
আম্মুর মোবাইলের ব্যালেন্স শেষ,যাকে জরুরী দরকারে ফোন দিবেন তার টেলিফোন নেই তাই মোবাইলে ফেক্সিলোড করতে হবে।
এমন সময় বাসায় কেউ নেই আম্মু নাম্বার টাকা দিয়ে ছোট্র আলিফকে পাঠালেন দোকানে।
রাস্তায় মানুষের প্রচুর জ্যাম ওপেক্ষা করে দোকানে ঢুকলাম বুঝতে পারলাম শহরে কোন ভিআইপি মানুষের আগমন ঘটেছে গাড়ির পর গাড়ি রাস্তায় ভরা।
আমি দোকানে ঢুকতে পারছিলাম না একটা বিশাল লম্বা মানুষ সামনে দাঁড়িয়ে আছে। আমার একটু রাগ বেশি ধমকের স্বরে বললাম দেশ তো ভিআইপিদের হাতে দোকানেও কি তাদের দখলে..?
লোকটা রাস্তা ছেড়ে দিল আমি আম্মুর নাম্বারে টাকা পাঠালে চলে আসলেন।
কিছুক্ষন পরেই আম্মুর কল আলিফকে চায়..?
দৌঁড়ে গিয়ে হ্যালো বলতেই..! একটা পুরুষ কন্ঠ আলিফ টাকা পেয়েছো.?
জ্বী টাকা আসছে।
লাইনটা কেটে দিল।
তারপর থেকে ওই নাম্বারে নিয়মিত ফোন আসতো আলিফকে চাই আম্মু ততবারই আমাকে কথা বলতে ডাকতেন। কিন্তু ফোনে কথা বলা আমার কাছে সবচেয়ে বিরক্তকর।
বাসায় সবাই মোটামুটি বিরক্ত কে এমন করে ফোনে আলিফকে চায়.?
আমরা কেউ তাকে চিনি না।
আমি কথা বলে জানলাম ওই ছেলেটা সেই বিশাল লোকটা যে ফেক্সিলোড দোকানে দাঁড়িয়ে ছিলো।
সেদিন ওই সময় কোন মন্ত্রীর গাড়ি ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল, ছেলেটা একজন এমপির পুত্র।
পরিচয় পাওয়ার পর আমি রিতিমতো ভয় পেলাম, কারন ছেলেটা বার বার ফোন দেয় বলে। আমি অনেক বিরক্ত হয়ে বাজে আচরন করছি, সে প্রতিবাদ করতো না শুধু হাসতো।
সে বললো আলিফ তুমি খুব সুন্দর, আমি তোমাকে ভালোবাসি..
আমি ফোনর লাইন কেটে দিলাম,
ফোন রেখে আব্বুকে সবটা জানালাম।
সেদিন রাতেই আম্মুর মোবাইলের নাম্বার চেঞ্জ করা হলো রাত ৮.০০ ফোন আসলো রিসিভ করতেই আলিফকে চায় সেইম দিনের সেই এমপি পুত্রের কন্ঠস্বর।
আব্বু ভয় পেল রিতিমতো বাসায় আতংক সৃষ্টি হলো, আমি একবার কথা বলতে চাইলাম আব্বু রাজি হলেন যদি সমাধান হয়।
আমার কন্ঠ শুনেই সে আনন্দে বললো আলিফ !! মনে হলো পৃথিবীর সবচেয়ে আনন্দিত সে।
হ্যাঁ আমি আলিফ বলুন, কেন এভাবে আমাকে কষ্ট দিচ্ছেন, বিরক্ত করছেন.?
