
Kya Kehna ২০০০ সালের সফল চলচ্চিত্রের একটি। এটি ১৯ মে মুক্তি পেয়েছিলো। কুন্দন শাহ ছিলেন পরিচালক। নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন প্রীতি জিনতা, সাঈফ আলী খান, চন্দ্র চূড় সিং, অনুপম খের, ফরিদা জালাল। আমার দেখা ভালো মুভির একটি।
খুবই স্পর্শকাতর একটি বিষয়কে সামনে তুলে ধরা হয়েছে। এর থিমটা সমাজে ট্যাবু।
নায়িকা প্রিয়া, যুবতী, সুন্দরি এবং একটি সুন্দর মানসিকতার পরিবারে বাস করে। সাথে দুই ভাইও। শৈশবের বন্ধু চন্দ্র চূড়ও ( অজয়) ও তাকে ভালোবাসে। কিন্তু প্রিয়া তার ভালোবাসাকে শুধু বন্ধু হিসেবে দেখেছিলো।
প্রিয়ার কাছে সব ভালোবাসা তুচ্ছ হয়ে যায় যখন সে কলেজ বয় রাহুল ( সাঈফ) এর প্রেমে পরে। তার ভাইয়েরাও তাকে সাবধান করেছিলো এই ছেলের ব্যাপারে। যে এই ছেলে শুধু মেয়ে নিয়ে খেলে। আমি তো বলি কলেজ বয় নয় ডেন্জারাস বয়। আর ট্রাজেডি বিয়ের আগেই গর্ভধারণ। যা সামাজিক ট্যাবু। প্রিয়া বুঝেছিলো, বিয়ে ছাড়া এই বাচ্চার স্বিকৃতি হবেনা।
যখন তার বাবা, ভাই রাহুলের পরিবারের কাছে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে কড়জোরে অনুমতি চেয়েছিলো। রাহুলের মা বলেছিলেন, এবরসন করাতে এবং এটা তাদের ব্যাপার বলে প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছিলো।
প্রিয়ার বাবার অপমানে সেও সিদ্ধান্ত নেয়, “যে বাচ্চাটি আগামীতে আসবে। তার তো কোন দোষ নেই। আমি মা, তখন দায়িত্ব ও আমার।”
প্রিয়া তার পরিবারের সগযোগিতায় সমাজের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যায়।
তিন ধরণের সমালোচনা চলে আসে মুভিটি দেখতে।
১) সমালোচকরা বলবে, মেয়েটার সাবধানী হওয়া উচিত ছিলো।
২) সমাজ কীভাবে মেনে নিবে?
৩) কীভাবে এই নিষ্ঠুর মেয়েটি সমাজের মুখোমুখি হবে?
কিন্তু পরিচালক সুনিপুণ হাতে বুঝিয়ে দিয়েছেন, যে মা হয় সেই বোঝে। একজন মেয়ের সাহসী এবং সৎ সিদ্ধান্তে অটল থাকা এবং তা অর্জিত করা। এমন মুভি খুব কমই দেখা যায়। প্রিয়াকে কখনোই অসহায়ভাবে উপস্থাপন করেননি। কোন ভনিতাও তার চরিত্রে দেখা যায়নি।
যদিও রাতুল রাজি হয়েছিলো, প্রিয়াকে বিয়ে করতে। কিন্তু প্রিয়া বলেছিলো, দুঃসময়ের বন্ধুই আসল। আর প্রিয়াও বুঝেছিলো চন্দ্র চূড়কে ফিরিয়ে দিয়ে, সে প্রকৃত বন্ধু হারিয়েছিলো।
” হায় দিল লেয়া হায় বাহার ” গানটি মুভিটিকে দারুণভাবে চিত্রায়িত করেছিলো।
মুভিটি কেনো দেখবো:
১) দায়িত্ববোধ শিখিয়ে দেয়।
২) তুমি যা সিদ্ধান্ত নিবে তা দৃঢ়ভাবে পালন করবে। এবং যে কোন পরিস্থিতিতে তা মেনে নেয়ার সিদ্ধান্তে অটল থাকবে।
৩) কোনভাবেই উদ্ভুত পরিস্থিতি থেকে পলায়ন করা যাবে না। মুখোমুখি হও এবং জয়ী হও।
৪) মেয়েদের প্রতি মেসেজ, ডেন্জারাস ছেলে থেকে তোমরা দূরে থাকবে।
৫) বাবা মায়ের বিশ্বাস ভাঙ্গবেনা। ভালোবাসা পাপ কিনা জানিনা। তবে হৃদয় দিয়ে তাকেই ভালোবাসতে হবে। পৃথিবী স্বার্থপর হলেও।
৬) সমাজে অনেক লোক আছে যারা নিজদের দায়িত্ব সম্পর্কে অসচেতন। এদের এড়িয়ে চলতে হবে।
