
আজ তুমি কোন সূদুর প্রবাসে হারিয়ে বাংলা মাটি,
রত্নটি খুঁজে অপার অধীর,কোথা সে সোনার খাঁটি।
শীতল পরশে উষ্ণতা খোঁজে,উষ্ণ সাগরে শীত,
মন্দিরে খেলে এগোজ গ্রহন,এপোসথেটার মিথ।
নি:শ্ব করে কি ব্লাকব্রথে মেতে গুণে যাও দিনরাত!
কার বুকে করো আরতি প্রপাত,আমি হই কুপোকাত।
রঙধনু নিয়ে মাতম, নাকি রঙহারা প্রজাপতি?
চড়া দামে কেনা অর্ঘ্য আমার কত পথে হবে যতি?
বিহনে তোমার এই পথঘাট রঙহারা বারোমাস,
তাই খুঁজে ফিরি প্রতিমা তোমার,সুখদুখ’ করি চাষ।
————————0 0———————–
***(ছবি:- জিসান শা ইকরাম ভাই থেকে ধার করা)***
১৯টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
বাপরে! কি লিখলেন জবাব নেই। তবে কিছু শব্দ বুঝিনি। ভালো থাকবেন শুভ কামনা রইলো
হালিম নজরুল
কবিতায় দুই তিনটে কাতালান মিথের কথা/শব্দের ব্যবহার আছে। ওগুলো নতুন দেখলে বোঝার কথা নয়। আপনি লেখিকার পাশাপাশি অত্যন্ত ভাল একজন পাঠক। আমি স্যালুট জানাই আপনাকে। এমন সত্য উচ্চারণের জন্য ধন্যবাদ। যে শব্দগুলো বুঝতে পারেননি জানালে আমি চেষ্টা করব……। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইল।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
এগোজ, এপোসথেটার, ব্লাকব্রথ এগুলোর ব্যবহার এখানে কি অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে সেটা জানতে চাই। আমি আবার মিথ নিয়ে বেশি ঘাঁটাঘাঁটি করিনা। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। শুভ সকাল
হালিম নজরুল
গ্রীক সভ্যতার আমলে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী যোদ্ধা বলা হত কাতালান সেনাদের। তৎকালীন সময়ে কোন শিশু জন্মালে তাকে বাধ্যতামুলক কাতালান সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে হত। জন্মের পরই তাকে এই বাহিনীতে বেঁচে থাকার সংগ্রামে লড়তে হত। যদি কোন শিশুকে দুর্বল মনে করা হত, তবে তাকে মেরে ফেলা হত। কঠিন এই জীবনসংগ্রামে লড়তে গিয়ে শিশুদের বিরাট অংশ একজন সাধারণ সৈনিকে পরিণত হবার আগেই মারা যেত। কঠিন এই সংগ্রামে লড়াই করার এই প্রশিক্ষণ পরীক্ষাকে বলা হত “এগোজ” গ্রহন। যেখানে শিশুদেরকে এই বাঁচা মরার লড়াই করতে হত, সেটাকে বলা হত “এপোসথেটা”। এই সৈনিকদের শক্তি, সাহসিকতা ও বুদ্ধিমত্তার ভিত্তিতে তাদেরকে বিভিন্ন উচ্চপদে অধিষ্ঠিত করা হত।
এইসব যোদ্ধাদের খাবার গ্রহণও ছিল বেশ সংগ্রামমুখর্। এই সংগ্রামে লড়াই করে যারা জিতে যেত, তারা পেত অধিক ও উন্নত খাবার। তারা কোন পশু শিকার করে কাঁচাই খেত। এইসব পশুর রক্তমাংসের সাথে মাদক মিশিয়ে সবচেয়ে উন্নত ও সুস্বাদু খাবার তৈরী করা হত। এটি দিয়েই উদযাপন হত মাদক উত্সব বা ককটেল পার্টি “ব্ল্যাকব্রথ”। এখানে হাতেগোনা কয়েকজন মাত্র এই আনন্দ উতসবে যোগ দেবার সুযোগ পেত। এই উতসবে বহুমুখী আনন্দের উপাদান যুক্ত থাকত।