সে অবাক হয়ে বললো বিরক্ত করবো না! তুমি একটু কথা বললেই হবে।
আমি রাগ করে বললাম আর কোনদিন ফোন দিবেন না।
সেও চ্যালেন্স ছুঁড়ে মারলো তুমি যতবার নাম্বার চেঞ্জ করবে ততবার আমি নাম্বার পাব।
এবার ভাইয়া নতুন সিম কিনলেন, পরদিন থেকে নিয়মিত কল আসলো ৫ দিন প্রায় ১৭ টা অপরিচিত নাম্বারে। বড় ভাইয়ার ধারনা ওই এমপি পুত্র তার পরিচিতদের নাম্বাটা দিয়েছে আমাকে বিরক্ত করার জন্য।
আমি ছোট্র টেনশন বুঝার বয়স হয়নি রাগটা, কান্নাটা বুঝতাম, বড় আপ্পি ধমক দিল তোমাকে কে বলছিলো ওই ভিড়ের মধ্যে ফেক্সি করার.?
এখন পুরা বাসাটার মানুষকে অশান্তিতে রাখছো..
আমার কান্নার শুরু আছে শেষ নেই…!
সবাই ক্ষমা চাইল,সরি বললো আমার কান্না থামে না।
বড় আপ্পি অনেকবার সরি বলে ৪ ঘন্টা পর কান্না থামাল।
এমপি পুত্রের ফোন আমি রিসিভ করলাম যত রাগ,ঘৃণা ছিলো এক সুরে বলে শেষ করলাম সে চুপ!
আর কোনদিন আপনি আমাকে কল দিলে আমি সুইসাইড করবো।
বুঝতে পারলাম ছেলেটা কাঁদছে তাতে আমার কি বকা দিতে পেরে রাজ্য জয়ের হাসি দিলাম।
সবাই বুঝালাম সে আর ফোন দিবে না, অবাক কান্ড কল লিস্টে সারাদিন ওই ১৭ নাম্বারের আনাগোনা।
মনে হচ্ছিল থানায় জানাবে কিন্তু তাতেও ভয় যে গোপন ফোন নাম্বার সংগ্রহ করতে পারে,সে আমার ক্ষতিও করতে পারবে।
২০তম দিনে বয়স্ক লোক ফোন দিল আলিফের বাবাকে চায়.? সেদিন শুক্রবার আব্বুকে কথা বলার জন্য দিলেন।
ওনি নিজের পরিচয় দিলেন জিসানের বাবা এমপি সাহেব।
আব্বুর সাথে বিনয়ের সাথে কথা বললেন।
জিসান দুদিন ধরে খাওয়া দাওয়া বন্ধ আলিফের জন্য পাগলামী করছে,
জিসান একটা মেয়েকে ভালোবাসতো। মেয়েটা এক্সিডেন্টে মারা গেছে তারপর থেকে জিসান অসুস্থ আলিফকে দেখার পর সে কিছুটা সুস্থ।
আব্বু চাইলে জিসানের জন্য আলিফকে নিতে চায়, আব্বু হেসে বললেন ভাইজান আলিফ ছোট্র ক্লাস সেভেনে পড়ে। এখনো বাবার হাতে ভাত খায়, মা স্কুলে নিয়ে যায় বিয়ের বয়স হয়নি।
এমপি সাহেব আরেকটা অনুরোধ করলেন জিসানকে সুস্থ করার জন্য আমার সাহায্য লাগবে।
আব্বু খুশি মনে তাকে প্রমিস করলেন আমার মেয়েসহ সবাই জিসানকে সুস্থ হতে সাহায্য করবো।
তিনি বার বার অনুরোধ করলে বিষয়টা বাইরে না জানাতে তাই হলো।
সবাই মিলে আমাকে রাজি করলো, জিসান কল দিতো আমি কথা বলতাম আর সামনে গোল টেবিল বৈঠক করে সবাই বসতো ফোনে লাউডস্পিকার দেওয়া।
জিসানের কথা শুনে শিখিয়ে দেওয়া হতো আমি কি বলবো,এদিকে জিসানের পারিবারিক ডাক্তার তিনিও শেখাতেন কি করলে জিসান খুশি হবে।
আলহামদুলিল্লাহ্ ৩৪তম দিনে জিসান কিছুটা সুস্থ হলো ডাক্তার আমাকে ফোন দিয়ে Congratulations. করলো।
আমি তাকে জানালাম সব কৃতিত্ব আমার বাবা,মায়ের আমি শুধু তাদের অনুরোধ রাখছি।
পরদিন জিসান ফোন দিলো অনইচ্ছা স্বর্তেও কথা বললাম, সে বললো আমার কন্ঠটা খুব সুন্দর যদিও আমি জানি ফাঁটা বাঁশের গলা..