সমাজের রক্তচক্ষু, সন্তানের প্রকৃত বাবার অস্বীকার, একজন ভালো মানুষ হিসেবে সব জেনেও প্রিয়াকে মেনে নেয়া। এর সব প্রশ্নের উত্তর মুভিতেই।
সেইসাথে সমাজকে বুঝিয়ে দেয়া মেয়েরা কখনো শেষ হয়ে যায় না।
আশা করি, মুভিটি দেখবেন এবং ভালো লাগা রেখে যাবেন।
১৮টি মন্তব্য
হালিম নজরুল
মুভিটি কেনো দেখবো:
১) দায়িত্ববোধ শিখিয়ে দেয়।
২) তুমি যা সিদ্ধান্ত নিবে তা দৃঢ়ভাবে পালন করবে। এবং যে কোন পরিস্থিতিতে তা মেনে নেয়ার সিদ্ধান্তে অটল থাকবে।
৩) কোনভাবেই উদ্ভুত পরিস্থিতি থেকে পলায়ন করা যাবে না। মুখোমুখি হও এবং জয়ী হও।
৪) মেয়েদের প্রতি মেসেজ, ডেন্জারাস ছেলে থেকে তোমরা দূরে থাকবে।
৫) বাবা মায়ের বিশ্বাস ভাঙ্গবেনা। ভালোবাসা পাপ কিনা জানিনা। তবে হৃদয় দিয়ে তাকেই ভালোবাসতে হবে। পৃথিবী স্বার্থপর হলেও।
৬) সমাজে অনেক লোক আছে যারা নিজদের দায়িত্ব সম্পর্কে অসচেতন। এদের এড়িয়ে চলতে হবে।
———–ভাল লাগল।
আরজু মুক্তা
ধন্যবাদ ভাই
ছাইরাছ হেলাল
মুভি নিয়ে বোধকরি এটি-ই আপনার প্রথম লেখা,
স্বাগত এ জগতে। যে ভাবে বললেন তাতে তো একবাক্যে দেখে ফেলা দরকার।
দেখি কতটা এগুতে পারি।
চালু থাকুক/চালু রাখুন।
আরজু মুক্তা
জি, না। ২য় রিভিউ। অবশ্যই মুভিটি দেখবেন। আগের মুভির লিংক।https://sonelablog.com/%e0%a6%a5%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%bf-%e0%a6%87%e0%a6%a1%e0%a6%bf%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%9f%e0%a6%b8%e0%a7%8d-%e0%a6%8f%e0%a6%95%e0%a6%9f%e0%a6%bf-%e0%a6%85%e0%a6%a3%e0%a7%81%e0%a6%aa%e0%a7%8d/
সাদিয়া শারমীন
ভালো লাগলো লেখাটি পড়ে।
আরজু মুক্তা
আপনাকে ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্য।
ফয়জুল মহী
ভালো
আরজু মুক্তা
ধন্যবাদ
সুপর্ণা ফাল্গুনী
মুভিটি আমি দেখেছি দু-তিন বার। আপনার বর্ণনায় ভিন্নতা রয়েছে এবং কেন দেখা উচিত সেই বিষয়গুলো দারুন ভাবে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে। শুভ কামনা রইলো
আরজু মুক্তা
শুভকামনা দিদি।
তৌহিদ
সিনেমাটি অনেক আগে দেখেছিলাম। তবে আপনি যেভাবে লিখেছেন সেসব কিছুই মাথায় ছিলোনা। আর একবার দেখতে হবে।
ভালো লিখেছেন আপু।
আরজু মুক্তা
আর একবার দেখেন। ভালো লাগবে।
শামীম চৌধুরী
আমাদের সমাজে অসচেতন লোক ভাইরাসের চেয়েও খারাপ। এদের পরিহার করতে পারলে সমাজ সুস্থ্য থাকবে। দারুন মুভি।
আরজু মুক্তা
একদম ভাই।
শুভকামনা
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
চলচ্চিত্র নিয়ে সুন্দর আলোচনা। এবং ছবি দেখার কারণগুলোও বস্তুনিষ্ট। তাই ছবিটি দেখা যেতে পারে। ধন্যবাদ, ছবি নিয়ে সুন্দর আলোচনার জন্য।
আরজু মুক্তা
আপনাকেও ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ভালো থাকবেন।
জিসান শা ইকরাম
আমার প্রিয় হিন্দি সিনেমা এটি। আগে দেখেছি দুইবার।
তোমার রিভিউ পড়ে আবার একবার দেখলাম। এবার অন্যরকম লাগলো। রিভিউ ভালো হয়েছে। নিয়মিত রিভিউ লেখো, এতে রিভিউ লেখায় অভিজ্ঞতা হবে আরো।
শুভ কামনা।
আরজু মুক্তা
ধন্যবাদ।
রিভিউ লেখা কঠিন।
কঠিনেরে ভালোবাসিলাম