আলোচ্য কবিতায় কবি তার কাতালান প্রবাসী প্রেমিকাকে দীর্ঘদিন ভালবেসেও নিজের করে নিতে পারেনি। সবভাবে ভালবাসার আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। জীবনের বিনিময়ে হলে সে তাকে পেতে চায়। তাই সে ছেলেবেলা থেকেই তাকে পাওয়ার সংগ্রামে অবতীর্ণ। এ যেন “এপোসথেটায়” “এগোজ” গ্রহনের সামিল। কিন্তু প্রিয়তমা কবিকে ভুলে হয়তো কাতালানে অন্যদের সাথে “ব্ল্যাকব্রথে” মেতে আছে । কাতালান হল বর্তমান স্পেনের একটি রাজ্য/ শহর্। একসময় কাতালান,ট্রয়, রোম, গ্রীস,এসব মিলেই ছিল তাদের রাজ্য।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আচ্ছা ওদের কাহিনী শুনেছিলাম মনে হয় কিন্তু ভাষাগুলো জানা ছিলো না। ইংরেজি তে এগুলোর অর্থ সেভাবে পাইনি ভাষার ভিন্নতার কারণে হয়তো। ধন্যবাদ দেয়ার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। আপনি এতো কষ্ট করে পুরো বিষয়টা তুলে ধরলেন, আমি সত্যিই আবেগাপ্লুত। ভালো থাকবেন ভাইয়া। শুভ কামনা রইলো
জিসান শা ইকরাম
আমাদের বাংলা মায়ের সে মনমাতানো রূপ হারিয়ে গিয়েছে আসলেই। তাকে সেই আগের মত আর ফিরে পাওয়া যাবে না। আক্ষেপ আমাদের খুব।
ছবিটা আপনার লেখার সাথেই মানিয়েছে বেশ।
শুভ কামনা ভাই।
হালিম নজরুল
বিনা অনুমতিতে ছবি নেবার সাহস করেছি ভালবাসার অধিকারে। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভাই।
সুরাইয়া পারভীন
মনে হলো এ যেনো কোনো প্রিয়সী নিয়ে রচিত
কোনো প্রেম কাব্য। ভালো যদি বাস্তবে হয় দেশকে এমন ভাবেই ভালোবাসা উচিত।
চমৎকার লিখেছেন
হালিম নজরুল
ঠিকই ধরেছেন। শুভকামনা রইল।
সুপায়ন বড়ুয়া
“আজ তুমি কোন সূদুর প্রবাসে হারিয়ে বাংলা মাটি,
রত্নটি খুঁজে অপার অধীর,কোথা সে সোনার খাঁটি।”
ওয়াও কোন সে সৌভাগ্যবতী
যাকে নিয়ে এমন সুন্দর কবিতা
লেখা হয়।
ভালো হলো। শুভ কামনা।
হালিম নজরুল
আপনাদের প্রেরণাই আমার শক্তি দাদা।
প্রদীপ চক্রবর্তী
একরাশ মুগ্ধতা রেখে গেলাম দাদা।
হালিম নজরুল
ধন্যবাদ ও শুভকামনা দাদা।
ফয়জুল মহী
পরিপাটি লেখা । বেশ l
হালিম নজরুল
শুভেচ্ছা ও ভালবাসা ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
চাষাবাদ চালু রাখতেই হবে প্রতিমা খুঁজে পেতে।
হালিম নজরুল
হ্যাঁ ভাই, ঠিক বলেছেন, চাষাবাদ চালু রাখতেই হবে।
তৌহিদ
প্রিয়তমা আর দেশ দুটোই ভালোবাসার মাধ্যম। তবে নিবিড় পরিচর্যায় চাষ করলে সুফলা হতে বাধ্য।
ভালো থাকবেন ভাই।
হালিম নজরুল
ধন্যবাদ ও শুভকামনা ভাই।