জিসান স্বীকার করলো ওই ১৭ টা সিম তার টাকায় কিনে বন্ধুদের দিয়েছিলো। তখনকার দিনে একটা সিমের মূল্যছিলো ১৬,১২-৫৬০ শত টাকা বর্তমানে যার মূল্য ১০টাকায় সিম পাওয়া যায়।
আমি হিসাব করে ক্লান্ত হলাম পাগল ছেলে কতটাকা খরচ করলো,, কারন ওই সময় জিসান ফোন দিলেও তা আমাকে দেওয়া হতো না, সবাই ফোন করে আলিফকে চাইলে কাউকে তো আলিফের সাথে কথা বলতে দেওয়া হবে এই আশায়।
কিন্তু দূভাগ্য কখনো আলিফকে ফোন দেওয়া হতো না।
আলিফ তুমি জানো না প্রিয় মানুষটার হ্যালো শব্দটা শোনাতেও কত শান্তি,একটু টু শব্দের মনের সব কষ্ট দূর হয়ে যায়।
আচ্ছা তোমার কথা বলতে ইচ্ছা না করলেও আমার জন্য হলেও শুধু বলো, না হলে আমি মারা যাব।
তারপর জিসানের কান্না ওর কথা শুনে আম্মু,বড় আপ্পির চোখে পানি অথচ আমি স্বাভাবিক কারণ এসব অনুভূতি আমার মাঝে জন্ম হয়নি।
আমার বিরক্ত লাগছিলো ফোনটা রেখে দিলাম।
পরদিন আবার জিসানের ফোন রিসিভ করলাম তার বুকের ভিতরে সারাক্ষন জ্বলাপুড়া করে, আমার জন্য কষ্ট হয়।
জিসানের কথা অবুঝ আমি হেসে ফেললাম।জিসান কাঁদতে কাঁদতে বললো আলিফ আমার কথা তো বিশ্বাস করছো না যেদিন কাউকে ভালোবাসবে, মিস করবে, কারো জন্য মায়া হবে তখন বুঝতে কষ্ট কাকে বলে। জিসান ভাইয়া এসব আমার বিরক্ত লাগে,আম্মু ধমক দিলেন ডাক্তার কি বলছে মনে নেই.?
আমি শান্ত হলাম আম্মুর দেওয়া শিখানো কথা বলে তাকে খুশি করলাম সে রাতে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লো।
সকালে আবার কল ডাক্তার বললেন তুমি জিসানের বেশি বেশি প্রশংসা করবে..
জিসান ভাইয়া! প্লীজ আলিফ ভাইয়া বলবে না শুধু জিসান বলে ডাকবে।
আচ্ছা, জিসান আপনি কত সুন্দর, লম্বা ছেলে আমার খুব পছন্দ।
আপনি কেন এসব পাগলামি করেন আপনাকে মানায় না।
আপনি শিক্ষিত, এমপি পুত্র। ছোট্র আলিফকে বিরক্ত করেন সে কষ্ট পায়,বিরক্ত হয়,মনে মনে আপনাকে ঘৃণা করে। আমার বিশ্বাস আপনি খুব ভালো মানুষ আমি আপনাকে সম্মান করি,শ্রদ্ধা করি মন থেকে জিসান নিজের প্রশংসা শুনে খুব খুশি হলো।
আমার জানামতে জিসান অনেকটা সুস্থ সে স্বাভাবিক আজ কোন পাগলামি করছে না।
আলিফ আমি যদি তোমাকে আর কোনদিন ফোন না দেই, বিরক্ত না করি, তাহলে তুমি ভালো থাকবে.? খুশি থাকবে.?আমাকে মনে রাখবে.?
