মন নিয়ে পড়া আর প্রতিক্রিয়ার সমন্বয় রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না।
সোনেলার জয় হোক,
শুভ কামনা 🌹🌹
তৌহিদ
সমাধান আসবেনা। কেন আসবেনা জানেন? আমরা নিজেরা নিজেদের প্রকাশ করতেই ব্যস্ত। অন্যের দিকে তাকানোর সময় নেই। এই করোনায় সবাই বিষন্নতায় ভুগছে।
আসলে ব্লগে এরকম পোস্ট দেয়াই মনে হয় উচিত নয়। অনেকের বিরাগভাজন হতে হয়। যাই হোক আমি আমার যুক্তি তুলে ধরেছি। যে যার যার মতন নিজেরা নিজেদেরটা বুঝে নিক। আমি না এলেও যেমন কারও ক্ষতি হবেনা তেমনি অন্য কেউ না এলেও আমার মাথাব্যথা নেই।
এসব বলে আর চিন্তা করে লাভ নেই দেখলাম। চলুক যেভাবে চলছে।
আপনিও ভালো থাকুন।
নাজমুল হুদা
আমি চেষ্টা করবো নিয়মিত হতে। আলোচনায় সমাধান। লেখাটিও তেমন অর্থ বহন করে।
তৌহিদ
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, ভালো থাকুন সবসময়। সব সমাধান নিজের কাছে আসলে।
শুভকামনা সবসময়।
জিসান শা ইকরাম
মন্তব্য কম আসা বা কম পাওয়া এনিয়ে বেশি না ভাবাই ভালো। সবাই মন্তব্য করবেন না, এটিই স্বাভাবিক। মন্তব্য না করার যার যার ব্যাক্তিগত কারন আছে। এসব কারনের উপরে স্থান দিচ্ছি আমি ফেইসবুককে। পোস্ট লিখে প্রকাশ এ ক্লিক করেই ফেইসবুকে চলে যান অনেক ব্লগার। ব্লগের পোস্টে শিরোনামই দেননি, শিরোনামে বানান ভুল, এসব দেখারও সময় নেই দু একজনার। কিছু ব্লগার ব্লগে আসেন ফেইসবুকে লাইক কমেন্ট পাবার আশায়। আর আমাদেরও যেহেতু লাইক কমেন্ট লাগে তাই তাদেরও কদর করি আমরা ফেইসবুকে। এই ধরনের ব্লগার ব্লগে মন্তব্য করেন না।
সোনেলার প্রতি ভালোবাসার চেয়ে নিজের লেখার প্রতি ভালোবাসা তৈরি জরুরী। ব্লগে লেখার উপকারিতা ঠিক ভাবে বুঝিনা হয়ত আমরা।
ব্লগারদের প্রতি পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধি করা খুব দরকার।
মন্তব্য কম/ বেশি হতেই পারে।
একজন সফল ব্লগার নিজে মন্তব্য করেন বলেই মন্তব্য পান।
আপনার পোস্ট ভালো হয়েছে।
শুভ কামনা।
তৌহিদ
যাক আপনার মন্তব্য পড়ে হতাশ থেকে বেড়িয়ে এলাম ভাইজান। এত কিছু চিন্তা না করাই উত্তম নিজের মত সবাই লিখে যাব, কে কি করলেন তার নিজের ব্যাপার। সময় হলে সবাই নিজের অবস্থান বুঝতে পারবেন।
আপনার পয়েন্টগুলোর সাথে সহমত পোষণ করছি। নিজের লেখার যত্ন নিতে হবে আগে। তবে সোনেলাকে ভালো না বেসে কেউ যদি নিজের প্রচারণার স্বার্থসিদ্ধির জন্য ব্যবহার করেন তা হবে দুঃখজনক।
লেখা দিয়েই আর খবর নাই অনেকের, আমার আপত্তি সেখানেই।
ভালো থাকুন ভাইয়া।