আমি হাসতে হাসতে বললাম অবশ্যই ভালো থাকবো।
জিসান আস্তে করে বললো আলিফ আমি তোমাকে বিরক্ত না করলে তুমি আমাকে ভুলে যাবে.?
ফিস্ ফিস্ করে বললাম তোমাকে মনে রাখতে আমার বয়েই গেছে।
আম্মু ইশারা করলেন হ্যাঁ বলো,
নাহ্ তোমাকে আমার মনে থাকবে।
জিসান হাসলো..
আলিফ আমাকে মিস করবে..?
সত্যি ওই বয়সে আমি জানতাম না মিস করা কাকে বলে!
অবাক হয়ে প্রশ্ন করলাম জিসান মিস করা মানে কি? আমি জানি না, কিভাবে মিস করে শিখিয়ে দেন আমি মিস করবো।
আমার কথা শুনে আম্মু, আপি, কাজের ভুয়া আন্টি হাসতে হাসতে শেষ।
জিসান পাগলের মতো হাসতে শুরু করলো, কিছু না বুঝে আমিও হাসিতে যোগ দিলাম।
আম্মু আস্তে করে বললেন বলো মিস করবো..!
হ্যাঁ আপনাকে মিস করবো, জিসান খুব খুশি হলো, মনে হলো সে জিতে গেছে হা হা হা করে হাসি দিল।
আন্টিকে ফোনটা দাও আম্মুকে দিলাম, জিসান কি বললো জানি না আম্মু আঁচলে চোখ মুছলো কোন আওয়াজ নেই, আপ্পি,ভুয়া আন্টির চোখে পানি টলমল শুধু আমি বোকার মতো দাঁড়িয়ে চিপস খাচ্ছি।
আম্মু বললেন জিসানের সাথে আজ তোমার জ্ঞানে কথা বলবে আমি আর শিখিয়ে দেব না।
আমার রুম ছেড়ে সবাই চলে গেল, জিসান বেশি কথা বাড়ল না।
শুধু কয়েকটা কথা বললো আলিফ আমি খুব ভালো একটা ছেলে তোমাকে দেখার পর মাথা ঠিক ছিলো না।
অনেক পাগলামী করছি আমাকে ক্ষমা করে দিও প্লীজ। হয়ত আর কোনদিন তোমাকে বিরক্ত করবো না। এবার আমার চোখে পানি কিছু বলতে পারছিলাম না, এই পাগলি তুমি কাঁদছো কেন.?
আলিফ তুমি আমাকে মিস করবে এটাই আমার শান্তি…!
আমি জিতে গেছি.. হো হো হো হো হো।
জিসান ফোনটা রেখে দিল আর কোনদিন ফোন দিল না।
কয়েকদিন পর খুব মনে পড়তো জিসান ভাইয়াকে, কষ্ট হতো কেন বুঝতাম না।
একদিন আম্মুকে শেয়ার করলাম তিনি বললেন জিসান অসুস্থ ছিলো আমরা তাকে সুস্থ করতে পেরেছি।
এটাই সফলতা মনে রাখার দরকার নেই ভুলে যাও, আম্মু আমি ১দিন জিসান ভাইয়ার সাথে কথা বলতে চাই।
ওকে বলো..!
সাথে সাথে জিসান ভাইয়ার নাম্বারে কল দিলাম সুইচ অফ।
বুকের ভিতর চিন চিন ব্যাথা করছিলো জ্বলে যাচ্ছিল যেমনটা একদিন জিসানের করতো।
আমি কল লিস্ট চেক করে ১৭ টা নাম্বার থেকে ১০টা নাম্বার খোঁজে পেলাম। চেক করলাম সব বন্ধ কারন ওগুলো শুধু মাত্র একবার আলিফের কন্ঠটা শোনার জন্য কিনা হয়েছিলো।
আমার দু-চোখে পানি আম্মুকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে শুরু করলাম কেউ কান্না থামাতে পারছে না।
বেশি কাঁদলে বা রাগলে আমি অজ্ঞান করার হয়ে যাইহোক তাড়াতাড়ি আব্বুকে ফোন দিল আব্বু অফিস ছেড়ে বাসায় আসলেন। এমপির নাম্বারে কল দিল সেটাও বন্ধ,
এমপি মানুষ কখন কোন সিম ব্যবহার করেন। ঠিক নেই, আব্বু মিথ্যা করে আমার কান্না থামাতে বললো জিসান ব্যস্ত ফ্রি হয়ে তোমাকে ফোন দিবে…
আমার কান্ড দেখে আব্বু হাসলো, আম্মু বললেন রাজকন্যা এটাকে বলে মিস করা..!
তুমি জিসানকে মিস করছো হা হা হা হা আব্বু হাসলো।
আমার কান্না থামলো আজ ১১ বছর জিসান ভাইয়া আর কোনদিন ফোন দিল না….
আমার খুশির জন্য আমার জীবন থেকে চলে গেল,
>>আজ আমি মিস করার মানে বুঝি!
>>প্রিয় মানুষের জাস্ট একটা হ্যালো শব্দে কত সুখ,কতটা শান্তি
তা অনুভব করতে শিখেছি!
>>মায়া কত খারাপ একটা ব্যাধি তা আমি মর্মেমর্মে অনুভব করি।
>>কারো জন্য বুকের ভিতরে জ্বালাপড়া করা,কারো জন্য কষ্ট হওয়া সব বুঝি!
>>কারো অনুপস্থিতিতে তার অস্তিত্ব খোঁজতে শিখেছি!
>>কিন্তু হারিয়ে ফেলেছি সেই পাগলটাকে যে তার সমস্থ কিছুর বিনিময় শুধু আমার মুখের হাসিটা খোঁজতো…
আজ ১২ মে জিসানের জন্মদিন। জিসানের সাথে শেষ কথা এই ১২ মে..।
তাই ১১ বছর ধরেই চেষ্টা করি এই দিনটাতে কাউকে কষ্ট না দিতে…!
জিসান আমি প্রতি বছর এই দিনে চিৎকার করে ১বার বলি ”
“মিস ইউ জিসান ভাইয়া”
হয়ত এই শব্দটা তোমার কান পর্যন্ত পৌঁছায় না তবে বিধাতার কানে ফিস ফিস করে বলি “হে বিধাতা তুমি জিসানকে বুঝিয়ে দিও তার পাগলি তাকে আজো মিস করে..
শুভ জন্মদিন & মিস ইউ জিসান ভাইয়া।
আলিফ..
১৯টি মন্তব্য
ফয়জুল মহী
আমি দোকানে ঢুকতে পারছিলাম না একটা বিশাল লম্বা মানুষ সামনে দাঁড়িয়ে আছে। আমার একটু রাগ বেশি ধমকের স্বরে বললাম দেশ তো বিআইপিদের হাতে দোকানেও কি তাদের দখলে..?😀😀
সুরাইয়া নার্গিস
ধন্যবাদ ও ভালোবাসা ভাইয়া রইল।
ওই বয়সে ভিআইপি মানে কি বুঝার বয়স হয়নি, তবে হুট করে রাগ করাটা বুঝতাম 😀।
এখনো প্রচন্ড রাগ কন্টোল করতে কষ্ট হয়, ওই সময় বাসায় সবাই শান্ত থাকে। আমি একা বেশিক্ষন চেঁচাতে পারি না, তারপর নিজে নিজেই শান্ত হই সবাইকে সরি বলি।
ভালো থাকবেন ভাইয়া।
ইঞ্জা
হৃদয়টা ছুঁয়ে গেলো গল্পটা, মিস ইউ জিসান ভাইয়া। 😭
সুরাইয়া নার্গিস
ধন্যবাদ ও ভালোবাসা রইল ভাইজান।
হুম এটা গল্প কিন্তু সে ক্ষমা চাইতে পেরেছিলো কিন্তু আমি যখন মিস করতে শিখলাম সেদিন খোঁজে পেলাম না।
এটা একটা কষ্ট, একটা অপরাধ বোধ কাজ করে, তাকে সুস্থ করার পিচনে আমার পরিবারের অবদান এটা আমি গর্বিত করে।
সে জিতে গিয়ে আমাকে হারিয়ে দিলো, আমার খুশির জন্য আর বিরক্ত করলা না।
আমি তাকে মিস করি হেরে গেলাম এটা অপূর্ণ একটা কষ্ট..
ভালো থাকবেন ভাইয়া।
শুভ জন্মদিন জিসান 😭
সুপর্ণা ফাল্গুনী
খুব সুন্দর হয়েছে, ভালো লেগেছে। আসলেই ভালোলাগার, ভালোবাসার মানুষটির একটু কিছু পেলেই মনটা আনন্দে ভরে উঠে। ভালো থাকবেন সবসময় শুভ কামনা রইলো
সুরাইয়া নার্গিস
ধন্যবাদ দিদি।
ভালো লাগা, ভালোবাসা আজ বুঝতে পারি তখন বুঝতে পারতাম না।
ভালো থাকুন দিদি
বন্যা লিপি
অনেক অনেক অনেক ভালো লাগলো আত্মগল্প। খুব সাবলীল বর্ননায় উপস্থাপন।
শুভ কামনা
সুরাইয়া নার্গিস
ধন্যবাদ বড় আপু।
জীবনের একটা বাস্তব ঘটনা লিখতে গিয়ে চোখে পানি চলে আসল।
ভালো থাকুন আপু।
বন্যা লিপি
১২ই মে মন্তব্য করেছিলাম। আজ ২৮ জুলাই মন্তব্যের জবাব দিলেন ছোট্টফা?😊😊
ছাইরাছ হেলাল
আপনার গল্প-বলার ঢংটি চমৎকার।
সুরাইয়া নার্গিস
ধন্যবাদ ভাইয়া।
লেখাটা গল্প হলেও সত্যি।
ভালো থাকুন।
সুরাইয়া পারভীন
দারুণ লিখেছেন! যাকে পাগলের মত ভালোবাসা যায়,
যার জন্য পাগলামি করা হয় তার ভালোর জন্য থাকে ছেড়ে থাকাও যায়।
সত্যিই দারুণ লিখেছেন।
তৌহিদ
মন ছুঁয়ে গেলো। জিসান ভালো থাকুক, সেইসাথে আপনিও।
দারুণ লেখেন আপনি।
আরজু মুক্তা
ভালো লাগলো
কামাল উদ্দিন
মানুষের মনের রং মানুষ কবেই বা বুঝতে পেরেছিলো, আজ যে শত্রু কাল তার জন্যই পাগল। ভালোলাগা জানিয়ে গলাম আপু।
হালিম নজরুল
ভাললাগা জানালাম
সুরাইয়া নার্গিস
ধন্যবাদ ভাইজান।
দোয়া রাখবেন, ভালো থাকুন।
ত্রিস্তান
এখানে একটা এসি টু ডিসি কনভার্টার প্রয়োগ করা দরকার ছিলো। তাইলে দেখতেন মিস করা কত প্রকার ও কি কি😄
সুরাইয়া নার্গিস
ধন্যবাদ
সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ভালো থাকুন, শুভ কামনা রইল।